-
Tk 195
Tk 260ইজ্জুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম
ইজ্জুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম। ছিলেন ইতিহাসের এক অকুতোভয় ফকিহ। তাঁর অতুল্য জ্ঞানসাধনা আর আপোসহীন বিচারিক জীবন ও কর্ম তুলে এনেছেন আলীজাহ মুহাম্মাদ সামানীন। তিনি ইতিহাসের বিক্ষুব্ধ সময়গুলো পার করেছেন। সমরনীতির তখন জয়জয়কার অবস্থা। যুদ্ধের হুংকারে পৃথিবী থরথর করে কেঁপেছে সে সময়ে। মানচিত্রের প্রভাবশালী জমিদার হিসেবে মুসলিমরা তখন সবার লোভাতুর নজরে। একদিকে মঙ্গোল ঝড়, অন্যদিকে খ্রিষ্টানদের সঙ্গে ধর্মযুদ্ধ। পাশাপাশি মুসলিমদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বের সার্বিক কল্যাণ মুখ থুবড়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। এত ঝড়ঝাপটার মধ্যেও ইসলাম পৃথিবীকে উপহার দিয়েছে জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ইতিহাসবিদ, ইসলামি আইনবিশারদ, হাদিসশাস্ত্রের বরেণ্য নক্ষত্র, কোরআনের ব্যাখ্যাকার, ভ‚গোলবিদ, তুলনামূলক ধর্মতত্তে¡ পারদর্শী ব্যক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলিমদের বিচরণ ছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী। সময়ের এত সব মনীষীর মধ্যে ইমাম ইজ্জুদ্দিন ছিলেন প্রথম সারির জ্ঞানসাধক। ছিলেন একাধিক বিষয়ের শাস্ত্রজ্ঞ ও পণ্ডিত। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর একজন কিংবদন্তি তিনি। তাঁর জীবনীকারগণ তাঁকে নিয়ে নিরন্তর উচ্ছ্বা প্রকাশ করেছেন। শায়খের ইলমি জীবন এবং রচনাবলির ব্যাপারে যৎসামান্য আলোচনা এসেছে। তাও জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনার ফাঁকে। তিনি যেসব শাস্ত্রের শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন এবং যেসব বিষয়ের ওপর তাঁর রচনা বিদ্যমান, তার প্রতিটির ওপর মুসলিম বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ের গবেষণাপত্র বিদ্যমান রয়েছে।
-
Tk 195
Tk 260হাফেজ ইবনে হাজার আল-আসকালানি (রহ)
হাফেজ ইবনে হাজার আল-আসকালানি রহ. নবম শতাব্দীর ইতিহাস ও হাদিসের অন্যতম বিখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত। তিনি হাদিসশাস্ত্রের ইতিহাসে একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করেছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো তাঁকে জ্ঞান ও সাহিত্যশিল্পের শিখরে পৌঁছে দেয়, যা আজও হাদিস শিক্ষা ও গবেষণার মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। জ্ঞানার্জনে বাল্যকাল থেকেই ইবনে হাজারের ছিল অদম্য আগ্রহ। এর সঙ্গে নবীজির হাদিসের প্রতি তাঁর শৈশবে আলাদা ঝোঁক ছিল। তাই তিনি শিক্ষাজীবনে শুধু মিসরে বসে থাকেননি; উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে তৎকালীন হিজাজের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের সময় বিজ্ঞ ফকিহ ও মুহাদ্দিসদের সংস্পর্শে আসার পর তাঁর জ্ঞানের উন্মেষ ঘটে। যুগশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞ মনীষীদের সাহচর্যে এসে নিরলস সাধনার মাধ্যমে জ্ঞান ও হাদিসশাস্ত্রের উচ্চ শিখরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি। সমসাময়িক যুগের মনীষীগণ তাঁকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। কেউ তাঁকে ‘দ্বিতীয় বায়হাকি’ আবার কেউ ‘যুগের ইমাম বুখারি’ বলে আখ্যায়িত করেন। দামেস্কের মাদরাসা সালেহিয়ার শায়খ প্রখ্যাত ফকিহ ও বিচারপতি তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘ইবনে হাজার আসকালানি ইমাম বুখারির সমপর্যায়ের না হলেও তাঁর চেয়ে কম নন।’ আলোচ্য গ্রন্থে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ.-এর জীবনী নিয়ে আলোকপাত করা হয়ে। এর আগে তাঁর যুগে মিসরের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার বিশ্লেষণসহ মামলুক রাজবংশের পরিচয়, উত্থান ও ক্ষমতা গ্রহণের বিবরণ সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে নির্মোহভাবে। পাঠকমাত্রই আন্দোলিত হবেন এই বরেণ্য ব্যক্তিত্বের জীবন ও কর্মের ফিরিস্তি পড়ে।
-
Tk 195
Tk 260উমর ইবনে আবদুল আজিজ
উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ.। ইতিহাস তাঁকে ‘দ্বিতীয় উমর’ নামে চেনে। ৬৩ হিজরিতে জন্ম নেয়া এই মহান খলীফার খিলাফতকাল প্রথম চার খলীফা থেকে অনেক দূরে হলেও তাঁকে পঞ্চম খলীফা হিসেবেই গণ্য করা হয়। একজন পরিপূর্ণ আদর্শবান ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায়, এর সবটুকু ছিল তাঁর মাঝে। জ্ঞানার্জন, তাকওয়া, দুনিয়া বিমুখতা, নেতৃত্ব, দ্বীনের সকল ময়দানে সেই যুগে ছিলেন অদ্বিতীয়। যারাই তাঁকে দেখেছে, তাদের বিস্ময় যেন মনকে কাবু করে ফেলেছে। যুগে যুগে অনেকেই তাঁর ইবাদত, যুহুদ নিয়ে বই রচনা করেছেন। তথাপি তার গোটা জীবনী আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই লেখক আব্দুল্লাহ আল মাসূম পুরো বইটি সাজিয়েছেন এই মহান খলিফার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কাহিনী। তুলে ধরেছেন পরতে পরতে থাকা শিক্ষাগুলো অত্যন্ত নিপুণভাবে।
-
Tk 198
Tk 267আলোকিত জীবনের প্রত্যাশায়
আজকাল দিন বদলের অনেক বুলি আমরা শুনতে পাই। ওদের চোখে-দিন বদল মানে অদ্ভুত রঙেঢঙে অবাধ্যতার মাঝে ডুবে থাকা। উন্মাদ হয়ে বিশ্বাস থেকে অবিশ্বাসে, আলো থেকে অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া। লক্ষ্য-উদ্দেশ্যহীন খাম-খেয়ালি জীবন চলা। মনে যা আসে, তা-ই করা। কিন্তু যারা বিশ্বাসী, তারা উন্মাআদদের মন-চাহি স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয় না। ওদের নিষ্ফল জাঁকজমকতা দেখে মোহাবিষ্ট হয় না। তারা পার্থিব এ জীবনকে আলোকিত করে তোলার পাঠ গ্রহন করে। এ জীবনকে কাগে লাগিয়ে আখিরাতের কামিয়াবি হাসিল করে।
-
Tk 198
Tk 267সিরাত কাননের মুঠো মুঠো সৌরভ
বইটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক, সমরবিদ ও সিরাত-বিশারদ শাইখ মাহমুদ শীত খাত্তাব রাহিমাহুল্লাহ। বইটির বিন্যাস প্রচলিত সিরাতগ্রন্থ থেকে একেবারেই আলাদা। শাইখ এখানে সিরাতশাস্ত্রের অনেকগুলো শাখার সারনির্যাস নিয়ে এসেছেন। তাই সিরাত পাঠের ভূমিকা হিসেবে বইটি বেশ উপযোগী মনে হয়। যারা দীর্ঘ পরিসরের সিরাত পড়ার পূর্বে গোটা সিরাতকে একনজরে দেখে নিতে চান, আমরা বলব, তাদের জন্য বইটি চমৎকার এক উপহার।
-
Tk 200
জীবনের প্রজ্ঞা পাঠ
সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণের জন্য দরকার সফল-সুন্দর মানুষ। আর চিন্তা-চেষ্টা-নিষ্ঠায় ঋদ্ধ সৌন্দর্যপ্রবণ, সত্যান্বেষী ও সৃষ্টিমুখর মানুষরাই সত্যিকারার্থে সফল। এ রকম মানুষেরাই গড়তে পারে প্রত্যাশিত পৃথিবী। তেমন পৃথিবী নির্মাণের জন্য প্রয়োজন সফল হওয়ার প্রশিক্ষণ। ‘সফলতার পাঠশালা’ সে প্রশিক্ষণেরই ম্যানুয়াল। এ পাঠশালা দীক্ষার দীপ্তি ছড়িয়ে জীবনের রংধনুকে করে তুলবে আরও উজ্জল, আরও তারকাময়। এ পাঠশালা শেখাবে- কীভাবে চিন্তা করতে হয়, চিন্তা গড়তে হয়। কীভাবে আত্মবিশ্বাসে জেগে উঠতে হয়; অন্যকে জাগিয়ে তুলতে হয়। এ গ্রন্থ যারা পাঠ করবে, আশা করি, তারা অনন্য এক জীবনবোধে স্পন্দিত হয়ে উঠবে। দুলে উঠবে অদ্ভুত এক জীবন-দ্যোতনায়। জীবন-সফলতার অনাবিল স্পর্শে যারা স্ফুরিত হতে চায়, তারাই মূলত এ বই হাতে নেবে।
-
Tk 200
Tk 400ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে নিয়েছে বিভিন্ন কারণে। তাদের কাজই হল ইসলামের খুঁত খুঁজে বের করে প্রচার করা। খুঁজতে গিয়ে তারা পেয়ে যায় পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের কিছু প্রলাপ, টেপ রেকর্ডার। ইসলামের দিকে তাক করে বাঁধা কয়েকটা প্রশ্ন। এর ভিতরেই প্রশ্নগুলোর ঘুরপাক, অপলাপ ও প্রোপাগান্ডা। যেগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আমরা হয়তো কখনো-সখনো হিমশিম খেয়েছি। কখনো আসতাগফিরুল্লাহ বলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। এ বইটি হল সেই আপত্তিগুলোর ধারাবাহিক জবাব। ‘যুক্তির জবাব যুক্তি’ এর আদলে গল্পের ভাষায় কথাগুলো উপস্থাপিত হয়েছে। বইটি পড়লে আপনি এ কথার সঙ্গে একমত হবেন যে, শরীয়তের হুকুমের কল্যাণ বুঝা সম্ভব। অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বাকস্বাধীনতার নষ্টামির এ যুগে এমন কিছু ভাবনার সংকলন দরকার যা ইসলামের ওপর আপতিত সমকালীন অভিযোগগুলোর জবাব দেবে। এ বইটি তেমনই একটি বই। গল্পের ভাষায় রচিত এই সংকলনটি আমাদের সংগ্রহে থাকার উপযুক্ত বই। বইয়ের ভেতরে রয়েছে- ১. না দেখে বিশ্বাস : মানবজন্মের সার্থকতা ২. দাসপ্রথা : ঐশী বিধানের সৌন্দর্য ৩. দক্ষিণ হস্ত মালিকানা : একটি নারীবাদী বিধান ৪. আরব সংস্কৃতি মানবো কেন? ৫. সমাধান কি মানবধর্মেই? ৬. বনু কুরাইজা ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৭. শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজঃ ওদের স্বপ্ন, আমাদের অর্জন ৮. শস্যক্ষেত্র ও নারী : সম্পত্তি, না সম্পদ? ৯. পরিপূর্ণ দাড়িঃ জঙ্গল, নাকি ছায়াবীথি? ১০. জিযিয়া :অমুসলিম নাগরিকের দায়মুক্তি ১১. বিজ্ঞান কল্পকাহিনী : শাশ্বত একত্ব, ১১ টি ছোটগল্প।চিত্রকল্পে এগিয়ে যাবে কাহিনী।প্রতি বাক্যে থাকছে রেফারেন্স। সংগ্রহে রাখা এবং উপহার দেবার মত একটি বই।
-
Tk 200
প্রচলিত ভুল-২
মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা-এর মুখপত্র মাসিক আলকাউসার। আলকাউসের অন্যতম জনপ্রিয় একটি বিভাগ ‘প্রচলিত ভুল’। না জানা, ভুল জানা, অতি অল্প জানার কারণে সমাজে নানাবিধ ভুল ছড়িয়ে পড়ে। সমস্যা আরো ভয়াল রূপ নেয় যখন এই ভুলগুলোকে সাওয়াব পাবার মাধ্যম হিসেবে মানুষ পালন শুরু করে। শুরু হয় নিত্য নতুন বিদয়াত। কখনো-বা সীমা ছাড়িয়ে চলে যায় কুফর, শিরকের গণ্ডিতে। মাসিক আলকাউসার এই ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই বইয়ে মহররম ১৪২৬ থেকে মহররম ১৪৩৩ হিজরি পর্যন্ত প্রকাশিত প্রচলিত ভুলগুলোই সংকলিত করা হয়েছে।
-
Tk 200
সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ
বিশ্রুত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল। মহানবি ﷺ-এর যুগে দুনিয়ার অন্যতম পরাশক্তি পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য বা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী। ‘একজন মহান সেনাপতির নেতৃত্বে এক উৎকৃষ্ট সেনাদলের হাতে সুবিখ্যাত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল মুসলিমদের করায়ত্ত হবে’-এমন সুসংবাদ দিয়েছিলেন মহানবি ﷺ। তাঁর সুসংবাদ বাস্তবায়নের গৌরব অর্জনে বহু সেনাপতি, খলিফা ও সুলতান কনস্ট্যান্টিনোপল জয়ের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। অবশেষে ১৪৫৩ সালে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করে রাসূলুল্লাহর সুসংবাদ বাস্তবায়নকারী ‘আমির’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এই বইয়ে ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ওই ঘটনার অনুপুঙ্খ বিবরণ উঠে এসেছে। তবে আলোচনার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আনাতোলিয়ায় উসমানি তুর্কিদের সালতানাত প্রতিষ্ঠার ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষয়িষ্ণু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন এবং উদীয়মান অটোমান সালতানাতের উত্থানের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাবলি পর্যালোচনা করা হয়েছে নির্মোহ দৃষ্টিতে। নিছক মৃত মানুষের কাহিনি সংকলন নয়; বরং ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সূত্রগুলোকে এক সুতোয় গাঁথার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে।
-
Tk 200
ইমানবৃক্ষ
মানুষ তার আহার ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে জমিনকে সাজিয়ে তোলে বিবিধ বৃক্ষরাজি আর পত্র-পুষ্প-পল্লবে। অনুরূপ মুমিন বান্দাও স্রষ্টাকে ভালোবেসে হৃদয়ে রোপণ করে বিশ্বাসের বীজ। রবের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য ও ধারাবাহিক সৎকর্মের মধ্য দিয়ে মুমিনের ক্বলবে সুপ্ত সেই বীজটিই পরিণত হয় ছায়াঘন চিরহরিৎ বৃক্ষে। পৃথিবীর উদরে অঙ্কুরিত বৃক্ষ যেমন বান্দার পার্থিব চাহিদা পূরণ করে, বান্দার হৃদয়ে উপ্ত ঈমানরূপী বৃক্ষও তেমনি ক্বলবকে রাখে রবের স্মরণে সদা জাগরূক; সবুজ ও প্রাণবন্ত। যাবতীয় সংকটে মুমিনকে ছায়া দিয়ে চলে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো। শির উঁচু করে দেখিয়ে দেয় শাশ্বত সত্যের পথ। বান্দাকে শামিল করে সিরাতুল মুস্তাকিমের গৌরবময় সফরে। কিন্তু মুমিন কী উপায়ে সজীব ও সতেজ রাখবে ঈমানবৃক্ষ? এই বৃক্ষের শাখাগুলোই-বা কী কী? অনাদর আর অবহেলায় কি এ বৃক্ষেরও মৃত্যু ঘটে? ড. ইয়াসির ক্বাদি তাঁর এই বইটিতে সেই সকল বিষয়ে নাতিদীর্ঘ অথচ সর্বাঙ্গীণ সুন্দর আলোচনা পেশ করেছেন। বিশ্বাসী হৃদয়মাত্রই এখান থেকে খুঁজে পাবে ঈমান পরিচর্যার নির্দেশনা, এগিয়ে যাবে চিরস্থায়ী সুখের আবাস ফেরদাউসের দিকে।
-
Tk 200
সাইকোলজিক্যাল ক্রাইসিস
নবিজির জীবনাদর্শ ও শিক্ষার প্রতিটি দিক প্রভূত কল্যাণময়। তাঁর জীবন-চরিতের সকল নির্দেশনাই ব্যবহারিক জীবনের যাবতীয় অসুস্থতা থেকে মুক্তির উৎকৃষ্ট অবলম্বন। মানুষের জীবনকে সর্ববিধ সুস্থতা ও স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার জন্য নবিজির জীবনধারা শ্রেষ্ঠতম নমুনা। বলার অপেক্ষা রাখে না, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিষ্ঠিত পন্থা হলো—কার্যকর চিকিৎসা। শরীরের সুস্থতা, আত্মার পবিত্রতা, চিন্তার স্বচ্ছতা আর মনের স্নিগ্ধতার পাশাপাশি উন্নত বোধ, কল্যাণ-অভিসারী দৃষ্টিভঙ্গি এবং সর্বোপরি কর্মের মাহাত্ম্য ও নৈতিক উচ্চতা অর্জনের জন্য যাবতীয় প্রেরণার উৎস হলো রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর রেখে যাওয়া আদর্শ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনোবিজ্ঞানের যত ব্যবস্থাপত্রই দিয়েছেন বা দিয়ে যাচ্ছেন, সেসবের চাইতেও ব্যাপক ও ফলপ্রসূ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রিয়নবির সুন্নাহসমূহে। মনোবিজ্ঞানীগণ সিরাতে নববি অধ্যয়ন করলেই দেখতে পাবেন, তাদের জন্য সেখানে মূল্যবান রসদপত্র থরে থরে সাজানো! এই বইটিতে সেসব বিষয়ে আলোচনার প্রয়াস পাব আমরা।
-
Tk 200
প্রচলিত মানহাজ
চিন্তাশক্তি মানুষের একটি মৌলিক গুণ; ব্যক্তিভেদে চিন্তা ও অন্তর্দৃষ্টি ভিন্ন হয়ে থাকে। ইসলামি শরিয়াহর বিধিবিধানের ক্ষেত্রেও চিন্তার স্বাতন্ত্র্য বা মতভেদ খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এই মতভেদকে অস্বীকার করার অর্থ হলো—মানবজাতির চিন্তার স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করা। যুগে যুগে বিভিন্ন ইস্যুতে এই মতভিন্নতার কল্যাণেই উম্মাহ পেয়েছে অসংখ্য জটিল মাসয়ালার সমাধান। কিন্তু শরিয়াহর ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে আমাদের মুসলিম সমাজ চরম দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন মুসলিম উম্মাহর মিলের জায়গা খোঁজা। একই সাথে মতভেদপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক খুঁজে বের করা। প্রচলিত মানহাজ সেই প্রচেষ্টারই একটি প্রতিফলন। গ্রন্থটিতে মতপার্থক্যপূর্ণ বিভিন্ন মাসয়ালা নিয়ে দালিলিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছে।
-
Tk 200
প্রজ্ঞায় যার উজালা জগৎ
ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হবেন যে মানুষটি, যার হাতে রচিত হবে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়, যাঁর জ্যোতির্ময় চিন্তার ছটায় ঝলকিত হবে পৃথিবী, তিনি যে চূড়ান্ত পর্যায়ের মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান মানুষ হবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বলা হচ্ছে জগতের জ্যোতি, মমতার মিনার, প্রজ্ঞার পুষ্প মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কথা। নতুন শতাব্দীর তরুণ প্রজন্মের মাঝে নবিজির বর্ণাঢ্য জীবনকে আত্মস্থ করার যে উদ্দীপনা শুরু হয়েছে, তা যুগপৎ বিস্ময়কর ও আশাজাগানিয়া। পাঠকের বিপুল চাহিদার ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত তাই প্রকাশিত হচ্ছে নবিজীবনের ওপর রচিত নানা আঙ্গিকের সাহিত্য। তবে, মাত্র ২৩ বছরের রিসালাতি জীবনে যে মেধা, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা দিয়ে তিনি ইতিহাসের খোলনলচে বদলে দিলেন, সেই প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার গল্পগুলো অচর্চিত রয়ে গেছে আমাদের সমাজে। প্রজ্ঞায় যাঁর উজালা জগৎ বইতে লেখকের মনোহর বর্ণনায় নবিজির প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গল্পের পাঠ আনন্দময় হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
-
Tk 200
বাংলাদেশের কৃষিজ উৎপাদনে উশর ও খারাজ
ফল ও ফসলের জাকাতকে উশর বলা হয়। বাংলাদেশে উশর সম্পর্কে আলোচনা ও সচেতনতা কম। সাধারণত মনে করা হয়, বাংলাদেশের জমি খারাজি; তাই এ দেশের কৃষিজ উৎপাদনের জাকাত আদায় করা অপরিহার্য নয়। এ ধারণা সর্বাংশে সত্য নয়। বাস্তবতা হলো এই যে, বাংলায় খারাজি ভ‚মির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উশরি জমি ছিল। তবে ইংরেজ আমলে খারাজব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়েছে এবং এর পুনঃপ্রবর্তন অপ্রয়োজনীয় ও অসম্ভব। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের মুসলিম মালিকানাধীন জমির উৎপাদনের জাকাত তথা উশর আদায় করা অপরিহার্য। এ বইয়ে এ সত্যটি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উশরের প্রয়োজনীয় বিধানাবলি উল্লেখ করা হয়েছে।
-
Tk 200
ইহাদের ভিড়ে
জহির শূন্যদৃষ্টিতে সোমার দিকে তাকিয়ে আছে। নীল শাড়ি পরিহিত মায়াবী তরুণী সোমা তার হাত ধরে বসে আছে। জহিরের মনে হলোÑতার শরীরে যদি শক্তি থাকত,তাহলে সে চিৎকার করে সোমাকে বলতÑতার একটি সুন্দর ছেলে হবে। যে ছেলে দুনিয়ার সেরা মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার একজন বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করবে। পদার্থবিদ্যায় সে নোবেল প্রাইজ পাবে। তার চাইতেও বড়ো কথাÑদুনিয়ায় সে-ই প্রথম টাইম ট্রাভেলের সূত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হবে। কিন্তু জহিরের গলায় একফোঁটা শক্তি নেই। সে কিছুই বলতে পারল না। শূন্য চোখে কেবল চেয়ে থাকল।
-
Tk 202
Tk 270হিজাবের বিধিবিধান
হিজাব সার্বক্ষণিক একটি ফরজ ইবাদাত। যা একজন নারীকে খুব সতর্কতার সাথে মেনে চলতে হয়। একজন নারীর জান্নাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে হিজাবের ভূমিকা অনেক বড়ো। যদি সে হিজাবের পাশাপশি অন্যান্য ভালো আমলগুলো করে, তা হলে সে জান্নাতে যাবে, ইন শা আল্লাহ। আর যদি সে হিজাব পালন না করে, তা হলে সে এর দ্বারা তার বাবা ও স্বামীকে দাইয়্যুস বানায়। যার ফলে সেই নারী নিজেকে-সহ তাদের সবাইকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। এখন প্রশ্ন আসে, হিজাব কী? হিজাবের পরিধি কতটুকু? মুখ ঢাকা কি হিজাবের অন্তর্ভুক্ত? শাড়ি পরলেও কি হিজাব পালন হয়? হিজাব ও জিলবাবের মধ্যে পার্থক্য কী? এরকম অসংখ্য খুঁটিনাটি প্রশ্ন আর পর্দার বিধান নিয়ে শাইখ আবদুল আযীয তারীফি রচনা করেছেন ‘আল-হিজাব ফিশ শারঈ ওয়াল ফিতরাহ’। বাংলাভাষী বোনদের জন্য হিজাবের গাইডলাইন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সেই বইটির অনুবাদ ‘হিজাবের বিধিবিধান’ নামে আমরা নিয়ে এসেছি, আলহামদুলিল্লাহ। আশা করছি প্রতিটি মুসলিম বোন এই বইটি কাছে রাখলে উপকৃত হবে, ইন শা আল্লাহ।