• Tk 259Tk 350

    সিসাঢালা প্রাচীর

    পাহাড়ঘেরা আশ্চর্য এক দেশ আফগানিস্তান—এশিয়া-ইউরোপের সদর দরজা। আরও আশ্চর্য সেই দেশের মানুষ—উদার, অকুতোভয়, আলখাল্লা-পাগড়ি-শ্মশ্রু-শোভিত এবং অতিমাত্রায় স্বাধীনচেতা। ইতিহাসের যে অপ্রতিরোধ্য সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন দুনিয়ার ১ কোটি ৩০ লাখ বর্গমাইল এলাকা দখল করে ঘোষণা করেছিল ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না’—সেই ব্রিটেন তিন দফা (১৮৩৯, ১৮৭৮, ১৯১৯) আফগানিস্তানে হামলা করে প্রতিবারই গো-হারা হেরে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়। পরাক্রান্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করতে যুদ্ধাভিযান চালিয়ে যায় টানা ১০ বছর (১৯৭৯-১৯৮৯) ধরে, কিন্তু মাথা-নত-না করা পশতুন-পাঠানদের কঠিন প্রতিরোধের মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে অবশেষে পিছু হটে। সবশেষে তালিবানকে বশ করতে মাঠে নামে দাম্ভিক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে (২০০১-২০২১) তারা আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে, হাজার হাজার সৈন্য হারায় এবং নাকে খত দিয়ে ঘরে ফেরে। এখন তালিবান হিন্দুকুশ পর্বতের চূড়ার মতোই আচ্ছামতো পাগড়ি পেঁচিয়ে মাথা উঁচু করে দেশ চালায়, আফগানিস্তান রয়ে যায় অজেয়। সিসাঢালা প্রাচীর এই অজেয়তাকেই উচ্চকিত করে। ইতিহাসের বই নয় এটা, প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের সাক্ষ্য। আল জাজিরা আহমাদ ফালুদ্দিনকে পাঠিয়েছিল ক্লান্ত পরাস্ত মার্কিনদের আফগানিস্তান থেকে পলায়নের ঘটনার প্রতিবেদন করতে। কিন্তু এ বই প্রতিবেদনও নয়, বরং সেই প্রত্যক্ষণ ও প্রতিবেদনের অভিজ্ঞতার প্রাণবন্ত বয়ান। লেখক বার বার গিয়েছেন আফগানিস্তানে, যোদ্ধা আর নেতাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, বন্ধু হয়ে মিশে গিয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ করেছেন সেই মুজাহিদদের মন যারা কখনোই হারে না।

  • Tk 94Tk 125

    সালাত নবীজির শেষ আদেশ

    দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নবী ﷺ-কে কী পরিমাণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল, তা আমাদের সবারই জানা আছে। তাঁর ওপর অপবাদ দেওয়া হয়েছিল, আঘাত করা হয়েছিল তাঁর সম্মানে। তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী, জাদুকর বলেছিল। সালাত আদায়ের সময় কাফিররা উটের নাড়িভুঁড়ি চাপিয়ে দিয়েছিল তাঁর পিঠে। তারা তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করতে চেয়েছিল কা’বার পাশে। একদিন যখন নবী ﷺ কা’বার পাশে ছিলেন, উকবা তাঁর গলার পাশে চাদর জড়িয়ে তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এত ত্যাগ, এত কষ্টের পর তিনি ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন—যাতে দুনিয়ায় আমরা সুন্দর জীবন নিয়ে বসবাস করতে পারি এবং পরে তাঁর সাথে মিলিত হতে পারি জান্নাতে। এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কারণে তায়েফে তাঁর ওপর নিক্ষেপ করা হয়েছিল পাথর, এমনি জুতোও! এই দ্বীন পৌঁছে দেওয়ার জন্য নবী ﷺ এত কষ্ট করেছেন। আর এই দ্বীনের খুঁটি হলো সালাত। যখন সালাত বিনষ্ট হবে, তখন দ্বীনের ভিত্তিও দুর্বল হয়ে পড়বে। দুঃখের বিষয় হলো, আজকের অনেক মুসলিমই সালাত আদায় করে না। একেবারেই সালাতের ব্যাপারে উদাসীন তারা। সালাতের গুরুত্ব, মহত্ত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে খুব সুন্দর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল। তাঁর সেই লেকচারের বাংলা অনুবাদ নিয়ে “সালাত : নবীজির শেষ নির্দেশ”

  • Tk 138Tk 184

    রঞ্জ মামার টেলিস্কোপ

    কিশোর-কিশোরীদের ভাবনার জগৎটা বিচিত্রময়। বিভিন্ন সময়ে তারা নানান স্বপ্নে বিভোর থাকে। আর তাতেই ডুবে থাকে সারাক্ষণ। তাই শুরুতেই যদি তাদের স্বপ্নগুলোকে ইসলামের সৌন্দর্যের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, তাদের কাছে তা আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তাহলে সারাজীবন তারা সুবাস ছড়াতে থাকবে। যেখানেই থাকুক, যে কাজেই থাকুক, আলোকিত করবে নিজেদের চারপাশ। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে ইসলামের শুভ্রতা ও সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আলী আবদুল্লাহ নিয়ে এসেছেন তার নতুন কিশোর উপন্যাস রঞ্জু মামার টেলিস্কোপ। লেখক এখানে চমৎকারভাবে গল্পাকারে সাজিয়েছেন ইদরীস n-এর কথা, হূদ n ও কওমে আদের কথা এবং সালিহ n, তাঁর উটনী ও কওমে সামূদের কথা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই বইটি কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ মানসিকতায় ও বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনায় বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং তাদের পরিচিত করাবে নবিদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে।

  • Tk 213Tk 284

    রবের আশ্রয়ে

    তুলা রাশি কোনো লোককে দিয়ে বাটি-চালান দেওয়ার দৃশ্য; ঘরবন্দি, শরীরবন্দির নাম দিয়ে শিরকি তাবিজের ব্যবহার; কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দুআগুলো বাদ দিয়ে শিরক-কুফর-মিশ্রিত মন্ত্র দ্বারা ঝারফুঁক—এগুলো এখনও গ্রামে বেশ প্রচলিত। গাঁয়ের লোকেরা অসুস্থ হলেই দৌড়ে যায় ভণ্ড কবিরাজদের কাছে। আর কবিরাজরা দুষ্ট জিন কিংবা শয়তানের সহযোগিতা নিয়ে বিভ্রান্ত করে সরলপ্রাণ মানুষদের। অনেক সময় মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নেয় আশু-বিপদের ভয় দেখিয়ে। কিন্তু দিনশেষে ওদের চেষ্টা-তদবিরের মাধ্যমে রোগ-ব্যাধি আর সারে না। আল্লাহ তাআলা কুরআন নামক এক বিশেষ নিয়ামাত এই উম্মাহকে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আর আমি কুরআন নাজিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।” [সূরা বানী ইসরাঈল, ৮২] আমরা যদি কুরআনকে আর কুরআনের ব্যাখা হাদীসকে আঁকড়ে ধরতাম, তবে হয়তো কোনো কবিরাজ, জাদুকর কিংবা ফকিরদের কাছে দৌড়তে হতো না দৈনন্দিন সমস্যাগুলো নিয়ে। গলায় বাঁধতে হতো না কুফুরি-কালামের তাবিজ, কোমরে ঝুলত না রঙিন পৈতা, বাজুতে থাকত না কড়ি কিংবা শেকড়বাকড়। কুরআন-সুন্নাহ’য় বর্ণিত দুআ-দরুদের মাধ্যমেই জিন, জাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা ও বিভিন্ন রোগবালাই থেকে বাঁচাতে পারতাম নিজেদের। আশার কথা হলো, ইদানীং অনেকেই সচেতন হয়েছেন বা হচ্ছেন। শিরক-কুফর-যুক্ত তাবিজ-তুমার-মাদুলির বদলে কুরআন-সুন্নাহ’য় বর্ণিত দুআ, যিকর ও চিকিৎসা-পদ্ধতির শরণাপন্ন হচ্ছেন। মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করানোর বদলে সুন্নাহ-নির্দেশিত পন্থায় ঝাড়ফুঁক করাচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের জন্যেই হাফিয আল-মুনাদি লিখেছেন “রবের আশ্রয়ে”। বইটিতে মানুষের বানানো কোনো মন্ত্র কিংবা শিরকি-পদ্ধতি স্থান পায়নি। নিরেট কুরআন-সুন্নাহ’র নির্যাস থেকে জিন-জাদু-বদনজর ও রুকইয়ার পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন লেখক। ইন শা আল্লাহ বইটি আমাদের জন্য উল্লেখযোগ্য পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।

  • Tk 144Tk 192

    প্রদীপ্ত কুটির

    মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল না। এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন, তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিল। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরও যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়। সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি ‘প্রদীপ্ত কুটির’।

  • Tk 165Tk 220

    অনুসন্ধান

    অজ্ঞতা সংশয়ের প্রথম ধাপ। জ্ঞানের অভাবেই আমাদের অন্তরে দানা বাঁধে নানান সংশয়। এই সংশয়-সন্দেহের দোলাচলকে ঝেটিয়ে বিদায় করার জন্য জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই। আর জ্ঞানার্জনের প্রথম ধাপ হচ্ছে অনুসন্ধান। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বা অনুসন্ধান করে আমরা খুব সহজেই অল্প সময়ে অনেক তথ্য খুঁজে বের করতে পারি। আমরা অনেকেই ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে জ্ঞানার্জন করে থাকি। তবে জ্ঞানার্জনের উৎসটি নির্ভরযোগ্য কিনা তা লক্ষ রাখা জরুরী। ইসলামি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য উৎসের গুরুত্ব আরও বেশি। দ্বীন ইসলামের সকল শাখার ব্যাপারে বিশুদ্ধ আকিদার দলিলভিত্তিক একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট হচ্ছে islamqa.info এই সাইটে সমসাময়িক বিভিন্ন প্রশ্নের দলিলভিত্তিক উত্তর দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমান যেভাবে ইসলামবিরোধী অপপ্রচারের জোয়ার চলছে, দ্বীনের প্রাথমিক জ্ঞান না থাকলে ঈমান-আকিদা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই চিন্তা থেকেই islamqa-এর ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ নিয়েই ‘অনুসন্ধান’ বইটি। বইটিতে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ, নাস্তিকদের বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের জবাব, ইসলামে নারীদের অবস্থান, কুরআন সংরক্ষণ নিয়ে সংশয়ের জবাব, নবী ﷺ সম্পর্কে অপবাদের জবাব, তাকদির, জিহাদ, পৃথিবীতে মানব জীবনের দুঃখ-যন্ত্রণা এবং কুরআন-হাদিসের ব্যাপারে আরও কিছু ভ্রান্তি বা সংশয়ের জবাব প্রদান করা হয়েছে। ‘অনুসন্ধান’ সিরিজের প্রথম বই এটি। ইন শা আল্লাহ, এটিই শেষ নয়। জ্ঞানের অনুসন্ধানে দূর হোক অন্ধকার, জিজ্ঞাসার জবাবে হোক সংশয়ের অপনোদন।

  • Tk 206Tk 275

    অনেক আঁধার পেরিয়ে

    স্বপ্ন ঠিক করে দেয় ওরা… বড়সড় একটা ফ্ল্যাট, সিক্স ডিজিট স্যালারির জব, সুন্দরী বউ, গ্যারাজে লেইটেস্ট মডেলের গাড়ি, বছরে দুবার ট্যুর অথবা সাদা চামড়ার দেশের গ্রিন কার্ড… ব্যস তুমি সফল। সততা? আদর্শ? মূল্যবোধ? ধুর, ভুলে যাও ওসব! ছলচাতুরির চাদর গায়ে জড়িয়ে নাও নির্দ্বিধায়, দুরভিসন্ধির খেলা খেলে যাও শর্তহীনভাবে। সফল হতেই হবে নাহলে তুমি পিষ্ট হয়ে যাবে জন-অরণ্যের-সামাজিকতার-চাপে। তোমার জীবন হবে ষোলো আনাই বৃথা। আমরা ভুল করি। স্বপ্ন-সুখ ছোঁয়ার মাতাল নেশায় মত্ত হয়ে আর সবকিছুকে দূরে সরিয়ে গৃহপালিত জীবনযাপন করে পার করে দিই মাটির পৃথিবীর এই এক জীবন। সুখ পাই না। যারা লক্ষ্যে পৌঁছে তারাও অবাক হয়ে দেখে সেখানেও সুখ নেই। সুখ তা হলে কোথায়? কিছু কিছু মানুষ থাকেন ব্যতিক্রম। সুখ, সফলতা, স্বপ্নের আলেয়াকে ঠিকই তারা চিনতে পারেন। স্বপ্ন-বেচা চোরাকারবারিদের মধুর কথাও ভোলাতে পারে না তাদের। ঠিকই তারা চিনে নেন চিরসুখের, চিরশান্তির, চিরসফলতার সেই পথ। সুখ সন্ধানীদের ভালোবেসে চিনিয়ে দেন… পথিক, সুখ এই পথে, এ পথেই আছে… কী সেই পথ ? সেই পথের দিশা নিয়েই ‘অনেক আঁধার পেরিয়ে’

  • Tk 181Tk 242

    নবিজির পরশে

    রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কথা ছিল সংক্ষিপ্ত তবে ব্যাপক অর্থবোধক। আর এরকমই কিছু মৌলিক হাদীসের আলোচনা নিয়ে মাজলিস করেছিলেন আবূ আমর ইবনুস সালাহ রহ.। তিনি সেখানে ছাব্বিশটি মৌলিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। বলা হতো, সমগ্র দ্বীন এ ছাব্বিশটি হাদীসে অন্তর্ভুক্ত। পরবর্তীকালে ইমাম নববি রহ. প্রয়োজনের দিকে লক্ষ করে যুক্ত করলেন আরও কয়েকটি হাদীস। এতে করে হাদীস সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল বিয়াল্লিশে। মুসলিম-বিশ্বে যুগ যুগ ধরে ইমাম নববি সংকলিত এ হাদীসগুলো ‘ইমাম নববির চল্লিশ হাদীস’ নামে খুব সমাদৃত হয়ে আসছে। আরও পরে ফিকহ-শাস্ত্রের বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিস ইবনু রজব হাম্বলি রহ. তাঁর অনুসারীদের বারংবার অনুরোধে বুঝতে পারলেন, ইমাম নববি সংকলিত বিয়াল্লিশটি হাদীসের উপর একটি আলাদা ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রয়োজন। তিনি ‘জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম’ নামে সহস্রাধিক পৃষ্ঠার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রণয়ন করলেন। এ গ্রন্থে তিনি ইমাম নববি সংকলিত বিয়াল্লিশটি হাদীসের সাথে আরও আটটি হাদীস জুড়ে দিলেন। মোট হাদীসের সংখ্যা দাঁড়াল পঞ্চাশ-এ। কালোত্তীর্ণ এ গ্রন্থটি শতাব্দীর-পর-শতাব্দী পাঠকদের প্রিয়-গ্রন্থের তালিকায় স্থান করে আছে অনুবাদকদ্বয় এই সুবিশাল গ্রন্থ থেকে প্রতিটি হাদীসের সপেক্ষে সালাফদের বাণীগুলো চয়ন করে ক্রমান্বয়ে সাঁজিয়েছেন। অনেকটা রাসূল-ﷺ-এর হাদীসের ব্যাখ্যা সালাফদের মুখে শোনা। ফলে পাঠক একই সাথে নবিজির হাদীস, এবং এগুলোর ব্যাখ্যা সালাফদের বাণী থেকে শিখবে এবং আত্মন্নায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

  • Tk 35Tk 47

    মিউজিক শয়তানের সুর

    চারপাশে চোখ মেলে তাকান। স্কুল-কলেজ ইউনিভার্সিটি কিংবা রাস্তাঘাট, সর্বত্রই অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। এক উন্মাদ তরুণ প্রজন্ম আমাদের চোখের সামনে ঘুরঘুর করে। যাদের না আছে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য, না আছে কোনো প্ল্যান-পরিকল্পনা। এদের উদ্দেশ্য কেবল মজ-মাস্তি-এনজয়। এই যে একটা উন্মাদ প্রজন্ম দেখতে পাচ্ছেন, এর পেছনে কে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে? যিনা-ব্যভিচারের পথ কে তৈরি করে দেয়? ইসলাম থেকে কে দূরে সরায়? —মিউজিক। এটা অন্তরে নিফাকের বীজ বপন করে, শিরকের বীজ বপন করে। মানুষ যখন গান-বাজনার প্রতি আগ্রহী হয়, আসক্ত হয়, তখন এটা অন্তরের মদে পরিণত হয়। ইবনু তাইমিয়্যা (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “বাদ্যযন্ত্র অন্তরের মদ। মদের মতো এটিও অন্তরে নেশা সৃষ্টি করে।” (মাজমূউল ফাতাওয়া, ১০/৪১৭) এই নেশার ঘোরের কারণে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়। একজন মানুষের অন্তরে গান-বাজনার প্রতি যত বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়, সে দ্বীনদারি থেকে তত বেশি দূরে সরে যায়। ইসলামকে সে আর হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারে না। কুরআনের তিলাওয়াত শুনে মজা পায় না। নিফাকে জর্জরিত অন্তর থেকে একটা সময় আল্লাহর ভয় পুরোপুরি বিদায় নেয়। হারিয়ে যায় ঈমানের শেষ বিন্দুখানি।

  • Tk 35Tk 47

    কিয়ামুল লাইল

    কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ সালাতের উপর এক হৃদয়স্পর্শী আলোচনা।

CATEGORIES