• Tk 780Tk 960

    ছোটদের ঈমান সিরিজ

    শিশুরা গল্পপ্রিয়। তারা গল্প শুনতে চায়। গল্পের জগতে ডুবে থাকতে চায়। তাই শিশুদেরকে কোনো কিছু সহজে শেখানোর মাধ্যম হলো গল্প। এ গল্প হতে পারে সত্য কিংবা মিথ্যা; হতে পারে কার্টুন কিংবা কুরআন-হাদীসের গল্প। আপনি আপনার সন্তানকে কী ধরনের গল্প শুনাতে চান? আপনার ছোট্ট ভাই-বোনকে কোন ধরনের গল্প পড়াতে চান? আমরা চাই ছোটদেরকে গল্পে গল্পে ঈমান শিখাতে। মুমিন হওয়ার প্রথম শর্তই যে বিশুদ্ধ ঈমান! তাই ঈমানের তালীম হওয়া প্রয়োজন শৈশব থেকেই। আর এজন্যই ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে ছোটদের ঈমান সিরিজ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বইগুলোতে—আল্লাহ, ফেরেশতা, কিতাব, রাসূল, আখিরাত ও পুনরুত্থান দিবস এবং তাকদীর বিষয়ে গল্প বলা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গল্পই কুরআন, হাদীস কিংবা তাফসীর গ্রন্থকে অবলম্বন করে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি গল্পে রয়েছে আকর্ষণীয় রঙিন রঙিন ছবি।

  • Tk 697Tk 850

    ছোটদের আদব সিরিজ

    সবাই পৃথিবীর সেরা হতে চায়। তবে সেরা হওয়ার উপায় অনেকেই জানে না। সেরা হওয়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে আদব-আখলাক সুন্দর হওয়া। আদব-আখলাক সুন্দর হলে সবাই উপকৃত হয়। ব্যক্তি যেমন শান্তিতে থাকে, তেমনি শান্তিতে থাকে তার পরিবার। আর এর সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ে পুরো সমাজে।

  • Tk 697Tk 850 18% off

    ছোটদের আখলাক সিরিজ

    সবাই পৃথিবীর সেরা হতে চায়। তবে সেরা হওয়ার উপায় অনেকেই জানে না। সেরা হওয়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে আদব-আখলাক সুন্দর হওয়া। আদব-আখলাক সুন্দর হলে সবাই উপকৃত হয়। ব্যক্তি যেমন শান্তিতে থাকে, তেমনি শান্তিতে থাকে তার পরিবার। আর এর সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ে পুরো সমাজে।

  • Tk 690Tk 850

    ছোটদের প্রিয় রাসূল সা.

    শিশুরা বড় হবে। কিন্তু কার মতো? কার আদর্শে? আমরা শিশুকে প্রশ্ন করি, “তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?” কিন্তু কখনো কি প্রশ্ন করেছি, “তুমি বড় হয়ে কার মতো হতে চাও?” মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানুষ আমাদের প্রিয় নবি সা.। নবিজি শিশুদের ভালোবাসতেন। শিশুরাও তাকে প্রাণভরে ভালোবাসতো। প্রিয় নবি সা. যেন ছিলেন শিশুদের খেলার সাথী! চাইলেই তাঁর হাত ধরে টেনে নেয়া যেত। চাইলেই তাঁর কোলে উঠা যেত। কোনো শিশুর মন খারাপ দেখলে নবিজি বলতেন, “তোমার ছোট্ট পাখিটির কী হয়েছে?” এমন নবিকে ভালোবাসা ঈমানের দাবী। কিন্তু কিভাবে এই দাবি পূরণ হবে, যদি আমরা তাঁকে না চিনি? যদি তাঁর জীবনী না জানি? অচেনা কোনো মানুষকে কি ভালোবাসা যায়? গল্পে গল্পে প্রিয় নবিকে শিশুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আমরা নিয়ে এসেছি ‘ছোটদের প্রিয় রাসূল’। এই সিরিজের প্রায় প্রতিটি গল্পই কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি গল্পে রয়েছে আকর্ষণীয় রঙিন রঙিন ছবি। আমরা আশাবাদী, এই সিরিজটি পড়ে নবিজির প্রতি শিশুদের ভালোবাসা বেড়ে যাবে বহুগুণ। তারা নবিজিকে আদর্শ হিসেবে নিতে শিখবে। বড় হয়ে তাঁর মতোই হতে চাইবে।

  • Tk 690Tk 850

    ছোটদের নবি-রাসূল সিরিজ (৬ খণ্ড)

    হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন নবি-রাসূলগণ। যাঁরা এই সমাজটাকে আলোকিত করেছিলেন, তাঁদের জীবনটা কতই-না সুন্দর ছিল! আসলে, তাঁরা ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা মানুষ। আলোকিত মানুষ। আর তাই নবি-রাসূলগণ আমাদের মডেল, আমাদের আইকন। এই মহান মানুষদের সাথে এ প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের খুব ইচ্ছে হয়। এ ইচ্ছেটাকে সামনে রেখেই আমরা নেমে পড়ি লক্ষ বছরের ইতিহাস খুঁজতে। ইতিহাস হাতড়ে ২৫ জন নবির অসাধারণ ঘটনাগুলো হাজির করতে আমাদের লেগে যায় দু বছরেরও বেশি সময়। চমৎকার ঢঙে আমরা তুলে ধরেছি তাঁদের সাদাসিধে জীবন, তাঁদের সমাজ আর রাষ্ট্রের সৌন্দর্যগুলো। আমরা দেখতে পাব, এ-সব ঘটনা জীবন্ত হয়ে উঠেছে ‘ছোটদের নবি-রাসূল সিরিজ’-এ। শুধু গল্পই নয়, ‘ছোটদের নবি-রাসূল সিরিজ’ -এ থাকছে আকর্ষণীয় সব রঙিন ছবি আর মানচিত্র। আমরা এই সিরিজের ৬টি বইয়ে বানোয়াট কোনো কাহিনি দেইনি, বরং কুরআন-সুন্নাহ থেকে কেবল বিশুদ্ধ ঘটনাগুলোকেই সহজ-সরল ভাষায় গল্পে গল্পে বর্ণনা করেছি। গল্পগুলো আমরা কোথা থেকে নিয়েছি, ছোট ছোট হরফে লিখে দিয়েছি সেই রেফারেন্সগুলো। আর দেরি নয়, এবার জানতে হবে হাজার হাজার বছর ধরে আগমন-করা সবচেয়ে আলোকিত মানুষদের গল্পগুলো

  • Tk 294Tk 392

    ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০

    দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে রন্ধে ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিমা অপসংস্কৃতি, স্বাধীনতার নামে নানান বুলি আর আদর্শের যাঁতাকলে দ্বীন আজ মুসলিম ঘরের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েদের কাছে সেকেলে। এই আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে আমাদের মেয়েরা। ইসলাম সম্পর্কে, ইসলাম যে জীবন তাদের দিয়েছে তা সম্পর্কে আমাদের মেয়েদের জানাশোনা ভয়ংকর রকম কম। কোনো পাবলিক কিংবা প্রাইভেট ভার্সিটিতে যান, সেখানে ১০০ জন মেয়ের সাথে যদি আপনি ১০ মিনিট করে কথা বলেন ইসলামে নারীর অবস্থানের ব্যাপারে, ৯৫ জনের মাঝে কোনো না কোনো পয়েন্টে বিভিন্ন মাত্রার ইরতিদাদ দেখতে পাবেন। দেখবেন কোনো একটা বিষয়ে হয় কুরআনের আয়াতকে, না হয় স্পষ্ট কোনো হাদিসকে সে হয় অস্বীকার করছে, না হয় এ যুগে অচল বলে মন্তব্য করছে। তাদের অনেকেই ইসলামকে পুরুষতান্ত্রিক ও সেকেলে, আর পশ্চিমা সভ্যতাকে আধুনিক ও নারীবান্ধব বলে মনে করে। খুব স্বাভাবিক। ঘরে মায়ের নিগৃহীত জীবন আর টিভিতে পশ্চিমের বাঁধনহারা জীবন দেখতে দেখতে সে বড় হয়েছে। তুলনা করেছে। দুটোর কারণই তো আমরা পুরুষরা। মোদ্দাকথা হল আমরা পারিনি এবং করিনি। ফল হিসেবে চোখ ধাঁধানো শিশিরবিন্দুতে ধোঁকা খেয়ে পশ্চিমা মাকড়সার জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ছটফট করছে আমাদের প্রজাপতিরা। সেই পুরুষজাতিগত অপরাধবোধ থেকেই ডা. শামসুল আরেফীন বইটি লিখেছেন। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এর দ্বিতীয় পর্ব। লেখক এ বইতে দেখাতে চেষ্টা করেছেন পশ্চিমা সমাজের সাথে ইসলামের আদর্শিক দ্বন্দ্বটা কোথায়, কেন সবাই পশ্চিমের সাথে একাকার হতে পারছে, আর ইসলাম পারছে না। এছাড়া দেখাতে চেয়েছেন ইসলামের ব্যবহারিক প্রয়োগটা কেমন ছিল। পশ্চিমা আদর্শের ইতিহাস আর ইসলামের ইতিহাসের একটা তুলনামূলক চিত্র পাঠক পাবেন।

  • Tk 285Tk 380

    সায়েন্স ফিকশনস

    বিজ্ঞানের নামে আমাদের যা শোনানো হচ্ছে, তা সবই কি সত্য? নাকি ভারী ভারী গবেষণা আর চটকদার ফলাফলের আড়ালে কোনও ফাঁক-ফোকর লুকিয়ে থাকে? নামকরা সব জার্নালে প্রকাশিত হওয়া সব গবেষণা-পত্রই কি ‘সহীহ’? আসলে এভাবে বিজ্ঞান-কেন্দ্রিক গবেষণাগুলোকে প্রশ্ন করার চিন্তাও আমাদের মাথায় আসে না। কারণ, ‘গবেষণা’ শব্দটার প্রতিই আমাদের কেমন যেন এক মুগ্ধতা কাজ করে। ‘গবেষণায় পাওয়া গেছে’ বা ‘গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে’ এরকম বাক্য দিয়ে শুরু হওয়া কোনও আর্টিকেল বা প্রবন্ধ-নিবন্ধের ব্যাপারে আমাদের মনে যেন একটা অটোসাজেশন কাজ করে। ভাবখানা এমন যে, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন? তার মানে এটা বিলকুল সহীহ! অথচ বিজ্ঞানের নামে বিশ্বব্যাপী কত কত ভাঁওতাবাজি ছড়িয়ে আছে তা কি জানেন? গবেষকদের কথামতো ধ্রুবসত্য মেনে বসে আছেন, এমন বহু থিওরির পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই! মানে জোরালো তথ্য-প্রমাণ নেই। পক্ষপাত-দুষ্ট, মনগড়া, জোচ্চুরি-করা ওসব গবেষণার ক্ষতিকর প্রভাবটা দিনশেষে পড়ছে মেডিসিন, চিকিৎসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, সরকারি নীতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ সব সেক্টরে। বিজ্ঞানের অন্ধকার এই দিকটি নিয়ে তেমন কোনও লেখাজোখা চোখে পড়ে না। তবে এ-ব্যাপারে কলম ধরে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছেন স্টুয়ার্ট রিচি। নিজে একজন গবেষক হওয়ায় গবেষণা-খাতের হাঁড়ির খবর তার কলমে উঠে এসেছে কোনও রাখঢাক ছাড়াই। বাংলায় তার বইটিকে পাঠকদের জন্যে সহজবোধ্য করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি আমরা। চোয়াল-ঝুলে-পড়া সব বিস্ফোরক তথ্যের অপেক্ষা শুধু পাতা উলটালেই!

  • Tk 285Tk 380

    ইসলামি জীবনব্যবস্থার মূলনীতি

    এটি দর্শন, ধর্মতত্ত্ব কিংবা মেটাফিযিক্সের কোনো বই নয়। এই বই বাস্তবতা নিয়ে। বাস্তব সমস্যার বাস্তব সমাধান নিয়ে। দর্শন আর মিথ্যা দ্বীনের ভ্রান্ত ধ্যানধারণার স্তূপের নিচে মানবজাতি যখন হাহাকার করছিল, বিভ্রান্তের মতো মানুষ যখন ছুটে মরছিল মানবীয় জল্পনাকল্পনা আর অনুমানের গোলকধাঁধায়, তখন ইসলাম এসেছিল মানুষকে সেই আবর্জনার স্তূপ থেকে মুক্ত করতে। মানবজাতিকে ইসলাম উপহার দিয়েছিল এক নতুন জীবন, আল্লাহর নির্ধারিত এক নতুন ব্যবস্থা। কিন্তু আজ আলো ছেড়ে মানুষ আবারও সেই আবর্জনার স্তূপ আর গোলকধাঁধায় ফিরে গেছে। উম্মাহ আজ নিজের নেতৃত্বের দায়িত্ব ত্যাগ করেছে। তারা আজ ওই সব জাতির অনুকরণে ব্যস্ত, যারা নিজেরাই বিভ্রান্ত, আকণ্ঠ আবর্জনায় নিমজ্জিত। লাইব্রেরিগুলোতে ‘ইসলামি চিন্তা’ আর ‘ইসলামি দর্শনের’ শিরোনামে শত শত বই আছে। সেই লম্বা তালিকায় আরেকটি বই যুক্ত করার ইচ্ছে আমাদের নেই। আমরা চাই জ্ঞানকে শক্তিতে পরিণত করতে। এমন শক্তি যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে পৃথিবীতে তার উদ্দেশ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করতে। আমরা মানুষের ভেতরে ঘুমিয়ে-পড়া বিবেককে জাগাতে চাই, যেন সে ওহির আলোতে নিজ সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে পারে। এই বইটি ইসলামি ওয়ার্ল্ডভিউ এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো সংজ্ঞায়িত করার একটি প্রচেষ্টা। যাতে এ ওয়ার্ল্ডভিউ-এর আলোকে আমরা বুঝতে পারি মহান আল্লাহ আমাদের জন্য কেমন জীবন চান। একই সাথে ইসলামের এই সামগ্রিক ব্যাখ্যা থেকে চিন্তা, জ্ঞান ও সভ্যতাসহ—সব মানবীয় উদ্যোগের ব্যাপারে দিকনির্দেশনাও যেন আমরা পাই। ইসলামি ব্যবস্থা ও সভ্যতার মূল ভিত্তি হতে হবে সঠিক ইসলামি চিন্তাধারা। মন ও মস্তিষ্ক, উম্মাহ এবং মানবজাতি—সব ক্ষেত্রে এবং সবার জন্যই এই চিন্তাধারা প্রয়োজন।

  • Tk 278Tk 370

    জেগে ওঠো আবার

    কত মেঘ, কত রং, আর কত জোসনা। কুরআনের নান্দনিকতা ব্যাখ্যা করার জন্য এ বাক্যটি কতটা যুতসই? না, কুরআনকে আসলে সংজ্ঞার ফ্রেমে বাঁধা যায় না। এ এক মহা বিস্ময়ের নাম। আচ্ছা, কুরআনকে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পড়ার ইচ্ছে কি কখনো উঁকি দিয়েছে আপনার মনে? মানে, কুরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য, ব্যাকরণের সাত-সতেরো, আগের যুগের ইমামদের ব্যাখ্যা—কিংবা আধুনিক যুগের আয়নায় কুরআন পাঠ, এমন শত আকাঙ্ক্ষা ভর করেছে কখনো আপনার মাথায়? কুরআন কি হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে কথা বলে? কুরআন কি মানুষের প্রাত্যহিক একেবারে খুবই আটপৌরে বিষয় নিয়েও কথা বলে? আচ্ছা, কুরআন নিয়েও কি গল্প করা যায়? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মনে হামেশাই ঘুরপাক খায়। আপনার এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ‘জেগে ওঠো আবার’ বইটির পাতা ওলটালে। ঝরঝরে বাংলায়, অনেকটা সাহিত্যের ঢঙয়ে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে শত দৃষ্টিকোণ থেকে। বইটি পড়ার পর জ্যামে আটকে থাকা বাসে বসেও আপনি টের পাবেন—কুরআন আপনার সাথে কথা বলছে। অলস দুপুরে পুকুর ঘাটে বসেও আপনি অনুভব করবেন—কে যেন আপনার কানে কানে কুরআনের কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। জীবনের সাথে যদি কুরআনকে একাকার করে ফেলতে চান, যদি জীবনটা সাজাতে চান কুরআনের ছন্দ-সূত্র বা মূলনীতি মেনে, তাহলে আর এক পলকও দেরি নয়। খাটের কোণায় একটা সোনালি আলোর ল্যাম্প জ্বেলে, বালিশে হেলান দিয়ে ডুব দিন ‘জেগে ওঠো আবার’-এর রহস্য অরণ্যে—সেথায় কখনো মেঘ, কখনো রদ্দুর, আর কখনো জোসনা ফোটে।

  • Tk 259Tk 350

    সিসাঢালা প্রাচীর

    পাহাড়ঘেরা আশ্চর্য এক দেশ আফগানিস্তান—এশিয়া-ইউরোপের সদর দরজা। আরও আশ্চর্য সেই দেশের মানুষ—উদার, অকুতোভয়, আলখাল্লা-পাগড়ি-শ্মশ্রু-শোভিত এবং অতিমাত্রায় স্বাধীনচেতা। ইতিহাসের যে অপ্রতিরোধ্য সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন দুনিয়ার ১ কোটি ৩০ লাখ বর্গমাইল এলাকা দখল করে ঘোষণা করেছিল ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না’—সেই ব্রিটেন তিন দফা (১৮৩৯, ১৮৭৮, ১৯১৯) আফগানিস্তানে হামলা করে প্রতিবারই গো-হারা হেরে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়। পরাক্রান্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করতে যুদ্ধাভিযান চালিয়ে যায় টানা ১০ বছর (১৯৭৯-১৯৮৯) ধরে, কিন্তু মাথা-নত-না করা পশতুন-পাঠানদের কঠিন প্রতিরোধের মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে অবশেষে পিছু হটে। সবশেষে তালিবানকে বশ করতে মাঠে নামে দাম্ভিক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে (২০০১-২০২১) তারা আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে, হাজার হাজার সৈন্য হারায় এবং নাকে খত দিয়ে ঘরে ফেরে। এখন তালিবান হিন্দুকুশ পর্বতের চূড়ার মতোই আচ্ছামতো পাগড়ি পেঁচিয়ে মাথা উঁচু করে দেশ চালায়, আফগানিস্তান রয়ে যায় অজেয়। সিসাঢালা প্রাচীর এই অজেয়তাকেই উচ্চকিত করে। ইতিহাসের বই নয় এটা, প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের সাক্ষ্য। আল জাজিরা আহমাদ ফালুদ্দিনকে পাঠিয়েছিল ক্লান্ত পরাস্ত মার্কিনদের আফগানিস্তান থেকে পলায়নের ঘটনার প্রতিবেদন করতে। কিন্তু এ বই প্রতিবেদনও নয়, বরং সেই প্রত্যক্ষণ ও প্রতিবেদনের অভিজ্ঞতার প্রাণবন্ত বয়ান। লেখক বার বার গিয়েছেন আফগানিস্তানে, যোদ্ধা আর নেতাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, বন্ধু হয়ে মিশে গিয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ করেছেন সেই মুজাহিদদের মন যারা কখনোই হারে না।

CATEGORIES