-
Tk 110
কুরআন কী বলে
আসো, তোমাকে একটি মজার গল্প শোনাই। আমার কুরআন শেখার গল্প। আলিফ, বা, তা, সা…এই ছিল কুরআন শেখায় আমার প্রথম পাঠ। শীত-গ্রীষ্মের রঙিন ছুটিতে ভোরবেলায় একটা কায়দা বা আমপারা বুকে জড়িয়ে ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে মক্তবের পথ ধরতাম। শিশির ভেজা পথ ধরে হেঁটে চলতাম মনের ভেতর একরাশ বিরক্তি নিয়ে। পাড়ার শিশু-কিশোররা দলবেঁধে একত্রিত হতাম মক্তবের বারান্দায়। ওস্তাদের অনুকরণে সুর করে উচ্চৈঃস্বরে চলত আমাদের আরবি পাঠ। এভাবে প্রতিদিন সকালে একঝাঁক শিশুর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠত মক্তবের আঙিনা
-
Tk 110
নবিদের দাওয়াতি পদ্ধতি
মানুষ সাধারণত বদলাতে চায় না। সে যেমন আছে, তেমনই থাকতে চায়। তাই কাউকে বদলানোর আহ্বান জানালে সে রাগ করে। আবার কেউ দূরে চলে যায়। এমনকী পরিবর্তনের আহ্বানের জন্য অন্তরঙ্গ বন্ধুর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে অহরহ। দাওয়াতের অর্থ—বদলে যাওয়ার আহ্বান জানানো। হয়তো বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তনের আহ্বান, নয়তো তার মানোন্নয়নের আহ্বান। এই হচ্ছে মূলকথা। দাওয়াতের এই সুমহান দায়িত্ব সবচেয়ে ভালোভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন নবি-রাসূলগণ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষগণ কীভাবে এই কঠিন কাজটি করেছেন, এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কীভাবে তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করেছেন—এ-ই নিয়ে বইটি। রাসূল ﷺ-এর মাধ্যমে নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হলেও দাওয়াতের ধারা অব্যাহত থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। বর্তমান যুগে কীভাবে আমরা তাঁদের দাওয়াতি পদ্ধতির আলোকে মানুষের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছাতে পারি, তা জানতে পারব এই বইয়ের মাধ্যমে।
-
Tk 110
নীল পৃথিবীর সবুজ আকাশ
ভুল কোন ট্রেনে যদি উঠেই পড়ো, পরের ষ্টেশনেই নেমে যেয়ো। ট্রেন যতদূর যাবে, তোমার ফেরার কষ্ট তত বেশি
-
Tk 110
কবি
আবদুল্লাহ (রা.)-এর কবিতা শুনে উমর (রা.) চটে যান। ধমক দিয়ে বলেন-‘থামো! রাসূলুল্লাহর সামনে এ পবিত্র স্থানে কবিতা পাঠ?’ কিন্তু কবিতা তো সবার। সর্বজনীন। একজনের হৃদয় উৎসারিত হলেও সকলের হৃদয়গ্রাহী। কবিতা মায়ের বুলি। তাতে জাতপাত নেই। কাঠিন্য নেই। দর্শন নেই। প্রেম আছে। কবিতা আরশে মোয়াল্লার ভাষা। ফেরেশতার বিশুদ্ধ সুর। কাওসারের কুলুকুলু ধ্বনি। আয়িশা (রা.)-এর ঘরে মৌ মৌ গুঞ্জন। কবিতা রাসূলের মসজিদের আলাদা মিম্বর। ক্ষুরধার তার শব্দশৈলী। ইবনে রাওয়াহা (রা.)-এর তলোয়ার।
-
Tk 110
শোনো হে কিশোর
বালুর নিচে মুখ গুঁজে থাকলেই ঘুর্ণিঝড় থামে না। আর চাইলেও ঝড় থামানো যায় না; যা ঘটার তা ঘটেই। প্রাজ্ঞতা হচ্ছে ঝড়ের সময়টাকে ঠিকঠাক নিজেকে হেফাজত করা। কৈশোরের সংকট অবশম্ভাবী বাস্তবতা; চাইলেই কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। কীভাবে আমরা তা সুন্দর করে হ্যান্ডেল করছি, সেটাই বিবেচনার বিষয়। এই গ্রন্থে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে কিশোরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কিশোর মানসকে পাঠ করা হয়েছে সুনিপুণভাবে। যেন একজন মেন্টর হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছে কৈশোর জীবনকে কীভাবে সুন্দর করে সাজাতে হয়। পিচ্ছিল পথের যাত্রীদের মঞ্জিলে পৌঁছতে হলে খুব সতর্ক থাকতে হবে। সেই সতর্কবার্তা আর আশু করণীয় নিয়েই এই আয়োজন ‘শোনো হে কিশোর’।
-
Tk 110
Tk 148সংযত জবান সংহত জীবন
মৌনতাকে আপন করে নাও, হাজারো মানুষের ভালোবাসা তুমি পাবে আর নিরাপদ থাকবে পরনিন্দা থেকে। নীরবতা তোমাকে এনে দেবে অনুপম ব্যক্তিত্ব আর সুদৃঢ় গাম্ভীর্য। কোথাও কাউকে কৈফিয়ত দেয়ার প্রয়োজন কোন কালেই তোমার হবে না। এক ব্যক্তি সালমান ফারসি র.-কে বলে: আমাকে নসিহত করুন। তিনি বলেন: তুমি কথা বলো না। লোকটি আশ্চর্য হয়ে জানতে চায়: মানুষের সমাজে কথা না বলে থাকা কীভাবে সম্ভব? তিনি উত্তর দেন: ‘যদি বলো তো হক কথা বলো, অন্যথায় চুপ থাকো।’ কালজয়ী এই নসিহত সবসময়ের সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য—বিশেষত আমাদের এই যুগের জন্য। এই অমূল্য নসিহতটি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের মজলিস যেন এই নসিহতের আলোকে উদ্ভাসিত হয়। বিশেষ করে আমাদের ফোনালাপে এর যথার্থ প্রয়োগ খুব জরুরি। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ র. বলেন: ‘সে সত্তার কসম যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, পৃথিবীর বুকে জবানের চেয়ে বন্দি থাকার অধিক উপযোগী বস্তু আর নেই।’
-
Tk 110
Tk 147দৈনন্দিনের সহস্রাধিক সুন্নাত
অল্প পুঁজি খাটিয়ে অধিক লাভ করতে পারাটা হলো বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। পরকালবিশ্বাসীদের মাঝে সে-ই তো প্রকৃত বুদ্ধিমান, যার কোনো মুহূর্তই অনর্থক কাটে না, যার কোনো কাজই নিষ্ফল হয় না। হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের অনুসরণ করে, একজন মুমিন খুব সহজে তার দৈনন্দিনের অতি সাধারণ কাজেও পাহাড়সম নেকি অর্জন করতে পারে। একটি নেক কাজ আদায় করতে গিয়ে আরও অনেকগুলো নেক কাজের সাওয়াব লাভ করতে পারে। আমরা যদি দৈনন্দিনের প্রতিটি কাজ সুন্নাতমাফিক সম্পাদন করি, তাহলে প্রতিদিন অতি সহজেই সহস্রাধিক সুন্নাতের ওপর আমল করতে পারব। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই শাইখ খালিদ আল-হুসাইনান রহ. কর্তৃক রচিত অতি উপকারী গ্রন্থ ‘দৈনন্দিনের সহস্রাধিক সুন্নাত’।
-
Tk 109
Tk 147মুহাজির
আল্লাহর বান্দা, আল্লাহকে লজ্জা করো। তিনি তোমার প্রতি রহম করুন। তুমি তাঁকে ভুলে গেছ, কিন্তু তিনি তোমাকে ভুলে যাননি। যে কারণে তুমি তোমার রবকে লজ্জা করবে, সে কারণটি হচ্ছে, তিনি তোমাকে ভুলে যান না; যদিও তুমি অনেক বেশি ভুলে আছ তাঁকে। কখন তাঁকে ভুলে গেলে? প্রতিটি দিন। যখনই তোমার স্মরণ করার সময় ছিল, তুমি ভুলে গেলে। যখনই তুমি ওয়াদা করলে, সে ওয়াদা ভঙ্গ করলে। যখন তোমার অবিচল থাকার কথা ছিল, তুমি বক্র পথে চলে গেলে। হ্যাঁ…তুমি তাঁকে ভুলে গিয়ে তোমার কামনাবাসনাকে প্রাধান্য দিয়েছ।…তুমি নিয়ম করে গাফিলতি করো আর তাঁকে ভুলে যাও। একাকী থাকো যখন, তখন তাঁকে ভুলে যাও। যখন তুমি গাফিলদের সঙ্গে থাকো, তখন তাঁকে ভুলে থাকো।… আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যদি এক মুহূর্তের জন্যও তোমাকে ভুলে যান, তবে তুমি ধ্বংস হয়ে যেতে, ধ্বংস হয়ে যেত তোমার চারপাশের সবাই। আসমান বিদীর্ণ হয়ে জমিনকে ধ্বংস করে দিত। তোমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যেত। প্রতিটি সক্ষমতা অক্ষমতায় পর্যবসিত হতো। তোমার অন্তর চিন্তা ও উদ্বিগ্নতায় ভরে যেত। এমনকি তুমি মৃত্যু কামনা করেও মরতে পারতে না। তাই, আল্লাহর বান্দা, আল্লাহকে লজ্জা করো। তিনি তোমার প্রতি রহম করুন।
-
Tk 107
Tk 165সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালের মনস্তত্ত্ব
পরিবার আমাদের প্রথম পাঠশালা। আমাদের নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ অর্জনের সবুজ কানন। মা-বাবা এবং পরিবারের বড় সদস্যরা হলেন আমাদের প্রথম শিক্ষক।
-
Tk 106
Tk 118যে গল্প রাসূল (সা.) শুনিয়েছেন
মরুভূমির দেশ যখন মিথ্যায় ছেয়ে আছে। চারিদিকে কুসংস্কারের ঘনঘটা। তখন কুরআনের আলো নিয়ে এলেন আমাদের প্রিয় নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। মিথ্যার মায়াজাল ছিঁড়ে ফেলে শোনালেন সত্যের গল্প। সেই গল্পে ভেঙে-যাওয়া-মন খুঁজে পায় স্বস্তি। আশা-হারিয়ে-ফেলা মানুষটি ফিরে পায় অনুপ্রেরণা। নবিজি এই গল্পগুলো কাদের শুনিয়েছেন, জানেন তো? তাঁর প্রিয় সাহাবিদের; সোনালি যুগের ফুলের মতন সেই মানুষদের। এসব গল্প তাদেরকে চিনিয়েছে নতুন পথ। দেখিয়েছে নতুন স্বপ্ন। ফলে তারা পরিণত হয়েছেন সর্বোত্তম মানুষে। চমকে-দেওয়ার-মতো মুঠোফোন সাইজের এই বইটিতে রয়েছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শোনানো চমৎকার কিছু গল্প; যার পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে শেখার উপকরণ। গল্পগুলো আমাদের সততা, বিনয়, বুদ্ধিমত্তা ও দানশীলতা শেখাবে। অনুপ্রেরণা জোগাবে অবিচল ঈমান সঙ্গে নিয়ে জীবনের পথ পাড়ি দিতে। তরুণ, কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সব-বয়সি-পাঠকদের নবিজির জবানে গল্প শোনার তৃষ্ণাও কিছুটা মেটাবে, ইন শা আল্লাহ।
-
Tk 106
Tk 176শিশুর মননে ঈমান
কোন দিকে অগ্রসর হবে আমাদের আগামী প্রজন্ম? কোন দিকে যাত্রা করবে নতুন দিনের অভিযাত্রীরা? তারা কি ডুবে যাবে কালের আঁধারে? বিলীন হবে অশুদ্ধতার অশুভ গহ্বরে? নাকি, তারা হৃদয়-মাঝারে বয়ে বেড়াবে আলোর ফুলকি? আলোকিত করে যাবে জনপদ থেকে জনপদ? তারা কি রাঙিয়ে তুলবে ভুবন? নতুন করে ছিনিয়ে আনবে হারিয়ে যাওয়া সোনালি প্রভাত? তারা কি বেড়ে উঠবে ফুলের কুঁড়ির মতো? প্রস্ফুটিত হবে দিগন্ত আলো করা শোভা নিয়ে? তারা কি আখিরাতেও আমাদের জন্য আলো হবে? প্রদীপের মতো হবে পথযাত্রী? আগামীর সেই অভিযাত্রীদের মনে দীপ্ত এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই রচিত হয়েছে ‘শিশুর মননে ঈমান’।
-
Tk 105
Tk 140শান্তি একটি ফুলের নাম
কোনো এক রমজান মাস। হঠাৎ করে আমার মনে হলো, চারপাশে এত এত গল্প-উপন্যাস, যেখানে কেবল অর্থহীন সংলাপ, অবৈধ সম্পর্কের টানাপোড়ন, মিথ্যে সব কাব্য-কাহিনি। এমন কি হয় না—যেখানে গল্পের ভাঁজে ভাঁজে থাকবে ইসলাম, সত্য, সুন্দর জীবনের সরল পথ-পন্থা। যেখানে থাকবে শুদ্ধ সম্পর্কের বন্ধন; যেখানে অন্ধকারাচ্ছন্ন সামাজিক বলয় ভেঙ্গে উদয় হবে সোনালি সূর্য। সেই ক্ষুদ্র চিন্তা থেকে যাত্রা শান্তি একটি ফুলের নাম বইটি, বিশেষভাবে আমার বোনদের উদ্দেশ্যে লেখা। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার মনে হয়েছিল, এখন আমাদের যে বয়স, এখনই আমরা বোনেরা ইসলামের প্রকৃত আলোকে ধারণ করে পথ চলতে পারলে সে পথ হবে কেবলই শান্তির। যেখানে দুনিয়া এবং আখেরাত আমাদের জন্য হবে সুন্দর ও সম্মানজনক।
-
Tk 105
Tk 140শাহজাদা
জীবন যখন আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায় তার সকল ঐশ্বর্য নিয়ে, তখনই আমরা বুঝতে পারি জীবনের মানে কী! বেঁচে থাকার স্বার্থকতা কতো মধুর! এ পৃথিবীর বুকে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এমন অসংখ্য অনবদ্য ঐশ্বর্যশীল কাহিনিকাব্য, আমরা হয়তো সেসবের খবরই রাখি না। ইতিহাসের আস্তিন খুলে কখনো চোখ মেলে তাকানোই হয়নি। এমনসব কাহিনিকাব্য নিয়েই সুলেখক তামীম রায়হান-এর গল্প সংকলন। কিছু চমৎকার আরবি গল্পের সাবলীল ও ভাব অনুবাদ নিয়ে তিনি পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন ইতিহাসের সেইসব দাস্তান যা শুনলে আমাদের মননে তৈরি হয় এক অতিন্দ্রীয় সাহসী সেনানী। আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘরে প্রোজ্জ্বল হয় চেতনার বহ্নিশিখা।
-
Tk 105
Tk 140নবীজির ছেলেবেলা
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী মানেই মুসলিমদের আদর্শ। একটি জীবন্ত ও চিরকালীন অনুকরণীয় মডেল হিসেবে এর প্রতিটি দিক এমনভাবে রচিত হওয়া প্রয়োজন, যাতে সকল স্তরের মানুষ নিজ নিজ জায়গা হতে খোরাক সংগ্রহ করতে পারে। বর্তমান বাজারে অসংখ্য সিরাতগ্রন্থ পাওয়া যাবে। এসব গ্রন্থ নবীজির পূর্ণাঙ্গ জীবনী। লেখক ভিন্ন হওয়ার কারণে তাতে ভাষা ও বিন্যাসগত বৈচিত্র্য থাকলেও গবেষণাধর্মী বই লেখা হচ্ছে না বললেই চলে। যেমন এই গন্থটি শৈশবকালীন ঘটনা দ্বারা সমৃদ্ধ করা হয়েছে। নবীজির ছোটকাল থেকে আমাদের ছোটরা খোরাক নিতে পারবে.
-
Tk 105
Tk 140খলিফা হত্যাকাণ্ড
একের পর এক ঘটতে লাগলো হত্যাকাণ্ড। ইসলামি খেলাফতের প্রতিটি যুগ রক্তাক্ত হতে লাগলো প্রবল জিঘাংসায়। খোলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া, আব্বাসি, ফাতেমি, উসমানি… প্রতিটি খেলাফতের সিংহাসন ডুবে যেতে লাগলো রক্তের সহিংস ধারায়। ষড়যন্ত্র আর ক্ষমতার লড়াইয়ে খঞ্জরের ডগায় লেখা হতে থাকলো খলিফাদের রক্তাক্ত নাম ও শান-শওকত। খলিফাদের হত্যাকাণ্ডে লাল হয়ে গেলো ইতিহাসের সাদা পাতা…! কিন্তু কেন? কেন একের পর এক খুন করা হয়েছিলো খলিফাদের? কেন মুসলিম খেলাফত বারবার রক্তাক্ত হয়েছিলো আততায়ীর ছুরির আঘাতে? কেন মুসলিমবিশ্বের ওপর নেমে এলো ক্রমাগত অধঃপতনের নিকষ অভিশাপ? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই রচিত হয়েছে ইতিহাস অনুসন্ধানী গ্রন্থ- ‘খলিফা হত্যাকাণ্ড’।
-
Tk 105
Tk 140আধুনিক কালের খেলাধুলা ও বিনোদন : ঈমান ধ্বংসের প্রাচীন ফাঁদ
বর্তমান সময়টা ফিতনার। এ সময়ে আমাদের আশেপাশে রয়েছে ভয়াবহ অসংখ্য ফিতনা। কখনো কখনো আমাদের কাছে সেই ফিতনাগুলো আসে ভিন্ন ভিন্ন আকর্ষণীয় মোড়কে। যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে শির্ক-কুফরের মতো ভয়ংকর বিষয়। তবে যাদের অন্তরে সামান্যতম আল্লাহর ভয় আছে, দ্বীন-ইসলামের প্রতি আকর্ষণ আছে, তাদেরকে সহজেই সুস্পষ্ট শিরক-কুফরে লিপ্ত করানো যায় না। তাই আল্লাহর দুশমনরা সময়ে সময়ে ভিন্ন পথে, ভিন্ন নামে মুসলমানদেরকে বিপথগামী করে। দ্বীন-ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তেমনই একটি ভয়াবহ ফিতনা হলো—খেলাধুলা ও বিনোদন। খেলাধুলা ও বিনোদনের নামে মুসলমানদের দিল থেকে দ্বীনের ভালোবাসা, রাসূল g-এর ভালোবাসা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আমাদের হৃদয় থেকে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর ভয়, কবরের আযাবের ভয়, জাহান্নামের ভয় সবকিছুই হারিয়ে গেছে। আমরা যদি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দিকে তাকাই, তা হলে দেখব আমরা বিনোদন ও খেলাধুলার এমন এক জগতে প্রবেশ করেছি, যেখান থেকে উঠে আসা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনই যদি আমরা আমাদের ফিরিয়ে না রাখি, এই অন্ধকার জগৎ থেকে বেরিয়ে আলোর পথে না আসি, তা হলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আমরাই বেরিয়ে যাব ইসলাম থেকে, ইসলামই হবে আমাদের কাছে সবচেয়ে অপছন্দের! তাই আসুন, আগে থেকেই আমরা সতর্ক হই। ইসলাম মেনে জীবনযাপন করি।