-
Tk 750
Tk 1,000হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি সিরিজ ১-৫
ইসলামের ইতিহাসের উৎসধারা হচ্ছেন নবীজির প্রিয় সাহাবিগণ। তাঁরা নবীজির প্রত্যক্ষ সাহচর্য লাভ করেছেন। নবীজির জীবন ও আদর্শ এ জগতে তাঁরাই সর্বপ্রথম সচক্ষে অবলোকন করেছেন। এ জন্য নবীজির বক্তব্য ও নির্দেশনা সংরক্ষিত হয়ে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। নবীজির হাদিস তাঁরাই প্রথম বর্ণনা করেছেন। তাঁদের এ বিরল অবদানের ফলশ্রæতিতে আমরা হাদিসশাস্ত্র সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি। তবে সাহাবিদের যুগে ব্যাপকভাবে হাদিসের সংকলন বিন্যস্ত না হলেও তাবেয়িদের যুগ থেকে এর ধারা শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে তৃতীয় শতাব্দী নাগাদ নবীজির হাদিস গ্রন্থাকারে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত হয়। ১১ হিজরিতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। নবীজির পরে তাঁরই সাহাবিগণ তাঁর উত্তরসুরীর ভূমিকায় ইতিহাসে আবির্ভুত হন। তবে নবীজির হাদিস সংকলন ও প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে নবীজির সকল সাহাবি একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। বরং তাঁদের কয়েকজন হাদিস সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ঐতিহাসিক বিভিন্ন সূত্রমতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সৌভাগ্যবান সাহাবিদের সংখ্যা এক লাখেরও কিছু বেশি। তাঁদের সকলে সাহাবি হলেও সবাই নবীজির সান্নিধ্যে সারাক্ষণ থাকার সময় পেতেন না। জীবিকা নির্বাহ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যস্ততার কারণে তাঁরা নিজেদের সুবিধেমতো নবীজির দরবারে আগমন করতেন এবং কুরআন ও সুন্নাহ থেকে জ্ঞান অর্জন করতেন। অতএব হাদিসের মতো শরিয়তের দ্বিতীয় প্রধান উৎসের সংকলন ও সংরক্ষণে সকল সাহাবি একই পর্যায়ের নয়; বরং এক্ষেত্রে তাঁদের কয়েকজন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবিদের সংখ্যা কত, এ নিয়ে হাদিসশাস্ত্রের মণীষী ও গবেষকদের মাঝে যথেষ্ট মতপার্থক্য পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে সমস্ত পরসিংখ্যান সামনে রেখে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবিদের সংখ্যা নিয়ে একাধিক মতামত থাকলেও সার্বিক হিসেবে তা দেড় হাজারের বেশি নয়। হাদিসশাস্ত্রের গবেষক ও পন্ডিতগণের বিশ্লেষণ ও অভিজ্ঞতার আলোকে হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবিদের তালিকা পাঁচটি স্তরে ক্রমবিন্যাস করা হয়েছে। উক্ত ক্রমবিন্যাস অনুসারে সব মিলিয়ে হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি হলেন সর্বমোট ১১১১ জন। তাঁরা সকলে মিলে সর্বমোট ৩১,৬৯৬ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক হাদিস বর্ণনাকারী নবীজির প্রথম দশ সাহাবির জীবন-তথ্য নিয়ে এ সিরিজটি প্রস্তুত করা হয়েছে। দীর্ঘ অধ্যয়ন ও গবেষণার পর ইতিহাস গবেষক ও লেখক আব্দুল্লাহ আল মাসুম সিরিজের প্রথম পাঁচজন হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবির জীবন ও অবদান গ্রন্থাকারে পাঠকমহলের হাতে তুলে দিলেন।
-
Tk 90
Tk 120প্রাচীন বাংলার দরবেশ
১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়েরও বহু আগে, সেই সপ্তম শতাব্দীতে এ ভূখণ্ডের সঙ্গে ইসলামের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই সময়ে সময়ে আরব-আজমের বহু পীর-দরবেশ ও ওলি-আউলিয়া এ দেশে এসেছেন। এ দেশের মাটি ও মানুষকে আপন করে নিয়ে ছড়িয়েছেন সত্য ও সুন্দরের আলোকধারা। জুলুম ও বঞ্চনার কবল থেকে আমজনতাকে মুক্ত করতে মুকাবিলা করেছেন স্থানীয় শাসকবর্গের নানাবিধ বাধা। কখনো জড়িয়েছেন যুদ্ধে, ঝরিয়েছেন খুন। শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে কখনো বিসর্জন দিয়েছেন নিজের জীবন। খলজিপূর্ব বাঙ্গালা মুলুকের এমনই তিন মহান দরবেশের সংগ্রামমুখর জীবন ও সময়কে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে এ বই। ইতিহাস ও কিংবদন্তির মিশেলে বিবৃত হয়েছে প্রাচীন বাংলার সমাজবাস্তবতা ও ইসলামপ্রচারের হৃদয়স্পর্শী উপাখ্যান।
-
Tk 225
Tk 300নববি চরিত্রের সৌরভ
স্বভাবতই যিনি বিশ্বনবির গৌরবোজ্জ্বল আসনে সমাসীন হবেন, সর্বশেষ নবি হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হবেন, তাঁর জীবন, জীবনাদর্শ ও স্বভাবচরিত্র হতে হবে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাঙ্গসুন্দর। আর বাস্তবে তেমনই অনন্য ও অসাধারণ ছিল প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনচরিত্র এবং গুণ ও বৈশিষ্ট্য। এমন সুন্দর সুনির্মল চরিত্রের একটিমাত্র দৃষ্টান্তও খুঁজে পাওয়া যাবে না মানবতার সমগ্র ইতিহাসে। প্রিয়নবির তুলনারহিত আখলাক-চরিত্র ছিল আল্লাহ তাআলার সম্পূর্ণ ইচ্ছানুবর্তী। এজন্যই তো তাঁর চরিত্রমাধুর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উম্মুল মুমিনিন আয়িশা রা. বলেছিলেন, তাঁর চরিত্র হলো কুরআন, তথা কুরআনের প্রতিবিম্ব ও প্রতিচ্ছবি, যাতে কুরআনি চরিত্রের সকল শোভা ও সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটেছে। কখনও মিথ্যা বলতেন না, ধোঁকা দিতেন না, প্রতারণার আশ্রয় নিতেন না এবং অশ্লীল আচরণ ও উচ্চারণের কাছেও ঘেঁষতেন না। মূর্খতা, বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা প্রতিশ্রুতির অন্যথা তাঁর স্বভাবে একদম ছিল না। সবসময় তাঁর ঠোঁটে লেগে থাকত জান্নাতি হাসির নুরানি উদ্ভাস, যা পরাজিত শত্রুর মনেও ছড়িয়ে দিত আশার আলো। মানবিক চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনে এবং আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ গঠনে অবশ্যই আমাদের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁর জীবনচরিতের দীপাধার থেকে আলো গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই সম্ভব জীবনের পিচ্ছিল, বন্ধুর ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ নিরাপদে পাড়ি দেওয়া। এ আলো ছাড়া কোনো ভালোই অর্জিত হতে পারে না কখনও কারও জীবনে। সফল ও আদর্শ মানুষ হতে হলে অবশ্যই গাফলতের এই জোয়াল কাঁধ থেকে নামাতে হবে এবং নবিচরিত্রের আলো নিজ জীবনে ধারণ করতে হবে। বস্তুত, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই হাদিস, সিরাত, শামায়িল, রিজাল ও তাবাকাত-বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থাবলি থেকে নির্বাচিত কিছু ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘নববি চরিত্রের সৌরভ’ নামক সংক্ষিপ্ত এ বইটি; যার প্রতিটি পাতায় ফুটন্ত গোলাবের মতোই ফুটে উঠেছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুপম চরিত্রের নির্মল দীপ্তি ও সৌন্দর্য….
-
Tk 300
Tk 400দ্য জেরুজালেম সিক্রেট
“দ্য জেরুজালেম সিক্রেট…” সময়ের সাথে পরিভ্রমণ; যা আপনাকে উত্তেজনাপূর্ণ ও দুঃসাহসিক যাত্রার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে দীর্ঘ দু’হাজার বছর ধরে চলে আসা এক রহস্যের অন্তরালে… নীলনদের তীরে এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের ধ্বংসাবশেষে পিয়েট জানসিন নামের এক হোটেল মালিকের লাশ পাওয়া যায়। রহস্যজনকভাবে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে নিয়ে তদন্তের ভার পড়ে লুক্সার পুলিশ ডিভিশনের ইনস্পেক্টর ইউছুফ খলিফার উপর। যতক্ষণে তিনি পিয়েট জানসিনের পরিচয় উদ্ঘাটন করেন, বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়েন পনের বছর আগেকার এক কেসে, যাতে নৃসংশভাবে এক মহিলাকে হত্যা করা হয়, আর দায়ী করা হয় এক নিরপরাধ লোককে। খলিফা তার উর্ধ্বতন অফিসারের আপত্তি উপেক্ষা করে সে কেসটি পুনর্নবীকরণ করেন। তখনই বাধ্য হয়ে ইসরায়েলি ইনস্পেক্টর বিন-রয়ের শরণাপন্ন হন। অন্যদিকে জায়নবাদী দখলদারিত্ব বিরোধী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লায়লা আল-মাদানি এক অজানা উত্স থেকে মধ্যযুগীয় নথি সম্বলিত একটি চিঠি পান। লায়লা চিঠির রহস্য উদ্ধারে নেমে যায়, এদিকে খলিফা ও বিন-রয় পিয়েট জানসিন সম্পর্কে আবিষ্কার করেন এক ভয়ংকর বাস্তবতা! তাদের সকলের তদন্তে জড়িয়ে পড়ে প্রাচীন জেরুসালেম, মধ্যযুগীয় ক্রুসেড ও ক্যাথারের রহস্যময় তথ্য এবং নাত্সীদের জঘন্য ইতিহাস। এভাবে দু’হাজার বছরের চলমান রহস্যের সমাধানে পরিভ্রমণ করতে হয় প্রাচীন, মধ্যযুগ ও বর্তমান যুগের ঘটনাপ্রবাহে… সর্বোপরি এ উপন্যাসটি উত্তেজনাপূর্ণ ও শাসরুদ্ধকর অ্যাডভেঞ্চারের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে আপনাদের…
-
Tk 247
Tk 330ইনসাইড দ্য আর্মি অব টেরর
বইটি কার জন্য? যদি আপনি আন্তর্জাতিক ঘটনা অনুসন্ধানে ব্রতী হন, কোন ঘটনার পর কোনটা, তো বইটি আপনার জন্য নয়। দুঃখিত। হ্যাঁ, আপনি যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আগ্রহী হন, তবে এই মুহূর্তে আপনার হাতে বিশ্বসেরা বইগুলোর একটি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলোয়াড়রা কিভাবে খেলে, কী দেখে সিদ্ধান্ত নেয়, কেমন সিদ্ধান্ত নেয়Ñসেসবের বিদঘুটে, অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং একই সাথে জটিল দিকগুলো লেখক তুলে এনেছেন দারুণ মুনশিয়ানায়, ঝরঝরে গদ্যে। বইটি পাঠ করার আগে পাঠকের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, বইয়ের একেবারে শেষ বাক্যটি না পড়া পর্যন্ত বই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসবেন না, কোনো মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকবেন। এ বইটিই এমন, যার প্রতিটি অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি অধ্যায় যেন প্রাসাদের একেকটি দেয়াল, একটি দেয়াল যার ভেঙে পড়লে পুরো প্রাসাদটিই ধসে পড়বে। এ কারণে বইটি পাঠ করতে হবে ভাবাবেগ বর্জন করে, কিছু তথ্য ও ঘটনা হয়তো আপনাকে আপনার পুরোনো বিশ্বাসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে।
-
Tk 187
Tk 250তবুও আমরা মুসলমান
ইতিহাসাশ্রয়ী মুসলিম মানসে তৈরি হওয়া হাজারো কাহিনির ভীড়ে এমন কিছু কাহিনি থাকে যার আবেদন মুসলিমদের কাছে কখনো ফুরিয়ে যায় না। যুগ-যুগান্তর ধরে এসব কাহিনি মুসলিমসমাজে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। মুসলমানের চেতনার বাতিঘরে জ্বালিয়ে রাখছে জ্বলে উঠার মশাল। ‘তবুও আমরা মুসলমান’ সুলেখক তামীম রায়হান-এর এমনই একটি বই, যা মুসলমানদের এক লহমায় তুলে নিয়ে যাবে ইতিহাসের বাহারি গুলিস্তানে।
-
Tk 350
Tk 500দ্য ক্রসিং
এই প্রথম বাংলাভাষায় প্রকাশিত হলো বিধ্বস্ত সিরিয়ার মৃত্যু-উপত্যকার সরেজমিন ধারাবর্ণনা! সিরিয়ার বিধ্বস্ত শহরে শহরে ঘুরে এক নারীসাংবাদিক তুলে এনেছেন সেখানকার অবর্ণনীয় মৃত্যুর ধারাবর্ণনা। সামার ইয়াজবেক নামের সেই সাংবাদিকের মৃত্যু-যাত্রা গ্রন্থের নাম ‘দ্য ক্রসিং’।
-
Tk 112
Tk 150মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল
১৫৫২ খৃস্টাব্দে উসমানি খেলাফতের এক তুর্কি অ্যাডমিরাল (নৌসেনাপতি) পর্তুগিজ জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে জাহাজ নিয়ে চলে আসেন ভারত মহাসাগরে। সেখানে প্রলয়ঙ্কাররী ঝড়ের কবলে পড়ে হারিয়ে ফেলেন তার নৌবহর, ভেঙে পড়ে তার যুদ্ধজাহাজ। বিপদসঙ্কুল অবস্থায় গিয়ে উঠেন হিন্দুস্তানের উপকূলে। সেখান থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে মুলতান, কাবুল, বুখারা, সমরকন্দ, ইরানসহ আরও নানা শহর ঘুরে হাজারো ঝঞ্ঝা পেরিয়ে একসময় উপস্থিত হন তুর্কিতে…। টান টান উত্তেজনা আর রহস্যময় সেই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সফরনামাই বিবৃত হয়েছে মিরআাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল বইয়ে। এ শুধু এক ভ্রমণকাহিনি নয়, যেনো ঐতিহাসিক সময়ের এক পরিপূর্ণ উপাখ্যান। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উপায় নেই…
-
Tk 154
Tk 220টেন মিথস এবাউট ইসরাইল
প্রতিটি সংঘাতের গোড়ায় রয়েছে ইতিহাস। অতীতের সত্য ও নিরপেক্ষ বোঝাপড়া শান্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। পক্ষান্তরে বিকৃত ও পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাস ধ্বংসের বীজ বোনে। ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংকট থেকে একথা সুস্পষ্ট যে ইতিহাসের বিকৃতি, এমনকি নিকট অতীতের ইতিহাস হলেও, তা অপূরণীয় দুর্যোগ বয়ে আনে। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে ইতিহাসের বিকৃতচর্চা নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং উপনিবেশবাদি দখলদার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই যে- মিথ্যাচার, বিকৃতচার বর্তমানেও চলমান এবং তা সংঘাত স্থায়ীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের অতীত ও বর্তমান নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সংঘাতের প্রকৃত কারণ বুঝে উঠা দায়। কিভাবে বিতর্কিত ভূমি ইজরাইল রাষ্ট্রের সম্পত্তি হয়ে গেল? জায়োনিস্ট ইতিহাসের আয়না এমনকিছু মিথের উপর দাঁড়িয়ে আছে যেগুলো অতি সূক্ষ্মভাবে এই ভূমির উপর ফিলিস্তিনিদের নৈতিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উদ্ভট বিষয় হচ্ছে পশ্চিমের অনেক ‘মূলধারার’ মিডিয়া ও রাজনৈতিক এলিট এসব রূপকথাকেই অমোঘ সত্য বলে মেনে নিয়েছে, এ কারণেই বিগত ষাট বছর কিংবা তারও অধিক সময় ধরে ইজরাইলিদের সকল অপকর্মের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিয়ে আসছে। এতেই শেষ নয়, রূপকথার প্রতি এই অন্ধ-ভালোবাসা পশ্চিমা সরকারগুলোকে সংঘাত নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণ থেকে বিরত রাখছে। সেসব রূপকথার আগল ভাঙতে এই বই। জনসম্মুখে যেগুলোকে ধ্রুব সত্য হিশেবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি ঐতিহাসিক তথ্যাবলির বস্তুনিষ্ঠ পাঠের মাধ্যমে সত্যের অপালাপ এই ও মিথ্যাচারের প্রাসাদ গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। বইয়ের মূল উপজীব্য হচ্ছে রংচঙে মিথ্যাচার এবং ঐতিহাসিক বাস্তবতার যুগপৎ প্রকাশ।
-
Tk 291
Tk 415সুপ্রভাত ফিলিস্তিন
বইটি মূলত একটি উপন্যাস। লেখক শুরুতেই স্বীকারোক্তি টেনেছেন–” এই বইয়ের সব চরিত্র কাল্পনিক। তবে ফিলিস্তিন এবং এ বইয়ে বর্ণিত ঘটনাগুলো, ইতিহাস ও উল্লেখিত ব্যক্তিত্ব — এসব কিছু বাস্তব। লেখক বেশ দীর্ঘ সময়ের( ১৯৪১-২০০২) ইতিহাস তুলে এনেছেন গল্পের ছায়ায়। আকর্ষণীয় শিরোনামে ছোট ছোট পর্বে অধ্যায় ভাগ করা হয়েছে। পুরো বইয়ে এমন পাঁচটি অধ্যায়ে ৪৮ টি পর্ব রয়েছে। প্রত্যেক পর্বের সময়কালও ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
Tk 266
Tk 380সুলতান কাহিনি
সুলতান কাহিনীর ভূমিকা: মুসলিম ইতিহাস তো বটেই, পৃথিবীর ইতিহাসে বংশানুক্রমিক শাসনব্যবস্থার সর্বশেষ এবং সবচে দীর্ঘ ধারাবাহিকটি ছিল উসমানি সাম্রাজ্য। দীর্ঘ ৬২৪ বছর ধরে তিন মহাদেশজুড়ে বিস্তৃত এই সাম্রাজ্যের বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয় খেলাফত শাসন বা মুসলিম সালতানাতের অধ্যায়। উসমানিধারা সমাপ্তির পর এখনো ১০০ বছর পেরোয়নি, অথচ এ সম্পর্কে বাংলাভাষী পাঠকেরা খুব বেশি অবগত নন। কারণ, উসমানি সাম্রাজ্য ও এর সুলতানদের ইতিহাস সম্পর্কে লেখালেখি তুর্কি ভাষায় মোটামুটি হলেও ইংরেজি ও আরবিতে সেই তুলনায় অপ্রতুল। বরং এ দুই ভাষায় যা কিছু লেখালেখি হয়েছে এবং হচ্ছে, এগুলোর বেশির ভাগই একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট। আরব ও তুর্কি ঐতিহাসিকদের কেউ কেউ যেমন কেবলই উসমানিদের প্ৰশংসা ও গুণগানে লিপ্ত, তেমনিভাবে ইংরেজদের বেশির ভাগ গবেষক উসমানিদের ত্রুটি অনুসন্ধানে ব্যস্ত। আর এ পর্যন্ত বাংলা ভাষায় উসমানিদের সম্পর্কে হাতে গোনা যে কয়েকটি বইপত্র লেখা হয়েছে, এর সামগ্রিক চিত্র এসব বই পড়ে পাঠকের সামনে ফুটে ওঠে, এমন দাবি পুরোপুরি সার্থক নয়। ব্যস্ততার অবসরে ইতিহাস পড়তে আমার ভালো লাগে। খেলাফতে রাশেদা, উমাইয়া ও আব্বাসিদের সম্পর্কে কমবেশি পড়েছি। কিন্তু উসমানিদের সম্পর্কে জানার আগ্রহে যখন বইপত্রের পাতা উল্টিয়েছি, তখন কেবলই যুদ্ধবিগ্রহের সমরবর্ণনা দেখে আগ্রহ হারিয়েছি। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান এবং কাতারের বেশ কয়েকটি গ্রন্থাগারে খুঁজে বেশ কিছু বই সংগ্ৰহ করি, যেগুলো একটু ভিন্ন আঙ্গিকে উসমানি শাসনকাল সম্পর্কে রচিত।
-
Tk 90
Tk 120ইলমে হাদিসের বরেণ্য নক্ষত্র সুফিয়ান সাওরি রহ.
ইলমে হদিসের বরেণ্য নক্ষত্র সুফিয়ান সাওরি রহ.-এর জীবন ও তাঁর জীবনযাপনের ওপর রচিত এক অসামান্য বই। ইলমে হাদিসের জন্য তাঁর ত্যাগ ও বিসর্জনের দাস্তান যে কোনো মুসলিমকে উদ্বেলিত করবে বার বার।
-
Tk 90
Tk 120সোনালি দিনের গল্প
উমাইয়া ও আব্বাসি খেলাফতের সময়কে সাধারণত ইসলাম ও মুসলমানদের স্বর্ণযুগ হিসেবে মূল্যায়ণ করা হয়। সে সময়কার কিছু বিস্ময়জাগানিয়া ও চমৎকার কাহিনির সন্নিবেশিত রূপ ‘সোনালি দিনের গল্প’। গল্পগুলোর মাধ্যমে সমকালীন মুসলিম জাহানের সাধারণ জনগণের চরিত্র, শাসকদের হিতাকাঙ্ক্ষা এবং মুসলিম সৈন্যদলের শৌর্য সম্পর্কে পাঠক একটা ধারণা এঁকে নিতে পারবেন হৃদয়পটে। উর্দু আরবি মিলিয়ে বিভিন্ন বইয়ের সহায়তা নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। তবে প্রতিটি গল্প বর্ণনা করা হয়েছে গল্পভাষ্যে। তাই পাঠক পড়ার সময় ভিন্ন এক অনুভূতি পাবেন। সেই সাথে তথ্যসূত্রও উল্লেখ করা হয়েছে।
-
Tk 225
Tk 300সিরাতের প্রচলিত ভুল
শুনতে অবাক লাগলেও সত্য, সিরাতের নানা এমন অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে আমাদের মধ্যে যেগুলোর ঐতিহাসিক সত্যতা পাওয়া যায় না। ঠিক ১২ই রবিউল আউয়ালেই কি রাসূল সাঃ পৃথিবীতে এসেছিলেন? রাসূলের সাথে বিয়ের সময় খাদিজার বয়স কত ছিল? এক ব্যক্তিকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে রাসূল কি সত্যিই বসেছিলেন পথের ধারে? রাসূলের জীবনের নানা চমকপ্রদ যেসব ঘটনা আমাদের মজলিশে-মাহফিলে বয়ান করা হয় সেসব কতটুকু নির্ভরযোগ্য? ইতিহাসে প্রথমবারের মত সিরাতের নানা বর্ণনাগুলো ঐতিহাসিকভাবে পর্যালোচনা করেছেন সৌদি আরবের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল আওশান। না, তিনি এই বইয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেন নি। শুধু ঐতিহাসিক সূত্রগুলো পর্যালোচনা করে দেখিয়েছেন। বিচক্ষণ পাঠক ঠিকই বুঝে নিবেন কোন বর্ণনা শুদ্ধ আর কোনটা প্রশ্নবিদ্ধ।
-
Tk 120
Tk 160সন্ধ্যাফুল
উপন্যাসের সাথে যদি চিন্তা-দর্শন ও আদর্শের মিশ্রণ ঘটানো যায় তাহলে কেমন হয়? নবন লেখক এহসানুল্লাহ জাহাঙ্গীর সে কাজটিই করেছেন তার রচিত প্রথম গ্রন্থ সন্ধ্যাফুল উপন্যাসে। এই উপন্যাসটি ছোট হলেও মূলত উপন্যাসের প্রচলিত ধারাকে ভাঙ্গার একটি মহৎ প্রয়াস। আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারি, প্রতিটি উপন্যাসে প্রধান শক্তি হিসেবে পাওয়া যায়—চরিত্রের রসায়নে গভীর জীবনবোধ, জীবনের বিস্ময়-বিস্তৃতি, হৃদয় ও স্বপ্ন ভাঙার মর্মর আওয়াজ, তীব্র ভাবাবেগ, সামাজিক টানাপোড়েন এবং মৈত্রীবাঁধন। কখনো পাই, বিকশিত জীবনের শৈল্পিক ক্যানভাস, বিশুদ্ধ স্নিগ্ধতায় মুখর প্রেমের মহরত, প্রকৃতির কীর্তনখেলার নান্দনিক পাঠ, সাম্য-মানবিকতার সৌন্দর্য। ‘সন্ধ্যাফুল’ উপন্যাসে আমরা এগুলোর সাথে সাথে নতুন কিছু দেওয়ার কোশেশ করেছি। যেটা একজন পাঠকের স্থায়ী উপকারের মধ্যে গণ্য হবে বলে আশা রাখি। উপন্যাস মানেই যে শুধু সাময়িক একটা ঘোর। আমরা এই বোধ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সন্নিবেশ ঘটিয়েছি উপন্যাসটিতে
-
Tk 105
Tk 140শান্তি একটি ফুলের নাম
কোনো এক রমজান মাস। হঠাৎ করে আমার মনে হলো, চারপাশে এত এত গল্প-উপন্যাস, যেখানে কেবল অর্থহীন সংলাপ, অবৈধ সম্পর্কের টানাপোড়ন, মিথ্যে সব কাব্য-কাহিনি। এমন কি হয় না—যেখানে গল্পের ভাঁজে ভাঁজে থাকবে ইসলাম, সত্য, সুন্দর জীবনের সরল পথ-পন্থা। যেখানে থাকবে শুদ্ধ সম্পর্কের বন্ধন; যেখানে অন্ধকারাচ্ছন্ন সামাজিক বলয় ভেঙ্গে উদয় হবে সোনালি সূর্য। সেই ক্ষুদ্র চিন্তা থেকে যাত্রা শান্তি একটি ফুলের নাম বইটি, বিশেষভাবে আমার বোনদের উদ্দেশ্যে লেখা। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার মনে হয়েছিল, এখন আমাদের যে বয়স, এখনই আমরা বোনেরা ইসলামের প্রকৃত আলোকে ধারণ করে পথ চলতে পারলে সে পথ হবে কেবলই শান্তির। যেখানে দুনিয়া এবং আখেরাত আমাদের জন্য হবে সুন্দর ও সম্মানজনক।