-
Tk 187
Tk 220আদর্শ মা
“আদর্শ মা” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বিচিত্র এ ধরণী। বিচিত্র এ ধরণীর অধিবাসীরা। বিচিত্র ধরণের নারী-পুরুষের বসবাস এ ধরণীতে। কোটি কোটি নারী-পুরুষের সমন্বয়ে গঠিত কোটি কোটি পরিবারের বসবাস এ পৃথিবীতে। ঘরে ঘরে অগণিত মায়ের অবস্থান। মায়ের অভাব নেই সমাজে। কিন্তু বড় অভাব আদর্শ মায়ের। সুন্দর সাজানাে গােছানাে নির্মল আদর্শ সমাজ উপহার দিতে প্রয়ােজন একজন আদর্শ মা’র। আদর্শ মা কেমন হবেন? কেমন হবে তার মন-মানসিকতা,ধ্যান-ধারণা,চিন্তা-চেতনা,জ্ঞান-প্রজ্ঞা,বুদ্ধি-বিবেচনা? কেমন হবে গর্ভকালীন সময়ে চাল-চলন পদ্ধতি? অতঃপর সন্তান লালন-পালন ও সন্তানদের সাথে আচার-আচরণ পদ্ধতি? কেমন হবে আদর্শ সন্তানগড়ার পদ্ধতিঃ সন্তানদের শিক্ষা-দীক্ষা ও ইসলামী তাহযীব-তামাদুন জ্ঞান দান পদ্ধতি? এসব জানা খুবই দরকার। জানার দ্বারাই আমলের প্রেরণা জন্মাবে,আমল করবে। তাই এক ২ কথায়,সন্তান গর্ভে ধারণ থেকে নিয়ে আদর্শ সন্তান হিসেবে নিজ পায়ে দাড়ানাে পর্যন্ত একজন আদর্শ মায়ের কি করণীয়,কি বরণীয়,কি বর্জনীয় . কুরআন-হাদীসের দৃষ্টিতে সেসব তথ্য উপহার দিতেই এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
-
Tk 185
Tk 250দ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড
বর্তমান সমাজে পারিবারিক কাঠামো যেন দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেন ঠিক ভাল যাচ্ছেনা, কেউ কাউকে বিশ্বাস করছেনা। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য হারিয়ে যাচ্ছে, বরকত কমে যাচ্ছে। ডিভোর্সের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন গড়ে ৩৯ জনের ডিভোর্স হচ্ছে। বাড়ছে বিভিন্নরকম অসামাজিক কাজকর্ম ও অশ্লীলতা। আর শুধু এইসব সমস্যার সমাধানই নয়, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনকে আরও সুন্দর ও আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলতে আশাকরি ‘দ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড’ এবং ‘দ্য কেয়ারিং ওয়াইফ’ নামক বই দুটি খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 185
Tk 250নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া
আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফিরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোক মশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারের দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভিড়াবে? আজ বড় প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দ্যেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’ বই ।
-
Tk 182
Tk 260মা মা মা এবং বাবা
পিতা-মাতা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটাই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর এবং সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কোথাও কোনো খাঁদ নেই। নেই স্বার্থ কিংবা স্বার্পরতার ছোঁয়া। মায়া, মমতা, আদর, যত্ন এবং নিখাঁদ ভালোবাসার এক অদ্ভুত চক্রে আবর্তিত এই সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্ত। আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, শৈশব এবং কৈশোরের গল্পে, আমাদের যুবক হয়ে ওঠার চিত্রপটে তারাই থাকেন মূল ভূমিকায়। অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাসে আমাদের জীবনের সেই মহানায়ক আর মহানায়িকা, যারা নিজেদের সবটুকু ঢেলে দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন, আমাদের মানুষ করেন, তাদেরকে আমরা আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলি। পরিত্যক্ত জঞ্জালের ন্যায় ভাগাড়ে নিক্ষেপ করি। এমনসব কঠিণপ্রাণ সন্তান, যারা দুনিয়ার লোভ আর মোহে পড়ে বাবা-মা’কে ভুলে যায়, ভুলে যায় তাদের অবদান, ত্যাগ আর তিতিক্ষার গল্প, কেমন হয় তাদের পরিণতি? অথবা, এমনসব সৌভাগ্যবান সন্তান, যারা সবকিছুর বিনিময়ে বাবা-মা’কে আগলে রাখে, ভালোবাসে, যেভাবে শৈশবে তাদের আগলে রেখেছিল তাদের পিতা-মাতা, কেমন হয় সেসকল সন্তানদের যাপিত জীবনের গল্প? সেরকম একঝুঁড়ি গল্পের সমাহার নিয়ে রচিত মা, মা, মা এবং বাবা।
-
Tk 181
Tk 242নবিজির পরশে
রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কথা ছিল সংক্ষিপ্ত তবে ব্যাপক অর্থবোধক। আর এরকমই কিছু মৌলিক হাদীসের আলোচনা নিয়ে মাজলিস করেছিলেন আবূ আমর ইবনুস সালাহ রহ.। তিনি সেখানে ছাব্বিশটি মৌলিক হাদীস বর্ণনা করেছেন। বলা হতো, সমগ্র দ্বীন এ ছাব্বিশটি হাদীসে অন্তর্ভুক্ত। পরবর্তীকালে ইমাম নববি রহ. প্রয়োজনের দিকে লক্ষ করে যুক্ত করলেন আরও কয়েকটি হাদীস। এতে করে হাদীস সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল বিয়াল্লিশে। মুসলিম-বিশ্বে যুগ যুগ ধরে ইমাম নববি সংকলিত এ হাদীসগুলো ‘ইমাম নববির চল্লিশ হাদীস’ নামে খুব সমাদৃত হয়ে আসছে। আরও পরে ফিকহ-শাস্ত্রের বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিস ইবনু রজব হাম্বলি রহ. তাঁর অনুসারীদের বারংবার অনুরোধে বুঝতে পারলেন, ইমাম নববি সংকলিত বিয়াল্লিশটি হাদীসের উপর একটি আলাদা ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রয়োজন। তিনি ‘জামিউল উলুমি ওয়াল হিকাম’ নামে সহস্রাধিক পৃষ্ঠার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ প্রণয়ন করলেন। এ গ্রন্থে তিনি ইমাম নববি সংকলিত বিয়াল্লিশটি হাদীসের সাথে আরও আটটি হাদীস জুড়ে দিলেন। মোট হাদীসের সংখ্যা দাঁড়াল পঞ্চাশ-এ। কালোত্তীর্ণ এ গ্রন্থটি শতাব্দীর-পর-শতাব্দী পাঠকদের প্রিয়-গ্রন্থের তালিকায় স্থান করে আছে অনুবাদকদ্বয় এই সুবিশাল গ্রন্থ থেকে প্রতিটি হাদীসের সপেক্ষে সালাফদের বাণীগুলো চয়ন করে ক্রমান্বয়ে সাঁজিয়েছেন। অনেকটা রাসূল-ﷺ-এর হাদীসের ব্যাখ্যা সালাফদের মুখে শোনা। ফলে পাঠক একই সাথে নবিজির হাদীস, এবং এগুলোর ব্যাখ্যা সালাফদের বাণী থেকে শিখবে এবং আত্মন্নায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
-
Tk 180
Tk 240গল্পের ক্যানভাসে জীবন
ভীষণ রকম গল্পময় মানুষের জীবন৷ শৈশব, কৈশোর, যৌবন, বার্ধক্য—জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে থাকে নানান বলা না-বলা গল্প। জীবন যেহেতু গল্পময়, তাই মানুষকে কাগজে-কালিতে লেখা গল্পগুলো খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারে। কখনো কখনো এই গল্পগুলো হয়ে ওঠে বাস্তবতা থেকে কঠিন, কখনো-বা কল্পনার চেয়েও মধুর! মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের জীবনটা গল্পের বাঁকে বাঁকে এগিয়ে চলেছে অনন্তকালের পথে। এ-জীবন কেবলই জীবন নয়, এ যেন ‘গল্পের ক্যানভাসে জীবন’ কাল্পনিক হলেও সত্য এমন সব জীবনগল্প নিয়ে সাজানো গল্পগ্রন্থ—‘গল্পের ক্যানভাসে জীবন
-
Tk 178
Tk 240ট্রান্সজেন্ডার : রংধনু-সন্ত্রাস
ট্রান্সজেন্ডার—সময়ের আলোচিত এক ইস্যু। কেউ কেউ এটা বিশ্বাসই করতে পারেন না যে, রংধনু সন্ত্রাসের সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে। এটা আসলে কী? এটা কি নিছক কোনো শব্দ বা পরিভাষা? নাকি শব্দের আড়ালে এক ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদের উপাখ্যান? যারা কেবল মনে করছেন, ট্রান্সজেন্ডার মানে হলো, স্বাভাবিক লৈঙ্গিক ভিন্নতা কিংবা হাস্যকর কোনো চিত্র। তারা কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না, ভিন্ন ব্যানারে মাঠে নামা এই রংধনু সন্ত্রাসের শেকড় কতটা গভীরে! যৌন বিকৃতির এ কালো অধ্যায় কতটা ভয়ানক! বৈশ্বিক পুঁজিবাদী মোড়লরা বিশ্বজুড়ে কী এক মানবসভ্যতা-বিধ্বংসী যুদ্ধের অবতারণা করেছে, আত্মস্বার্থ জিইয়ে রাখতে! কী লাভ লুকিয়ে থাকতে পারে এমন বিকৃতিকে বৈশ্বিক এজেন্ডা হিসেবে নেওয়ার মধ্যে! বিকৃত ও বাস্তবতা বিবর্জিত চর্চাকে গবেষণার নামে, অপবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের নামে, প্রতিষ্ঠিত করে একদল অভিশপ্ত যে-যুদ্ধের প্রারম্ভিক রসদ জুগিয়ে গেছে—তার আদ্যোপান্ত জানতে পড়তে হবে এই বইটি। কারণ—ঈমানের বিপরীতে কুফরের, আল্লাহর সহজাত সৃষ্টির বিপরীতে শয়তানের বিকৃত উল্লাসের, দ্বীন-ঈমান-মানবসভ্যতা রক্ষার বিপরীতে শয়তানের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার এ-যুদ্ধে, আমাদের প্রথম করণীয় হলো এ-সম্পর্কে জানা এবং অন্যকে জানানো।
-
Tk 178
Tk 240স্বাগত তোমায় আলোর ভুবনে
ইসলামি ঘরানায় বর্তমানে ছোটগল্প বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই অনেক লেখকই দাওয়াহর জন্য এটিকেই বেছে নিচ্ছেন। ছোট গল্প যেহেতু দশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হয়, তাই পাঠকরা সাধারণত বিরক্ত হয় না। তাছাড়া গল্পে গল্পে পাঠকের বোধবিশ্বাসে সহজেই রেখাপাত করা সম্ভব হয়। যাক, ছোটগল্প নিয়ে একদিন আলাদা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। ‘স্বাগত তোমায় আলোর ভুবনে’ এর গল্পগুলো পুরোপুরি রবিবাবুদের ছোটগল্পের সংজ্ঞায় পড়ে না।
-
Tk 177
Tk 295জবাব ২
নাস্তিকদের উত্থাপিত প্রশ্ন, অভিযোগ আর আপত্তির প্রতিউত্তর নিয়েই রচিত হলো ‘জবাব। চিন্তাশীল, ভাবনা-জাগানিয়া, গবেষণাধর্মী লেখার সমৃদ্ধ একটি সংকলন এটা। প্রাণোচ্ছলে ভরপুর একঝাঁক তরুণ লেখকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল এই গ্রন্থ। ২০১৩ সালের শেষ দিকে হঠাৎ করে কমিউনিটি ব্লগগুলো এদেশে বেশ পরিচিতি পেতে শুরু করে। অসংখ্য মানুষ শখের বশে লেখালেখি আর সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে যুক্ত হতে থাকে সেসব ব্লগে। বলা বাহুল্য, এ সুযোগটিকে চমৎকারভাবে লুফে নেয় বাংলার তথাকথিত নাস্তিক-মহল। সে সময়ে নাস্তিকরা যতটা সাড়ম্বরে ব্লগের জগতে আসে, চিন্তাশীল মুসলিমদের পদচারণা ছিল ততটাই নির্জীব। অবশেষে ২০১৮ সালের পর থেকে কিছু তরুণ মুসলিম ভাইদের দৃঢ় প্রচেষ্টা এবং তাদের বিশ্বাসের কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের এবারের প্রয়াস ‘জবাব ২’।
-
Tk 176
Tk 220ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা
প্রখ্যাত দার্শনিক ও আন্দালুসিয়ার চীফ জাস্টিস ইবনে রুশদ এর ভাষায়, উসূল হল মিস্তারা বা স্কেল এর মতো। একজন স্থাপত্যবিদ স্কেল ছাড়া যেমন দালান নির্মাণ করতে পারে না, তেমনিভাবে একজন আলেমের কাছেও যদি উসুল না থাকে তাহলে তিনি দ্বীনকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন না। আমরা সকলেই জানি, ইসলাম আত্মপ্রকাশের পর ১০০ থেকে ১৫০ বছরের মধ্যে অনেক বড় বড় সমস্যা মুসলমানদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, জ্ঞানের ব্যবস্থাপনা (Management of Knowledge)। জ্ঞানের বিভিন্ন ধারার মধ্যে সমন্বয় করা ছিল তৎকালীন আলেমদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ওহীডিত্তিক জ্ঞান যদি একটি উসুলের মধ্য দিয়ে বুঝা বা পরিচালনা করা না যায়, তাহলে সেটা মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে অনৈক্যের জন্ম দেয়। উসূলকে অনুসরণ না করার কারণে প্রথমে ইখতিলাফ বা মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়। সময়ের পরিবর্তনে সে মতপার্থক্য থেকেই বিভিন্ন ফিরকা বা দলের উৎপত্তি হয়। আমাদের বর্তমান অবস্থা উপরোক্ত অবস্থা থেকে ভিন্ন নয়। আজ আমাদের মধ্যে পর্যাপ্ত জ্ঞানী ব্যক্তি রয়েছেন, কিন্তু উসুলকে অনুসরণ না করার কারণে তাদের জ্ঞান এক ভয়াবহ সংকটের জন্ম দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে হলে ইলমুল উসূলকে নতুন করে পাঠ করা প্রয়োজন। উসুলকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে না রেখে সার্বজনীন করা এখন সময়ের দাবী।
-
Tk 176
Tk 235সন্ধান
গল্প-উপন্যাসে এমন কিছু চরিত্র থাকে, যেগুলো অজান্তেই দাগ কেটে চায় পাঠকের মানসপটে। নাড়িয়ে দেয় চিন্তার জগৎকে। পাঠককে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করে। সন্ধানীও তেমন একটি চরিত্র। তবে এটি গল্প-উপন্যাসে বর্ণিত নায়িকার মতো কোনো চরিত্র নয়। এই চরিত্র প্রতিনিধিত্ব করেছে সত্যান্বেষী এক নারীর। যে নারী সেক্যুলার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এবং সনাতন পরিবারে জন্ম নেওয়ার পরেও গতানুগতিক ধারায় পরিচালিত করেনি নিজেকে। আর আট-দশটা সনাতন ধর্মাবলম্বীর মতো চোখ বন্ধ করেই মেনে নেয়নি সনাতন ধর্মের প্রচলিত রীতি-নীতিকে। আশ্রয় নেয়নি মূর্তিপুজো নামক সনাতন পৌত্তলিকতার। সে খুঁজে বেড়িয়েছে সত্যকে। সন্ধান করেছে মুক্তির পথ। কল্যাণের পথ। এ পথে সে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে বহুবার। হাসি-ঠাট্টার শিকার হতে হয়েছে তাকে, শুনতে হয়েছে নিকটাত্মীয়ের গালমন্দ, সইতে হয়েছে বন্ধু-বান্ধবদের তাচ্ছিল্য, তবুও সে হাল ছাড়েনি। সত্যকে খুঁজে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সন্ধানী কি সত্যকে খুঁজে পেয়েছিল? সনাতন ধর্মের পৌত্তলিক রীতিনীতি ছেড়ে দিয়ে সত্য ধর্মের দিকে ফিরে আসতে পেরেছিল? পেরেছিল কি সংশয়ের আঁধার কাটিয়ে ওঠে সত্যের আলোয় অবগাহন করতে? জানতে হলে পড়ুন “সন্ধান” বইটি।
-
Tk 175
Tk 250ফিলিস্তিনের দিনগুলো
প্রতিটা দিন কীভাবে কাটে ফিলিস্তিনে বসবাসরত মানুষের? প্রতিদিন ধরপাকড়, বুলডোজার, রকেট হামলা, মৃত্যুর মিছিল, লাশ নিয়ে প্রতিবাদী মানুষের ঢল–এসব নিত্যঘটনার আড়ালে একটা জীবন তো তাদের আছে। যে জীবনে খাওয়া-পরার জন্য ভাবতে হয়, কাপড় পরিষ্কার থেকে শুরু করে ঘরদোর ঝাড়-মোছ করা, বিয়ে-সন্তান-ভালোবাসা; ধ্বসে পড়া দালানের নিচ থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দাঁড়াতে হয় খাবারের দোকানের সামনে–কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যাবে কারফিউ। ফিলিস্তিনে এই জীবনটা কেমন? ফিলিস্তিনি লেখিকা সুয়াদ আমিরি রামাল্লা শহরতলীর এক পুরোনো দালানের জানালা দিয়ে আমাদের দেখিয়েছেন ফিলিস্তিনের সেই জীবন, যা আমরা কল্পনা করতে কোশেশ করি। সংগ্রামরত ফিলিস্তিনের বিক্ষুব্ধ একটা সময়কে তিনি মলাটবদ্ধ করেছেন তাঁর ডায়েরির পাতায়। তিনি নিজে সেই সময়ের কেবল একজন সাক্ষীই নন, তিনি ইসরাইলি তা-বের বিরুদ্ধে রক্তচক্ষু মেলে তাকিয়ে থাকা এক অকুতোভয় যোদ্ধাও; পাঠকমাত্রই যার পরিচয় পাবেন বইয়ের অন্দরে।
-
Tk 175
যখন তুমি তরুণ
আজ থেকে কয়েক বছর আগেও তোমরা ছিলে শিশু। তখন তোমাদের কোনো গুনাহ ছিল না। ছিলে নিষ্পাপ। তবে এখন কিন্তু তোমরা আর সেই ছোট্টটি নেই; শৈশব পেড়িয়ে কৈশোর-তারুণ্যে পদার্পণ করেছ। কিরামান-কাতিবিন তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখনই সময় ইসলামের দিক-নির্দেশনা মেনে জীবন পরিচালনা করার,যাতে জীবনটা সুন্দর হয়। তা নাহলে আগামীর দিনগুলোতে নিজেকে ইসলামের ছাঁচে গড়া তোমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। শিশু-কিশোরদের জন্য নবিজির ভালোবাসা ছিল একটু বেশিই স্পেশাল। তাই তিনি তোমাদের জন্য কিছু জরুরি উপদেশ দিয়ে গেছেন। সেই জরুরি নিয়ে সাজানো ‘যখন তুমি তরুণ’ বইটি।
-
Tk 175
দুর্গম পথের যাত্রী
কবি ও সাহিত্যিক আসাদ বিন হাফিজ রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘দুর্গম পথের যাত্রী’। এই উপন্যাসের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে মহাবীর হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রা.-এর ইসলামে ফিরে আসার চমকপ্রদ ঘটনাসমূহ নিয়ে। মহাবীর। সাইফুল্লাহ। আল্লাহর তরবারি। তাঁর কি আর কোনো পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে? তিনি খালিদ বিন ওয়ালিদ রা.। জাহেলিয়াতের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। একের পর এক বিজয়ের মালা পড়ছেন; তবুও কী এক আড়ষ্টতা যেন তাকে পেয়ে বসেছে। স্বস্তি নেই মনে; কী যেন খুঁজে ফিরছেন। ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ মে। আরবের প্রসিদ্ধ জেনারেল খালিদ বিন ওয়ালিদ এবং আমর বিন আস একই সঙ্গে রাসূল সা.-এর দরবারে গিয়ে হাজির হলেন; সঙ্গে ওসমান বিন তালহা। প্রথমেই কামরায় ঢুকলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ, তাঁর পেছনে আমর বিন আস এবং সবার শেষে ওসমান বিন তালহা। তিনজনই নবিজিকে জানালেন তাদের ইচ্ছার কথা। নবিজিকে উঠে দাঁড়ালেন এবং প্রত্যেকের সাথে কোলাকুলি করলেন। এরপর ঘটল সেই অবিস্মরণীয় ঘটনা। রাসূল সা.- এর সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে সবাই পড়লেন, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ- আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সা. আল্লাহর প্রেরিত নবি ও রাসূল।’ এ এক রোমাঞ্চকর ঘরে ফেরার গল্প! এক শিহরণ জাগানিয়া সফর!
-
Tk 175
মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের দেশে একটা বয়ান হাজির আছে। সেই বয়ানে ইসলাম অনুপস্থিত। আমাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করানো হয়েছে, ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে অপ্রাসঙ্গিক ছিল। এভাবেই তৈরি হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যের নির্মাণ। জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। তারা ইসলামের নাম নিয়ে গণহত্যা জায়েজ করতে চেয়েছে। আবার সেই সময়ের কয়েকটি ইসলামপন্থী দল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান নেয়ার ফলশ্রুতিতে বাম ও সেক্যুলারপন্থীরা মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামের প্রশ্নে বুর্জোয়া ফায়সালা হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও পরিচালনায় ইসলাম ছিল প্রাধান্য বিস্তারকারী বয়ান। মুক্তিযুদ্ধকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ‘আল্লাহর পথে জেহাদ’ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। মাঠের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা ছিলো ইসলাম; তারা শক্তি নিয়েছে ইসলামের ন্যারোটিভ থেকে। স্বাধীন বাংলা সরকারের বক্তব্য বিবৃতিতে ইসলাম খুব সাবলীলভাবে বর্তমান ছিল। আলেম সমাজের বড় একটা অংশ মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এবং দেশ বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠলো, সেটা কখনো খতিয়ে দেখা হয়নি। একটা জনগোষ্ঠি চলার পথের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস, তাৎপর্যকে কীভাবে তার ‘পরিচয় বৈশিষ্ট্য’ হিসেবে সাথে নিয়ে চলে, সেটাও আমরা অনুধাবন করার চেষ্টা করিনি। ঠিক কীভাবে এই অঞ্চলের মানুষের মননে ও গঠন-তন্ত্রতে ‘ইসলাম’ এক বিশেষ অর্থ ও তাৎপর্যে স্থায়ী আসন নিয়ে নেয়; সেই তালাশ কেউ করেনি।