-
Tk 255
Tk 340দাওয়াম – Dawam
দাওয়াম (অর্থাৎ আমার সংগ্রাম) প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এটা তার লিখিত না, মূলত এটা তার কয়েকটি ভাষণের সংকলন। জরুরী এই কিতাবে প্রফেসর এরবাকানের ৯ টি ভাষণ স্থান পেয়েছে। প্রতিটি ভাষণই গুরুত্বপূর্ণ। প্রফেসর এরবাকান একইসাথে একজন প্রমিনেন্ট স্টেটসম্যান, উম্মাহর নেতা, ইসলামী মুভমেন্টের প্রাণপুরুষ এবং একজন প্রজ্ঞাবান মানুষ। তুরস্ক, এমনকি পুরা দুনিয়ায় প্রফেসর এরবাকান তাই একজন আলোচিত অসাধারণ ব্যক্তি। মানবজাতির মুক্তির একমাত্র সম্ভাবনা ইসলাম, যা আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র জীবন-বিধান। এজন্যই এটি একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যাতে নেই কোনো কম-বেশির অবকাশ। ইসলাম প্রতিষ্ঠার কর্মতৎপরতায় শামিল হবার সৌভাগ্য সবার হয় না। দ্বীনের বিজয়ে কেউ দিন-রাত কাজ করুক বা না করুক, কঠোর পরিশ্রমী হোক কিংবা অলসতায় নরম বিছানায় মাথা গুঁজে থাকুক, বিজয়কে একদিন এগিয়েও আনতে পারবে না আবার একদিন পিছিয়েও দিতে পারবে না। বরং সব কিছুর মূলে হলো ‘এই সত্য আহ্বানের কর্মতৎপরতায় কতটুকু ভূমিকা পালন করছি ।
-
Tk 150
Tk 200ইকবালকে নিয়ে ভাবনা
আধুনিক যুগে আল্লামা ইকবাল ছিলেন ইসলামের একজন প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর। একালে ইসলামের নব অভ্যুত্থান সংগীত তাঁর সৃষ্টিতে গাঁথা হয়ে আছে। একাধারে বিশ্ব সাহিত্যের কীর্তিমান কবি, দার্শনিক, রাজনীতিক এই মানুষটির অনন্যসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গী চিন্তার জগতে স্থায়ী চিহ্ন রেখে গেছে। মুসলমানদের হাজার বছরের বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতার নির্যাস ও সারবস্তু, প্রাচ্যের প্রভাত আনয়নকারী আল্লামা ইকবালকে বুঝার জন্য বইটি সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 263
Tk 350মুহাম্মদ আসাদ: বাংলাদেশের অভিবাদন
মুহাম্মদ আসাদ আধুনিক মুসলিম মনীষার জগতে বড় রকমের আলোড়ন তুলেছেন ,ইসলামী চিন্তার পুনর্গঠন ,পুনঃনির্মাণ ও পুনর্জীবনে অসাধরণ ভুমিকা রেখেছেন ।তার জন্মশতবার্ষিকিতে প্রকাশিত সংকলনের নতুন নামে নতুন সংস্করণ “মুহাম্মদ আসাদ ;বাংলাদেশের অভিবাদন ” বইটি । ইসলামী শরীয়ার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে আসাদ দেখিয়েছেন, মানব প্রগতির কোনোক্ষেত্রেই ইসলাম কোনো বাধার সৃষ্টি করেনি। পাশ্চাত্য সভ্যতার যে সব অনৈতিক উপাদান, যেমন, বন্ধনহীন যৌনতা কিংবা শোষণমূলক সুদীব্যবস্থা এগুলো ইসলামের পক্ষে অনুমোদন করা সম্ভব নয়। ইসলামী সমাজের ভিত্তিটাই নীতি নির্ভর; ধর্মাদর্শমূলক। সেই ভিত্তিটাই যদি গুড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে তো আর যাই হোক ইসলামী ব্যবস্থা বলা যাবে না। পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে রয়েছে আমাদের এক ধরনের হীনমন্যতাবোধ। হীনমন্যতা তখনই প্রবল আকার ধারণ করে যখন নাকি নিজের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের প্রতি এক ধরনের নিস্পৃহতা জন্মায়। আর এই নিস্পৃহতাই আজ মুসলমানদের করে তুলেছে ইসলাম বিমুখ।
-
Tk 143
Tk 190বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা
মুসলিম হিসেবে আমাদের সাময়িক পতনের সময়কাল দিন যত যাচ্ছে ততো দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হলো অতীত গৌরবোজ্জল ইতিহাসের কোলে আশ্রয় নিয়ে আত্মতৃপ্তি অনুভব। যা উম্মাহ হিসেবে আমাদের জন্য কখনোই কাম্য নয়। মুসলিম হিসবে আমাদের কর্তব্য হলো, মানবতার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলা। পূর্ববর্তীদের কাজের অভিজ্ঞতা বর্তমানের প্রয়োজনীয়তা আর ভবিষ্যৎ চাহিদার আলোকে নিজেদের বয়ান তৈরি করে আপতিত পতনকালের অমানিশা কাটিয়ে খুব শীঘ্রই মানবতাকে আলোর মুখ দেখানো। মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আমরা বাধ্য। এ দায়িত্ববোধ থেকে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদের করণীয় নির্ধারণে প্রফেসর ড. মেহমেদ গরমেজের বিভিন্ন সময়ে দেয়া ছয়টি বক্তৃতার অনুবাদ নিয়ে প্রকাশ হলো বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম, উম্মাহ এবং সভ্যতা নামক বই। পাঠকবৃন্দ, ইতিপূর্বেই মক্তব প্রকাশন প্রকাশিত ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা বইটির মাধ্যমে প্রফেসর মেহমেদ গরমেজের চিন্তার সাথে পরিচিত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মক্তব প্রকাশন থেকে পাঠক সমীপে উপস্থাপন করছি তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ- বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম, উম্মাহ এবং সভ্যতা। লেখক বিশ্বায়নের প্রভাব ও প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় আলোচনা করেছেন চমৎকারভাবে। বইটির মূল প্রতিপাদ্য বিশ্বায়নের প্রভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের কাজের ক্ষেত্রগুলো কেমন হওয়া উচিত। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রত্যেক ব্যক্তিই মোকাবেলা করছেন এর চ্যালেঞ্জ। তাই বিদগ্ধ পাঠক সমাজে আমাদের চিন্তা উপস্থাপন করছি, যা পাঠক মনে ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
-
Tk 176
Tk 220ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা
প্রখ্যাত দার্শনিক ও আন্দালুসিয়ার চীফ জাস্টিস ইবনে রুশদ এর ভাষায়, উসূল হল মিস্তারা বা স্কেল এর মতো। একজন স্থাপত্যবিদ স্কেল ছাড়া যেমন দালান নির্মাণ করতে পারে না, তেমনিভাবে একজন আলেমের কাছেও যদি উসুল না থাকে তাহলে তিনি দ্বীনকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন না। আমরা সকলেই জানি, ইসলাম আত্মপ্রকাশের পর ১০০ থেকে ১৫০ বছরের মধ্যে অনেক বড় বড় সমস্যা মুসলমানদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল, জ্ঞানের ব্যবস্থাপনা (Management of Knowledge)। জ্ঞানের বিভিন্ন ধারার মধ্যে সমন্বয় করা ছিল তৎকালীন আলেমদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ওহীডিত্তিক জ্ঞান যদি একটি উসুলের মধ্য দিয়ে বুঝা বা পরিচালনা করা না যায়, তাহলে সেটা মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে অনৈক্যের জন্ম দেয়। উসূলকে অনুসরণ না করার কারণে প্রথমে ইখতিলাফ বা মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়। সময়ের পরিবর্তনে সে মতপার্থক্য থেকেই বিভিন্ন ফিরকা বা দলের উৎপত্তি হয়। আমাদের বর্তমান অবস্থা উপরোক্ত অবস্থা থেকে ভিন্ন নয়। আজ আমাদের মধ্যে পর্যাপ্ত জ্ঞানী ব্যক্তি রয়েছেন, কিন্তু উসুলকে অনুসরণ না করার কারণে তাদের জ্ঞান এক ভয়াবহ সংকটের জন্ম দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে হলে ইলমুল উসূলকে নতুন করে পাঠ করা প্রয়োজন। উসুলকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে না রেখে সার্বজনীন করা এখন সময়ের দাবী।
-
Tk 28
Tk 35ইসলাম ও জ্ঞান
ঘুমভাঙা সিংহ সিংহের উপাখ্যান ” নাজিমুদ্দিন এরবাকান” সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। একটি অনুপ্রেরণার নাম নাজিমুদ্দিন এরবাকান। বইটি অনেক তথ্যবহুল। মুসলিম বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে অনেকেরই কোনও ধারণা নেই। এখানে বেশ কিছু মুসলিম বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে ও বিশ্ব সভ্যতায় তাদের অবদান সম্পর্কে উল্লেখ আছে। পরিশেষ বলব, বইটি যেকোনো পাঠককে জ্ঞানে পরিতৃপ্ত করতে সক্ষম ।
-
Tk 750
Tk 1,000হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি সিরিজ ১-৫
ইসলামের ইতিহাসের উৎসধারা হচ্ছেন নবীজির প্রিয় সাহাবিগণ। তাঁরা নবীজির প্রত্যক্ষ সাহচর্য লাভ করেছেন। নবীজির জীবন ও আদর্শ এ জগতে তাঁরাই সর্বপ্রথম সচক্ষে অবলোকন করেছেন। এ জন্য নবীজির বক্তব্য ও নির্দেশনা সংরক্ষিত হয়ে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। নবীজির হাদিস তাঁরাই প্রথম বর্ণনা করেছেন। তাঁদের এ বিরল অবদানের ফলশ্রæতিতে আমরা হাদিসশাস্ত্র সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি। তবে সাহাবিদের যুগে ব্যাপকভাবে হাদিসের সংকলন বিন্যস্ত না হলেও তাবেয়িদের যুগ থেকে এর ধারা শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে তৃতীয় শতাব্দী নাগাদ নবীজির হাদিস গ্রন্থাকারে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত হয়। ১১ হিজরিতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। নবীজির পরে তাঁরই সাহাবিগণ তাঁর উত্তরসুরীর ভূমিকায় ইতিহাসে আবির্ভুত হন। তবে নবীজির হাদিস সংকলন ও প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে নবীজির সকল সাহাবি একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। বরং তাঁদের কয়েকজন হাদিস সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ঐতিহাসিক বিভিন্ন সূত্রমতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সৌভাগ্যবান সাহাবিদের সংখ্যা এক লাখেরও কিছু বেশি। তাঁদের সকলে সাহাবি হলেও সবাই নবীজির সান্নিধ্যে সারাক্ষণ থাকার সময় পেতেন না। জীবিকা নির্বাহ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যস্ততার কারণে তাঁরা নিজেদের সুবিধেমতো নবীজির দরবারে আগমন করতেন এবং কুরআন ও সুন্নাহ থেকে জ্ঞান অর্জন করতেন। অতএব হাদিসের মতো শরিয়তের দ্বিতীয় প্রধান উৎসের সংকলন ও সংরক্ষণে সকল সাহাবি একই পর্যায়ের নয়; বরং এক্ষেত্রে তাঁদের কয়েকজন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবিদের সংখ্যা কত, এ নিয়ে হাদিসশাস্ত্রের মণীষী ও গবেষকদের মাঝে যথেষ্ট মতপার্থক্য পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে সমস্ত পরসিংখ্যান সামনে রেখে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবিদের সংখ্যা নিয়ে একাধিক মতামত থাকলেও সার্বিক হিসেবে তা দেড় হাজারের বেশি নয়। হাদিসশাস্ত্রের গবেষক ও পন্ডিতগণের বিশ্লেষণ ও অভিজ্ঞতার আলোকে হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবিদের তালিকা পাঁচটি স্তরে ক্রমবিন্যাস করা হয়েছে। উক্ত ক্রমবিন্যাস অনুসারে সব মিলিয়ে হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি হলেন সর্বমোট ১১১১ জন। তাঁরা সকলে মিলে সর্বমোট ৩১,৬৯৬ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক হাদিস বর্ণনাকারী নবীজির প্রথম দশ সাহাবির জীবন-তথ্য নিয়ে এ সিরিজটি প্রস্তুত করা হয়েছে। দীর্ঘ অধ্যয়ন ও গবেষণার পর ইতিহাস গবেষক ও লেখক আব্দুল্লাহ আল মাসুম সিরিজের প্রথম পাঁচজন হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবির জীবন ও অবদান গ্রন্থাকারে পাঠকমহলের হাতে তুলে দিলেন।
-
Tk 90
Tk 120প্রাচীন বাংলার দরবেশ
১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়েরও বহু আগে, সেই সপ্তম শতাব্দীতে এ ভূখণ্ডের সঙ্গে ইসলামের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই সময়ে সময়ে আরব-আজমের বহু পীর-দরবেশ ও ওলি-আউলিয়া এ দেশে এসেছেন। এ দেশের মাটি ও মানুষকে আপন করে নিয়ে ছড়িয়েছেন সত্য ও সুন্দরের আলোকধারা। জুলুম ও বঞ্চনার কবল থেকে আমজনতাকে মুক্ত করতে মুকাবিলা করেছেন স্থানীয় শাসকবর্গের নানাবিধ বাধা। কখনো জড়িয়েছেন যুদ্ধে, ঝরিয়েছেন খুন। শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে কখনো বিসর্জন দিয়েছেন নিজের জীবন। খলজিপূর্ব বাঙ্গালা মুলুকের এমনই তিন মহান দরবেশের সংগ্রামমুখর জীবন ও সময়কে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে এ বই। ইতিহাস ও কিংবদন্তির মিশেলে বিবৃত হয়েছে প্রাচীন বাংলার সমাজবাস্তবতা ও ইসলামপ্রচারের হৃদয়স্পর্শী উপাখ্যান।
-
Tk 225
Tk 300নববি চরিত্রের সৌরভ
স্বভাবতই যিনি বিশ্বনবির গৌরবোজ্জ্বল আসনে সমাসীন হবেন, সর্বশেষ নবি হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হবেন, তাঁর জীবন, জীবনাদর্শ ও স্বভাবচরিত্র হতে হবে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাঙ্গসুন্দর। আর বাস্তবে তেমনই অনন্য ও অসাধারণ ছিল প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনচরিত্র এবং গুণ ও বৈশিষ্ট্য। এমন সুন্দর সুনির্মল চরিত্রের একটিমাত্র দৃষ্টান্তও খুঁজে পাওয়া যাবে না মানবতার সমগ্র ইতিহাসে। প্রিয়নবির তুলনারহিত আখলাক-চরিত্র ছিল আল্লাহ তাআলার সম্পূর্ণ ইচ্ছানুবর্তী। এজন্যই তো তাঁর চরিত্রমাধুর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উম্মুল মুমিনিন আয়িশা রা. বলেছিলেন, তাঁর চরিত্র হলো কুরআন, তথা কুরআনের প্রতিবিম্ব ও প্রতিচ্ছবি, যাতে কুরআনি চরিত্রের সকল শোভা ও সৌন্দর্যের প্রতিফলন ঘটেছে। কখনও মিথ্যা বলতেন না, ধোঁকা দিতেন না, প্রতারণার আশ্রয় নিতেন না এবং অশ্লীল আচরণ ও উচ্চারণের কাছেও ঘেঁষতেন না। মূর্খতা, বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা প্রতিশ্রুতির অন্যথা তাঁর স্বভাবে একদম ছিল না। সবসময় তাঁর ঠোঁটে লেগে থাকত জান্নাতি হাসির নুরানি উদ্ভাস, যা পরাজিত শত্রুর মনেও ছড়িয়ে দিত আশার আলো। মানবিক চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনে এবং আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ গঠনে অবশ্যই আমাদের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁর জীবনচরিতের দীপাধার থেকে আলো গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই সম্ভব জীবনের পিচ্ছিল, বন্ধুর ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ নিরাপদে পাড়ি দেওয়া। এ আলো ছাড়া কোনো ভালোই অর্জিত হতে পারে না কখনও কারও জীবনে। সফল ও আদর্শ মানুষ হতে হলে অবশ্যই গাফলতের এই জোয়াল কাঁধ থেকে নামাতে হবে এবং নবিচরিত্রের আলো নিজ জীবনে ধারণ করতে হবে। বস্তুত, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই হাদিস, সিরাত, শামায়িল, রিজাল ও তাবাকাত-বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থাবলি থেকে নির্বাচিত কিছু ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘নববি চরিত্রের সৌরভ’ নামক সংক্ষিপ্ত এ বইটি; যার প্রতিটি পাতায় ফুটন্ত গোলাবের মতোই ফুটে উঠেছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুপম চরিত্রের নির্মল দীপ্তি ও সৌন্দর্য….
-
Tk 300
Tk 400দ্য জেরুজালেম সিক্রেট
“দ্য জেরুজালেম সিক্রেট…” সময়ের সাথে পরিভ্রমণ; যা আপনাকে উত্তেজনাপূর্ণ ও দুঃসাহসিক যাত্রার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে দীর্ঘ দু’হাজার বছর ধরে চলে আসা এক রহস্যের অন্তরালে… নীলনদের তীরে এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের ধ্বংসাবশেষে পিয়েট জানসিন নামের এক হোটেল মালিকের লাশ পাওয়া যায়। রহস্যজনকভাবে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে নিয়ে তদন্তের ভার পড়ে লুক্সার পুলিশ ডিভিশনের ইনস্পেক্টর ইউছুফ খলিফার উপর। যতক্ষণে তিনি পিয়েট জানসিনের পরিচয় উদ্ঘাটন করেন, বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়েন পনের বছর আগেকার এক কেসে, যাতে নৃসংশভাবে এক মহিলাকে হত্যা করা হয়, আর দায়ী করা হয় এক নিরপরাধ লোককে। খলিফা তার উর্ধ্বতন অফিসারের আপত্তি উপেক্ষা করে সে কেসটি পুনর্নবীকরণ করেন। তখনই বাধ্য হয়ে ইসরায়েলি ইনস্পেক্টর বিন-রয়ের শরণাপন্ন হন। অন্যদিকে জায়নবাদী দখলদারিত্ব বিরোধী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লায়লা আল-মাদানি এক অজানা উত্স থেকে মধ্যযুগীয় নথি সম্বলিত একটি চিঠি পান। লায়লা চিঠির রহস্য উদ্ধারে নেমে যায়, এদিকে খলিফা ও বিন-রয় পিয়েট জানসিন সম্পর্কে আবিষ্কার করেন এক ভয়ংকর বাস্তবতা! তাদের সকলের তদন্তে জড়িয়ে পড়ে প্রাচীন জেরুসালেম, মধ্যযুগীয় ক্রুসেড ও ক্যাথারের রহস্যময় তথ্য এবং নাত্সীদের জঘন্য ইতিহাস। এভাবে দু’হাজার বছরের চলমান রহস্যের সমাধানে পরিভ্রমণ করতে হয় প্রাচীন, মধ্যযুগ ও বর্তমান যুগের ঘটনাপ্রবাহে… সর্বোপরি এ উপন্যাসটি উত্তেজনাপূর্ণ ও শাসরুদ্ধকর অ্যাডভেঞ্চারের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে আপনাদের…
-
Tk 247
Tk 330ইনসাইড দ্য আর্মি অব টেরর
বইটি কার জন্য? যদি আপনি আন্তর্জাতিক ঘটনা অনুসন্ধানে ব্রতী হন, কোন ঘটনার পর কোনটা, তো বইটি আপনার জন্য নয়। দুঃখিত। হ্যাঁ, আপনি যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আগ্রহী হন, তবে এই মুহূর্তে আপনার হাতে বিশ্বসেরা বইগুলোর একটি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলোয়াড়রা কিভাবে খেলে, কী দেখে সিদ্ধান্ত নেয়, কেমন সিদ্ধান্ত নেয়Ñসেসবের বিদঘুটে, অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং একই সাথে জটিল দিকগুলো লেখক তুলে এনেছেন দারুণ মুনশিয়ানায়, ঝরঝরে গদ্যে। বইটি পাঠ করার আগে পাঠকের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, বইয়ের একেবারে শেষ বাক্যটি না পড়া পর্যন্ত বই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসবেন না, কোনো মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকবেন। এ বইটিই এমন, যার প্রতিটি অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি অধ্যায় যেন প্রাসাদের একেকটি দেয়াল, একটি দেয়াল যার ভেঙে পড়লে পুরো প্রাসাদটিই ধসে পড়বে। এ কারণে বইটি পাঠ করতে হবে ভাবাবেগ বর্জন করে, কিছু তথ্য ও ঘটনা হয়তো আপনাকে আপনার পুরোনো বিশ্বাসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে।
-
Tk 187
Tk 250তবুও আমরা মুসলমান
ইতিহাসাশ্রয়ী মুসলিম মানসে তৈরি হওয়া হাজারো কাহিনির ভীড়ে এমন কিছু কাহিনি থাকে যার আবেদন মুসলিমদের কাছে কখনো ফুরিয়ে যায় না। যুগ-যুগান্তর ধরে এসব কাহিনি মুসলিমসমাজে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। মুসলমানের চেতনার বাতিঘরে জ্বালিয়ে রাখছে জ্বলে উঠার মশাল। ‘তবুও আমরা মুসলমান’ সুলেখক তামীম রায়হান-এর এমনই একটি বই, যা মুসলমানদের এক লহমায় তুলে নিয়ে যাবে ইতিহাসের বাহারি গুলিস্তানে।
-
Tk 350
Tk 500দ্য ক্রসিং
এই প্রথম বাংলাভাষায় প্রকাশিত হলো বিধ্বস্ত সিরিয়ার মৃত্যু-উপত্যকার সরেজমিন ধারাবর্ণনা! সিরিয়ার বিধ্বস্ত শহরে শহরে ঘুরে এক নারীসাংবাদিক তুলে এনেছেন সেখানকার অবর্ণনীয় মৃত্যুর ধারাবর্ণনা। সামার ইয়াজবেক নামের সেই সাংবাদিকের মৃত্যু-যাত্রা গ্রন্থের নাম ‘দ্য ক্রসিং’।
-
Tk 112
Tk 150মিরআতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল
১৫৫২ খৃস্টাব্দে উসমানি খেলাফতের এক তুর্কি অ্যাডমিরাল (নৌসেনাপতি) পর্তুগিজ জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে জাহাজ নিয়ে চলে আসেন ভারত মহাসাগরে। সেখানে প্রলয়ঙ্কাররী ঝড়ের কবলে পড়ে হারিয়ে ফেলেন তার নৌবহর, ভেঙে পড়ে তার যুদ্ধজাহাজ। বিপদসঙ্কুল অবস্থায় গিয়ে উঠেন হিন্দুস্তানের উপকূলে। সেখান থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে মুলতান, কাবুল, বুখারা, সমরকন্দ, ইরানসহ আরও নানা শহর ঘুরে হাজারো ঝঞ্ঝা পেরিয়ে একসময় উপস্থিত হন তুর্কিতে…। টান টান উত্তেজনা আর রহস্যময় সেই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সফরনামাই বিবৃত হয়েছে মিরআাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল বইয়ে। এ শুধু এক ভ্রমণকাহিনি নয়, যেনো ঐতিহাসিক সময়ের এক পরিপূর্ণ উপাখ্যান। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উপায় নেই…
-
Tk 154
Tk 220টেন মিথস এবাউট ইসরাইল
প্রতিটি সংঘাতের গোড়ায় রয়েছে ইতিহাস। অতীতের সত্য ও নিরপেক্ষ বোঝাপড়া শান্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। পক্ষান্তরে বিকৃত ও পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাস ধ্বংসের বীজ বোনে। ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংকট থেকে একথা সুস্পষ্ট যে ইতিহাসের বিকৃতি, এমনকি নিকট অতীতের ইতিহাস হলেও, তা অপূরণীয় দুর্যোগ বয়ে আনে। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে ইতিহাসের বিকৃতচর্চা নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং উপনিবেশবাদি দখলদার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই যে- মিথ্যাচার, বিকৃতচার বর্তমানেও চলমান এবং তা সংঘাত স্থায়ীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। ইজরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের অতীত ও বর্তমান নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সংঘাতের প্রকৃত কারণ বুঝে উঠা দায়। কিভাবে বিতর্কিত ভূমি ইজরাইল রাষ্ট্রের সম্পত্তি হয়ে গেল? জায়োনিস্ট ইতিহাসের আয়না এমনকিছু মিথের উপর দাঁড়িয়ে আছে যেগুলো অতি সূক্ষ্মভাবে এই ভূমির উপর ফিলিস্তিনিদের নৈতিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উদ্ভট বিষয় হচ্ছে পশ্চিমের অনেক ‘মূলধারার’ মিডিয়া ও রাজনৈতিক এলিট এসব রূপকথাকেই অমোঘ সত্য বলে মেনে নিয়েছে, এ কারণেই বিগত ষাট বছর কিংবা তারও অধিক সময় ধরে ইজরাইলিদের সকল অপকর্মের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিয়ে আসছে। এতেই শেষ নয়, রূপকথার প্রতি এই অন্ধ-ভালোবাসা পশ্চিমা সরকারগুলোকে সংঘাত নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণ থেকে বিরত রাখছে। সেসব রূপকথার আগল ভাঙতে এই বই। জনসম্মুখে যেগুলোকে ধ্রুব সত্য হিশেবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি ঐতিহাসিক তথ্যাবলির বস্তুনিষ্ঠ পাঠের মাধ্যমে সত্যের অপালাপ এই ও মিথ্যাচারের প্রাসাদ গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। বইয়ের মূল উপজীব্য হচ্ছে রংচঙে মিথ্যাচার এবং ঐতিহাসিক বাস্তবতার যুগপৎ প্রকাশ।