• Tk 150Tk 177

    মনে মনে প্রধানমন্ত্রী

    বটতলার পাগলদের তো আমরা কমবেশ সবাই চিনি। যখন যা মনে আসে বলে বেড়ায়,উদোম গায়ে ঘুরে,রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। কেউ তাকে পোশাক পরতে বললে সে তেড়ে আসে। ইদানীং কিছু পাগলের আমদানি হয়েছে যারা নিজেদের শিক্ষিত বলে দাবি করে,তাদেরকেও ওরকম প্রলাপ বকতে দেখা যায়। এই পাগলরা বলে,তুমি আস্ত একজন পুরুষ,একজন টগবগে যুবক,তাতে কী হয়েছে? কাল সকালে ঘুম থেকে ওঠে ‘মনে মনে’ নিজেকে তুমি নারী ভাবলে। ব্যস,তুমি নারী হয়ে গেলে। একটু মেক-আপ করো,শাড়ি প্যাঁচাও,রংঢং করে হাঁটো—কেল্লাফতে! আবার একজন নারী,যার বয়স ত্রিশ ছুঁই ছুঁই,বিয়ের পাঠ চুকিয়ে এখন দু বাচ্চার মা,তাকে বলবে—‘তোমার কি নিজেকে পুরুষ পুরুষ মনে হয়? অত ভাবা-ভাবির কিছু নেই। তুমি পুরুষই। তোমার শারীরিক গড়ন যেমনই হোক না কেন,তুমি দু বাচ্চার মা হয়েছ তাতে কী,তুমি পুরুষ। একটু জিন্স-টি শার্ট পরো,বেটা বেটা কণ্ঠে কথা বলো—তোমাকে পুরুষ বলতে বাধ্য হবে সবাই।’ অবশ্য এরকম পাগলদের আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। এরা ঘাপটি মেরে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে,মিডিয়ার সাব-এডিটরের ডেস্কে,বুদ্ধিজীবীর মুখোশে টিভির টক-শোতে। মানববিধ্বংসী এ লোকগুলো একের পর এক চিকন চালাকি করে যাচ্ছে। সেই চালাকির নাড়ি-নক্ষত্র ঘেঁটে দেখাবে আমাদের এই মনে মনে প্রধানমন্ত্রী বইটি। এ স্মার্ট বুক আপনাকে বর্তমান বিশ্বের চালাকিগুলো ধরতে একটু হলেও সহায়তা করবে। বাঁচতে হলে,আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে আপনাকেই পড়ে দেখতে হবে মনে মনে প্রধানমন্ত্রী।

  • আমার দুআ আমার যিকর [ফ্লাশকার্ড] - Amar Dua Amar Jikir dini.com.bd
    Tk 150

    আমার দুআ আমার যিকর [ফ্লাশকার্ড]

    সন্তানের মুখে দুআ ও যিক্র শুনে মা-বাবার মন ভরে যায়। তাদের কোমল উচ্চারণগুলো শুনতে মধুর লাগে। শিশুরা রঙিন ও সুন্দর ছবি দেখে আনন্দ পায়। ফলে সেগুলোর মাধ্যমে সহজেই তাদেরকে শেখানো যায়। তাই শিশুদের কথা ভেবে তাদের উপযোগী করে রঙিন ছবি ও সুন্দর ডিজাইনে আমরা নিয়ে এসেছি ‘আমার দুআ আমার যিক্র’। এতে ১৬টি ফ্ল্যাশ কার্ডের একটি বক্সে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় দুআগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যা শেখা সবার জন্যই জরুরি। ফ্ল্যাশ কার্ডগুলোর বৈশিষ্ট্য : ১. এতে রয়েছে ১৬টি ফ্ল্যাশ কার্ড। ২. ১৬টি ফ্ল্যাশ কার্ডে রয়েছে মোট ২৪টি দুআ। ৩. প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় মাসনূন দুআগুলো এতে স্থান পেয়েছে। ৪. প্রতিটি দুআর সাথেই রয়েছে আকর্ষণীয় রঙিন ছবি। ৫. দুআগুলোর উচ্চারণ ও অর্থও দেওয়া হয়েছে। ৬. সহজে পড়ার জন্য সুন্দর ও স্পষ্ট আরবি ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

  • Tk 150Tk 200

    আমল ধ্বংসের কারণ

    আখিরাত সাজানোর সুযোগ কেবল দুনিয়ার এ জীবনটুকুই। এই জীবন ফুরাবার আগেই ঈমান-আমলের মাধ্যমে আখিরাতকে গুছিয়ে নিতে হয়। তবে অনেক আমল করার পরও কিছু কারণে সেসব বরবাদ হয়ে যাবার ভয় রয়েছে! পাহাড় পরিমাণ নেক আমল যদি চোখের পলকেই ধূলিকণায় পরিণত হয়, তবে বান্দার জন্য এর চেয়ে নিদারুণ দুঃসংবাদ আর কী হতে পারে? আমল ধ্বংস করতে প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের সূক্ষ্ম ফাঁদ তো রয়েছেই। এছাড়াও এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আমলকে আংশিকভাবে নষ্ট করে। আর কিছু কারণ তো এমন যে, তা ব্যক্তির আমলের খাতা একেবারে শূন্য করে দেয়। তাই এসব ব্যাপারে সচেতন না হলে আমল ধ্বংসের আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে স্বস্তির ব্যাপার হলো, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে আমল ধ্বংসের এসব কারণ জানিয়ে দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। এ বইটিতে আমল ধ্বংসের সে কারণগুলোই সরলভাবে বর্ণিত হয়েছে। মা-বাবার অবাধ্যতা, ভাগ্য গণনা করা, তাকদীর অস্বীকার করা-সহ আমল ধ্বংসকারী এমন সব বিষয় এ বইতে উঠে এসেছে- যা একজন মুমিনের না জানলেই নয়।

  • Tk 150Tk 200

    কারাগারে সুবোধ – Karagare Subodh

    এটি একটি উপন্যাস বলা যায়। এই বইয়ে আছে ‘সুবোধ’ নামের এমন একজন ছেলের গল্প যাকে তার বাবা মহামানব বানাতে চেয়েছিলেন। মানুষের ছেলেপেলে ডাক্তার হয় , ইঞ্জিনিয়ার হয়, ব্যবসায়ী হয়, চোর হয় , ডাকাত হয়; সুবোধের বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলে মহামানব হবে। তিনি তার ছেলেকে মহামানব বানাতে, ছেলের ওপর বিভিন্ন গবেষণা চালিয়েছেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর ছেলে সত্যিকার মহাপুরুষের সন্ধান লাভ করে। তার কাছে প্রেরিত দ্বীন এর সন্ধান লাভ করে। এবং তখন থেকে সুবোধ হয়ে যায় আব্দুল্লাহ। আর ঠিক সেই মূহুর্ত থেকে সুবোধের গল্প শুরু হয়। সুবোধের প্রথম পর্ব শেষে এবার এলো দ্বিতীয় পর্ব ‘কারাগারে সুবোধ’। এই পর্বে ভিন্ন এক সুবোধকে আবিষ্কার করবেন পাঠক। চার দেয়ালের মাঝে কেমন কাটছে তার জীবন, কীভাবে সে বন্দী থেকেও মুক্ত জানতে হলে পড়ুন।

  • Tk 150Tk 200

    চার বন্ধুর সমুদ্র অভিযান

    ইশকুলের এক বাচ্চাকে পর্ণ দেখা অবস্থায় পেয়ে বড্ড হতচকিত হয়েছিলাম। একেবারে চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল আমার! আসলে এর জন্যে বাচ্চাটা যত-না দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী ওর অভিভাবকরা; যারা স্লেট-পেন্সিলের বদলে মুঠোফোন তুলে দিয়েছে ওর হাতে। অধিকাংশ অভিভাবকই বিনোদনের নামে ভিডিও গেইমস, কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশান মুভি তুলে দেন বাচ্চাদের হাতে। তারা হয়তো জানেনও না, এগুলো বিনোদনের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। বিকারগ্রস্ত করে তুলে শিশুদের। নিয়ে যায় এক অজানা অন্ধকারে। ওসব ছাইপাঁশ তুলে না দিয়ে যদি ঈমান জাগানিয়া কোনো বস্তু তুলে দিতাম শিশুদের হাতে, তবে হয়তো সমাজটাই পাল্টে যেত। বদলে যেত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রিয় ভাই আলী আব্দুল্লাহ বাচ্চাদের দেওয়ার মতো সুন্দর একটি উপহার নিয়ে এসেছেন। অবশ্যি বইটি এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টামাত্র। এটি হয়তো সব জঞ্জাল দূর করতে পারবে না, কিন্তু আমরা চাই—এর মাধ্যমে খুলে যাবে চিন্তার দিগন্ত। দূর হবে সব কালিমা। সুবাসিত হবে বিষাক্ত পবন। সে পবনে শিশুরা নিশ্বাস নেবে প্রাণ খুলে।

  • Tk 144Tk 192

    সবর ও শোকর

    পরীক্ষা ঈমানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই পরীক্ষায় মুমিন উত্তীর্ণ হয় সবর ও শোকরের দ্বারা। যত রব্বানি আলিম আবেদগণ ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন, তাদের সবার প্রধান আমল ছিল সবর ও শোকর। সবর ও শোকর হচ্ছ লিফটের মতো, যে লিফটে দাঁড়িয়ে বান্দা দাসত্বের চূড়ায় পৌঁছে যায়। কিন্তু বর্তমানে এই দুটো আমল যেন একদম অপরিচিত হয়ে গেছে! মানুষ এখন সবর বলতে কেবল বোঝে বিপদের সময় ধৈর্য ধরা, এবং শোকর বলতে বোঝে প্রিয় কিছু পেলে ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ উচ্চারণ করা! . ফলশ্রুতিতে সবরের অভাবে ব্যক্তি হারাচ্ছে ঈমানী শক্তি, শোকরের অভাবে হারাচ্ছে প্রাপ্ত নিয়ামতরাজি। অথচ সবর ও শোকর মুমিনের প্রধান ঢাল হবার কথা ছিল! এদুটোই তার মোটিভেশনের মূল উৎস হবার কথা ছিল। এখন মুসলিম ঘরের সন্তানরা দ্বারস্থ হচ্ছে কাফের মুশরিকদের মোটিভেশনাল লেকচারের দিকে; তাদের রচিত গ্রন্থ থেকে শিখছে, কীভাবে জীবনের সকল নেতিবাচক মুহূর্তে নিজেকে সজীব রাখা যায়। সবর ও শোকরের সবক নিচ্ছে তাদের থেকে! . অনেক দেড়ি হলেও সবর ও শোকরের ওপর একটি বিখ্যাত গ্রন্থ অনুবাদ হয়ে আসার পথে। ইবনুল-কায়্যিম রহ. এর রচিত উদ্দাতুছ-ছবিরীন এর সংক্ষিপ্তসার। ইবনুল-কায়্যিম রহ.- আত্মশুদ্ধি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ইলমের রশ্মি তাঁর গ্রন্থ থেকে এত তীব্রভাবে প্রতিফলিত হয় যে, পাঠক মন বিমোহিত করে দেয়। সবর শোকরের বাস্তবতা কী, কীভাবে সবর করতে হয়, কীভাবে শোকর আদায় করতে হয়, কীভাবে এই দুটোর আমলের দ্বারা বান্দা তার দ্বীনদারির চূড়ায় পৌঁছে যায়, সেই দিশা মিলবে এই গ্রন্থে।

  • Tk 144Tk 192

    প্রদীপ্ত কুটির

    মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল না। এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন, তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিল। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরও যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়। সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি ‘প্রদীপ্ত কুটির’।

  • Tk 144Tk 192

    ঈমান ধ্বংসের কারণ

    ইসলামের বিশ্বাস ও চেতনা নিয়ে আজকাল সর্বমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ পরিস্থিতিতে একজন সাধারণ মুসলিমের পক্ষে তার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও আস্থাশীল থাকা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে এমন অনেকেই আজকাল জানে না, কোন বিশ্বাসটি তার মুসলিম-পরিচয়ের সাথে সাংঘর্ষিক। নিজেকে মুসলিম জাতিসত্তার একজন সদস্য বলে পরিচয় দিতে হলে কী কী বিশ্বাস লালন করতে হয় এবং কী কী বিশ্বাস বর্জন করতে হয়, অধিকাংশ মুসলিমই তা সম্পর্কে বেখবর। সেই উপলব্ধি থেকেই আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। বক্ষমান গ্রন্থটি আরব-বিশ্বের তাওহীদবাদী আন্দোলনের পুরোধা ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব রহিমাহুল্লাহ কর্তৃক রচিত ‘নাওয়াকিদুল ইসলাম’ গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যাকার শাইখ আবদুল আযীয ইবনু মারযুক তারীফি আরব-বিশ্বে একজন তাওহীদবাদী আলিম হিসেবে প্রসিদ্ধ। এই গ্রন্থে তিনি ঈমান বিনষ্টকারী দশটি বিষয় নিয়ে বাস্তবমুখী তথ্যনির্ভর আলোচনা করেছেন। একজন মুসলিমের জন্য এ বিষয়গুলো আত্মস্থ করা অত্যন্ত জরুরি। নতুবা যে-কোনো পন্থায় তার ঈমান হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

  • Tk 138Tk 184

    রঞ্জ মামার টেলিস্কোপ

    কিশোর-কিশোরীদের ভাবনার জগৎটা বিচিত্রময়। বিভিন্ন সময়ে তারা নানান স্বপ্নে বিভোর থাকে। আর তাতেই ডুবে থাকে সারাক্ষণ। তাই শুরুতেই যদি তাদের স্বপ্নগুলোকে ইসলামের সৌন্দর্যের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, তাদের কাছে তা আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তাহলে সারাজীবন তারা সুবাস ছড়াতে থাকবে। যেখানেই থাকুক, যে কাজেই থাকুক, আলোকিত করবে নিজেদের চারপাশ। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে ইসলামের শুভ্রতা ও সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আলী আবদুল্লাহ নিয়ে এসেছেন তার নতুন কিশোর উপন্যাস রঞ্জু মামার টেলিস্কোপ। লেখক এখানে চমৎকারভাবে গল্পাকারে সাজিয়েছেন ইদরীস n-এর কথা, হূদ n ও কওমে আদের কথা এবং সালিহ n, তাঁর উটনী ও কওমে সামূদের কথা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই বইটি কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ মানসিকতায় ও বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনায় বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং তাদের পরিচিত করাবে নবিদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে।

  • Tk 131Tk 175

    হুজুর হয়ে হাসো কেন

    একটা সময় ছিল যখন অনলাইন জগত ছিল সেকুলাঙ্গারদের কবলে, ইন্টারনেটে কেউ ইসলাম নিয়ে কথা বললে সবাই ছেঁকে ধরত। এরপর আসলো একটা সময় যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা চাইলেন তাঁর দ্বীনের কথা অনলাইনে ছড়াক, তাই তিনি তাঁর কিছু বান্দাকে এই কাজে নিয়োজিত করলেন। কিন্তু দেখা গেল যখন মুসলিম ভাইয়েরা বুদ্ধিমত্তার সাথে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেকুলাঙ্গারদের ধরাশায়ী করতে লাগলেন তখন সেই সেকুলাঙ্গাররা কুযুক্তি আর হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে আলোচ্য বিষয়গুলো থেকে মানুষদের দূরে সরিয়ে নিতে লাগলো। তখনই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ইচ্ছায় তাঁর এমন কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটলো যারা সেকুলাঙ্গারদের হাসি-ঠাট্টার জবাব হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই দিবে, কিন্তু দু’পক্ষের মাঝে মৌলিক কিছু পার্থক্য থাকবে। অনলাইন জগতে ‘হুজুর হয়ে’ এমনই একটি দল যারা এই কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সময়টা এমন এসেছে যে মিডিয়ার কল্যাণে (নাকি অকল্যাণে?) মানুষ এত নেতিবাচক বিষয় চারিদিকে দেখে যে তারা হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে বাস্তবতা থেকে দূরে থাকতে চায়। তাই ‘হুজুর হয়ে’ চেষ্টা করলো হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই জনসাধারণকে বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তারা হাসির ছলে আমাদের সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর অসংগতিগুলো তুলে ধরছে যেগুলো আমরা অনেকেই উপলব্ধি করি না বা করলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না। তাদের প্রচেষ্টা এমনই হয় যেন প্রত্যেক কাজেই কিছু না কিছু শিক্ষামূলক থাকে এবং সঠিক পথনির্দেশ পাওয়া যায়। তাদের এই উদ্যোগ যেন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং অফলাইনের মানুষও যেন এ থেকে উপকৃত হতে পারে সেজন্য ‘সমর্পণ প্রকাশন’-এর উদ্যোগে প্রকাশিত হচ্ছে ‘হুজুর হয়ে’ টিমের রম্য রচনা সমগ্র ‘হুজুর হয়ে হাসো কেন?’। আমরা দু’আ করি যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এর মাধ্যমে রসবোধসম্পন্ন চিন্তাশীল মানুষদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলেন এবং একে তাদের হিদায়াতের মাধ্যম বানিয়ে দেন।

CATEGORIES