-
Tk 147
Tk 245বিশ্বাসের জয়
কোনো বই পড়ে ঈমান বেড়েছে, এমনটা আমার খুব কম হয়েছে। আব্দুল্লাহ মজুমদার ভাইয়ের অনূদিত এ বইটি আমার পড়া সেই হাতে গোনা কয়েকটির মধ্যে একটি, যা পড়ে আমি অন্তরের ঈমানের স্বাদ পেয়েছি, মিন্ট ফ্লেভারের। মনে হয়েছে, হৃৎপিণ্ড কেউ মেনথল দিয়ে ধুয়ে দিয়েছে। যদিও মূল বিষয়বস্তু একজন মুমিন ও একজন সংশয়ীর কথোপকথন, কিন্তু সংশয়ীর খোরাকের চেয়ে ঈমানওয়ালাদের খোরাক এই বইয়ে বেশি। অবশ্য সংশয়ী যদি তার্কিক না হয়ে ভাবুক হন, তবে এ বই তাকে হয়তো শুরু থেকে আরেকবার ভাবাবে। কিছু বই একবার পড়ে ফেলে রাখতে নেই, বার বার পড়তে হয়।এই বইটি আমাদের সপ্তাহে একবার করে পড়া উচিত বলে মনে হয়েছে। সেই সাথে প্রতিদিন কিছু সময় বইয়ের কথাগুলো আরেকজনের কাছে আওড়ানো দরকার, যাতে কথাগুলো একেবারে ভেতরে বসে যায়, সত্তার সাথে মিশে যায়। তাওহীদ আর রিসালাতের সত্যায়ন এবং আমার সত্তা যেন একাকার হয়ে যায়, আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন বলে তাওহীদ ও রিসালাত সত্য। তাহলে বের হবার কালেও নিঃশ্বাস কালিমার সত্যায়ন ছাড়া ভিন্ন কিছু বলার সুযোগই পাবে না। এজন্য এই বইটি নিয়মিত পড়া এবং এখানে আল্লাহর সিফাত ও রিসালাতের সত্যতা যেভাবে খুলে খুলে বিস্তারিত উঠে এসেছে, সেভাবে আরেক মুসলিম ভাইয়ের সাথে জবান নাড়িয়ে আলোচনা আমি নিজেও করব, ইন শা আল্লাহ, আপনাদেরও করার আহবান।ড. হুসামউদ্দীন হামিদ রচিত ‘বিশ্বাসের জয়’ বইটি নিয়ে ডা. শামসুল আরেফীনের অভিমত। ইতোপূর্বে বইটি ‘মেঘ কেটে যায়’ নামে সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। বিশেষ কারণে বইটির প্রচ্ছদ ও নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
Tk 147
Tk 245আকিদাতুত ত্বাহাবি
আকিদা হলো এক বৃক্ষের মতো, আর আমলগুলো তার ডালপালা। বৃক্ষ ছাড়া যেমন ডালের অস্তিত্ব কল্পনাতীত, ঠিক তেমনি আকিদাবিহীন আমলও পুরোপুরি মূল্যহীন।যদি দেখেন মৃত্যুর পর আপনার কোনো আমলই আর কাজে আসছে না, তখন কেমন লাগবে আপনার? হ্যাঁ, ভ্রান্ত আকিদা আমাদের সব আমল নিঃশেষ করে দেয়।আমল তখনই কবুল হবে, যখন আকিদা হবে বিশুদ্ধ। আর বিশুদ্ধ আকিদা গড়ে তুলতে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে আজই পড়ে ফেলুন চমৎকার এ বইটি।আকিদার দুটি অংশ, মৌলিক ও শাখা-প্রশাখা। শাখাগত অংশে মতপার্থক্য থাকলেও মৌলিক অংশে কারো কোনো দ্বিমত নেই। এ বইটি আকিদার সেই মৌলিক অংশ নিয়েই রচিত।
-
Tk 145
ভয়াল রাতের হাতছানি
একটা ঝিঁঝিঁ পোকা একটানা ডেকে চলেছে তার বিরক্তিকর সুরে। রাতটাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুললো রাতজাগা একটা পেঁচার কর্কশ ডাক। গাছের পাতা নড়ছে না একবিন্দু। গুমোট বাঁধা একটা থমথমে পরিবেশ। কোনো কিছুর জন্য বুঝি প্রস্তুতি চলছে। ‘আ……য়…! ‘আ……য়…!!’ চমকে উঠলো ও। কে ডাকে অমন করে? নাকি মনের ভুল? কান পেতে রইলো। ‘আ……য়…! ‘আ……য়…!!’ আবার শোনা গেল গম্ভীর সেই আহ্বান। উঠে দাঁড়াল। কী এক আকর্ষণ আছে যেন ওই আহ্বানে! ভয়াল রাত যেন ওকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এগিয়ে চললো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শব্দের উৎস লক্ষ্য করে…
-
Tk 144
Tk 192সবর ও শোকর
পরীক্ষা ঈমানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই পরীক্ষায় মুমিন উত্তীর্ণ হয় সবর ও শোকরের দ্বারা। যত রব্বানি আলিম আবেদগণ ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন, তাদের সবার প্রধান আমল ছিল সবর ও শোকর। সবর ও শোকর হচ্ছ লিফটের মতো, যে লিফটে দাঁড়িয়ে বান্দা দাসত্বের চূড়ায় পৌঁছে যায়। কিন্তু বর্তমানে এই দুটো আমল যেন একদম অপরিচিত হয়ে গেছে! মানুষ এখন সবর বলতে কেবল বোঝে বিপদের সময় ধৈর্য ধরা, এবং শোকর বলতে বোঝে প্রিয় কিছু পেলে ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ উচ্চারণ করা! . ফলশ্রুতিতে সবরের অভাবে ব্যক্তি হারাচ্ছে ঈমানী শক্তি, শোকরের অভাবে হারাচ্ছে প্রাপ্ত নিয়ামতরাজি। অথচ সবর ও শোকর মুমিনের প্রধান ঢাল হবার কথা ছিল! এদুটোই তার মোটিভেশনের মূল উৎস হবার কথা ছিল। এখন মুসলিম ঘরের সন্তানরা দ্বারস্থ হচ্ছে কাফের মুশরিকদের মোটিভেশনাল লেকচারের দিকে; তাদের রচিত গ্রন্থ থেকে শিখছে, কীভাবে জীবনের সকল নেতিবাচক মুহূর্তে নিজেকে সজীব রাখা যায়। সবর ও শোকরের সবক নিচ্ছে তাদের থেকে! . অনেক দেড়ি হলেও সবর ও শোকরের ওপর একটি বিখ্যাত গ্রন্থ অনুবাদ হয়ে আসার পথে। ইবনুল-কায়্যিম রহ. এর রচিত উদ্দাতুছ-ছবিরীন এর সংক্ষিপ্তসার। ইবনুল-কায়্যিম রহ.- আত্মশুদ্ধি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ইলমের রশ্মি তাঁর গ্রন্থ থেকে এত তীব্রভাবে প্রতিফলিত হয় যে, পাঠক মন বিমোহিত করে দেয়। সবর শোকরের বাস্তবতা কী, কীভাবে সবর করতে হয়, কীভাবে শোকর আদায় করতে হয়, কীভাবে এই দুটোর আমলের দ্বারা বান্দা তার দ্বীনদারির চূড়ায় পৌঁছে যায়, সেই দিশা মিলবে এই গ্রন্থে।
-
Tk 144
Tk 192প্রদীপ্ত কুটির
মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল না। এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন, তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিল। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরও যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়। সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি ‘প্রদীপ্ত কুটির’।
-
Tk 144
Tk 192ঈমান ধ্বংসের কারণ
ইসলামের বিশ্বাস ও চেতনা নিয়ে আজকাল সর্বমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ পরিস্থিতিতে একজন সাধারণ মুসলিমের পক্ষে তার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও আস্থাশীল থাকা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে এমন অনেকেই আজকাল জানে না, কোন বিশ্বাসটি তার মুসলিম-পরিচয়ের সাথে সাংঘর্ষিক। নিজেকে মুসলিম জাতিসত্তার একজন সদস্য বলে পরিচয় দিতে হলে কী কী বিশ্বাস লালন করতে হয় এবং কী কী বিশ্বাস বর্জন করতে হয়, অধিকাংশ মুসলিমই তা সম্পর্কে বেখবর। সেই উপলব্ধি থেকেই আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। বক্ষমান গ্রন্থটি আরব-বিশ্বের তাওহীদবাদী আন্দোলনের পুরোধা ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব রহিমাহুল্লাহ কর্তৃক রচিত ‘নাওয়াকিদুল ইসলাম’ গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যাকার শাইখ আবদুল আযীয ইবনু মারযুক তারীফি আরব-বিশ্বে একজন তাওহীদবাদী আলিম হিসেবে প্রসিদ্ধ। এই গ্রন্থে তিনি ঈমান বিনষ্টকারী দশটি বিষয় নিয়ে বাস্তবমুখী তথ্যনির্ভর আলোচনা করেছেন। একজন মুসলিমের জন্য এ বিষয়গুলো আত্মস্থ করা অত্যন্ত জরুরি। নতুবা যে-কোনো পন্থায় তার ঈমান হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
-
Tk 143
Tk 190বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা
মুসলিম হিসেবে আমাদের সাময়িক পতনের সময়কাল দিন যত যাচ্ছে ততো দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হলো অতীত গৌরবোজ্জল ইতিহাসের কোলে আশ্রয় নিয়ে আত্মতৃপ্তি অনুভব। যা উম্মাহ হিসেবে আমাদের জন্য কখনোই কাম্য নয়। মুসলিম হিসবে আমাদের কর্তব্য হলো, মানবতার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলা। পূর্ববর্তীদের কাজের অভিজ্ঞতা বর্তমানের প্রয়োজনীয়তা আর ভবিষ্যৎ চাহিদার আলোকে নিজেদের বয়ান তৈরি করে আপতিত পতনকালের অমানিশা কাটিয়ে খুব শীঘ্রই মানবতাকে আলোর মুখ দেখানো। মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আমরা বাধ্য। এ দায়িত্ববোধ থেকে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদের করণীয় নির্ধারণে প্রফেসর ড. মেহমেদ গরমেজের বিভিন্ন সময়ে দেয়া ছয়টি বক্তৃতার অনুবাদ নিয়ে প্রকাশ হলো বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম, উম্মাহ এবং সভ্যতা নামক বই। পাঠকবৃন্দ, ইতিপূর্বেই মক্তব প্রকাশন প্রকাশিত ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা বইটির মাধ্যমে প্রফেসর মেহমেদ গরমেজের চিন্তার সাথে পরিচিত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মক্তব প্রকাশন থেকে পাঠক সমীপে উপস্থাপন করছি তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ- বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম, উম্মাহ এবং সভ্যতা। লেখক বিশ্বায়নের প্রভাব ও প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় আলোচনা করেছেন চমৎকারভাবে। বইটির মূল প্রতিপাদ্য বিশ্বায়নের প্রভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের কাজের ক্ষেত্রগুলো কেমন হওয়া উচিত। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রত্যেক ব্যক্তিই মোকাবেলা করছেন এর চ্যালেঞ্জ। তাই বিদগ্ধ পাঠক সমাজে আমাদের চিন্তা উপস্থাপন করছি, যা পাঠক মনে ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
-
Tk 140
Tk 200কাতারে বহতা সময়
মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী ও সম্ভাবনাময় দেশ কাতার। দীর্ঘদিন ধরে এই দেশে বাস করছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। পেশায় তিনি একজন প্রকৌশলী। পাশাপাশি তিনি একাধারে একজন গীতিকার, শিল্পী ও লেখক। কাতারের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে পরিচিতমুখ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রবাস ও প্রবাসীদের নানা বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করে আসছেন। তাঁর বেশকিছু লেখা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও ব্লগে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। কাতারে প্রবাসজীবনের নানা সুখ-দুঃখ দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল্লাহ আল মামুন আপন মনে লিখে চলেছেন। নিজের মতাে করে তিনি কাতারের জীবনাচার থেকে শুরু করে স্থানীয় নাগরিকদের সামাজিক জীবন এবং অভিবাসীদের থেকে বহুমুখী অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং সেসব কালি ও কলমে সুখপাঠ্য করে তুলে ধরেছেন। কাতার ও কাতারে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বৈচিত্রময় প্রবাসজীবনের নানা দিক সম্পর্কে বেশ কিছু লেখা নিয়ে এই বই। যে কোনাে পাঠক তাে বটেই, বিশেষ করে যে কোনও প্রবাসী বাংলাদেশির কাছে বইটি ভালাে লাগবে। আর কাতার ও মধ্যপ্রাচ্যবাসী প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই বইয়ে যেন নিজেদেরই খুঁজে পাবেন ভিন্ন আঙ্গিকে।
-
Tk 140
Tk 200ইতিহাসের জানালা
অতীত সবসময়ই শিক্ষাদাত্র্রী। যদিও অনেকেই বলে থাকেন ইতিহাস এটাই শিক্ষা দয়ে যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আমরা সর্বদা আশাবাদী ইনসান। হতাশাবাদীদের শ্লেষা নিয়ে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারি না। যদিও আমরা শিক্ষাহীন দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ি প্রায়ই। তবু আমাদের কাছে অতীত যেমন, তেমনি বর্তমানও সামনে এসে শিক্ষয়ত্রী হিসেবে বাহুডোর প্রসারিত করে দাঁড়ায়। ইতিহাস থেকেই তো তুলে নিতে হয় বর্তমান পৃথিবীর সফলতার পদছাপ। ইতিহাসের আবেদন তাই আমাদের ধর্মীয় এবং জাতীয় জীবনে অবশ্যম্ভাবী। এ গ্রন্থ ছোট ছোট করে অনেক ইতিহাসের স্মরণ দিয়েছে। নিকট অতীত, সুদূর অতীত, প্রাগৈতিহাসিককাল- ইতিহাসের নানাস্তরে ব্যাক্তি, ঘটনা, স্থান, যুদ্ধ, বিজয়, বেদনা জায়গা করে নিয়েছে গ্রন্থের সাদা পাতায়। কেবল জ্ঞান নয়, এই গ্রন্থ ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে মানুষের মাঝে মানুষের ইনসানিয়্যাত। ইতিহাসপাঠে বাঙালিসমাজে অনীহা যেমন আছে, তেমনি ইতিহাসসন্ধানী অনুসন্ধিৎসু পাঠকেরও কমতি নেই। বইয়ের বাজারে নজর দিলে এর সত্যতা নজরে আসে খুব স্বাভাবিকভাবেই। আমরা তাই আশাবাদের কথা বলতে চাই, শোনাতে চাই, জানাতে চাই সবাইকে। এ গ্রন্থ আশাবাদেরই এক নির্ঘুম দলিল। গ্রন্থে যুত্থবদ্ধ এসব ইতিহাসের অধিকাংশ এর আগে সাপ্তাহিক লিখনীতে ধারাবাহিকভাবে ‘অতীতের জানালা’ নামে প্রকাশ হয়েছে। পাঠকের পাঠ সুবিধার্থে সেসব ইতিহাসে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে যৌক্তিক কারণেই। কেননা পত্রিকার পাতার ফিচার আর বইয়ের পাতার পঠন এক জিনিস নয়। কিছুটা ইতিহাস নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে বইটিকে সামগ্রিকতার বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য করতে। ইতিহাস তালাশের এই সফরে দুজন সুহৃদ আমাকে অকারণে সাহায্য করেছে। সাদ রহমান এবং তানজিল আমির- আমার প্রিয় দুই প্রতিভালক্ষী তরুণ। তাদের রচিত কিছু ইতিহাস এখানে সংযোজতও হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হোক, সে আশাবাদ আজীবনের
-
Tk 140
উমর (রা.)-এর ঢাকা সফর
চারদিকে অন্ধকার অমানিশা। বিপন্ন মানবতার অন্তিম রোদনে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে আসছে। নৈরাজ্য, লুটতরাজ, ক্ষুধা, মৃত্যু আর বৈষম্যের অকূলপাথারে ডুবে রয়েছে সমগ্র জনপদ। কূলে ফেরার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় বিপদগ্রস্ত শত শত বনি আদম। কেমন হতো, যদি এহেন ঘনঘোর সংকটে অকস্মাৎ হাজির হতেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক আমিরুল মুমিনিন উমর বিন খাত্তাব (রা.)?
-
Tk 140
বিশ্ব মাঝে শীর্ষ হব
নিজেকে সফল করা কোনো ছোট্ট কাজ নয়। ওমর খৈয়ামের ভাষায়— ‘ধূসর মরুর ঊষর বুকে/বিশাল যদি শহর গড়ো, একটি জীবন সফল করা/তার চাইতে অনেক বড়ো।’ কী দুর্ভাগ্য! বস্তুগত উন্নতি নিয়ে মানুষের কতশত গবেষণা; গ্রহ- গ্রহান্তরে অভিযান। শুধু নিজের ব্যাপারেই সে উদাসীন! ১৯৪১ সালে ডেল কার্নেগি দুশ্চিন্তাহীন নতুন জীবন বইটি লিখতে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিউইয়র্কের পাবলিক লাইব্রেরির সাহায্য নেন। সেখানে তিনি মানুষের জীবন সম্পর্কিত মাত্র ২২টি বইয়ের সন্ধান পেলেও কৃমিসংক্রান্ত বই দেখতে পান ১৮৯টি। অর্থাৎ, ৯ গুণ বেশি। এ অবস্থার আজকেও কি কোনো বড়ো পরিবর্তন হয়েছে? যোগ্য মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে বইটিতে তরুণদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় পাথেয়। একই সাথে বইটির সাবলীল পাঠের মাধ্যমে তরুণরা খুঁজে পাবে জীবনের প্রকৃত অর্থ!
-
Tk 140
মুমিন জীবনে সময়
যা এইমাত্র অতীত হলো, সেটাই সময়। এখন যে মুহূর্ত অতিক্রম করছি, সেটাই সময়। কিছুক্ষণ পরে যেখানে প্রবেশ করব, সেটাই সময়। সময় নামের অক্টোপাস থেকে কে, কখন, কবে মুক্তি পেয়েছে বলুন? সফল তিনি, যিনি এই সময়কে ঠিকঠাক উপলব্ধি করতে পারেন। বিশেষত মুমিন জীবনে সময় মানেই নিজের মুক্তি ও পুরস্কার নিশ্চিত করে নেওয়ার মওকা! সময় নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির বোঝাপড়া তাই অতীব জরুরি আলাপ। প্রত্যেক মানুষ দুনিয়াতে আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। আর সফল তারাই যারা এই সময়কে মূল্য দিয়েছে। মুমিনের জীবনের সময়ের গুরুত্ব আরও ব্যাপক ও অর্থবহ। কারণ, দুনিয়ার জীবনের নির্দিষ্ট ও স্বল্প সময়ের উপরই নির্ভর করছে, পরবর্তি অনন্তকালের জীবনের পরিণতি। অনন্তকালের জীবনে চির সুখের জান্নাত পেতে হলে একজন মুমিনের জীবনে সময় কতটা গুরুত্ব বহণ করে, সেই আলাপ খুঁজে নেবো এই গ্রন্থে।
-
Tk 138
Tk 186নূরের মজলিস
হৃদয়ের অন্ধত্ব কাটিয়ে প্রবৃত্তির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকার নানা উপায় ও উপদেশমালা যদি উঠে আসে কারও অল্পকিছু কথায়, তবে নিশ্চয়ই তা হবে আমাদের আত্মার খোরাক। যা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে আল্লাহর স্মরণে। প্রেরণা যোগাবে উগ্রতাকে ছুড়ে ফেলে, দ্বীনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে, ঈমানী আত্মমর্যাবোধ নিয়ে বেঁচে থাকার কিংবা মরেও অমর হওয়ার। নূরের বিচ্ছুরণে মুমিনের হৃদয়কে আলোকিত করতে এমনই কিছু আলোকময় কথামালা উঠে এসেছে এই বইটিতে। বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত আলিম, দায়ি ও মুজাহিদ শাইখ ড. আবদুল্লাহ আযযাম রচিত বইপত্র এবং বিভিন্ন লেকচার ও দারসের সঙ্কলন থেকে সংকলিত অমূল্য কিছু উপদেশমালার মলাটবদ্ধ রূপ হচ্ছে—‘নূরের মজলিস’।
-
Tk 138
Tk 186ফাজায়েলে কুরআন
একটা সময় মানুষ তথ্য ও তত্ত্বের থেকে কেবল ফজিলত সংক্রান্ত গ্রন্থই বেশি পছন্দ করতো। জ্ঞান-সচেতনতার কারণে পাঠ্য বিষয় নির্বাচনে মানুষের সে-পছন্দে পরিবর্তন এলেও, একজন মুমিনের জীবনে ফজিলত জানার গুরুত্ব থেকেই যায়। এই দুইয়ের এক নিদারুণ ও ভারসাম্যপূর্ণ একাত্ম অবস্থা আমরা খুঁজে পাই ইমাম নাসায়ী রহিমাহুল্লাহ’র এই গ্রন্থটিতে। ছোট্ট এ-গ্রন্থে সংকলিত ১২৬টি হাদিসে একদিকে যেমন কুরআন ও তার বিভিন্ন অংশের ফজিলত-সংক্রান্ত আলোচনা আছে, তেমনই সন্নিবেশ হয়েছে কুরআন নাজিলের শুরু থেকে শেষ হয়ে সংকলন পর্যন্ত নানা তথ্যবহুল হাদিস। আল্লাহর কালাম কুরআনুল কারীম সম্পর্কে বহুমাত্রিক বিষয় জানার জন্য এটি তলিবুল ইলমদের জন্য খুবই উপযোগী একটি গ্রন্থ। আর কুরআনের ফজিলত সংক্রান্ত বিষয়গুলো তো কেবল তালিবুল ইলমদের জন্যই নয়, বরং সকল মুসলিমেরই জানা উচিত। তাই কুরআন সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণালাভের জন্য এটি তলিবুল ইলব বা সাধারণ পাঠক সকলের জন্যই একটি চমৎকার বই হবে বলে আমরা আশাবাদী।
-
Tk 138
Tk 184রঞ্জ মামার টেলিস্কোপ
কিশোর-কিশোরীদের ভাবনার জগৎটা বিচিত্রময়। বিভিন্ন সময়ে তারা নানান স্বপ্নে বিভোর থাকে। আর তাতেই ডুবে থাকে সারাক্ষণ। তাই শুরুতেই যদি তাদের স্বপ্নগুলোকে ইসলামের সৌন্দর্যের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, তাদের কাছে তা আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তাহলে সারাজীবন তারা সুবাস ছড়াতে থাকবে। যেখানেই থাকুক, যে কাজেই থাকুক, আলোকিত করবে নিজেদের চারপাশ। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে ইসলামের শুভ্রতা ও সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আলী আবদুল্লাহ নিয়ে এসেছেন তার নতুন কিশোর উপন্যাস রঞ্জু মামার টেলিস্কোপ। লেখক এখানে চমৎকারভাবে গল্পাকারে সাজিয়েছেন ইদরীস n-এর কথা, হূদ n ও কওমে আদের কথা এবং সালিহ n, তাঁর উটনী ও কওমে সামূদের কথা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই বইটি কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ মানসিকতায় ও বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনায় বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং তাদের পরিচিত করাবে নবিদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে।
-
Tk 136
Tk 200আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান
রাসুল (সাঃ) এর সময় থেকেই অনেক মানুষ কুরআনকে আল্লাহর বাণী হিসেবে গ্রহণ করেন না। তাঁরা মনে করেন কুরআন রাসুল (সাঃ) এর রচিত গ্রন্থ। অথচ কুরআনের মধ্যেই প্রমাণ রয়েছে যে, এমন গ্রন্থ রচনা করা মানব বা জ্বিন কারো পক্ষেই ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্টিকভাবে সম্ভব নয়। কুরআনে গাণিতিক যুক্তির উপস্থিতিই এর সর্বসাম্প্রতিক প্রমাণ। এই বইয়ের গ্রন্থকার ‘আহমেদ দিদাত’ কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং শব্দ বিশ্লেষণ করে কুরআনের অভ্যন্তরে ১৯ তথা গণিতের এক বিস্ময়কর উপস্থিতি প্রকাশ করে প্রমাণ করেছেন যে কুরআন এক রহস্যময় সৃষ্টি। বইটি পড়ে পাঠক উপলব্দি করবেন যে, কুরআন কোন সাধারন গ্রন্থ নয় এটি গানিতিক রহস্যময় এক অলৌকিক গ্রন্থ।