-
Tk 218
Tk 335অ্যা লেটার টু অ্যাথিইস্ট
সমাজ বিজ্ঞানের মোড়কে ‘বস্তুবাদ’ গিলতে গিলতে, জীব বিজ্ঞানের মোড়কে ‘বিবর্তনবাদ’ লজেন্স চুষতে চুষতে হতাশার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকি ‘মার্ক্সবাদ’ কিংবা ‘লেলিনবাদ’-ই তাহলে একমাত্র আশা। এই সুযোগে ডেভিড হিউম এসে কানে কানে বলে যায়, ‘আরে ধুর! স্রষ্টা কী, আর ধর্মই বা কী? বাদ দাও তো বাপু! এসবের ভিত্তি আছে নাকি? এসো তোমাকে সত্যের পথ দেখাচ্ছি।’ ব্যাস, আমরাও চোখ বন্ধ করে আরাদ্ধ পথ হাতড়ে বেড়াই। এই হলো জাহেলিয়াতের রূপ। রূপ দেখলেও তার স্বরুপ দেখেছেন কখনও? সময় করে একটু ঘুরে আসুন মুহাম্মাদ আসাদের ‘ইসলাম এ্যাট দ্যা ক্রস রোডস’, স্যামুয়েল পি হান্টিংটনের ‘দ্যা ক্লাশ অব সিভিলাইজেশন’ কিংবা প্যাট্রিক গ্লাইনের ‘গড় দ্য এভিডিয়েন্স’-এ। আপনি এসবে দেখবেন ঈশ্বরের নামে বানানো মানুষের তৈরি মূর্তি আর ধর্মগ্রন্থের নামে বানানো মানুষের নানান মিথলোজির সাথে বিজ্ঞানের তুমুল ঝগড়াতে নাস্তিক্যবাদের জন্ম হয়েছে। সে ঝগড়ায় ইসলাম ছিল অনুপস্থিত। কিন্তু হাল জামানার নাস্তিকতা মানেই ইসলাম বিরোধীতা। কারন, নাস্তিক্যবাদের মূলে কুঠারাঘাত করেছে আল ইসলাম। তারা আপনাকে জোর করে বুঝাতে চায়, মানুষের বানানো মূর্তির মতো আল্লাহ্ তায়ালাও একজন ভিত্তিহীন কল্পিত স্রষ্টা, মিথ-পুরাণের মতো কুরআনও মানুষের লিখা মিথ; যেখানে অনেক ভুল। সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে মুহাম্মাদ নামের এক আরবের মনগড়া মতবাদ ইসলাম আজকের দুনিয়ায় বড্ড সেকেলে, অচল জীবন দর্শন। সত্যই কি তাই? না, কক্ষনো না। চলুন একবার ঘুরে আসি স্রষ্টা, কুরআন, ইসলাম আর নাস্তিক্যবাদের সংঘাত জগতে।
-
Tk 220
দি ইটার্নাল চ্যালেঞ্জ
এই বইটি একটি খোলা জানালা। কেউ নির্বিঘ্নে, নিষ্কলুষ মন নিয়ে বইটি পড়তে বসলে মানব-ভ্রুণের অসাধারণত্বের আলাপ খুঁজে পেয়ে পুলকিত হবেন। ইতিহাসের নিশ্ছিদ্র পাঠ পেয়ে চমকে যাবেন। স্রষ্টার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। কুরআনকে ভাষাতত্ত্ব, কিরাত, সিরাত, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি ও সমাজনীতির চোখ দিয়ে দেখে অনুসন্ধানী গবেষকের মনকে পরিতৃপ্ত করতে পারবেন। আবেগের গভীরে প্রচণ্ড নাড়া দিয়ে এক মহাপ্রতাবশালী কিতাব এবং তাঁর স্রষ্টার ব্যাপারে জ্ঞানতৃষ্ণা জাগিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার নাম ‘দি ইটার্নাল চ্যালেঞ্জ’।
-
Tk 220
মুসলিম প্যারেন্টিং
প্রযুক্তির এই যুগে সন্তানদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা নিতান্তই চ্যালেঞ্জের বিষয়। আকাশ-সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় ভালো-মন্দ উভয় ধরনের উপাদানই সন্তানদের হাতের নাগালে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদের দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লড়াইটাও অনেক কঠিন। চারপাশে থাবা বিছিয়ে আছে নৈতিকতাবর্জিত সামাজিক কদাচার। এমন বহুবিধ সংকটের ভেতর থেকেই শিশুমনকে পবিত্রতার চাদরে আবৃত রেখে তাদের গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। তাই আধুনিক যুগে প্যারেন্টিং স্কিল আর বিলাসী বিষয় নয়; বরং জরুরি প্রয়োজন। সে প্রয়োজন পূরণের একটি উত্তম সমাধান হতে পারে ‘মুসলিম প্যারেন্টিং’ নামক এই গ্রন্থটি।
-
Tk 220
সেকুলারিজম প্রশ্ন
এ বইটি বাংলাদেশের সেকুলারিজমের একটি পুনর্পাঠ। সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে অতীতের বিতর্কিত প্রশ্নসমূহের একটি পুনর্মূল্যায়নের চেষ্টা এখানে যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশের জাতিসত্তাগত বিভাজনের উৎসকেও বোঝাপড়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সেকুলারিজমকে নতুন আলোয় পাঠ করার জন্য আশা করা যায় এটি একটি জরুরি গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে।
-
Tk 220
আল কুরআনের গাণিতিক মুজিজা
জীবন পরিচালনার পূর্ণাঙ্গ পথনির্দেশনা হিসেবে আল্লাহ তায়ালা নাজিল করেছেন পবিত্র আল কুরআন। হাজারো বিস্ময়ের ছাপ রয়েছে এ গ্রন্থের পরতে পরতে । এমনই এক মুজিজার নাম সংখ্যাতত্ব। পবিত্র কুরআনের সূরা,আয়াত,শব্দ,হরফের বিশেষ বিন্যাস ও অবস্থানের মধ্যে রয়েছে নিগূঢ় রহস্য। এমনকি বিশেষ বিশেষ শব্দের নির্দিষ্টসংখ্যক উপস্থিতিও একজন কুরআনের বিস্ময়কর এই গাণিতিক মুজিজাগুলোকে চমৎকার করে ফুটিয়ে তোলা হয়েয়ে আল কুআনের গাণিতিক মুজিজা বইটিতে। বইটি পাঠের মাধ্যমে পাঠকবৃন্দ পবিত্র কুরআনকে নতুনভাবে চিনতে পারবেন,ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 222
Tk 300সাহসের মন্ত্র
জ্ঞান, বিবেক আর ইচ্ছার স্বাধীনতাই মানবতার মৌল উপাদান। এসবের সঠিক মাত্রায় বিকাশ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান নির্ণয়ে ব্যর্থতাই মানুষকে পশুত্বের দিকে ঠেলে দেয়। মানুষ ভালো-মন্দের এক চিরন্তন দ্বন্দ্বের ভেতর বেঁচে থাকে। সমাজ-সভ্যতার এই দ্বান্দ্বিক দোলাচলে টিকে থাকার জন্য চাই সঠিক মাত্রার সাহস, হিম্মত, বুদ্ধি, কৌশল আর ঐকান্তিকতা। বিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত; যা কিনা সেক্যুলারিজম হিসেবে সমধিক পরিচিত। এর প্রবল গ্রাসে মানুষ ক্রমশ অর্থনৈতিক দাসত্ব, রাজনৈতিক পীড়ন আর সাংস্কৃতিক গোলামির নিগড়ে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। সারা বিশ্বে আজ সেই শেকল ছেঁড়ার আহবান, মানবমুক্তির চূড়ান্ত লড়াই অনিবার্য। এ লড়াই যত না শরীরিক, তার চেয়ে বহুগুণ মেধা, মনন, চিন্তা ও চেতনার। এ লড়াই ক্রমাগত মনুষ্যত্বকে পরাজিত, পর্যদুস্ত ও হলাহলে আসক্ত করে ফেলেছে। মানুষ যেন পশুত্বের কাছে হেরে দীর্ঘ দিনে গড়ে তোলা তারই সভ্যতা, সমাজ ও সংস্কৃতির কবর রচনায় ব্যস্ত। মুক্তির তীব্র তাগিদে সাড়া দিয়ে যারা লড়াই করতে চায়, তাদের দরকার কিছু সাহসের মন্ত্র। লেখক, গীতিকার, সমাজচিন্তক ও সংগঠক আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ এসব মন্ত্র দিতে তুলে এনেছেন অতি প্রয়োজনীয় যুক্তি, তর্ক ও বোধের কথামালা। সাহসের মন্ত্র হোক মুক্তির নতুন সোপান।
-
Tk 222
Tk 300দ্য কেয়ারিং ওয়াইফ
বর্তমান সমাজে পারিবারিক কাঠামো যেন দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেন ঠিক ভাল যাচ্ছেনা, কেউ কাউকে বিশ্বাস করছেনা। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য হারিয়ে যাচ্ছে, বরকত কমে যাচ্ছে। ডিভোর্সের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন গড়ে ৩৯ জনের ডিভোর্স হচ্ছে। বাড়ছে বিভিন্নরকম অসামাজিক কাজকর্ম ও অশ্লীলতা। আর শুধু এইসব সমস্যার সমাধানই নয়, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনকে আরও সুন্দর ও আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে আশাকরি ‘দ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড’ এবং ‘দ্য কেয়ারিং ওয়াইফ’ নামক বই দুটি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 222
Tk 300IS HE THE MESSENGER?
একজন অন্ধ ব্যক্তি যেমন দিনের আকাশে জাজ্বক্যমান সূর্যটাও দেখতে পায় না, তেমনই কিছু মানুষের অন্তর্দৃষ্টি এমনই অন্ধ যে—তারা সূর্যের অস্তিত্বের থেকেও সত্য, উজ্বলতার থেকে স্পষ্ট, সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর নবুওয়াতের সত্যতা উপলব্ধি করতে পারে না। কেউ-বা নামে মাত্র বিশ্বাস রাখলেও সুদৃঢ় নয় সে-বিশ্বাসে; কিংবা দোদুল্যমান সংশয়ে। সেই সংশয় দূর করে, অন্ধচোখে নবুওয়াতের সত্যতার আলো তুলে ধরতে সত্য-সন্ধানী লেখক মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর রচনা করেছিলেন ‘কে উনি’ বইটি। বাংলা ভাষায় বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর, ইংরেজি ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য নিয়ে এসেছেন বইটির ইংরেজি অনুবাদ ‘Is He The Messenger?’। মূলত ইন্টারন্যাশনাল পাঠকদের জন্য বইটির জন্ম হলেও, বাংলাদেশেও রয়েছে এখন অনেক ইংরেজি-সাহিত্য পড়ুয়া পাঠক। যাদের অনেকে আবার ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার কারণে, তেমন পারদর্শীও নয় বাংলা ভাষায়। এ-সকল পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই বইটি প্রকাশ করেছে পেনফিল্ড পাবলিকেশন। এক বাক্যে বইটির আলোচ্য বিষয় তুলে ধরতে, লেখকের ভাষ্যে—‘নবীর উপরে ঈমান আনতে সাহায্য করার জন্যই ‘Is He The Messenger?’ বইটির জন্ম।
-
Tk 225
Tk 300শিশুমনে ঈমানের পরিচর্যা
ঈমানের উপমা কুরআনে এসেছে চারাগাছের সাথে। শিশুর ফিতরাত হচ্ছে উর্বর জমি, যেখানে মহীরুহ হয়ে উঠবে এই চারাগাছ। এই উর্বর জমি আজ চাষির উদাসীনতায় আগাছায় সয়লাব হয়ে আছে। আমাদের গাফলতির কারণে প্রতিটি প্রজন্ম দূরে সরে যাচ্ছে ইসলাম থেকে। যেসব বাবা-মা তুলনা মূলক সচেতন, তারাও সন্তানকে নীতি-নৈতিকতা শেখানোর জন্যে প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার বয়স হবার আগেই তো শিশুর মনে জমে যাচ্ছে আগাছা। ‘শিশুমনে ঈমানের পরিচর্যা’ বইটি ঈমান-লতার গোড়ায় ‘সার-সেচ’ দিয়ে আগাছা ছাড়ানোর কাজ করবে । আল্লাহ, ফেরেশতা, কিতাব, নবি-রাসূল, তাকদীর, আখিরাত, বিচার-দিবস ইত্যাকার ঈমানের খুঁটিগুলোর সাথে কীভাবে আপনার সন্তানকে কানেক্ট করাবেন সেই ব্যাপারটা বেশ প্রাণবন্তভাবে ফুটে উঠেছে বইটিতে। নামেমাত্র ‘মুসলিম’ নয়, বরং ‘মুমিন’ হিসেবে গড়ে ওঠার দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এতে। ইসলামই হোক আমাদের পারিবারিক সফটওয়্যার। চলুন, আজ থেকে দুনিয়া দেখব আমি ও আমার সন্তান ইসলামের দৃষ্টিতে…
-
Tk 225
Tk 300হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ
“হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ : শেষ সিপাহির রক্ত” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: পৃথিবীর ইতিহাসের স্মরণযােগ্য শাসকদের কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ আসসাকাফির নাম অনায়েসে সামনে চলে আসে। একসাথে ভালাে এবং মন্দ-দুই ময়দানেই তার মতাে প্রশ্নসিদ্ধ। ব্যক্তিত্ব দ্বিতীয় কাউকে হয়তাে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি ছিলেন উমাইয়া রাজবংশের বিখ্যাত শাসক। শুধু শাসকই নন, বলা যায় অন্যতম রক্ষাকর্তা। তার হাতেই উমাইয়াদের শাসন স্থিতি লাভ করে। হেজাজ ও ইরাকের ‘বিদ্রোহীদের তিনি পরাজিত করেন কঠোরহস্তে। পুরষ্কার হিসেবে খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান তাকে হেজাজ, ইয়েমেন ও ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত করেন। উমাইয়াদের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে খুব কঠোর ছিলেন হাজ্জাজ। দীর্ঘ শাসক-জীবনে প্রায় এক লক্ষের বেশি মানুষ তার হাতে নিহত হয়। এদের মধ্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবিদের কয়েকজনও ছিলেন। অতি কঠোরতা ও মহান সাহাবিদের প্রাণ হরণ হাজ্জাজকে কলংকিত করে রেখেছে ইতিহাসে। এতে তার ভালাে কাজগুলাে ঢাকা পড়ে গেছে। কিন্তু তার ফিরিস্তিও অনেক লম্বা। উমাইয়া খেলাফতের সূচনাকালের গল্প বলার পাশাপাশি লেবাননী লেখক জুরজি যায়দান এখানে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের চরিত্রের কিছু ঝলক দেখিয়েছেন পাঠককে। হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফকে কেন্দ্র করে এ উপন্যাস নয়। উপন্যাসে পাঠক তার উপস্থিতি টের পাবেন সামান্য মাত্র। কিন্তু পুরাে উপন্যাস নির্মাণ হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই। এ উপন্যাসটি মূলত লেখকের ঐতিহাসিক সিরিজ উপন্যাসগুলাের একটি। উমাইয়া খেলাফতের উত্থান এবং আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইরের সাথে উমাইয়াদের লড়াই এই বইয়ের মূল পটভূমি। গল্পের স্বার্থে লেখক আরও কিছু ঐতিহাসিক ও কল্পিত চরিত্রকে এখানে স্থান দিয়েছেন। সেই চরিত্ররাই উপন্যাসের মূল অনুঘটক।
-
Tk 225
Tk 300জীবন ও সংগ্রাম
মুফতী আমিনী রহ.-কে নিয়ে প্রকাশিত একমাত্র পরিপূর্ণ গ্রন্থ। লিখেছেন হজরতের ছেলে, জামাতা, সহ-সংগ্রামী, সহকর্মী, ছাত্র, একান্ত প্রিয়জন, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ প্রায় পঞ্চাশজন দেশবিখ্যাত ব্যক্তি।
-
Tk 225
Tk 300সিরাতের প্রচলিত ভুল
শুনতে অবাক লাগলেও সত্য, সিরাতের নানা এমন অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে আমাদের মধ্যে যেগুলোর ঐতিহাসিক সত্যতা পাওয়া যায় না। ঠিক ১২ই রবিউল আউয়ালেই কি রাসূল সাঃ পৃথিবীতে এসেছিলেন? রাসূলের সাথে বিয়ের সময় খাদিজার বয়স কত ছিল? এক ব্যক্তিকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে রাসূল কি সত্যিই বসেছিলেন পথের ধারে? রাসূলের জীবনের নানা চমকপ্রদ যেসব ঘটনা আমাদের মজলিশে-মাহফিলে বয়ান করা হয় সেসব কতটুকু নির্ভরযোগ্য? ইতিহাসে প্রথমবারের মত সিরাতের নানা বর্ণনাগুলো ঐতিহাসিকভাবে পর্যালোচনা করেছেন সৌদি আরবের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল আওশান। না, তিনি এই বইয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেন নি। শুধু ঐতিহাসিক সূত্রগুলো পর্যালোচনা করে দেখিয়েছেন। বিচক্ষণ পাঠক ঠিকই বুঝে নিবেন কোন বর্ণনা শুদ্ধ আর কোনটা প্রশ্নবিদ্ধ।
-
Tk 225
Tk 300নববি চরিত্রের সৌরভ
স্বভাবতই যিনি বিশ্বনবির গৌরবোজ্জ্বল আসনে সমাসীন হবেন, সর্বশেষ নবি হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হবেন, তাঁর জীবন, জীবনাদর্শ ও স্বভাবচরিত্র হতে হবে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাঙ্গসুন্দর। আর বাস্তবে তেমনই অনন্য ও অসাধারণ ছিল প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনচরিত্র এবং গুণ ও বৈশিষ্ট্য। এমন সুন্দর সুনির্মল চরিত্রের একটিমাত্র দৃষ্টান্তও খুঁজে পাওয়া যাবে না মানবতার সমগ্র ইতিহাসে। প্রিয়নবির তুলনারহিত আখলাক-চরিত্র ছিল আল্লাহ তাআলার সম্পূর্ণ ইচ্ছানুবর্তী। এজন্যই তো তাঁর চরিত্রমাধুর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উম্মুল মুমিনিন আয়িশা রা. বলেছিলেন, তাঁর চরিত্র হলো কুরআন, তথা কুরআনের প্রতিবিম্ব ও প্রতিচ্ছবি, যাতে কুরআনি চরিত্রের সকল শোভা ও সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটেছে। কখনও মিথ্যা বলতেন না, ধোঁকা দিতেন না, প্রতারণার আশ্রয় নিতেন না এবং অশ্লীল আচরণ ও উচ্চারণের কাছেও ঘেঁষতেন না। মূর্খতা, বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা প্রতিশ্রুতির অন্যথা তাঁর স্বভাবে একদম ছিল না। সবসময় তাঁর ঠোঁটে লেগে থাকত জান্নাতি হাসির নুরানি উদ্ভাস, যা পরাজিত শত্রুর মনেও ছড়িয়ে দিত আশার আলো। মানবিক চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনে এবং আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ গঠনে অবশ্যই আমাদের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁর জীবনচরিতের দীপাধার থেকে আলো গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই সম্ভব জীবনের পিচ্ছিল, বন্ধুর ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ নিরাপদে পাড়ি দেওয়া। এ আলো ছাড়া কোনো ভালোই অর্জিত হতে পারে না কখনও কারও জীবনে। সফল ও আদর্শ মানুষ হতে হলে অবশ্যই গাফলতের এই জোয়াল কাঁধ থেকে নামাতে হবে এবং নবিচরিত্রের আলো নিজ জীবনে ধারণ করতে হবে। বস্তুত, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই হাদিস, সিরাত, শামায়িল, রিজাল ও তাবাকাত-বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থাবলি থেকে নির্বাচিত কিছু ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘নববি চরিত্রের সৌরভ’ নামক সংক্ষিপ্ত এ বইটি; যার প্রতিটি পাতায় ফুটন্ত গোলাবের মতোই ফুটে উঠেছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুপম চরিত্রের নির্মল দীপ্তি ও সৌন্দর্য….
-
Tk 227
Tk 307আশার ফোয়ারা
পবিত্র কুরআনে কারিমের বহু আয়াতে, রাসুল সা.-এর অসংখ্য হাদিসে মুমিন বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার অনেক ওয়াদা ও সুসংবাদের কথা বর্ণিত রয়েছে। ঘোষিত হয়েছে মুমিনদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় দানের কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ আমরা আল্লাহর এসব ওয়াদা ও সুসংবাদের কথা ভুলে গিয়ে হতাশার অতল সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি!! দুর্বলতা ও হীনম্মন্যতা আজ আমাদের এতটাই গ্রাস করেছে যে, আমরা নিজেদের সোনালি অতীতের কথাও ভুলে বসেছি!! পাপাচার-অনাচারে ছেয়ে যাওয়া এই পৃথিবীটা যে আমাদের হাত ধরেই পুনরায় ইনসাফে ভরে যেতে পারে, সেই আশাটুকু আজ আমাদের হৃদয়ে জাগে না!! কেন? আমাদের কী হলো? আল্লাহর ওপর ভরসা, তাঁর কাছেই সাহায্য ও কল্যাণের আশা করা…এই উত্তম গুণগুলো আমাদের থেকে কোথায় হারিয়ে গেল! হ্যাঁ, হতাশা আর হীনম্মন্যতার জঞ্জালকে ছুড়ে ফেলে আমাদের আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। নিরাশার উপত্যকা থেকে নিজেদের বের করে আনতে হবে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তাঁর কাছেই উত্তম আশা রেখে সামনে কদম বাড়াতে হবে। আমরা যদি রব্বুল আলামিনের সাথে আমাদের কৃত প্রতিশ্রুতিগুলো যথাযথভাবে পূর্ণ করি, তবেই তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো পূর্ণ করবেন! আমাদেরকে পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি দেবেন—বিজয়ের সুমিষ্ট স্বাদ আস্বাদন করাবেন। প্রিয় পাঠক, হতাশা ও ব্যর্থতার গ্লানি থেকে মুক্ত হয়ে আমরা যেন আল্লাহর ওয়াদা ও সুসংবাদের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করতে পারি, আল্লাহর বিধানমতে জীবনযাপন করে দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য লাভে ধন্য হতে পারি, এই উত্তম শিক্ষাই পাব আল্লাহর পক্ষ থেকে ৩০টি সুসংবাদ বাংলা অনুবাদ ‘আশার ফোয়ারা’ বইটিত।