-
Tk 450
গল্পে গল্পে আল কুরআন সিরিজ (১১-১৫)
আপনার শিশু নিশ্চয়ই গল্প শোনার বায়না ধরে, কখনো-বা কিছু পড়তে চায়। তখন আপনি কী করেন? কী গল্প শুনিয়ে দেন? আচ্ছা, তাদের হাতে কি রূপকথার কোনো গল্পের বই তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে নিশ্চিত থাকুন, মনের অজান্তেই শিশুর মনে শিরক ও কুফরের বীজ বপন করে দিচ্ছেন! অথচ, পবিত্র কুরআনে রয়েছে অসংখ্য চমৎকার কাহিনি, ভ্রমণবৃত্তান্ত, সেরা ব্যক্তিদের জীবনী, মন্দ লোকদের করুণ ইতিহাস, বহু শিক্ষামূলক ঘটনা, জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করার দিকনির্দেশনা, দুআ ও প্রার্থনা—এ সবই আমাদের আলোর পথ দেখিয়ে দিতে পারে। কুরআনুল কারিমের অনুপম কাহিনিগুলো পড়ে আমাদের শিশুরা তাদের জীবনের দিশা খুঁজে পাবে। শিশুমনে বিশ্বাসের পরশ বুলিয়ে দিতেই ‘গল্পে গল্পে আল কুরআন’ সিরিজ। এ সিরিজ শিশুদের জন্য দারুণ এক উপহার। এটি তাদের সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও সত্যবাদীরূপে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে—যাতে তারা নিজেদেরকে মা-বাবার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 450
Tk 660বদর ও উহুদ যুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য
৩১৩ বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্যঃ বইটি বদর যুদ্ধের গল্পভাষ্য হলেও গল্পটি শুরু হয়নি বদরের প্রান্ত থেকে কিংবা বদরের দিকে ধেয়ে আসা সেই মদিনার প্রান্ত থেকে কিংবা যে লগ্নে বদরযুদ্ধ সংঘটিত হয়, সেই ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ থেকে৷ এই বদর যুদ্ধ নিয়ে কাফেরদের মাঝে কী সংশয় দেখা দেয়, এবং শেষতক কী হয়, কী কী মোজেযা প্রকাশ পায় এই যুদ্ধে, এই যুদ্ধে কে প্রথম শহিদ হন, কাফেরদের মধ্যে কে প্রথম ভূতলে লুটায়, কাফেরদের সৈন্যদলে; তবু তাকে হত্যার নিষেধাজ্ঞা আসে, কে সে? কেন এমন নিষেধাজ্ঞা? এমন অনেক অনেক অাবৃত পাঠ পরবর্তী শিরোনাম থেকে পাঠকের কাছে স্বচ্ছ কাঁচের মতই ধরা দেবে৷ এটি গতানুগতিক গল্পের বই নয়৷ বরং হাদিস আর কোরআন এবং বিশুদ্ধ বিধৌত ইতিহাস গ্রন্থের বিক্ষিপ্ত বৰ্ণনাগুলোকে তিনি মূলত গল্পমাল্যে অচ্ছেদ্য উপায়ে আর সাড়িবদ্ধ শৃঙ্খলায় পরিয়েছেন৷ তাই বলা যায়, বইয়ের গল্পকে পর্যাপ্ত শব্দ ও নিবিড় বাক্য দিয়ে বেণী করা হয়েছে আর বিশুদ্ধ বর্ণনা ও বিমুগ্ধ ঘটনাগুলো দিয়ে গল্পটির হার নির্মাণ করা হয়েছে— ফলত ঐতিহাসিক গল্পভাষ্যটি পুষ্পময়ী গ্রন্থে রূপ নিয়েছে৷ আশাবাদী, এই ফুলের ঘ্রাণ ও সুপেয় রস তৃপ্ত করবে সকল পাঠককে ৷
মৃত্যুঞ্জয়ীঃ উহুদ যুদ্ধের মর্মস্পর্শী গল্পভাষ্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ মদিনা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরের উহুদ প্রান্তরে মুখোমুখি হলো নবীজির (সা.) সাহাবি সেনাদল ও মক্কার মূর্তিপূজারী কুরাইশরা। শুরুতে যুদ্ধটা একপেশে মনে হলো। যুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ময়দান ছেড়ে পালাতে শুরু করল ভীতু কুরাইশ বাহিনী। জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হতে লাগল মুসলিম সেনানীরা। কিন্তু হঠাৎ মুসলিম তিরন্দাজদের সামান্য ভুল পদক্ষেপ। মুহূর্তে পাল্টে গেল দৃশ্যপট। উহুদ প্রান্তরে শুরু হলো ইতিহাসের এক অসীম লড়াই। রক্তের ফোয়ারায় ভেসে গেল মদিনার পাথুরে জমিন। আর এই রক্তপ্রান্তরে নবীজিকে (সা.) ঘিরে রচিত হলো সাহাবিদের আত্মত্যাগ, সাহসিকতা ও বীরত্বের অমর কিংবদন্তি। উহুদের সেই কিংবদন্তি নিয়ে এই প্রথম বাংলাভাষায় উপন্যাসের রোমাঞ্চ নিয়ে গল্পভাষ্য লিখেছেন সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। ত্যাগ, বীরত্ব আর প্রেমের এক অনন্ত উপাখ্যান মৃত্যুঞ্জয়ী। চোখের সামনে খুলে দেবে গল্পভাষ্যের এক অভিনব দুয়ার। আপনাকে স্বাগতম!
-
Tk 459
Tk 620আদর্শ মুসলিম
ইসলাম মানুষের আদর্শ ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে। এরপরও দেখা যায়, ইসলাম মুসলমানদের থেকে যা চায় আর মুসলমানরা নিজেদের জন্য যা চায়, এ দুইয়ের মাঝে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। অবশ্য অল্পসংখ্যক লোক, যাদের আকিদা বিশুদ্ধ, ইসলাম সুন্দর, অন্তর পরিশুদ্ধ ও মানসিকতা উন্নত; তারা ইসলামের দাবি ও চাওয়া অনুযায়ীই জীবনযাপন করে থাকেন।
-
Tk 460
ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড
ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড অর্থ লক্ষ্যচ্যুতি। রাসূল (সাঃ)-এর মদীনায় হিজরাত থেকে শুরু করে ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করে লেখক তামিম আনসারী দেখিয়েছেন কোন বিন্দু থেকে মুসলমানদের লক্ষ্যচ্যুতি শুরু হয়েছিল, কী কী গর্ত তৈরি হয়েছিল। কী কী চিন্তাধারার উন্মেষ হয়েছিল? কোন কোন পয়েন্টে কারা এই পৃথিবীতে আলোর মশাল উচ্চকিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন? মুসলমানরা কীভাবে ধীরে ধীরে মিশন থেকে সরে গেল? এই দীর্ঘ সময়ে আসলে কী কী ঘটনা, পরিস্থিতি তৈরি হলো? ডেসিটিনি ডিজরাপ্টেড বইয়ে এসব নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
-
Tk 460
ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত
আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিকো-হেলেনিক ঐতিহ্যের কফিন থেকে বেরিয়ে এসেছে ল্যাটিন সভ্যতা। আধুনিক পশ্চিমা বিশ্ব সেই ল্যাটিন সভ্যতারই ধারাবাহিকতা মাত্র। মাঝে কয়েকটি শতক ইসলামি সভ্যতার উত্থানে সে দিশেহারা হয়ে উ™£ান্ত কাল কাটিয়েছে বটে, তবে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মুসলিম উম্মাহর দুর্বলতা ও দায়িত্বহীনতার সুযোগে, অচিরেই হয়ে উঠেছে ইসলামের প্রধানতম প্রতিপক্ষ। প্রত্যেক যুগে পৃথিবীর সকল সভ্যতা কেন শুধু ইসলামের বিপক্ষেই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাড়না বোধ করে? ইসলামের সঙ্গে গোটা বিশ্বের সংঘাতময় সম্পর্কের সূত্র কোথায়? এর মূল কারণটাই-বা কী? কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আজ এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও ইসলাম? এসব মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে। চলুন তবে ইতিহাসের ডানায় ভর করে ঘুরে আসি ইসলাম ও পাশ্চাত্যের সেই দ্বন্দ্বমুখর রক্ত পিচ্ছিল পথে। আত্মসন্ধানের অভিষ্ট লক্ষ্যে অভিযাত্রী হই আমি, আপনি, সকলেই।
-
Tk 480
সানজাক-ই উসমান
‘সানজাক-ই উসমান: অটোমানদের দুনিয়ায়’ আপনাকে তার সাথে দেখা করিয়ে দিতে চলেছে। তাকে দেখতে হলে আমাদের উঁকি দিতে হবে আট শ বছর আগের পৃথিবীতে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতেই মঙ্গোলিয়ান স্তেপ থেকে যেন স্বয়ং আজরাইল হয়ে নেমে এলেন চেঙ্গিজ খান এবং তার মোঙ্গল বাহিনী। মাত্র কুড়ি বছরের ভেতর যেন নরকে পরিণত হলো সারা পৃথিবী। প্রথমে চীন, তারপর তুর্কিস্থান আর খোরাসান হয়ে মোঙ্গল ঝড় ধেয়ে এল ককেশাস, আনাতোলিয়া দিয়ে রাশিয়া আর হিন্দুস্থানের দিকে। মরে সাফ হয়ে গেল কোটি কোটি মানুষ। মোঙ্গলদের হাত থেকে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ইরান তুর্কিস্থান থেকে আনাতোলিয়ার দিকে রওনা দিল কিছু মানুষ। তারপর কী হলো? কী করে তারা গড়ে তুলল বিশাল সালতানাত? মোঙ্গলদের হাত থেকে কারা বাঁচালো মক্কা-মদীনাকে? এটা কোনো নিয়মিত ইতিহাসের বই বা কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এটা একই সাথে ইতিহাস, ফিকশন আর থ্রিলার। আজকের এই পৃথিবী কী করে নির্মাণ হলো, তা জানতে এই বই আপনাকে দারুণ সহযোগিতা করবে। ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 480
Tk 690দ্য গ্রেটেস্ট অন্ট্রাপ্রেনর মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]
অস্থিতিশীল বাজার। দ্রব্য-মূল্যের উর্ধ্বগতি। ঝুঁকিতে আমদানি-রপ্তানি খাত। ভেঙে পড়ছে ব্যাংকিং সিস্টেম। বাড়ছে ঋণখেলাপির দায়। মূল্যস্ফীতিতে টালমাটাল বিশ্ব। অজানা শংকা বিরাজমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। দূর্ভিক্ষের অশনি সংকেতে পেরেশান জন-সাধারণ। এর কারণ কী? কী কারণে ঘটছে এমনটা? এসব সমস্যার সমাধান কোথায়? যে যাই বলুক বা যত ব্যাখ্যাই করুন; ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি সম্পর্কিত এসব সমস্যার সমাধান একটাই—মানবতার নবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন ধারা ও জীবনার্দশের অনুকরণ ও বাস্তাবায়ন। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা আহজাবের ২১ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের জন্য রাসুলের জীবনে রয়েছে অনুকরণীয় সুন্দরতম আদর্শ।’ সুতরাং ব্যবসা-বাণিজ্যগত এই ক্রাইসিস, অর্থনৈতিক মন্দা এবং নৈতিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে মহানবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্দরতম আদর্শ অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য ও পেশা-ক্যারিয়ারে সফল হতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যবসায়িক জীবনের ইতিহাস ও দিক-নির্দেশনার অনবদ্য একটি গাইডলাইনমূলক বই—‘দ্য গ্রেটেস্ট অন্ট্রাপ্রেনর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ বইটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো—বর্তমান সময়ের সফল মানুষরা ব্যবসা ও আত্মউন্নয়নের জন্য যেসব গুণ-অভ্যাস ও ব্যবস্থাপনা-কৌশল অনুসরণ করার কথা বলেন; সেসব গুণ-অভ্যাস ও ব্যবস্থাপনা-কৌশলকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনদর্শনের আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক ব্যবসা উন্নয়নে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের কর্ম, আদর্শ ও দিক-নির্দেশনাসহ তাঁর রণনীতির প্রয়োগযোগ্যতা প্রমাণ করা হয়েছে। ব্যবসাজীবনে আপনি কি সফল হতে চান? শ্রম বিনিময় মাধ্যমে স্বার্থক একটি জীবন গড়তে চান? সফল একজন উদ্যোক্তা হিসেবে সফল একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা-ই কি আপনার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন? সর্বপরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনার্দশের আলোকে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ে আপনি কি সফল মানুষ হতে চান? তাহলে এই বই হবে আপনার জন্য সময়ের সেরা উপহার।
-
Tk 481
Tk 650হাজার গানে হৃদয়ের স্বরলিপি
সংগীত মানেই প্রাণের কথামালা। ইসলামি সংগীত মানেই বিশ্বাসী প্রাণের অনুরণন। ইসলামের মৌলিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে উপজীব্য করে সুরের পরশ দিয়ে রচিত হয় এক একটি গান। লাখো হৃদয়ে তা এক অন্যরকম ব্যাঞ্জনা তৈরী করে। ইতোমধ্যে বাংলা ভাষায় অসংখ্য ইসলামি গান তৈরী হয়েছে। নতুন নতুন গান প্রতিদিন তৈরী হচ্ছে। এসব গান বাংলাদেশের কোটি মানুষের বিশ্বাস ও বোধের প্রতিনিধিত্ব করে। এখন ইসলামি গানের প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছে। ইসলামের বুনিয়াদি চেতনা ও বিশ্বাসের পাশাপাশি সত্য, সুন্দর, নীতি-নৈতিকতা এবং মাটি ও মানুষেল পরিশীলিত কথামালা এখন ইসলামি সংগীত হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। অনেক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ এখন ইসলামি সংগীত নিয়ে কাজ করছে। আমরা ১০০০ সংগীতের এই সংকলণে প্রবীণদের সাথে তরুণদের যোগসূত্র এঁকেছি। অনেক জনপ্রিয় গান ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোকে সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে আরও একবার গেঁধে দেওয়ার প্রচেষ্টা এখানে দেখতে পাবেন।
-
Tk 494
Tk 668উচ্চ মনোবল পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে
উচ্চ মনোবল কাজের সূচনা। মহৎকর্মের প্রবেশিকা। শুরু থেকে যার মনোবল উচ্চ থাকে, তার সফর হয় সহজ-অনায়াসে। বস্তুত, উচ্চ মনোবলের অধিকারী জীবন চলার পথে আপতিত সকল দুঃখকষ্টকে সয়ে যায় হাসিমুখে, সব ধরনের বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে সে সামনে এগিয়ে চলে; ফলে তার পথচলা হয়ে ওঠে আনন্দময়। অধ্যবসায় ও অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে একসময় সে পেীঁছে যায় সাফল্যের শিখরে ৫টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত এই বইটিতে উচ্চ মনোবল পরিচিতি, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, কুরআন ও সুন্নাহতে উচ্চ মনোবলের প্রতি উৎসাহ, উচ্চ মনোবলের ক্ষেত্রসমূহ বিশেষ করে- ইলম অর্জন ও এর প্রচার-প্রসারে সালাফের আগ্রহ, ইলমের পথে তাঁদের নানান কষ্টক্লেশ সহ্য করা; ইবাদত ও অবিচলতায় সালাফের উচ্চ মনোবল, সত্যের সন্ধানে উচ্চ মনোবলের পরিচয়, আল্লাহর পথে দাওয়াত ও দ্বীনের ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখতে উচ্চ মনোবলের দৃষ্টান্ত; মনোবলশূন্য উম্মাহর অবস্থা, মনোবল বাড়ানোর পথ ও পদ্ধতি, উম্মাহ ও ব্যক্তি সংশোধনে উচ্চ মনোবলের প্রভাব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
-
Tk 500
ইসলামি চেতনা
চেতনা একজন মানুষকে আপন কক্ষপথে অবিচল ও সুদৃঢ় রাখে। এজন্য একজন সফল ও সার্থক মুসলিম হতে হলে ইসলামি চেতনাকে হৃদয়ে লালন করা অত্যন্ত জরুরি। বয়ঃসন্ধি থেকে প্রৌঢ়ত্ব; জীবনের প্রতিটি স্তরেই এই চেতনার উজ্জীবন ঘটাতে পারলেই কাক্সিক্ষত ব্যক্তিত্ব গঠনের পাশাপাশি প্রত্যাশিত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনও সম্ভবপর হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইসলামি চেতনা বলতে কী বোঝায়? আমরা জানি, ইসলামের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই বৈশিষ্ট্যের মূলকথা হলো সহজাত ও সহমর্মিতা। তাইতো ইসলামের সর্বাঙ্গে মিশে আছে দয়া, করুণা ও সহমর্মিতার ছাপ। বলা হয়ে থাকে, ইসলাম সহজতা ও উদারতার ধর্ম। এখানে নেই কোনো কৃত্রিমতা, বাড়াবাড়ি ও কঠোরতার স্থান। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের সাথে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোই ইসলামি চেতনার সারকথা। আর এগুলোই পরিপূর্ণ ইসলামি ব্যক্তিত্ব গড়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের মূল উপকরণ। ইসলামের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য ও অবয়ব কেমন এবং কীভাবে তা ব্যক্তি ও সমাজের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তা যদি ইসলামের মুখেই শুনতে চান, তবে ইসলামি চেতনা বইটি হতে পারে আপনার জন্য উত্তম পাথেয়।
-
Tk 529
Tk 715আল-কুরআনের শব্দসমূহ
কুরআন বুঝার জন্য আমরা অনেক কোর্স করি বা অনেক বই পড়ি। কিন্তু দেখা যায়, অনেক সময়ই আমাদের মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ কুরআন পড়ার সময় বুঝতে পারার যোগ্যতা অর্জন হয় না। এর একটি অন্যতম বড় কারণ হলো কুরআনের শব্দার্থ ভালোভাবে মুখস্থ না থাকা। সেক্ষেত্রে সমাধান যে কুরআনের শব্দার্থ মুখস্থ করা তা আর বলার বাকি থাকে না। তবে এখানে কিছু ব্যাপার থাকে; যেমন হাজার হাজার শব্দ মুখস্থ করা যত কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন শব্দগুলো মনে রাখা। এই মুখস্থ করা ও মনে রাখা কেন্দ্রিক না সমস্যা ও জটিলতাগুলোর কথা মাথায় রেখেই রচনা করা হয়েছে ‘كَلِمَاتُ القُرآنِ’ বা ‘আল-কুরআনের শব্দসমূহ’ বইটি। এতে কুরআনে ব্যবহৃত শব্দগুলো আয়াতাংশের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে আর একই সাথে লিস্ট করা হয়েছে সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ। শেষের দিকে কাছাকাছি উচ্চারিত শব্দসমূহ একসাথে দেখানো হয়েছে। আশা করা যায়, ভালো কোনো ব্যাকরণের বই থেকে বাক্যগঠনের নিয়ম শিখে এই বই অধ্যয়ন করলে একজন পাঠক অতি দ্রুত আরবিতে কুরআন বুঝতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
-
Tk 534
Tk 890হালাল হারামের বিধান
মুসলিম হিসেবে হালাল-হারামের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা আবশ্যক। অবশ্য কিছু বিষয়ের হালাল-হারাম হওয়া নিয়ে কখনো কখনো বেশ দ্বন্দ্বে পড়ে যাই আমরা। এটা হালাল হলে ওটা হারাম কেন, এভাবে হারাম হলে ওভাবে হালাল কেন এ জাতীয় নানা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। দিশেহারা হয়ে পড়ি আমরা। অথচ কোনো কিছুর হালাল কিংবা হারাম সাব্যস্ত হওয়ার যে সামান্য কিছু মূলনীতি রয়েছে, সেগুলো জানা থাকলে এ অবস্থা থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব। একজন মুসলিমের জন্য কোন কাজটি হালাল আর কোনটি হারাম, কোন কাজ এক জায়গায় জায়িয হলেও অন্য জায়গায় বা অন্য সময়ে নাজায়িয, কোনো কাজ জায়িয এবং নাজায়িয হওয়ার কারণগুলোই বা কী? ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক-জীবনঘনিষ্ঠ এমন অসংখ্য বিষয়ের বাস্তবধর্মী আলোচনা নিয়ে ড. ইউসুফ আল-কারযাবি রাহিমাহুল্লাহর বিশ্বজুড়ে সাড়াজাগানো গ্রন্থটি প্রকাশিত হলো ‘হালাল-হারামের বিধান’ নামে।
-
Tk 558
Tk 858ফিকহুর রিবা
বইটিতে যে বিষয়গুলো নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে—
▪ কুরআন, হাদিস ও ফিকহুস সালাফের আলোকে রিবার পরিচিতি ও বিশ্লেষণ।
▪ প্রচলিত অর্থনীতি ও ইসলামী অর্থনীতির আলোকে সুদের প্রকৃতি ও বিস্তারিত পর্যালোচনা।
▪ কুরআন, হাদিস ও আছারের আলোকে সুদের ভয়াবহতা।
▪ বিভিন্ন ধর্মে সুদের নিষিদ্ধতার বর্ণনা: প্রামাণিক উপস্থাপন।
▪ সুদ-বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের দলিলভিত্তিক জবাব।
▪ রিবার প্রকারভেদ: পরিচিতি ও বিশ্লেষণ।
▪ বাস্তবতার আলোকে প্রতিটি বিষয়ের পর্যাপ্ত উদাহরণ।
▪ প্রচলিত বীমা, ব্যাংকিং ও সুদসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ।
▪ আধুনিক লেনদেনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রিবার প্রচলিত ও প্রায়োগিক রূপগুলোর সাবলীল উপস্থাপন।
▪ আধুনিক প্র্যাকটিসের আলোকে সুদ ও হিলা-বাহানার দালিলিক উপস্থাপন।
▪ সুদের অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব তুলনামূলক আলোচনা।
▪ সমাজে রিবার অশুভ ছায়া।
▪ বাস্তবতার নিরিখে রিবাবিহীন সমাজের সম্ভাব্যতা-অসম্ভাব্যতা পর্যালোচনা।
-
Tk 570
ইতিহাসের ছিন্নপত্র (১ম খন্ড)
‘ইতিহাস’ শব্দটা হামেশাই উচ্চারিত হয় মুখে মুখে। ইতিহাস আদতে কী? অতীত ঘটনা ও কার্যাবলির অধ্যয়ন— তাই তো? সেই সংজ্ঞামতে ইতিহাসের পাঠগুলোও এক-একটা ইতিহাস। অতীতে একটা ঘটনা বারবার ঘটেছে— ইতিহাসের চোখে একটা কাঠের চশমা পরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা। আমরা তো জানি, ইতিহাসবেত্তাগণ ইতিহাসের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গন্ডগোলটা বেধেছে ঠিক এখানেই। স্ব-স্ব চিন্তা-কাঠামোর ইতিহাসবিদরা নিজেদের রঙে রাঙিয়েছেন ইতিহাসকে। যার যত দক্ষতা, ক্ষমতা ও মাধ্যম ছিল, সে তত বেশি ইতিহাসকে দখল করেছে। প্রচলিত একটা নিষ্ঠুর বয়ান আছে, ইতিহাস নাকি বিজয়ীর চোখ দিয়ে দুনিয়াকে দেখায়। দুনিয়ার সবাই স্রোতের দিকে ছুটতে স্বস্তি পায়। কিছু মানুষ থাকে, স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে হিম্মত দেখায়। ইতিহাসের ধারাবাহিক স্রোতে অনেক সময় সত্যকে লুকিয়ে ফেলার একটা আয়োজন করা হয়, কিন্তু কিছু মানুষ মাটি ফুঁড়ে সে ইতিহাস দুনিয়াবাসীর সামনে হাজির করার কোশেশ করে। কায় কাউস ঠিক তেমনই এক ইতিহাসবেত্তা। ইতিহাসের ছিন্নপত্র গ্রন্থটি অতীত ইতিহাসেরই পুর্নপাঠ; নতুন ইতিহাসের সৃষ্টিকর্ম নয়।
-
Tk 570
Tk 850আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান – ৩টি বইয়ের প্যাকেজ
গাণিতিক রহস্যময় কুরআনঃ রাসুল (সাঃ) এর সময় থেকেই অনেক মানুষ কুরআনকে আল্লাহর বাণী হিসেবে গ্রহণ করেন না। তাঁরা মনে করেন কুরআন রাসুল (সাঃ) এর রচিত গ্রন্থ। অথচ কুরআনের মধ্যেই প্রমাণ রয়েছে যে, এমন গ্রন্থ রচনা করা মানব বা জ্বিন কারো পক্ষেই ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্টিকভাবে সম্ভব নয়। কুরআনে গাণিতিক যুক্তির উপস্থিতিই এর সর্বসাম্প্রতিক প্রমাণ। এই বইয়ের গ্রন্থকার ‘আহমেদ দিদাত’ কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং শব্দ বিশ্লেষণ করে কুরআনের অভ্যন্তরে ১৯ তথা গণিতের এক বিস্ময়কর উপস্থিতি প্রকাশ করে প্রমাণ করেছেন যে কুরআন এক রহস্যময় সৃষ্টি। বইটি পড়ে পাঠক উপলব্দি করবেন যে, কুরআন কোন সাধারন গ্রন্থ নয় এটি গানিতিক রহস্যময় এক অলৌকিক গ্রন্থ।
বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞানঃ ১৯৭৬ সালে ড. মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান’ বইটি প্রকাশের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় অর্ধশতাব্দী। এর মাঝে পৃথিবীর বহু ভাষায় লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে এ বইটি, জনপ্রিয় হয়েছে ইসলামি দুনিয়ায়; ‘বুকাইলিজম’ নামের নতুন এক ধারাই তৈরি করে ফেলে এ বই, যেখানে রয়েছে ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণের প্রয়াস। সত্তরের দশকের খ্যাতনামা এ বইটিতে একজন ক্যাথলিক চিকিৎসক ও গবেষক আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে খতিয়ে দেখেছেন- ইহুদীদের হিব্রু বাইবেল বা ওল্ড টেস্টামেন্ট, খ্রিস্টানদের গসপেল- এগুলো কতোটা সঠিক? বাইবেল কি ভুলের উর্ধ্বে? ইসলামের সর্বশেষ আসলামি কিতাব কুরআনে কি কোনো বৈজ্ঞানিক ভুল রয়েছে? তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের এ বই তৎকালীন ইসলাম ধর্মপ্রচারকদের জন্য খুলে দেয় এক নতুন দিগন্ত। কিন্তু, বিজ্ঞানের আলোকে ধর্মবিশ্বাস যাচাই কি সঠিক পদ্ধতি? তবে, এতগুলো বছর পেরিয়ে যাবার পর হালনাগাদ হয়েছে বিজ্ঞান, হয়েছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর, বদলেছে প্রযুক্তি, মানুষের হাতে হাতে উন্মুক্ত এখন ইন্টারনেট দুনিয়া; বদল এসেছে মানুষের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতেও। পঞ্চাশ বছর পরের আধুনিক বিজ্ঞানের চোখে ‘বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান’ বইটি কি এখনও হালনাগাদ? তার চেয়েও বড় কথা, গত অর্ধশতাব্দী সময়কাল জুড়ে ইসলামি সাহিত্যজগতে তুমুল জনপ্রিয় এ বইটির পর্দার আড়ালের আরেকটি অপ্রকাশিত তথ্যও পেয়ে যাবেন নতুন এ সংস্করণে, যেটি কিনা প্যারিসের মূল প্রকাশনী থেকে সরাসরি অনুমোদিত বাংলা অনুবাদ। চলুন, সময়ের পরিক্রমায় আরেকবার ফিরে দেখা যাক বিজ্ঞানের চোখে এ ধর্মগ্রন্থদুটোকে, যার অনুসরণ করে পৃথিবীর ৩৮০ কোটি ধার্মিক মানুষ। আর জেনে নেয়া যাক অপ্রকাশিত তথ্য, সাথে নানা সংযোজনী ও টীকা।
আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞানঃ রাসুল (সাঃ) এর সময় থেকেই অনেক মানুষ কুরআনকে আল্লাহর বাণী হিসেবে গ্রহণ করেন না। তাঁরা মনে করেন কুরআন রাসুল (সাঃ) এর রচিত গ্রন্থ। অথচ কুরআনের মধ্যেই প্রমাণ রয়েছে যে, এমন গ্রন্থ রচনা করা মানব বা জ্বিন কারো পক্ষেই ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্টিকভাবে সম্ভব নয়। কুরআনে গাণিতিক যুক্তির উপস্থিতিই এর সর্বসাম্প্রতিক প্রমাণ। এই বইয়ের গ্রন্থকার ‘আহমেদ দিদাত’ কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং শব্দ বিশ্লেষণ করে কুরআনের অভ্যন্তরে ১৯ তথা গণিতের এক বিস্ময়কর উপস্থিতি প্রকাশ করে প্রমাণ করেছেন যে কুরআন এক রহস্যময় সৃষ্টি। বইটি পড়ে পাঠক উপলব্দি করবেন যে, কুরআন কোন সাধারন গ্রন্থ নয় এটি গানিতিক রহস্যময় এক অলৌকিক গ্রন্থ।
-
Tk 600
Tk 800ইসলামি জীবনব্যবস্থা
ইসলামি জীবনব্যবস্থা স্বয়ংসম্পূর্ণ, পূর্ণাঙ্গ ও কল্যাণময় জীবনব্যবস্থা। অনৈসলামি জীবনব্যবস্থা ঠিক তার বিপরীত। ইসলাম ছাড়া যত জীবনব্যবস্থা আছে, সবই অনৈসলামি জীবনব্যবস্থা। ইসলামই একমাত্র জীবনব্যবস্থা, যা শান্তি ও নিরাপত্তা, ইনসাফ ও আদল প্রতিষ্ঠা করে। আর মানবরচিত যত পথ-মত ও মতবাদ আছে, সবই মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে। মনুষ্যত্বকে পিষে ফেলে। মানবরচিত জীবনব্যবস্থার অসারতা, ইসলামি জীবনব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা জানার জন্য ও উপলব্ধি করার জন্য এই কিতাবটি অনেক সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ। প্রথম অধ্যায়ে লেখক ইসলামি আকাইদ নিয়ে সুদীর্ঘ আলোচনা করেন। এখানে তিনি এমন সব আলোচনাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন, যা বর্তমানে সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন: আহলুস সুন্নাহর সংক্ষিপ্ত আকিহাদ, তাওহীদের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, নাওয়াকিযুদ তাওহীদ, আলওয়ালা ওয়াল বারাআ ইত্যাদি। ভালো লাগার বিষয় হলো, প্রতিটি বিষয়ে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যা মনোযোগ দিয়ে পড়লে একজন পাঠক খুব সহজেই পুরো বিষয়ের একটা সুন্দর কাইফিয়ত ধারণ করতে পারবে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ইসলামি শরিয়াব্যবস্থা নিয়ে আলোকপাত করেন। কিছু অজ্ঞ বা ভ্রান্ত লোকেরা বলে বা ধারণা করে যে, ইসলামে ইবাদত-বন্দেগি ব্যতীত সামগ্রিক জীবনে চলার মত তেমন কোন বিধিবিধান নেই। তাদের এই ভ্রান্তির জবাব রয়েছে এই অধ্যায়ের আলোচনায়, তাছাড়া শরীয়াব্যবস্থার একটা রূপরেখা পাঠকের জানা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তৃতীয় অধ্যায়ে ইসলামি শাসনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। এই অংশটি বইয়ের বিশেষ সৌন্দর্য। হক কথাগুলোর সুস্পষ্ট উচ্চারণ ও জ্ঞানপাপীদের সৃষ্ট ভ্রান্তিগুলোর সমাধান পেয়ে যাবেন আলোচনার মাঝে। চতুর্থ অধ্যায়ে ইসলামি সমাজব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইসলাম একটি আদর্শ সমাজের জন্য কী রূপরেখা নির্ধারণ করে দিয়েছে, এই সম্পর্কে জানা যাবে উক্ত অধ্যায়ে। তাছাড়া কিছু ফিকহী আলোচনাও স্থান পেয়েছে এই অধ্যায়ে। পঞ্চম অধ্যায়ে আলোচনা হয়েছে অর্থায়ন ব্যবস্থা নিয়ে। জীবনব্যবস্থার একটা ইম্পরট্যান্ট দিক হলো, অর্থব্যবস্থা। ইসলামি অর্থব্যবস্থা ও অনৈসলামি অর্থব্যবস্থা কী! কেন! ইত্যাদি বিষয়ে জানা যাবে এই অধ্যায়ে। এই অধ্যায়ে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে– একজন মুসলিম কীভাবে, কোন পদ্ধতির অনুসরণ করে সফলতা ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে! ইসলামের অর্থায়ন ব্যবস্থার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এই অধ্যায়ে। ষষ্ঠ অধ্যায়ে বিভিন্ন মতবাদ ও তার আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসলামের সাথে কুফফার গোষ্ঠীর বিশ্বাসগত, বিধানগত, নীতিগত দিক থেকে লড়াই সবসময় চলবে। ইসলামের বিধিবিধান মানবতার কল্যাণের জন্য। কিন্তু ইসলামের সাথে বিদ্বেষ সবসময় এই সংঘাতকে চাঙ্গা রাখছে। এটি এমন এক লড়াই, যা কখনো থেকে যাবার নয়!