-
Tk 154
Tk 205খোঁপার বাঁধন
‘প্রদীপ্ত কুটির’ বইয়ের সেকেন্ড সিক্যুয়েল হলো ‘খোঁপার বাঁধন’। প্রদীপ্ত কুটির ছিলো মাহির-লাফিজার সংসার জীবনের সূচনা। তরুণ দম্পতি একজন আরেকজনকে সুন্নাহর আলোকে শুধরে দেয়, সুন্নাহর আলোয় তারা ঘর আলোকিত করতে চায়। প্রদীপ্ত কুটিরে প্রাধান্য পেয়েছে পরিবার। পরিবারের গণ্ডি পার হলে সমাজ। ‘খোঁপার বাঁধন’ পরিবারের গণ্ডি থেকে বের হয়ে সমাজটাকেও দেখতে চেয়েছে। মাহির-লাফিজার পাশাপাশি সমাজের চরিত্রগুলো কেমন, কিভাবে সেই চরিত্রগুলো সুন্নাহর আলোয় আলোকিত হতে পারে, তা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একজন মসজিদের ইমাম কিভাবে সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করতে পারেন, গ্রামের একজন মুরব্বি কিভাবে একটি কুপ্রথা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিতে পারেন, সামাজিক উদ্যোগ কিভাবে বড়ো গুনাহ থেকে বিরত রাখতে পারে এরকম কিছু আইডিয়া শেয়ার করা হয়েছে ‘খোঁপার বাঁধন’ বইয়ে। বাংলাদেশে ইসলামের ব্যাপারে যেসব প্রশ্ন উঠে, সেগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ হলো সাংস্কৃতিক প্রশ্ন। ‘ইসলাম বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে খাপ খায় না’ বা ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি ইসলামের কারণে কলুষিত হচ্ছে’ এরকম কথা অনেকেই বলে থাকেন। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় মাহির-লাফিজা এমন কথা শুনেছি। স্বামী-স্ত্রী গল্প করতে করতে সংস্কৃতি নিয়েও কথা বলেন। তারা দেখাতে চান উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে মুসলিম প্রভাব কিভাবে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছিলো। তারা কথা বলেন উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে পোশাকের বিবর্তন নিয়ে। সংস্কৃতির পাশাপাশি মাহির-লাফিজা সাহিত্য নিয়েও কথা বলেন। সাহিত্যকে কিভাবে বিচার করবো, সাহিত্য বিচারের মাপকাঠি কী হওয়া উচিত সেটা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন, সাহাবীদের সাহিত্যচর্চার আলোকে তারা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের সমাজ-সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কিভাবে ইসলামকে সামনে রেখে জীবনযাপন করতে পারে, তার একটি কল্পিত গাইডলাইন ‘খোঁপার বাঁধন’।
-
Tk 150
Tk 200কারাগারে সুবোধ – Karagare Subodh
এটি একটি উপন্যাস বলা যায়। এই বইয়ে আছে ‘সুবোধ’ নামের এমন একজন ছেলের গল্প যাকে তার বাবা মহামানব বানাতে চেয়েছিলেন। মানুষের ছেলেপেলে ডাক্তার হয় , ইঞ্জিনিয়ার হয়, ব্যবসায়ী হয়, চোর হয় , ডাকাত হয়; সুবোধের বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলে মহামানব হবে। তিনি তার ছেলেকে মহামানব বানাতে, ছেলের ওপর বিভিন্ন গবেষণা চালিয়েছেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর ছেলে সত্যিকার মহাপুরুষের সন্ধান লাভ করে। তার কাছে প্রেরিত দ্বীন এর সন্ধান লাভ করে। এবং তখন থেকে সুবোধ হয়ে যায় আব্দুল্লাহ। আর ঠিক সেই মূহুর্ত থেকে সুবোধের গল্প শুরু হয়। সুবোধের প্রথম পর্ব শেষে এবার এলো দ্বিতীয় পর্ব ‘কারাগারে সুবোধ’। এই পর্বে ভিন্ন এক সুবোধকে আবিষ্কার করবেন পাঠক। চার দেয়ালের মাঝে কেমন কাটছে তার জীবন, কীভাবে সে বন্দী থেকেও মুক্ত জানতে হলে পড়ুন।
-
Tk 157
Tk 210কারাগারের চিঠি
অসীম জ্ঞানের অধিকারী এই মহান মনীষী চাইলেই পারতেন কিতাবের ইলমের মাঝেই নিজের বিচরণ সীমাবদ্ধ রাখতে। কিংবা শাসকশ্রেণীর মতের সাথে সহাবস্থানে থেকে শান্তিময় বিলাসি জীবনযাপন করতে। কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছিলেন নববী পথ। কেবল জালিম শাসকের বিরুদ্ধে কেবল মৌখিক প্রতিবাদই জানাননি, বরং তাতার শাসক গাযানের বিরুদ্ধে জিহাদেও অংশগ্রহণ করেছেন। মিথ্যা অভিযোগের দায়ে বার বার জেলে গিয়েছেন, কিন্তু থেমে থাকেননি। জেলের মধ্যে বসেই লিখেছেন আকিদা, ফিকহ, কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যাসহ আরো অনেক বিষয়ের গ্রন্থ। বাতিলপন্থিদের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা চিঠির মাধ্যমে। কাফির শাসকদের নিকটও পাঠিয়েছেন, দাওয়াহ ও হুশিয়ারিমূলক পয়গাম। এই মহান ব্যক্তির কারাজীবনের সেসব ঐতিহাসিক চিঠিসমূহেরই এক অনবদ্য সংকলন এই বই—’কারাগারের চিঠি। যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল তারা আজ হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। তাদের নামটাও আজকের পৃথিবীতে অপরিচিত। কিন্তু ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাকে আল্লাহ তাআলা পরিচিত করিয়ে দিয়েছেন পুরো পৃথিবীর কাছে! আজকের যুগে এমন কোনো বৃহদাকার লাইব্রেরি পাওয়া দুষ্কর যেখানে ইবনে তাইমিয়্যার একটি বইও নেই। এমন একজন গবেষক আলিম পাওয়া দুষ্কর যিনি ইবনে তাইমিয়্যার থেকে জ্ঞান থেকে নিজেকে সমৃদ্ধ করেননি! তাঁর রেখে যাওয়া অমূল্য কিছু উপদেশের সংকলন নিয়েই বই “কারাগারের চিঠি”।
-
Tk 216
Tk 288যে আফসোস রয়েই যাবে
যে আফসোস রয়েই যাবে বইটিতে লেখক কুরআনুল কারীমে বর্ণিত ১৩টি আফসোসের বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যে আফসোসগুলো মানুষ শেষ বিচারের দিনে করবে। অথচ তখন আফসোস করেও কোনো লাভ হবে না। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস হতেও কিছু আফসোসের কারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কেন এই আফসোসের কথাগুলো দুনিয়ার মানুষকে আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন? এই আফসোসগুলো থেকে মুক্তি লাভের উপায় কী? আমরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হই, কোনো শাস্তির মুখোমুখি না হয়ে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যময় জান্নাতের জীবন লাভ করতে পারি এমন কিছু বিষয় কুরআন-হাদীসের আলোকে তুলে ধরে হয়েছে বইটিতে।
-
Tk 144
Tk 192ঈমান ধ্বংসের কারণ
ইসলামের বিশ্বাস ও চেতনা নিয়ে আজকাল সর্বমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ পরিস্থিতিতে একজন সাধারণ মুসলিমের পক্ষে তার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও আস্থাশীল থাকা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে এমন অনেকেই আজকাল জানে না, কোন বিশ্বাসটি তার মুসলিম-পরিচয়ের সাথে সাংঘর্ষিক। নিজেকে মুসলিম জাতিসত্তার একজন সদস্য বলে পরিচয় দিতে হলে কী কী বিশ্বাস লালন করতে হয় এবং কী কী বিশ্বাস বর্জন করতে হয়, অধিকাংশ মুসলিমই তা সম্পর্কে বেখবর। সেই উপলব্ধি থেকেই আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। বক্ষমান গ্রন্থটি আরব-বিশ্বের তাওহীদবাদী আন্দোলনের পুরোধা ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব রহিমাহুল্লাহ কর্তৃক রচিত ‘নাওয়াকিদুল ইসলাম’ গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যাকার শাইখ আবদুল আযীয ইবনু মারযুক তারীফি আরব-বিশ্বে একজন তাওহীদবাদী আলিম হিসেবে প্রসিদ্ধ। এই গ্রন্থে তিনি ঈমান বিনষ্টকারী দশটি বিষয় নিয়ে বাস্তবমুখী তথ্যনির্ভর আলোচনা করেছেন। একজন মুসলিমের জন্য এ বিষয়গুলো আত্মস্থ করা অত্যন্ত জরুরি। নতুবা যে-কোনো পন্থায় তার ঈমান হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
-
Tk 131
Tk 175হুজুর হয়ে হাসো কেন
একটা সময় ছিল যখন অনলাইন জগত ছিল সেকুলাঙ্গারদের কবলে, ইন্টারনেটে কেউ ইসলাম নিয়ে কথা বললে সবাই ছেঁকে ধরত। এরপর আসলো একটা সময় যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা চাইলেন তাঁর দ্বীনের কথা অনলাইনে ছড়াক, তাই তিনি তাঁর কিছু বান্দাকে এই কাজে নিয়োজিত করলেন। কিন্তু দেখা গেল যখন মুসলিম ভাইয়েরা বুদ্ধিমত্তার সাথে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেকুলাঙ্গারদের ধরাশায়ী করতে লাগলেন তখন সেই সেকুলাঙ্গাররা কুযুক্তি আর হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে আলোচ্য বিষয়গুলো থেকে মানুষদের দূরে সরিয়ে নিতে লাগলো। তখনই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ইচ্ছায় তাঁর এমন কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটলো যারা সেকুলাঙ্গারদের হাসি-ঠাট্টার জবাব হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই দিবে, কিন্তু দু’পক্ষের মাঝে মৌলিক কিছু পার্থক্য থাকবে। অনলাইন জগতে ‘হুজুর হয়ে’ এমনই একটি দল যারা এই কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সময়টা এমন এসেছে যে মিডিয়ার কল্যাণে (নাকি অকল্যাণে?) মানুষ এত নেতিবাচক বিষয় চারিদিকে দেখে যে তারা হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে বাস্তবতা থেকে দূরে থাকতে চায়। তাই ‘হুজুর হয়ে’ চেষ্টা করলো হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই জনসাধারণকে বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তারা হাসির ছলে আমাদের সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর অসংগতিগুলো তুলে ধরছে যেগুলো আমরা অনেকেই উপলব্ধি করি না বা করলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না। তাদের প্রচেষ্টা এমনই হয় যেন প্রত্যেক কাজেই কিছু না কিছু শিক্ষামূলক থাকে এবং সঠিক পথনির্দেশ পাওয়া যায়। তাদের এই উদ্যোগ যেন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং অফলাইনের মানুষও যেন এ থেকে উপকৃত হতে পারে সেজন্য ‘সমর্পণ প্রকাশন’-এর উদ্যোগে প্রকাশিত হচ্ছে ‘হুজুর হয়ে’ টিমের রম্য রচনা সমগ্র ‘হুজুর হয়ে হাসো কেন?’। আমরা দু’আ করি যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এর মাধ্যমে রসবোধসম্পন্ন চিন্তাশীল মানুষদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলেন এবং একে তাদের হিদায়াতের মাধ্যম বানিয়ে দেন।
-
Tk 202
Tk 270হিজাবের বিধিবিধান
হিজাব সার্বক্ষণিক একটি ফরজ ইবাদাত। যা একজন নারীকে খুব সতর্কতার সাথে মেনে চলতে হয়। একজন নারীর জান্নাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে হিজাবের ভূমিকা অনেক বড়ো। যদি সে হিজাবের পাশাপশি অন্যান্য ভালো আমলগুলো করে, তা হলে সে জান্নাতে যাবে, ইন শা আল্লাহ। আর যদি সে হিজাব পালন না করে, তা হলে সে এর দ্বারা তার বাবা ও স্বামীকে দাইয়্যুস বানায়। যার ফলে সেই নারী নিজেকে-সহ তাদের সবাইকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। এখন প্রশ্ন আসে, হিজাব কী? হিজাবের পরিধি কতটুকু? মুখ ঢাকা কি হিজাবের অন্তর্ভুক্ত? শাড়ি পরলেও কি হিজাব পালন হয়? হিজাব ও জিলবাবের মধ্যে পার্থক্য কী? এরকম অসংখ্য খুঁটিনাটি প্রশ্ন আর পর্দার বিধান নিয়ে শাইখ আবদুল আযীয তারীফি রচনা করেছেন ‘আল-হিজাব ফিশ শারঈ ওয়াল ফিতরাহ’। বাংলাভাষী বোনদের জন্য হিজাবের গাইডলাইন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সেই বইটির অনুবাদ ‘হিজাবের বিধিবিধান’ নামে আমরা নিয়ে এসেছি, আলহামদুলিল্লাহ। আশা করছি প্রতিটি মুসলিম বোন এই বইটি কাছে রাখলে উপকৃত হবে, ইন শা আল্লাহ।
-
Tk 42
ফী আমানিল্লাহ (রুকইয়াহ পকেট হ্যান্ড নোট)
এই প্রতিশ্রুতিটি আমরা দিনে কত শত বার পাঠ করছি! অথচ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আমরা হারহামেশাই শিরকে লিপ্ত হচ্ছি। আমাদের কাছে ইবাদাতের অর্থ যতটুকু না অস্পষ্ট, সাহায্য-প্রার্থনা মানে কী-তা আরও বেশি অস্পষ্ট। আকীদার এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি আমাদের কাছে অস্পষ্ট হওয়ার কারণেই তাবিজ-কবচ, কুফুরিতন্ত্র ও তাগুতের তোষামোদিতে ভরে গেছে সারা মুসলিম সমাজ আর উপরি-উক্ত প্রতিশ্রুতির বিপরীতে মুমিনদের মাঝে প্রসার ঘটেছে বিভিন্ন ধরনের শিরক ও কুফুরির।
-
Tk 294
Tk 392ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে রন্ধে ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিমা অপসংস্কৃতি, স্বাধীনতার নামে নানান বুলি আর আদর্শের যাঁতাকলে দ্বীন আজ মুসলিম ঘরের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েদের কাছে সেকেলে। এই আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে আমাদের মেয়েরা। ইসলাম সম্পর্কে, ইসলাম যে জীবন তাদের দিয়েছে তা সম্পর্কে আমাদের মেয়েদের জানাশোনা ভয়ংকর রকম কম। কোনো পাবলিক কিংবা প্রাইভেট ভার্সিটিতে যান, সেখানে ১০০ জন মেয়ের সাথে যদি আপনি ১০ মিনিট করে কথা বলেন ইসলামে নারীর অবস্থানের ব্যাপারে, ৯৫ জনের মাঝে কোনো না কোনো পয়েন্টে বিভিন্ন মাত্রার ইরতিদাদ দেখতে পাবেন। দেখবেন কোনো একটা বিষয়ে হয় কুরআনের আয়াতকে, না হয় স্পষ্ট কোনো হাদিসকে সে হয় অস্বীকার করছে, না হয় এ যুগে অচল বলে মন্তব্য করছে। তাদের অনেকেই ইসলামকে পুরুষতান্ত্রিক ও সেকেলে, আর পশ্চিমা সভ্যতাকে আধুনিক ও নারীবান্ধব বলে মনে করে। খুব স্বাভাবিক। ঘরে মায়ের নিগৃহীত জীবন আর টিভিতে পশ্চিমের বাঁধনহারা জীবন দেখতে দেখতে সে বড় হয়েছে। তুলনা করেছে। দুটোর কারণই তো আমরা পুরুষরা। মোদ্দাকথা হল আমরা পারিনি এবং করিনি। ফল হিসেবে চোখ ধাঁধানো শিশিরবিন্দুতে ধোঁকা খেয়ে পশ্চিমা মাকড়সার জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ছটফট করছে আমাদের প্রজাপতিরা। সেই পুরুষজাতিগত অপরাধবোধ থেকেই ডা. শামসুল আরেফীন বইটি লিখেছেন। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এর দ্বিতীয় পর্ব। লেখক এ বইতে দেখাতে চেষ্টা করেছেন পশ্চিমা সমাজের সাথে ইসলামের আদর্শিক দ্বন্দ্বটা কোথায়, কেন সবাই পশ্চিমের সাথে একাকার হতে পারছে, আর ইসলাম পারছে না। এছাড়া দেখাতে চেয়েছেন ইসলামের ব্যবহারিক প্রয়োগটা কেমন ছিল। পশ্চিমা আদর্শের ইতিহাস আর ইসলামের ইতিহাসের একটা তুলনামূলক চিত্র পাঠক পাবেন।
-
Tk 150
Tk 200চার বন্ধুর সমুদ্র অভিযান
ইশকুলের এক বাচ্চাকে পর্ণ দেখা অবস্থায় পেয়ে বড্ড হতচকিত হয়েছিলাম। একেবারে চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল আমার! আসলে এর জন্যে বাচ্চাটা যত-না দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী ওর অভিভাবকরা; যারা স্লেট-পেন্সিলের বদলে মুঠোফোন তুলে দিয়েছে ওর হাতে। অধিকাংশ অভিভাবকই বিনোদনের নামে ভিডিও গেইমস, কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশান মুভি তুলে দেন বাচ্চাদের হাতে। তারা হয়তো জানেনও না, এগুলো বিনোদনের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। বিকারগ্রস্ত করে তুলে শিশুদের। নিয়ে যায় এক অজানা অন্ধকারে। ওসব ছাইপাঁশ তুলে না দিয়ে যদি ঈমান জাগানিয়া কোনো বস্তু তুলে দিতাম শিশুদের হাতে, তবে হয়তো সমাজটাই পাল্টে যেত। বদলে যেত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রিয় ভাই আলী আব্দুল্লাহ বাচ্চাদের দেওয়ার মতো সুন্দর একটি উপহার নিয়ে এসেছেন। অবশ্যি বইটি এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টামাত্র। এটি হয়তো সব জঞ্জাল দূর করতে পারবে না, কিন্তু আমরা চাই—এর মাধ্যমে খুলে যাবে চিন্তার দিগন্ত। দূর হবে সব কালিমা। সুবাসিত হবে বিষাক্ত পবন। সে পবনে শিশুরা নিশ্বাস নেবে প্রাণ খুলে।