• Tk 202Tk 270

    হিজাবের বিধিবিধান

    হিজাব সার্বক্ষণিক একটি ফরজ ইবাদাত। যা একজন নারীকে খুব সতর্কতার সাথে মেনে চলতে হয়। একজন নারীর জান্নাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে হিজাবের ভূমিকা অনেক বড়ো। যদি সে হিজাবের পাশাপশি অন্যান্য ভালো আমলগুলো করে, তা হলে সে জান্নাতে যাবে, ইন শা আল্লাহ। আর যদি সে হিজাব পালন না করে, তা হলে সে এর দ্বারা তার বাবা ও স্বামীকে দাইয়্যুস বানায়। যার ফলে সেই নারী নিজেকে-সহ তাদের সবাইকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। এখন প্রশ্ন আসে, হিজাব কী? হিজাবের পরিধি কতটুকু? মুখ ঢাকা কি হিজাবের অন্তর্ভুক্ত? শাড়ি পরলেও কি হিজাব পালন হয়? হিজাব ও জিলবাবের মধ্যে পার্থক্য কী? এরকম অসংখ্য খুঁটিনাটি প্রশ্ন আর পর্দার বিধান নিয়ে শাইখ আবদুল আযীয তারীফি রচনা করেছেন ‘আল-হিজাব ফিশ শারঈ ওয়াল ফিতরাহ’। বাংলাভাষী বোনদের জন্য হিজাবের গাইডলাইন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সেই বইটির অনুবাদ ‘হিজাবের বিধিবিধান’ নামে আমরা নিয়ে এসেছি, আলহামদুলিল্লাহ। আশা করছি প্রতিটি মুসলিম বোন এই বইটি কাছে রাখলে উপকৃত হবে, ইন শা আল্লাহ।

  • Tk 187Tk 250

    সন্তানের ভবিষ্যৎ

    সন্তান, সে তো আসমান থেকে পাওয়া। সন্তান, সে তো স্বর্গ থেকে আসা। সন্তান, সে তো স্বপ্ন দিয়ে বোনা সোনা-রঙা সোনালি ফসল। সন্তান পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের সম্পদ। সন্তান চোখের শীতলতা, অন্তরের কোমল উষ্ণতা, হৃদয়ের গহীনে সযত্নে চাষ-করা এক টুকরো মুক্তো। সন্তান মানে বেঁচে থাকার শক্ত অবলম্বন। সন্তান মানে সারাদিন ঘামঝরা ভীষণ খাঁটুনির পর এক অনাবিল প্রশান্তি। সন্তান মানে শত ঘুটঘুটে অন্ধকারেও আলোর ঝলকানি। সন্তান মানে অর্থবহ সার্থক বেঁচে থাকা। সন্তান মানে সহস্র হতাশার ভিড়েও আশার ফোয়ারা। সন্তানই তো উত্তপ্ত মরুভূমিতে ছায়া দেয়। হাড়-কাঁপানো-শীতে উষ্ণতা জোগায়। হাসি, খুশি আর আনন্দে জীবন রাঙায়। জীবনের শেষ বেলায় চশমা হয়ে পথ দেখায়, লাঠি হয়ে ভার নেয়, বাহন হয়ে সবখানে নিয়ে বেড়ায়, মুখে তুলে খাইয়ে দেয় আবার যত্ন করে ঘুম পাড়ায়। কিন্তু এতসব প্রাপ্তির তৃপ্তি পেতে সন্তানকে আগে ‘মানুষ’ বানাতে হয়, তিলে তিলে গড়ে তুলতে হয়, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর ফেলতে হয়। ওহির আলোয় আলোকিত করে আপনি আপনার সন্তানকে কীভাবে জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল করে গড়ে তুলবেন, সন্তানকে কীভাবে পৌঁছে দেবেন আলোর ঠিকানায় সেজন্যই আমাদের এই সবুজ আয়োজন——সন্তানের ভবিষ্যৎ।

  • Tk 187Tk 250

    আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেবো না?

    প্রায় দেড় হাজার বছর আগে প্রিয় নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ভালোবেসে কোনো এক মজলিসে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন। সেই মজলিসে আমরা থাকতে পারিনি; কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন। তিনি সাহাবিদের মজলিসে বসে থাকতেন, সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করতেন আর আমাদের প্রিয় নবিজি উত্তর দিতেন। কিন্তু কখনো কখনো নবিজি নিজেই আগ্রহ সহকারে বলতেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সর্বোত্তম বিষয়টি জানিয়ে দেবো না?’ ‘আমি কি তোমাদেরকে নামাজ-রোযার চেয়েও উত্তম আমলের কথা বলে দেবো না?’ সাহাবিরাও খুব আন্তরিকতার সাথে বলতেন, ‘অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি আমাদের জানিয়ে দিন।’ যে কথাগুলো নবিজি নিজ থেকে আমাদেরকে জানিয়ে দিতে চেয়েছেন, নিশ্চয়ই সে কথাগুলোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই আমরা নবিজির দরদমাখা সেই নির্দেশনাগুলো “আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেবো না” এই শিরোনামে একত্রিত করেছি। নবিজি এমন কী বিশেষ কথা আমাদের জন্য বলে গিয়েছেন, এমন কী গুরুত্বপূর্ণ আমলের খবর আমাদের দিয়েছেন, কারও কোনো প্রশ্ন করা ছাড়াই নিজ আগ্রহে তিনি কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন—চলুন জীবনে একবার হলেও সেগুলো জেনে নিই।

  • Tk 181Tk 242

    নবিজির পরশে

    রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কথা ছিল সংক্ষিপ্ত তবে ব্যাপক অর্থবোধক। আর এরকমই কিছু মৌলিক হাদীসের আলোচনা নিয়ে মাজলিস করেছিলেন আবূ আমর ইবনুস সালাহ রহ.। তিনি সেখানে ছাব্বিশটি মৌলিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। বলা হতো, সমগ্র দ্বীন এ ছাব্বিশটি হাদীসে অন্তর্ভুক্ত। পরবর্তীকালে ইমাম নববি রহ. প্রয়োজনের দিকে লক্ষ করে যুক্ত করলেন আরও কয়েকটি হাদীস। এতে করে হাদীস সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল বিয়াল্লিশে। মুসলিম-বিশ্বে যুগ যুগ ধরে ইমাম নববি সংকলিত এ হাদীসগুলো ‘ইমাম নববির চল্লিশ হাদীস’ নামে খুব সমাদৃত হয়ে আসছে। আরও পরে ফিকহ-শাস্ত্রের বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিস ইবনু রজব হাম্বলি রহ. তাঁর অনুসারীদের বারংবার অনুরোধে বুঝতে পারলেন, ইমাম নববি সংকলিত বিয়াল্লিশটি হাদীসের উপর একটি আলাদা ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রয়োজন। তিনি ‘জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম’ নামে সহস্রাধিক পৃষ্ঠার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রণয়ন করলেন। এ গ্রন্থে তিনি ইমাম নববি সংকলিত বিয়াল্লিশটি হাদীসের সাথে আরও আটটি হাদীস জুড়ে দিলেন। মোট হাদীসের সংখ্যা দাঁড়াল পঞ্চাশ-এ। কালোত্তীর্ণ এ গ্রন্থটি শতাব্দীর-পর-শতাব্দী পাঠকদের প্রিয়-গ্রন্থের তালিকায় স্থান করে আছে অনুবাদকদ্বয় এই সুবিশাল গ্রন্থ থেকে প্রতিটি হাদীসের সপেক্ষে সালাফদের বাণীগুলো চয়ন করে ক্রমান্বয়ে সাঁজিয়েছেন। অনেকটা রাসূল-ﷺ-এর হাদীসের ব্যাখ্যা সালাফদের মুখে শোনা। ফলে পাঠক একই সাথে নবিজির হাদীস, এবং এগুলোর ব্যাখ্যা সালাফদের বাণী থেকে শিখবে এবং আত্মন্নায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

  • Tk 176Tk 235

    সন্ধান

    গল্প-উপন্যাসে এমন কিছু চরিত্র থাকে, যেগুলো অজান্তেই দাগ কেটে চায় পাঠকের মানসপটে। নাড়িয়ে দেয় চিন্তার জগৎকে। পাঠককে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করে। সন্ধানীও তেমন একটি চরিত্র। তবে এটি গল্প-উপন্যাসে বর্ণিত নায়িকার মতো কোনো চরিত্র নয়। এই চরিত্র প্রতিনিধিত্ব করেছে সত্যান্বেষী এক নারীর। যে নারী সেক্যুলার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এবং সনাতন পরিবারে জন্ম নেওয়ার পরেও গতানুগতিক ধারায় পরিচালিত করেনি নিজেকে। আর আট-দশটা সনাতন ধর্মাবলম্বীর মতো চোখ বন্ধ করেই মেনে নেয়নি সনাতন ধর্মের প্রচলিত রীতি-নীতিকে। আশ্রয় নেয়নি মূর্তিপুজো নামক সনাতন পৌত্তলিকতার। সে খুঁজে বেড়িয়েছে সত্যকে। সন্ধান করেছে মুক্তির পথ। কল্যাণের পথ। এ পথে সে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে বহুবার। হাসি-ঠাট্টার শিকার হতে হয়েছে তাকে, শুনতে হয়েছে নিকটাত্মীয়ের গালমন্দ, সইতে হয়েছে বন্ধু-বান্ধবদের তাচ্ছিল্য, তবুও সে হাল ছাড়েনি। সত্যকে খুঁজে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সন্ধানী কি সত্যকে খুঁজে পেয়েছিল? সনাতন ধর্মের পৌত্তলিক রীতিনীতি ছেড়ে দিয়ে সত্য ধর্মের দিকে ফিরে আসতে পেরেছিল? পেরেছিল কি সংশয়ের আঁধার কাটিয়ে ওঠে সত্যের আলোয় অবগাহন করতে? জানতে হলে পড়ুন “সন্ধান” বইটি।

  • Tk 165Tk 220

    সুবোধ

    এটি একটি উপন্যাস বলা যায়। এই বইয়ে আছে ‘সুবোধ’ নামের এমন একজন ছেলের গল্প যাকে তার বাবা মহামানব বানাতে চেয়েছিলেন। মানুষের ছেলেপেলে ডাক্তার হয় , ইঞ্জিনিয়ার হয়, ব্যবসায়ী হয়, চোর হয় , ডাকাত হয়; সুবোধের বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলে মহামানব হবে। তিনি তার ছেলেকে মহামানব বানাতে, ছেলের ওপর বিভিন্ন গবেষণা চালিয়েছেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর ছেলে সত্যিকার মহাপুরুষের সন্ধান লাভ করে। তার কাছে প্রেরিত দ্বীন এর সন্ধান লাভ করে। এবং তখন থেকে সুবোধ হয়ে যায় আব্দুল্লাহ। আর ঠিক সেই মূহুর্ত থেকে সুবোধের গল্প শুরু হয়।

  • Tk 165Tk 220

    অনুসন্ধান

    অজ্ঞতা সংশয়ের প্রথম ধাপ। জ্ঞানের অভাবেই আমাদের অন্তরে দানা বাঁধে নানান সংশয়। এই সংশয়-সন্দেহের দোলাচলকে ঝেটিয়ে বিদায় করার জন্য জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই। আর জ্ঞানার্জনের প্রথম ধাপ হচ্ছে অনুসন্ধান। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বা অনুসন্ধান করে আমরা খুব সহজেই অল্প সময়ে অনেক তথ্য খুঁজে বের করতে পারি। আমরা অনেকেই ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে জ্ঞানার্জন করে থাকি। তবে জ্ঞানার্জনের উৎসটি নির্ভরযোগ্য কিনা তা লক্ষ রাখা জরুরী। ইসলামি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য উৎসের গুরুত্ব আরও বেশি। দ্বীন ইসলামের সকল শাখার ব্যাপারে বিশুদ্ধ আকিদার দলিলভিত্তিক একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট হচ্ছে islamqa.info এই সাইটে সমসাময়িক বিভিন্ন প্রশ্নের দলিলভিত্তিক উত্তর দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমান যেভাবে ইসলামবিরোধী অপপ্রচারের জোয়ার চলছে, দ্বীনের প্রাথমিক জ্ঞান না থাকলে ঈমান-আকিদা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই চিন্তা থেকেই islamqa-এর ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ নিয়েই ‘অনুসন্ধান’ বইটি। বইটিতে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ, নাস্তিকদের বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের জবাব, ইসলামে নারীদের অবস্থান, কুরআন সংরক্ষণ নিয়ে সংশয়ের জবাব, নবী ﷺ সম্পর্কে অপবাদের জবাব, তাকদির, জিহাদ, পৃথিবীতে মানব জীবনের দুঃখ-যন্ত্রণা এবং কুরআন-হাদিসের ব্যাপারে আরও কিছু ভ্রান্তি বা সংশয়ের জবাব প্রদান করা হয়েছে। ‘অনুসন্ধান’ সিরিজের প্রথম বই এটি। ইন শা আল্লাহ, এটিই শেষ নয়। জ্ঞানের অনুসন্ধানে দূর হোক অন্ধকার, জিজ্ঞাসার জবাবে হোক সংশয়ের অপনোদন।

  • Tk 157Tk 210

    সুবোধ এবং এই নগরী

    সুবোধ মানে উত্তম বুদ্ধি বা জ্ঞান। তবে রাস্তায় রাস্তায় গ্রাফিটিতে যেই সুবোধকে দেখা যায়, তার সাথে আমাদের সুবোধের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের সুবোধ আবদুল্লাহ। আল্লাহর বান্দা, দাস। আবদুল্লাহ মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করে। যারাই আব্দুল্লাহ’র সাহচর্যে আসে তারাই তার দ্বারা প্রভাবিত হয়। হবেই বা না কেন? সে তো নিজেকে আল্লাহর রঙে রাঙিয়ে নিয়েছে,সাজিয়ে নিয়েছে রাসূলুল্লাহ’র সুন্নাহয়। নিজের মাঝে ধারণ করে নিয়েছে দ্বীন ইসলামকে। আর ইসলাম হচ্ছে পরশপাথর। এর সংস্পর্শে কেউ এলে সে তো বদলে যাবেই। এ বইটি পড়ার সময়পাঠক আব্দুল্লাহ’র মাঝে নিজেকেই খুঁজে পাবেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও দ্বীনের পথে অবিচল থাকার অনুপ্রেরণা পাবেন। অনুপ্রেরণা পাবেন পরিপূর্ণভাবে দ্বীন ইসলামকে নিজের মাঝে ধারণ করার।

  • Tk 157Tk 210

    কারাগারের চিঠি

    অসীম জ্ঞানের অধিকারী এই মহান মনীষী চাইলেই পারতেন কিতাবের ইলমের মাঝেই নিজের বিচরণ সীমাবদ্ধ রাখতে। কিংবা শাসকশ্রেণীর মতের সাথে সহাবস্থানে থেকে শান্তিময় বিলাসি জীবনযাপন করতে। কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছিলেন নববী পথ। কেবল জালিম শাসকের বিরুদ্ধে কেবল মৌখিক প্রতিবাদই জানাননি, বরং তাতার শাসক গাযানের বিরুদ্ধে জিহাদেও অংশগ্রহণ করেছেন। মিথ্যা অভিযোগের দায়ে বার বার জেলে গিয়েছেন, কিন্তু থেমে থাকেননি। জেলের মধ্যে বসেই লিখেছেন আকিদা, ফিকহ, কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যাসহ আরো অনেক বিষয়ের গ্রন্থ। বাতিলপন্থিদের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা চিঠির মাধ্যমে। কাফির শাসকদের নিকটও পাঠিয়েছেন, দাওয়াহ ও হুশিয়ারিমূলক পয়গাম। এই মহান ব্যক্তির কারাজীবনের সেসব ঐতিহাসিক চিঠিসমূহেরই এক অনবদ্য সংকলন এই বই—’কারাগারের চিঠি। যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল তারা আজ হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। তাদের নামটাও আজকের পৃথিবীতে অপরিচিত। কিন্তু ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাকে আল্লাহ তাআলা পরিচিত করিয়ে দিয়েছেন পুরো পৃথিবীর কাছে! আজকের যুগে এমন কোনো বৃহদাকার লাইব্রেরি পাওয়া দুষ্কর যেখানে ইবনে তাইমিয়্যার একটি বইও নেই। এমন একজন গবেষক আলিম পাওয়া দুষ্কর যিনি ইবনে তাইমিয়্যার থেকে জ্ঞান থেকে নিজেকে সমৃদ্ধ করেননি! তাঁর রেখে যাওয়া অমূল্য কিছু উপদেশের সংকলন নিয়েই বই “কারাগারের চিঠি”।

  • Tk 154Tk 205

    খোঁপার বাঁধন

    ‘প্রদীপ্ত কুটির’ বইয়ের সেকেন্ড সিক্যুয়েল হলো ‘খোঁপার বাঁধন’। প্রদীপ্ত কুটির ছিলো মাহির-লাফিজার সংসার জীবনের সূচনা। তরুণ দম্পতি একজন আরেকজনকে সুন্নাহর আলোকে শুধরে দেয়, সুন্নাহর আলোয় তারা ঘর আলোকিত করতে চায়। প্রদীপ্ত কুটিরে প্রাধান্য পেয়েছে পরিবার। পরিবারের গণ্ডি পার হলে সমাজ। ‘খোঁপার বাঁধন’ পরিবারের গণ্ডি থেকে বের হয়ে সমাজটাকেও দেখতে চেয়েছে। মাহির-লাফিজার পাশাপাশি সমাজের চরিত্রগুলো কেমন, কিভাবে সেই চরিত্রগুলো সুন্নাহর আলোয় আলোকিত হতে পারে, তা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। একজন মসজিদের ইমাম কিভাবে সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করতে পারেন, গ্রামের একজন মুরব্বি কিভাবে একটি কুপ্রথা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিতে পারেন, সামাজিক উদ্যোগ কিভাবে বড়ো গুনাহ থেকে বিরত রাখতে পারে এরকম কিছু আইডিয়া শেয়ার করা হয়েছে ‘খোঁপার বাঁধন’ বইয়ে। বাংলাদেশে ইসলামের ব্যাপারে যেসব প্রশ্ন উঠে, সেগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ হলো সাংস্কৃতিক প্রশ্ন। ‘ইসলাম বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে খাপ খায় না’ বা ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি ইসলামের কারণে কলুষিত হচ্ছে’ এরকম কথা অনেকেই বলে থাকেন। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় মাহির-লাফিজা এমন কথা শুনেছি। স্বামী-স্ত্রী গল্প করতে করতে সংস্কৃতি নিয়েও কথা বলেন। তারা দেখাতে চান উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে মুসলিম প্রভাব কিভাবে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছিলো। তারা কথা বলেন উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে পোশাকের বিবর্তন নিয়ে। সংস্কৃতির পাশাপাশি মাহির-লাফিজা সাহিত্য নিয়েও কথা বলেন। সাহিত্যকে কিভাবে বিচার করবো, সাহিত্য বিচারের মাপকাঠি কী হওয়া উচিত সেটা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন, সাহাবীদের সাহিত্যচর্চার আলোকে তারা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের সমাজ-সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কিভাবে ইসলামকে সামনে রেখে জীবনযাপন করতে পারে, তার একটি কল্পিত গাইডলাইন ‘খোঁপার বাঁধন’।

CATEGORIES