• Tk 241Tk 330

    কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ

    এককথায়— কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা বলে, কীভাবে আমাদের জীবনে কুরআন হয়ে উঠতে পারে আলোর দিশা, কুরআনের আয়াতগুলো থেকে কীভাবে আমরা আহরণ করতে পারি মণি-মুক্তো, কীভাবে কুরআন আমাদের চিন্তার জগতে আনতে পারে নতুন মাত্রা— পাঠক পরিচিত হবে সেরকম একটা ধারার সাথে। উঁহু, গতানুগতিক গদ্য বা খটমটে প্রবন্ধ নয়, প্রতিটা অধ্যায়ে পাঠক দেখতে পাবে তার জীবনের প্রতিচ্ছবি, জীবন থেকে নেওয়া ঘটনা অথবা চারপাশের চিরচেনা জগতের সাথে কুরআন কীভাবে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। জীবনের গল্প পড়তে পড়তে পাঠক ঢুকে পড়বে কুরআনের ভাবনার জগতে, সেই জগত থেকে আলো ধার করে পাঠক আবার ফিরে আসবে জীবনের ধারায়— ‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বইটা সাজানো ঠিক এভাবেই, আলহামদুলিল্লাহ।

  • Tk 241Tk 330

    হায়াতের দিন ফুরোলে

    ‘জীবনের জাগরণ’ সিরিজ অত্যন্ত সমাদৃত, পাঠকপ্রিয় একটা সিরিজ। আমাদের নৈমিত্তিক ভুল আর ভ্রান্তিগুলোর তালিকা তৈরি করে, গল্প, আড্ডা আর স্মৃতিচারণ করতে করতে এই সিরিজের মাধ্যমে খুঁজে আনা হয় সেই ভুল আর ভ্রান্তির সমাধান। যাপিত জীবনে জড়িয়ে থাকা সাধারণ ঘটনা, আপাতদৃষ্টিতে যেগুলোকে সামান্য আর ক্ষুদ্র বলে মনে হয়, সেগুলো থেকেও বের করে আনা হয় চিন্তার রসদ। ‘বেলা ফুরাবার আগে’, ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বই দুটো ছিলো এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি। এই সিরিজের তৃতীয় কিস্তি হিশেবে, পাঠকদের কাছে দ্রুতই হাজির হচ্ছি ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটিকে নিয়ে, ইন শা আল্লাহ। হায়াতের দিন ফুরিয়ে গেলে নিভে যাবে জীবনের প্রদীপ। সেই অবধারিত, অনিবার্য ক্ষণটা চলে আসার আগে, আমরা আরেকবার জীবনের পেছনে তাকাতে পারি। নতুনভাবে করতে পারি অনেক হিশেব-নিকেষ। সেই হিশেব-নিকেষের ঘটনায়, ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটা আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে, ইন শা আল্লাহ।

  • Tk 246Tk 300

    আমার সারাদিন প্যাকেজ

    আমার সারাদিন প্যাকেজঃ আব্দুল্লাহ ও আমাতুল্লাহ দুজন ভাইবোন। একজনের বয়স আট, অন্যজনের বয়স সাত। ওরা দুজন সারাদিন কী কী করে সেই গল্পই শুনব আমরা। ওরা অন্যদের মতো নয়। অযথা রাত জাগে না। মোবাইলে কার্টুন দেখে না। আজগুবি গল্পের বই পড়ে না। সকালে উঠেই অন্যদের মতো নাকমুখ গুঁজে পড়তে বসে না। এখনো ওদের পিঠে চেপে বসেনি ভারী স্কুলব্যাগ। ওদের শৈশব আনন্দময়। এই আনন্দ শুরু হয় ফজরের সালাত দিয়ে। ভাইটি বাবার হাত ধরে মসজিদে যায় আর বোনটি আম্মুর সাথে সালাতে দাঁড়ায়। এরপর সারাদিন শুধু ছুটে বেড়ানো। কখনো বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাওয়া, কখনো অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে যাওয়া, আবার কখনো পাশের বাড়িতে খাবার নিয়ে যাওয়া। এরই মাঝে বাড়িতে চলে আসে মেহমান! তখন তো আর কথাই নেই! ছোট ভাইবোনেরা একসাথে হওয়া মানেই নতুন নতুন খেলা! এত আনন্দ আর ছুটোছুটির মাঝেও ওরা আল্লাহকে ভুলে যায় না। ওরা ভালোবাসে আল্লাহকে। তাই প্রতিটি কাজের আগে দুআ করে আল্লাহর কাছে। ওদের নিষ্পাপ মুখে উচ্চারিত হয় আল্লাহর নাম। তখন সারাদিনের সাধারণ কাজগুলোই হয়ে ওঠে একেকটি অসাধারণ গল্প।বই দুটির বৈশিষ্ট্য : এ যেন শিশুর ডায়েরি। ছোট ছোট দুআ দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি গল্প। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যেসব দুআ পড়তে হয় সেগুলো উঠে এসেছে একেকটি গল্পে। বইটি লেখা হয়েছে শিশুদের উপযোগী সহজ ভাষায়। প্রতিটি গল্পকে সাজানো হয়েছে বিশেষভাবে। যেন শিশু নিজেই শিখে নিতে পারে প্রতিদিনের দুআগুলো। আবদুল্লাহ আর আমাতুল্লাহ নিজেরাই বলছে ওদের সারাদিনের গল্প। আপনার সোনামণিকেও পরিচয় করিয়ে দিন ওদের সাথে।

  • Tk 247Tk 330

    থামুন! পথ দেখাবে কুরআন

    গন্তব্য চট্রগ্রাম। একটি উন্নত গাড়িতে চড়ে আপনি রওনা হয়েছেন ঢাকা মিরপুর থেকে। পথিমধ্যে নানান জায়গায় স্পিড ব্রেকারের সামনে আপনার গতি রোধ করতে হচ্ছে। আপনার চট্রগ্রাম সফর সফল করতে কিছু জায়গায় স্পিড ব্রেকারের কাছে গিয়ে থামতেই হবে আপনাকে। আপনার গাড়ি যত দামিই হোক, যত দক্ষই হোক আপনার ড্রাইভার যদি আপনি না থামেন, আপনার গাড়ি চূর্ণবিচূর্ণ হবে, মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হবেন আপনি। ঠিক এমনই জ্ঞানের জগতেও কিছু স্পিড ব্রেকার রয়েছে, যেখানে আপনাকে থামতে হবে, মেনে নিতে হবে আপনার অক্ষমতা। আপনি হয়তো গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ ইত্যাদি নিয়ে দুর্দান্ত অধ্যয়ন করছেন নিজের এবং মানবতার মুক্তির জন্য। কিন্তু আপনি কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আল্লাহ যেন আপনাকে ডেকে ডেকে বলছেন, বান্দা! আমার পরিচয় ভালোভাবে জেনে আমার সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে শুরু করো ভিন্ন এক যাত্রা। সে যাত্রার শুরুতেই আপনার সাক্ষাৎ হচ্ছে আলিফ-লাম-মীমের। যেখানে থামিয়ে দিতে হচ্ছে আপনার জ্ঞানের গতিকে, স্বীকার করে নিতে হচ্ছে নিজের অজানা আর অক্ষমতাকে। তারপর আল্লাহ আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, এমন একটি কিতাবের সঙ্গে, যার মধ্যে নেই কোনো ভুলত্রুটি, কোনো সন্দেহ-সংশয়। যার সবটুকুই আপনার এবং মানবতার কল্যাণ, যার পু্রোটা জুড়েই রয়েছে উদ্ভূত সমস্ত সমস্যার সমাধান। কুরআনের আলিফ-লাম-মীম, ইয়া-সীন, হা-মীম ইত্যাদি মুকাত্তাআত হুরূফগুলো আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত এক একটি স্পিড ব্রেকার, যা আপনার জ্ঞানের গতিকে থামিয়ে দেয়, আপনার জ্ঞানের জগৎকে করে দেয় অক্ষম। পরিচয় করিয়ে দেয় জ্ঞানের সম্পূর্ণ নতুন এক দিগন্তের সঙ্গে। যা আসমান থেকে আসা নির্ভুল এবং মহাসত্য। চলুন আল্লাহ তাআলা আমাদের অক্ষম করে দিয়ে কী জানাচ্ছেন, কোন বিষয়গুলো তুলে ধরছেন, তা জেনে নিই—‘থামুন! পথ দেখাবে কুরআন’ বই থেকে।

  • Tk 247Tk 330

    জীবনের আয়নায়

    নতুন প্রজন্মের দিকে তাকালে প্রচন্ড দুঃখ হয়। দেখলে মনে হয়, তাদের সামনে সত্যিকারের কোনো আদর্শ নেই। নেই জীবন নিয়ে সত্যিকারের কোনো ভাবনা-পরিকল্পনা। এই সুযোগে হতাশার চাদর এসে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে আমাদের সম্ভাবনাময় প্রজন্মকে। তাদের দিকে তাকালে বোঝা যায় ভেতরে ভেতরে কেউ ভালো নেই। হৃদয়ে যেন চেপে রেখেছে আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভা। কেউ কেউ তো চেপে রাখতে না পেরে ক্যাম্পাসে, পাড়া-মহল্লায় আত্মহুতির পথ বেঁছে নেয়। তাদের কাছে মনে হয় জীবন বুঝি এমনই, অসহ্য। কিন্তু কে চেনাবে তাদেরকে? এক যে আছে নির্মল জীবন! যেখানে হতাশা আর গ্লানির কোনো ঠাঁই নেই। আছে পরিচ্ছন্ন অন্তর, পারিবারিক সৌন্দর্য ও প্রাণোচ্ছল হাসি । মন-মাতানো সত্যিকারের প্রশান্তি যে জীবনকে করেছে আলো ঝলমলে। এমন স্বার্থক জীবনের পথ চেনাতে মুহাতারাম শাইখ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ রচনা করেছেন “জীবনের আয়নায়” বই। যা পাঠকের নিস্তেজ মনে গতির সঞ্চার করবে, ইনশা আল্লাহ। দিবে জীবন চলার পথে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত ও অনুপ্রেরণা।

  • Tk 259Tk 350

    সিসাঢালা প্রাচীর

    পাহাড়ঘেরা আশ্চর্য এক দেশ আফগানিস্তান—এশিয়া-ইউরোপের সদর দরজা। আরও আশ্চর্য সেই দেশের মানুষ—উদার, অকুতোভয়, আলখাল্লা-পাগড়ি-শ্মশ্রু-শোভিত এবং অতিমাত্রায় স্বাধীনচেতা। ইতিহাসের যে অপ্রতিরোধ্য সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেন দুনিয়ার ১ কোটি ৩০ লাখ বর্গমাইল এলাকা দখল করে ঘোষণা করেছিল ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না’—সেই ব্রিটেন তিন দফা (১৮৩৯, ১৮৭৮, ১৯১৯) আফগানিস্তানে হামলা করে প্রতিবারই গো-হারা হেরে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়। পরাক্রান্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করতে যুদ্ধাভিযান চালিয়ে যায় টানা ১০ বছর (১৯৭৯-১৯৮৯) ধরে, কিন্তু মাথা-নত-না করা পশতুন-পাঠানদের কঠিন প্রতিরোধের মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে অবশেষে পিছু হটে। সবশেষে তালিবানকে বশ করতে মাঠে নামে দাম্ভিক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে (২০০১-২০২১) তারা আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে, হাজার হাজার সৈন্য হারায় এবং নাকে খত দিয়ে ঘরে ফেরে। এখন তালিবান হিন্দুকুশ পর্বতের চূড়ার মতোই আচ্ছামতো পাগড়ি পেঁচিয়ে মাথা উঁচু করে দেশ চালায়, আফগানিস্তান রয়ে যায় অজেয়। সিসাঢালা প্রাচীর এই অজেয়তাকেই উচ্চকিত করে। ইতিহাসের বই নয় এটা, প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের সাক্ষ্য। আল জাজিরা আহমাদ ফালুদ্দিনকে পাঠিয়েছিল ক্লান্ত পরাস্ত মার্কিনদের আফগানিস্তান থেকে পলায়নের ঘটনার প্রতিবেদন করতে। কিন্তু এ বই প্রতিবেদনও নয়, বরং সেই প্রত্যক্ষণ ও প্রতিবেদনের অভিজ্ঞতার প্রাণবন্ত বয়ান। লেখক বার বার গিয়েছেন আফগানিস্তানে, যোদ্ধা আর নেতাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, বন্ধু হয়ে মিশে গিয়ে নিবিড়ভাবে পাঠ করেছেন সেই মুজাহিদদের মন যারা কখনোই হারে না।

  • Tk 278Tk 370

    জেগে ওঠো আবার

    কত মেঘ, কত রং, আর কত জোসনা। কুরআনের নান্দনিকতা ব্যাখ্যা করার জন্য এ বাক্যটি কতটা যুতসই? না, কুরআনকে আসলে সংজ্ঞার ফ্রেমে বাঁধা যায় না। এ এক মহা বিস্ময়ের নাম। আচ্ছা, কুরআনকে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পড়ার ইচ্ছে কি কখনো উঁকি দিয়েছে আপনার মনে? মানে, কুরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য, ব্যাকরণের সাত-সতেরো, আগের যুগের ইমামদের ব্যাখ্যা—কিংবা আধুনিক যুগের আয়নায় কুরআন পাঠ, এমন শত আকাঙ্ক্ষা ভর করেছে কখনো আপনার মাথায়? কুরআন কি হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে কথা বলে? কুরআন কি মানুষের প্রাত্যহিক একেবারে খুবই আটপৌরে বিষয় নিয়েও কথা বলে? আচ্ছা, কুরআন নিয়েও কি গল্প করা যায়? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মনে হামেশাই ঘুরপাক খায়। আপনার এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ‘জেগে ওঠো আবার’ বইটির পাতা ওলটালে। ঝরঝরে বাংলায়, অনেকটা সাহিত্যের ঢঙয়ে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে শত দৃষ্টিকোণ থেকে। বইটি পড়ার পর জ্যামে আটকে থাকা বাসে বসেও আপনি টের পাবেন—কুরআন আপনার সাথে কথা বলছে। অলস দুপুরে পুকুর ঘাটে বসেও আপনি অনুভব করবেন—কে যেন আপনার কানে কানে কুরআনের কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। জীবনের সাথে যদি কুরআনকে একাকার করে ফেলতে চান, যদি জীবনটা সাজাতে চান কুরআনের ছন্দ-সূত্র বা মূলনীতি মেনে, তাহলে আর এক পলকও দেরি নয়। খাটের কোণায় একটা সোনালি আলোর ল্যাম্প জ্বেলে, বালিশে হেলান দিয়ে ডুব দিন ‘জেগে ওঠো আবার’-এর রহস্য অরণ্যে—সেথায় কখনো মেঘ, কখনো রদ্দুর, আর কখনো জোসনা ফোটে।

  • Tk 285Tk 380

    ইসলামি জীবনব্যবস্থার মূলনীতি

    এটি দর্শন, ধর্মতত্ত্ব কিংবা মেটাফিযিক্সের কোনো বই নয়। এই বই বাস্তবতা নিয়ে। বাস্তব সমস্যার বাস্তব সমাধান নিয়ে। দর্শন আর মিথ্যা দ্বীনের ভ্রান্ত ধ্যানধারণার স্তূপের নিচে মানবজাতি যখন হাহাকার করছিল, বিভ্রান্তের মতো মানুষ যখন ছুটে মরছিল মানবীয় জল্পনাকল্পনা আর অনুমানের গোলকধাঁধায়, তখন ইসলাম এসেছিল মানুষকে সেই আবর্জনার স্তূপ থেকে মুক্ত করতে। মানবজাতিকে ইসলাম উপহার দিয়েছিল এক নতুন জীবন, আল্লাহর নির্ধারিত এক নতুন ব্যবস্থা। কিন্তু আজ আলো ছেড়ে মানুষ আবারও সেই আবর্জনার স্তূপ আর গোলকধাঁধায় ফিরে গেছে। উম্মাহ আজ নিজের নেতৃত্বের দায়িত্ব ত্যাগ করেছে। তারা আজ ওই সব জাতির অনুকরণে ব্যস্ত, যারা নিজেরাই বিভ্রান্ত, আকণ্ঠ আবর্জনায় নিমজ্জিত। লাইব্রেরিগুলোতে ‘ইসলামি চিন্তা’ আর ‘ইসলামি দর্শনের’ শিরোনামে শত শত বই আছে। সেই লম্বা তালিকায় আরেকটি বই যুক্ত করার ইচ্ছে আমাদের নেই। আমরা চাই জ্ঞানকে শক্তিতে পরিণত করতে। এমন শক্তি যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে পৃথিবীতে তার উদ্দেশ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করতে। আমরা মানুষের ভেতরে ঘুমিয়ে-পড়া বিবেককে জাগাতে চাই, যেন সে ওহির আলোতে নিজ সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে পারে। এই বইটি ইসলামি ওয়ার্ল্ডভিউ এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো সংজ্ঞায়িত করার একটি প্রচেষ্টা। যাতে এ ওয়ার্ল্ডভিউ-এর আলোকে আমরা বুঝতে পারি মহান আল্লাহ আমাদের জন্য কেমন জীবন চান। একই সাথে ইসলামের এই সামগ্রিক ব্যাখ্যা থেকে চিন্তা, জ্ঞান ও সভ্যতাসহ—সব মানবীয় উদ্যোগের ব্যাপারে দিকনির্দেশনাও যেন আমরা পাই। ইসলামি ব্যবস্থা ও সভ্যতার মূল ভিত্তি হতে হবে সঠিক ইসলামি চিন্তাধারা। মন ও মস্তিষ্ক, উম্মাহ এবং মানবজাতি—সব ক্ষেত্রে এবং সবার জন্যই এই চিন্তাধারা প্রয়োজন।

  • Tk 285Tk 380

    সায়েন্স ফিকশনস

    বিজ্ঞানের নামে আমাদের যা শোনানো হচ্ছে, তা সবই কি সত্য? নাকি ভারী ভারী গবেষণা আর চটকদার ফলাফলের আড়ালে কোনও ফাঁক-ফোকর লুকিয়ে থাকে? নামকরা সব জার্নালে প্রকাশিত হওয়া সব গবেষণা-পত্রই কি ‘সহীহ’? আসলে এভাবে বিজ্ঞান-কেন্দ্রিক গবেষণাগুলোকে প্রশ্ন করার চিন্তাও আমাদের মাথায় আসে না। কারণ, ‘গবেষণা’ শব্দটার প্রতিই আমাদের কেমন যেন এক মুগ্ধতা কাজ করে। ‘গবেষণায় পাওয়া গেছে’ বা ‘গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে’ এরকম বাক্য দিয়ে শুরু হওয়া কোনও আর্টিকেল বা প্রবন্ধ-নিবন্ধের ব্যাপারে আমাদের মনে যেন একটা অটোসাজেশন কাজ করে। ভাবখানা এমন যে, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন? তার মানে এটা বিলকুল সহীহ! অথচ বিজ্ঞানের নামে বিশ্বব্যাপী কত কত ভাঁওতাবাজি ছড়িয়ে আছে তা কি জানেন? গবেষকদের কথামতো ধ্রুবসত্য মেনে বসে আছেন, এমন বহু থিওরির পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই! মানে জোরালো তথ্য-প্রমাণ নেই। পক্ষপাত-দুষ্ট, মনগড়া, জোচ্চুরি-করা ওসব গবেষণার ক্ষতিকর প্রভাবটা দিনশেষে পড়ছে মেডিসিন, চিকিৎসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, সরকারি নীতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ সব সেক্টরে। বিজ্ঞানের অন্ধকার এই দিকটি নিয়ে তেমন কোনও লেখাজোখা চোখে পড়ে না। তবে এ-ব্যাপারে কলম ধরে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছেন স্টুয়ার্ট রিচি। নিজে একজন গবেষক হওয়ায় গবেষণা-খাতের হাঁড়ির খবর তার কলমে উঠে এসেছে কোনও রাখঢাক ছাড়াই। বাংলায় তার বইটিকে পাঠকদের জন্যে সহজবোধ্য করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি আমরা। চোয়াল-ঝুলে-পড়া সব বিস্ফোরক তথ্যের অপেক্ষা শুধু পাতা উলটালেই!

  • Tk 294Tk 392

    ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০

    দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে রন্ধে ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিমা অপসংস্কৃতি, স্বাধীনতার নামে নানান বুলি আর আদর্শের যাঁতাকলে দ্বীন আজ মুসলিম ঘরের অধিকাংশ ছেলে-মেয়েদের কাছে সেকেলে। এই আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে আমাদের মেয়েরা। ইসলাম সম্পর্কে, ইসলাম যে জীবন তাদের দিয়েছে তা সম্পর্কে আমাদের মেয়েদের জানাশোনা ভয়ংকর রকম কম। কোনো পাবলিক কিংবা প্রাইভেট ভার্সিটিতে যান, সেখানে ১০০ জন মেয়ের সাথে যদি আপনি ১০ মিনিট করে কথা বলেন ইসলামে নারীর অবস্থানের ব্যাপারে, ৯৫ জনের মাঝে কোনো না কোনো পয়েন্টে বিভিন্ন মাত্রার ইরতিদাদ দেখতে পাবেন। দেখবেন কোনো একটা বিষয়ে হয় কুরআনের আয়াতকে, না হয় স্পষ্ট কোনো হাদিসকে সে হয় অস্বীকার করছে, না হয় এ যুগে অচল বলে মন্তব্য করছে। তাদের অনেকেই ইসলামকে পুরুষতান্ত্রিক ও সেকেলে, আর পশ্চিমা সভ্যতাকে আধুনিক ও নারীবান্ধব বলে মনে করে। খুব স্বাভাবিক। ঘরে মায়ের নিগৃহীত জীবন আর টিভিতে পশ্চিমের বাঁধনহারা জীবন দেখতে দেখতে সে বড় হয়েছে। তুলনা করেছে। দুটোর কারণই তো আমরা পুরুষরা। মোদ্দাকথা হল আমরা পারিনি এবং করিনি। ফল হিসেবে চোখ ধাঁধানো শিশিরবিন্দুতে ধোঁকা খেয়ে পশ্চিমা মাকড়সার জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ছটফট করছে আমাদের প্রজাপতিরা। সেই পুরুষজাতিগত অপরাধবোধ থেকেই ডা. শামসুল আরেফীন বইটি লিখেছেন। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এর দ্বিতীয় পর্ব। লেখক এ বইতে দেখাতে চেষ্টা করেছেন পশ্চিমা সমাজের সাথে ইসলামের আদর্শিক দ্বন্দ্বটা কোথায়, কেন সবাই পশ্চিমের সাথে একাকার হতে পারছে, আর ইসলাম পারছে না। এছাড়া দেখাতে চেয়েছেন ইসলামের ব্যবহারিক প্রয়োগটা কেমন ছিল। পশ্চিমা আদর্শের ইতিহাস আর ইসলামের ইতিহাসের একটা তুলনামূলক চিত্র পাঠক পাবেন।

CATEGORIES