• Tk 165Tk 220

    নবীজননী মা আমেনা

    নবীজীবনী পড়ার সময় বারবার অনুধাবন করেছি—নবীজি ছিলেন একজন সর্বাঙ্গীন মানবিক মানুষ। মানুষের জন্য তাঁর ভালোবাসা ছিল বাঁধভাঙ্গা, প্লাবনের ঢলের মতো ভালোবাসতেন তিনি মানুষকে। এই যে মানবিক একজন মানুষ, মুসলিমদের ভালোবাসায় কাটত যাঁর দিন রাতের প্রতিটি মুহূর্ত, সেই মানুষটির কি তাঁর মায়ের কথা মনে পড়ত না? হঠাৎ কোনো রাতে ঘুম ভেঙে মায়ের জন্য কি তাঁর মন কেঁদে উঠত না? পৃথিবীতে আগমনের আগে হারিয়েছিলেন বাবাকে, মা যখন মারা যান তখন তাঁর বয়স মাত্র ছয় বছর; মায়ের কোনো স্মৃতি কি তাঁর মনে পড়ত? ছোট্টবেলায় হাত বুলিয়ে দেয়া মায়ের আদরগুলো কি অনুভব করতে পারতেন? মায়ের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির স্বাভাবিক প্রবণত। আর আমাদের নবীজি তো ছিলেন ভালোবাসার আধার, তাঁর অন্তরে মায়ের স্মৃতি কেমন করে বেজে উঠত—আমরা কেবল সেটা অনুধাবনই করতে পারি। আচ্ছা, কেমন ছিলেন নবীজির মা? কখনও কি জানতে ইচ্ছে হয়? ‘নবীজননী মা আমেনা’ বইটি লিখেছেন মিশরের প্রবাদপ্রতীম নারীলেখক ড. আয়েশা বিতনে আব্দুর রহমান। নবীজননীকে যে ভালোবাসায় তিনি এঁকেছেন কাগজরের অক্ষরে, এর আগে কেউ এভাবে অঙ্কিত করতে পারেনি তাঁর অবয়ব। হাদিস ও সিরাতের সূত্রে এক পরিপূর্ণ আমিনাকে তিনি তুলে এনেছেন পাঠকের দৃষ্টির আঙিনায়।

  • Tk 135Tk 180

    রঙিন মখমল দিন

    অনন্য গদ্যশৈলীর জাদুকর শরীফ মুহাম্মদ লিখেছেন তাঁর মখমল রঙিন শৈশবের আত্মজীবন। স্মৃতি হাতড়ে তুলে এনেছেন ফেলে আসা জীবনের হাসি-কান্না, প্রেম-বিরহ, স্বপ্ন-উৎকণ্ঠা। দরদে তড়পানো এক ঘোরলাগা গদ্যে বয়ান করেছেন সব, দুরন্ত শৈশবের সকল কিছু। ব্যক্তিত্বের আড়ালে ঘুমিয়ে থাকা এক শিশু খলবলিয়ে কথা বলেছে স্মৃতির বারান্দায় দাঁড়িয়ে। অতীতের রেহালে স্মৃতি সাজিয়ে একে একে বলে গেছেন তাঁর মায়ার শহর ময়মনসিংহের রোদেলা সকাল, ঘুরন্ত শহরের অলি-গলি, প্রথম পাঠ, পড়ালেখার জন্য ঢাকায়, মায়ের বিরহে আত্মরোদন, টুকরো প্রেম, কিংবদন্তির সাক্ষাৎ এবং আলো হাতে ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর এক সদ্যকিশোরের জীবনযাপন। এ যেন কিছুটা আত্মজীবন, অনেকটা শৈশব…! শরীফ মুহাম্মদ-এর মখমলরঙা শৈশবে আপনাকে স্বাগতম!

  • Tk 120Tk 160

    মানুষের শত্রু শয়তান

    নিজেকে সংশোধন করা কঠিন কিছু নয়। ইসলামের আদর্শপথে নিজেকে উৎসর্গ করা একদম সহজ। এই সহজ কাজটি আমাদের জন্য কঠিন করে দেয় শয়তান। স্বাভাবিকভাবে সকল পাপ কাজে মানুষকে তার বিবেক বাধা দেয়। নিজেই অনুভব করতে পারে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। এ অনুভবের গোড়াতে কঠোর হতে পারলে নফস পরাজিত হয়। শয়তান মার খেয়ে যায়। জীবনকে সফল করা মানুষের কাজ। আল্লাহর ভয় মনের ভেতর সবসময় জাগিয়ে রাখাই সফলতা। আল্লাহর রংয়ে জীবনকে রাঙানোর নাম সফলতা। ইসলামের নির্দেশগুলো ব্যক্তি জীবনে প্রস্ফুটিত করা হলো সফলতা। এটাই আল্লাহর রং। ‘আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং-এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই ইবাদত করি।’ (সুরা বাকারাহ, আয়াত ১৩৮) ব্যক্তিগত জীবনকে সাজাবার জন্য অনেক বড় আলেম হওয়ার প্রয়োজন নেই। যে কাজ করব সেটা ইসলামের নির্দেশিত পন্থায় করব। সেই পন্থা জেনে নেয়ার নাম ইলম। এই ইলম অর্জন করা ফরজ। এ সহজ একটি কাজও আমাদের করা হয় না। নানামুখী সমস্যায় জড়িয়ে যায়। সেই সমস্যা আরও দীর্ঘ হতে থাকে। তারপর সমাধানের নানা পথে আমরা ঘুরতে থাকি। এই জীবন সমস্যার পরতে পরতে শয়তান তার স্বার্থসিদ্ধি করে। মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তার কাজ আদায় করে নিতে চায়। শয়তানের চাওয়া পাওয়া কি তা জানা দরকার। তাকে চিনে রাখা দরকার। কীভাবে সে আসে, কী তার রূপÑএ ধারণা একজন মানুষের থাকলে তার চলার পথ সহজ হয়। মহান সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত পুরুষগণের মাধ্যমে আমাদেরকে তা অবগত করিয়েছেন। তাঁর ঐশীগ্রন্থের বিশদ বর্ণনা আমাদের জীবন পথের দিশা। তাঁর রাসুলের (সা.) নির্দেশনা আমাদের পাথেয়। শয়তান থেকে বাঁচার কর্মকৌশল গ্রহণ করতে হবে সেখান থেকে।

  • Tk 120Tk 160

    মক্কা শহরে ছদ্মবেশী এক খ্রিস্টানের দিনলিপি

    ১৮৯২ সালে এক ফরাসি খ্রিষ্টান ফটোগ্রাফার নিজের পরিচয় গোপন রেখে জাহাজে করে চলে আসেন মক্কায়। গোপনে সঙ্গে নিয়ে আসেন সদ্য আবিষ্কৃত একটি ক্যামেরা। কিন্তু আরবভূমিতে তখন ক্যামেরা বহন এবং পবিত্র স্থানের ছবি তোলা ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবু অদম্য ইচ্ছা নিয়ে এই ফরাসি খ্রিষ্টান ঢোকার চেষ্টা করেন মসজিদে হারামে। তারপর…? সেই সাহসী ফটোগ্রাফারের আরবভ্রমণের উত্তেজনাকর কাহিনি নিয়েই রচিত হয়েছে এ বই। তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন তার আত্মবয়ান। বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাঠক পাবেন ইতিহাসের অজানা অধ্যায় জানার দুরন্ত স্বাদ।

  • Tk 240Tk 320

    লাভ ইন হিজাব

    ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক মুসলিম তরুণী। তার বিয়ে হবে। বিয়ের আগে আর দশজন মুসলিম তরুণীর মতো তার মনেও আচমকা ডানা মেলতে শুরু করে হাজারও স্বপ্ন। স্বপ্ন বুনে নিজের আরাধ্য হবু স্বামীকে নিয়ে- কেমন সে স্বপ্নের পুরুষটি? ছোট একটি ঘর আর এক টুকরো সংসারের স্বপ্ন দেখে মেয়েটি। পাশ্চাত্যের ঝলমলে ইউরোপীয় শহর লন্ডনে বেড়ে ওঠা মেয়েটি সেখানে আবিষ্কার করে আরেক পৃথিবী। নানা জাতি আর বর্ণের মানুষের সংস্পর্শে এসে আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি হয় তার অন্দরমননে। ভালোবাসার মানুষ খুঁজতে খুঁজতে শুরু হয় তার মুসলিম আত্মপরিচয় উদ্ধারের এক অব্যক্ত সংগ্রাম। হিজাবের মোলায়েম অন্তরাল থেকে সে সংগ্রাম তাকে তুলে আনে অনন্য উচ্চতায়। পাশ্চাত্য সমাজে হৈ চৈ ফেলে দেয়া ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলার বই লাভ ইন আ হেডস্কার্ফ-এর লেখক শেলিনা জাহরা জান মোহাম্মদ। তিনি নিজেই তাঁর জীবনের সংগ্রাম-মধুর আত্মবয়ান বর্ণনা করেছেন বইয়ের কালো অক্ষরে। পাশ্চাত্যকে তিনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন উপমহাদেশীয় মুসলিম সমাজের কালোত্তীর্ণ সংস্কৃতির সঙ্গে।

  • Tk 90Tk 120

    কীর্তিমানদের ছেলেবেলা

    যারা কালোত্তীর্ণ, যারা কীর্তিমান—যুগে যুগে সেই সব মানুষের বন্দনা গাওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে কীর্তিগাথা। কাল পেরিয়ে মহাকালের পটে লেখা হয়েছে তাদের নাম। অক্ষয় হয়েছে তাদের কীর্তি। তাদের জীবনের নানা কাহিনী বিবৃত হয়েছে মানুষের মুখে মুখে। তেমনই কিছু দীপ্তিমান ক্ষণজন্মা মনীষীর জীবনের নানা দিক নিয়ে লেখা হয়েছে এ বই। তাদের বেড়ে উঠার গল্প বলা হয়েছে। হালকা মেজাজে। পরিশীলিত ঢংয়ে। পাঠক গল্পের আবেশে হারিয়ে যাবে। মুগ্ধতা নিয়ে পাঠ শেষ করবে। তারই ফাঁকে জানা হয়ে যাবে কিছু অসামান্য মানুষের কিংবদন্তিতুল্য জীবনকাহিনি। সেই জীবনের নানা বাঁক, নানা দিক। যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ত্যাগের ইতিহাস। আত্মদানের লোমহর্ষক বর্ণনা। প্রচেষ্টা ও উদ্যমের গল্প। তাদের কেউ কেউ দেশমাতৃকার তরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আবার কেউ কেউ জ্ঞান সাধনার জন্য জীবন বাজি রেখেছেন। কেউবা লক্ষ্যপানে ছিলেন অবিচল। অন্তহীন ছুটে চলেছেন। তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিয়েছেন। কঠিন বিপদের মুখেও নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য তাড়া করেছে তাদের। এক সময় সফলতা এসে তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়েছে—এমনই নানা মানুষের নানা কথা ছড়িয়ে আছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। যা আপনাকে ভাবাবে, আকুল করবে। অজান্তেই নিজের মাঝে বড় হওয়ার স্বপ্নের বীজ বুনে যাবে। বিকশিত ও সফল জীবনের হাতছানি দিবে। এসো, এখানে এসো, এখানে জীবনের জন্মসংগীত গাওয়া হয়। পাঠক গল্পগুলো পাঠ করে যারপরনাই অবাক হবেন। কেননা আমরা এতদিন যেসব কীর্তিমানের নাম শুনে এসেছি, শ্রদ্ধার সঙ্গে যাদের স্মরণ করেছি, লেখক সাগরের বুকে মুক্তো তালাশের মতো তাদের জীবনের সুন্দর একটা মুহূর্ত তুলে এনেছেন। যে মুহূর্ত তাকে পরবর্তী জীবনে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ইবনে জাহেজ, ইবনে হাইসাম, আল বিরুনি, ইবনে হাইয়্যান, আল হামাভি—এমন মহান পুরুষদের শৈশবের গল্প যতটা চিত্তাকর্ষক, তার চেয়েও দরকারি হলো শৈশবে তাদের বেড়ে উঠার শিক্ষা সম্পর্কে অবগত হওয়া। লেখক তাঁর বইয়ে গল্প বলতে গিয়ে ঠিক সে কাজটিই করেছেন।

  • Tk 105Tk 140

    খলিফা হত্যাকাণ্ড

    একের পর এক ঘটতে লাগলো হত্যাকাণ্ড। ইসলামি খেলাফতের প্রতিটি যুগ রক্তাক্ত হতে লাগলো প্রবল জিঘাংসায়। খোলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া, আব্বাসি, ফাতেমি, উসমানি… প্রতিটি খেলাফতের সিংহাসন ডুবে যেতে লাগলো রক্তের সহিংস ধারায়। ষড়যন্ত্র আর ক্ষমতার লড়াইয়ে খঞ্জরের ডগায় লেখা হতে থাকলো খলিফাদের রক্তাক্ত নাম ও শান-শওকত। খলিফাদের হত্যাকাণ্ডে লাল হয়ে গেলো ইতিহাসের সাদা পাতা…! কিন্তু কেন? কেন একের পর এক খুন করা হয়েছিলো খলিফাদের? কেন মুসলিম খেলাফত বারবার রক্তাক্ত হয়েছিলো আততায়ীর ছুরির আঘাতে? কেন মুসলিমবিশ্বের ওপর নেমে এলো ক্রমাগত অধঃপতনের নিকষ অভিশাপ? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই রচিত হয়েছে ইতিহাস অনুসন্ধানী গ্রন্থ- ‘খলিফা হত্যাকাণ্ড’।

  • Tk 90Tk 120

    নবীপত্নী মহিয়সী খাদিজা

    তিনি নবীজির প্রথম স্ত্রী, প্রথম মুসলিম। ইসলামের সর্বযুগের চার শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। একটি বিরামহীন, ছন্দপতনহীন, অনিন্দ্যসুন্দর জীবনের প্রতিচ্ছবি। যিনি ইসলামের প্রাথমিক দিনগুলোতে সর্বমুখী বিপদের মোকাবেলা করে নবীজির সহযোগিতায় জীবনের সর্বস্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। ছায়ার মতো তাঁর সঙ্গে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিলেন। সকল শঙ্কা, ভয়, দুশ্চিন্তা থেকে তিনি তাঁকে মুক্ত করে আনতেন নিঃস¦ার্থ ভালোবাসার স্নিগ্ধতায়। নবীজি তাঁর এ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের কথা আজীবন স্মরণ রেখেছিলেন। তাঁর পবিত্র হৃদয়ে খাদিজার স্মৃতি ছিল চির জীবন্ত, জাগরুক। আবদুল হামিদ মাহমুদ তহমাজ সিরিয়ার খ্যাতনামা আলেমদের একজন। গত শতকের শেষভাগে হানাফি ফিকহ সম্ভারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়েছে, শাইখ তহমাজের আল ফিকহুল হানাফিছ্যু ফি সাওবিহিল জাদিদ তার অন্যতম। বাংলাদেশের ধর্মীয় মহলেও কিতাবটি ব্যাপকভাবে পাঠ্য। যারা তাঁকে চেনেন, তাঁর রচনা সম্পর্কে তাদের নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সাইয়িদা খাদিজা গ্রন্থটিও তাঁর একটি অনবদ্য সংকলন। এতে তিনি সুনিপুণ হাতে বয়ান করেছেন উম্মুল মুমিনিনের জীবনালেখ্য।

  • Tk 225Tk 300

    জীবন ও সংগ্রাম

    মুফতী আমিনী রহ.-কে নিয়ে প্রকাশিত একমাত্র পরিপূর্ণ গ্রন্থ। লিখেছেন হজরতের ছেলে, জামাতা, সহ-সংগ্রামী, সহকর্মী, ছাত্র, একান্ত প্রিয়জন, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ প্রায় পঞ্চাশজন দেশবিখ্যাত ব্যক্তি।

  • Tk 45Tk 60

    বুদ্ধিদীপ্ত জাগরণের প্রত্যাশায়

    সাম্রাজ্যবাদের প্রশাসনিক নাগপাশ থেকে ইসলামি বিশ্ব মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তাদের চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসন আগের চেয়ে আরাে জোরদার হয়েছে। তাদের রেখে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থার বিষবাষ্পে আক্রান্ত হয়ে আছে মুসলিম তরুণসমাজ, তাদের প্রণীত আইন কানুন ও সামাজিক আচার আচরণে আটক হয়ে আছে ইসলাম ও মুসলিম জনগণ। সাম্রাজ্যবাদী গােষ্ঠির কোলে লালিত সন্তানরা এ উম্মাহর সামনে এক জীবন মরণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। এদের চিন্তা ও মনন, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে সাম্রাজ্যবাদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে। আমাদের প্রতিটি জনপদ এ আত্মবিকৃত শ্রেণির পদচারণায় কলুষিত। এরা আজ মুসলমানদের নির্বাহী ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি।

  • Tk 255Tk 340

    ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান

    ২০০১ সালে আমেরিকার সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন এক খৃস্টান নারী সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে গ্রহণ করেছিলেন ইসলাম। শুধু তাই নয়, ইসলাম গ্রহণের পর তিনি হয়ে উঠেন ইসলামের একজন অকুতোভয় দায়ি। মনে আছে সেই সাহসী নারীর কথা? পুরো পশ্চিমাবিশ্বকে যিনি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তার আত্মজীবনী বয়ান করে। তার নাম ইভন রিডলি (Yvonne Ridley)। পশ্চিমাবিশ্বে যিনি এক বিস্ময়ের নাম! ‘ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান’ তারই আত্মজীবনী গ্রন্থ। যেখানে তিনি টুইন টাওয়ার হামলা থেকে শুরু করে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তার আফগান যাত্রা, ওয়ার অন টেরর, তালেবানের হাতে বন্দী হওয়া, মুক্তি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার চমকপ্রদ কাহিনি বর্ণনা করেছেন নিঃশঙ্কোচে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম নিয়ে যে ভীতি ও শঙ্কা দিন দিন ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে, কীভাবে পশ্চিমারা ইসলাম ও মুসলিমদের দোষী সাব্যস্ত করে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করছে, নির্দোষ মানুষকে কীভাবে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মানবতার শত্রু বলে চিহ্নিত করছে- তার এক নির্মোহ বয়ান এ গ্রন্থ। তরুণ অনুবাদক আবরার হামীম অত্যন্ত পেশাদার ও দরদি কলমে তুলে এনেছেন ইভন রিডলির আত্মজীবনীর আনুপুঙ্খিক বয়ান। ভাষান্তর বর্ণনার ক্ষেত্রে তার মুন্সিয়ানা চোখে পড়ার মতো। সাবলীল গতির এ আত্মজীবনী পাঠ করে বুঝার উপায় নেই এটি তার প্রথম অনূদিত গ্রন্থ।

  • Tk 75Tk 100

    হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল

    অধিকাংশ কথা নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আপন চিন্তার প্রতিফল। আবশ্যিকভাবে এ অভিজ্ঞতা ও চিন্তা উদয় হয়েছে আমাদের সময়ের তরুণদের নিয়ে। যাদের আমি, দেখেছি, যাদের ব্যাপারে শুনেছি অথবা যাদের দেখিনি বা যাদের কিছুই শুনিনি—এমন সব তরুণ-তরুণীরা। মনােজাগতিক অনেক কষ্ট নিজের করে বয়ান করেছি। এ বই এই পৃথিবীর সকল দুঃখী কিশাের-কিশােরীর, তরুণ-তরুণীর, যারা ব্যস্ত পৃথিবীকে একদিকে সরিয়ে রেখে নিজের সঙ্গে নিজেই একলা কাঁদে।

  • Tk 120Tk 160

    আল-কোরআনের রহস্যময় চরিত্র হারুত মারুত

    হারুত মারুত সম্পর্কে প্রচলিত নানা কাহিনির উদ্ভব ঠিক কোথা থেকে, তা নিশ্চিত করে বলা পুরোপুরি সম্ভব নয়, তবে রহস্যময় চরিত্র নিয়ে নানা কিসসা-কাহিনি পৃথিবীর সর্বত্র প্রচলিত। ইসলামে সরাসরি হারুত মারুত নিয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না থাকলেও ইহুদি উপকথায় গল্প হাজার বছরের বেশি সময়জুড়ে এসব কাহিনির যোগান দিয়ে এসেছে গোটা মুসলিম বিশ্বে। এগুলোর অধিকাংশই মনগড়া রূপকথায় পরিণত হয়েছে। . ইতিহাসের পাঠাগারে ডুব দিয়ে এই রহস্যময় দুই চরিত্রের আদ্যোপান্ত সুলুক সন্ধান করেছেন লেখক-গবেষক আবদুল্লাহ আল মাসূম। মিথ আর রূপকথার বাহুল্য ছাপিয়ে তিনি আমাদের সামনে তুলে এনেছেন ইতিহাস ও দালিলিক উপস্থাপনার সুডৌল ধারাবর্ণনা। পাঠকমাত্রই মুগ্ধ হবেন লেখকের গবেষণালব্ধ উপস্থাপনায়।

  • Tk 150Tk 200

    হারুনুর রশিদের রাজ্যে

    আব্বাসি খলিফার জীবনের আদ্যোপান্ত : হারুনুর রশিদের রাজ্যে। খলিফা হারুনুর রশিদের ব্যক্তিজীবন, রাজ্যশাসন, উত্থান-পতন এবং সে সময়কার বাগদাদের আনুপুঙ্খিক বর্ণনা উঠে এসেছে বইটিতে। ইতিহাস পাঠে আগ্রহী যে কোনো পাঠককে আকর্ষণ করবে হারুনুর রশিদের সেই সময়কার বাগদাদের বর্ণনা।

  • Tk 245Tk 350

    হামজার খুনি

    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় প্রথম প্রথম ইসলামের দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন, মক্কার পৌত্তলিকরা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর ওপর। ঠিক এ সময়ে রাসুলের পাশে এসে দাঁড়ান মক্কার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হামজা রাদিয়াল্লাহু আনহু। শুধু পাশেই দাঁড়ালেন না, তিনি রাসুল ও ইসলামের সত্যায়ন করে কালেমা পড়ে মুসলিম হয়ে গেলেন। সুতরাং রাসুলের জীবনের অন্যতম অভয়াশ্রয় হামজা রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত তাঁকে নিদারুণ ব্যথিত করে। তিনি উহুদের প্রান্তরে হামজার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘোষণা করেন, হামজার হত্যাকারীকে কখনো ক্ষমা করা হবে না। যেখানেই তাকে পাওয়া যাবে সেখানেই তাকে হত্যা করা হবে। এই হত্যাকারীর নাম ছিল ওয়াহশি। মক্কার কুরাইশনেতা জুবাইর ইবনে মুতইমের ক্রীতদাস। খুনি ওয়াহশির জীবনের ক্রন্দন আর যাতনা নিয়ে রচিত হয়ে অনবদ্য এক উপন্যাস : ‘হামজার খুনি’!

  • Tk 225Tk 300

    হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ

    “হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ : শেষ সিপাহির রক্ত” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: পৃথিবীর ইতিহাসের স্মরণযােগ্য শাসকদের কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ আসসাকাফির নাম অনায়েসে সামনে চলে আসে। একসাথে ভালাে এবং মন্দ-দুই ময়দানেই তার মতাে প্রশ্নসিদ্ধ। ব্যক্তিত্ব দ্বিতীয় কাউকে হয়তাে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি ছিলেন উমাইয়া রাজবংশের বিখ্যাত শাসক। শুধু শাসকই নন, বলা যায় অন্যতম রক্ষাকর্তা। তার হাতেই উমাইয়াদের শাসন স্থিতি লাভ করে। হেজাজ ও ইরাকের ‘বিদ্রোহীদের তিনি পরাজিত করেন কঠোরহস্তে। পুরষ্কার হিসেবে খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান তাকে হেজাজ, ইয়েমেন ও ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত করেন। উমাইয়াদের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে খুব কঠোর ছিলেন হাজ্জাজ। দীর্ঘ শাসক-জীবনে প্রায় এক লক্ষের বেশি মানুষ তার হাতে নিহত হয়। এদের মধ্যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবিদের কয়েকজনও ছিলেন। অতি কঠোরতা ও মহান সাহাবিদের প্রাণ হরণ হাজ্জাজকে কলংকিত করে রেখেছে ইতিহাসে। এতে তার ভালাে কাজগুলাে ঢাকা পড়ে গেছে। কিন্তু তার ফিরিস্তিও অনেক লম্বা। উমাইয়া খেলাফতের সূচনাকালের গল্প বলার পাশাপাশি লেবাননী লেখক জুরজি যায়দান এখানে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের চরিত্রের কিছু ঝলক দেখিয়েছেন পাঠককে। হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফকে কেন্দ্র করে এ উপন্যাস নয়। উপন্যাসে পাঠক তার উপস্থিতি টের পাবেন সামান্য মাত্র। কিন্তু পুরাে উপন্যাস নির্মাণ হয়েছে তাকে কেন্দ্র করেই। এ উপন্যাসটি মূলত লেখকের ঐতিহাসিক সিরিজ উপন্যাসগুলাের একটি। উমাইয়া খেলাফতের উত্থান এবং আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইরের সাথে উমাইয়াদের লড়াই এই বইয়ের মূল পটভূমি। গল্পের স্বার্থে লেখক আরও কিছু ঐতিহাসিক ও কল্পিত চরিত্রকে এখানে স্থান দিয়েছেন। সেই চরিত্ররাই উপন্যাসের মূল অনুঘটক।

CATEGORIES