• Tk 112Tk 150

    সন্তান গড়ার কৌশল

    বাগানে ফুল ফুটুক, পাখি ডাকুক, এটা সকল মালীই চায়। কেন চাইবে না বলুন? বাগান গড়ে তোলার জন্যে কি তাকে কম কষ্ট করতে হয়? বীজ বোনা থেকে নিয়ে পরিচর্যা—কত কত কষ্ট সহ্য করতে হয় একজন মালীকে। তার কষ্ট তখনই সফল হয়, যখন সাধের বাগানখানি ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি বাবা-মা’কেও অনেক কষ্ট পোহাতে হয় আদুরে সন্তানের জন্যে। সন্তানকে মানুষ করার জন্যে জন্মের পর থেকেই দিনরাত খাটাখাটনি করতে হয়। মা-বাবার এত এত কষ্ট তখনই আনন্দের অশ্রু হয়ে ঝরে, যখন সন্তান মানুষের মতো মানুষ হয়। আসলে আলোকিত সন্তান সবাই চায়। কিন্তু সন্তানকে আলোকিত করতে হলে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সম্পর্কে অনেকেই বেখবর। অনেকের ইচ্ছে থাকে সন্তান গড়ার কলাকৌশল জানার। কিন্তু সঠিক নির্দেশনার অভাবে তারাও অনেকসময় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। এমন সমস্যায় যেন আর কাউকেই পড়তে না হয়, সে জন্যেই আমাদের এই গাইডলাইন। এই বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা বাবা-মা’কে শিখিয়ে দেবে কীভাবে আলোকিত মানুষ হিসেবে সন্তানকে গড়ে তুলতে হয়।

  • Tk 124Tk 165

    নিজেকে এগিয়ে নিন

    দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা পেতে ধারাবাহিক পরিশ্রম করে যেতে হয়। প্রতিনিয়ত নিজেকে একটু একটু করে এগিয়ে নিতে হয়। সফল হওয়ার পথে কোনো অবসর বা বিরাম নেই। এ পথে থেমে যাওয়া মানে পথ হারিয়ে ফেলা। সফল ব্যক্তিদের জীবন হিসেব করলে দেখা যায়, তাদের সফলতার মূলমন্ত্র ছিল—লক্ষ্য পানে অবিরাম এগিয়ে যাওয়া এবং নিয়মিত আমল করা। মুমিন-জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাতে যাওয়া। এটিই মহা সফলতা। পবিত্র কুরআনের ভাষায় আল-ফাওযুল কাবীর। এ জন্য একজন মুমিন আল্লাহর বিধান মেনেই তার জীবন পরিচালিত করে। মুমিন কখনো আমলশূন্য অলস বসে থাকতে পারে না। তবে সামনে অগ্রসর হতে হলে আল্লাহর রহমত ও সাহায্য অপরিহার্য। আর আল্লাহ কেবল তাদেরই সাহায্য করেন, যারা নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার মজবুত সংকল্প করে এবং অল্প করে হলেও নিয়মিত আমল জারি রাখে। এ বিষয়ে ইমাম ইবনু রজব হাম্বালি r-এর একটি অনবদ্য রচনা হলো আল-মাহাজ্জাহ ফী সাইরিদ দুলজা। আলহামদুলিল্লাহ, উপকারী সেই গ্রন্থটিরই অনুবাদ—নিজেকে এগিয়ে নিন। গ্রন্থটিতে আমলবিষয়ক এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা জানা সবার জন্য জরুরি।

  • Tk 125Tk 167

    ওয়াসওয়াসা (শয়তানের কুমন্ত্রণা)

    আপনি কি ওযু-গোসল বা ইস্তিঞ্জার সময় এক অঙ্গ বারবার ধুচ্ছেন, তবুও কি মনে হচ্ছে ধোয়া হয়নি ঠিকমতো? ওযু করার পর কি বারবার মনে হচ্ছে যে, প্রসবের ফোঁটা পড়ছে, অথবা বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে? আল্লাহ, রসূল, ঈমানের, অথবা ইসলামের কোনো আইনের ব্যাপারে মাথায় কি খারাপ চিন্তা আসে? নামাজে কি আপনি বারবার রাকাত ভুলে যাচ্ছেন? সিজদা কয়েটা দিয়েছেন—সন্দেহ লাগে? ঘরে রেখে আসা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ে আপনি কি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কাজ করছে? আপনি কি অপ্রয়োজনে টয়লেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন? . ওয়াসওয়াসা, অর্থাৎ শয়তানের কুমন্ত্রণা। এই ওয়াসওয়াসায় আমরা সবাই কম বেশি ভুগি। যুগে যুগে অনেক আলিম এই সমস্যার সমাধান নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন। এই বিষয়ে আধ্যাত্মিক জগতের বিখ্যাত আলিম ইবনুল-কাইয়্যিম রহ.-এরও রয়েছে ‘ওয়াসওয়াসা’ নামে স্বতন্ত্র গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি তুলে ধরেছেন ওয়াসওয়াসার প্রকারভেদ, এর কারণ, এবং কার্যকরী সমাধান। সেই গ্রন্থের বাংলারূপ ‘ওয়াসওয়াসা: শয়তানের কুমন্ত্রণা।’

  • Tk 127Tk 170

    নারীর পরিচয় : নানান চোখে নানান আয়নায়

    নারী। অসংখ্য-অগণিত মতবাদ বা ইজমের জটাজালে আটকা পড়া এক নিদারুণ শব্দ। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই পাশ্চাত্যের আঁস্তাকুড়ে জন্ম নেওয়া নানান চিন্তাধারার বলি হতে হয়েছে খোদ পশ্চিমের নারীকেই। বাদ যায়নি দুনিয়ার অন্য প্রান্তের নারীরাও। পরিণামে নারী ভুলেছে তার আসল অবস্থান, সত্যিকার পরিচয়। নারীর আসল পরিচয় কী? নারী কি পুঁজিবাদী কোম্পানির পণ্যের প্রচারণায় বিলবোর্ডে ঝুলতে থাকা বিজ্ঞাপন? নাকি স্রেফ আকর্ষণীয় কোনো ‘বস্তু’? আরব বিশ্বের খ্যাতিমান দাঈ ড. ইয়াদ কুনাইবি এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় একটি অনুসন্ধানী প্রয়াস আপনার হাতের এ বইটি। এতে তিনি নারীকে দেখিয়েছেন নানান চোখে, নারীত্বকে দেখিয়েছেন নানান আয়নায়। সচেতন পাঠকের সামনে পশ্চিমের ভোজবাজির পর্দাটা বেশ খানিকটা দুলিয়ে দেবে এ বই।

  • Tk 131Tk 175

    হুজুর হয়ে হাসো কেন

    একটা সময় ছিল যখন অনলাইন জগত ছিল সেকুলাঙ্গারদের কবলে, ইন্টারনেটে কেউ ইসলাম নিয়ে কথা বললে সবাই ছেঁকে ধরত। এরপর আসলো একটা সময় যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা চাইলেন তাঁর দ্বীনের কথা অনলাইনে ছড়াক, তাই তিনি তাঁর কিছু বান্দাকে এই কাজে নিয়োজিত করলেন। কিন্তু দেখা গেল যখন মুসলিম ভাইয়েরা বুদ্ধিমত্তার সাথে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেকুলাঙ্গারদের ধরাশায়ী করতে লাগলেন তখন সেই সেকুলাঙ্গাররা কুযুক্তি আর হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে আলোচ্য বিষয়গুলো থেকে মানুষদের দূরে সরিয়ে নিতে লাগলো। তখনই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ইচ্ছায় তাঁর এমন কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটলো যারা সেকুলাঙ্গারদের হাসি-ঠাট্টার জবাব হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই দিবে, কিন্তু দু’পক্ষের মাঝে মৌলিক কিছু পার্থক্য থাকবে। অনলাইন জগতে ‘হুজুর হয়ে’ এমনই একটি দল যারা এই কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সময়টা এমন এসেছে যে মিডিয়ার কল্যাণে (নাকি অকল্যাণে?) মানুষ এত নেতিবাচক বিষয় চারিদিকে দেখে যে তারা হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে বাস্তবতা থেকে দূরে থাকতে চায়। তাই ‘হুজুর হয়ে’ চেষ্টা করলো হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই জনসাধারণকে বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তারা হাসির ছলে আমাদের সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর অসংগতিগুলো তুলে ধরছে যেগুলো আমরা অনেকেই উপলব্ধি করি না বা করলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না। তাদের প্রচেষ্টা এমনই হয় যেন প্রত্যেক কাজেই কিছু না কিছু শিক্ষামূলক থাকে এবং সঠিক পথনির্দেশ পাওয়া যায়। তাদের এই উদ্যোগ যেন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং অফলাইনের মানুষও যেন এ থেকে উপকৃত হতে পারে সেজন্য ‘সমর্পণ প্রকাশন’-এর উদ্যোগে প্রকাশিত হচ্ছে ‘হুজুর হয়ে’ টিমের রম্য রচনা সমগ্র ‘হুজুর হয়ে হাসো কেন?’। আমরা দু’আ করি যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এর মাধ্যমে রসবোধসম্পন্ন চিন্তাশীল মানুষদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলেন এবং একে তাদের হিদায়াতের মাধ্যম বানিয়ে দেন।

  • Tk 138Tk 184

    রঞ্জ মামার টেলিস্কোপ

    কিশোর-কিশোরীদের ভাবনার জগৎটা বিচিত্রময়। বিভিন্ন সময়ে তারা নানান স্বপ্নে বিভোর থাকে। আর তাতেই ডুবে থাকে সারাক্ষণ। তাই শুরুতেই যদি তাদের স্বপ্নগুলোকে ইসলামের সৌন্দর্যের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, তাদের কাছে তা আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তাহলে সারাজীবন তারা সুবাস ছড়াতে থাকবে। যেখানেই থাকুক, যে কাজেই থাকুক, আলোকিত করবে নিজেদের চারপাশ। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে ইসলামের শুভ্রতা ও সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আলী আবদুল্লাহ নিয়ে এসেছেন তার নতুন কিশোর উপন্যাস রঞ্জু মামার টেলিস্কোপ। লেখক এখানে চমৎকারভাবে গল্পাকারে সাজিয়েছেন ইদরীস n-এর কথা, হূদ n ও কওমে আদের কথা এবং সালিহ n, তাঁর উটনী ও কওমে সামূদের কথা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই বইটি কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ মানসিকতায় ও বিশুদ্ধ চিন্তা-চেতনায় বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং তাদের পরিচিত করাবে নবিদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে।

  • Tk 144Tk 192

    ঈমান ধ্বংসের কারণ

    ইসলামের বিশ্বাস ও চেতনা নিয়ে আজকাল সর্বমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ পরিস্থিতিতে একজন সাধারণ মুসলিমের পক্ষে তার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও আস্থাশীল থাকা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে এমন অনেকেই আজকাল জানে না, কোন বিশ্বাসটি তার মুসলিম-পরিচয়ের সাথে সাংঘর্ষিক। নিজেকে মুসলিম জাতিসত্তার একজন সদস্য বলে পরিচয় দিতে হলে কী কী বিশ্বাস লালন করতে হয় এবং কী কী বিশ্বাস বর্জন করতে হয়, অধিকাংশ মুসলিমই তা সম্পর্কে বেখবর। সেই উপলব্ধি থেকেই আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। বক্ষমান গ্রন্থটি আরব-বিশ্বের তাওহীদবাদী আন্দোলনের পুরোধা ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব রহিমাহুল্লাহ কর্তৃক রচিত ‘নাওয়াকিদুল ইসলাম’ গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যাকার শাইখ আবদুল আযীয ইবনু মারযুক তারীফি আরব-বিশ্বে একজন তাওহীদবাদী আলিম হিসেবে প্রসিদ্ধ। এই গ্রন্থে তিনি ঈমান বিনষ্টকারী দশটি বিষয় নিয়ে বাস্তবমুখী তথ্যনির্ভর আলোচনা করেছেন। একজন মুসলিমের জন্য এ বিষয়গুলো আত্মস্থ করা অত্যন্ত জরুরি। নতুবা যে-কোনো পন্থায় তার ঈমান হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

  • Tk 144Tk 192

    প্রদীপ্ত কুটির

    মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল না। এই সমাজ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের প্রেমের বৈধতা দিলেও একই বয়সে বিয়ের কথা উঠলে নানাজন নানান অজুহাত নিয়ে হাজির হয়। শুধুমাত্র দ্বীনের খাতিরে এই বয়সে বিয়ে করতে গেলে যে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন, তা সবার থাকে না। সৌভাগ্যের বিষয় মাহির-লাফিজা দুজনের মা-বাবার এই মানসিক শক্তি ছিল। বইয়ের গল্প শুরু হয় সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাহির-লাফিজার বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ের গল্পের মাধ্যমে বইটি শুরু হলেও বইটি বিয়ে, দাম্পত্য জীবনের সুন্নাত নিয়ে নয়; বইটি মূলত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসরণ করা নিয়ে। আরও যথার্থভাবে বললে, সুন্নাত মনে করিয়ে দেওয়া নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু সুন্নাত অনুসরণ না করার দরুন ছোটবেলার মা-বাবার শেখানো শিক্ষায় মরিচা ধরে। বিয়ের পর মাহির-লাফিজা তাদের জীবনের মরিচাগুলো পরিস্কার করা শুরু করে। মাহির যখন অভ্যাসবশত এমন একটা কাজ করতে যায় যেটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানোর বিপরীত (হারাম), তখন লাফিজা আদুরে গলায় মাহিরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। একইভাবে লাফিজাও যখন ভুলবশত কোনো কাজ করে ফেলে, যেটা করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, তখন মাহির স্ত্রীকে সংশোধন করিয়ে দেয়। সুন্নাতে উদ্ভাসিত মাহির-লাফিজার ঘরের নাম আমরা দিয়েছি ‘প্রদীপ্ত কুটির’।

  • Tk 144Tk 192

    সবর ও শোকর

    পরীক্ষা ঈমানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই পরীক্ষায় মুমিন উত্তীর্ণ হয় সবর ও শোকরের দ্বারা। যত রব্বানি আলিম আবেদগণ ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন, তাদের সবার প্রধান আমল ছিল সবর ও শোকর। সবর ও শোকর হচ্ছ লিফটের মতো, যে লিফটে দাঁড়িয়ে বান্দা দাসত্বের চূড়ায় পৌঁছে যায়। কিন্তু বর্তমানে এই দুটো আমল যেন একদম অপরিচিত হয়ে গেছে! মানুষ এখন সবর বলতে কেবল বোঝে বিপদের সময় ধৈর্য ধরা, এবং শোকর বলতে বোঝে প্রিয় কিছু পেলে ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ উচ্চারণ করা! . ফলশ্রুতিতে সবরের অভাবে ব্যক্তি হারাচ্ছে ঈমানী শক্তি, শোকরের অভাবে হারাচ্ছে প্রাপ্ত নিয়ামতরাজি। অথচ সবর ও শোকর মুমিনের প্রধান ঢাল হবার কথা ছিল! এদুটোই তার মোটিভেশনের মূল উৎস হবার কথা ছিল। এখন মুসলিম ঘরের সন্তানরা দ্বারস্থ হচ্ছে কাফের মুশরিকদের মোটিভেশনাল লেকচারের দিকে; তাদের রচিত গ্রন্থ থেকে শিখছে, কীভাবে জীবনের সকল নেতিবাচক মুহূর্তে নিজেকে সজীব রাখা যায়। সবর ও শোকরের সবক নিচ্ছে তাদের থেকে! . অনেক দেড়ি হলেও সবর ও শোকরের ওপর একটি বিখ্যাত গ্রন্থ অনুবাদ হয়ে আসার পথে। ইবনুল-কায়্যিম রহ. এর রচিত উদ্দাতুছ-ছবিরীন এর সংক্ষিপ্তসার। ইবনুল-কায়্যিম রহ.- আত্মশুদ্ধি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ইলমের রশ্মি তাঁর গ্রন্থ থেকে এত তীব্রভাবে প্রতিফলিত হয় যে, পাঠক মন বিমোহিত করে দেয়। সবর শোকরের বাস্তবতা কী, কীভাবে সবর করতে হয়, কীভাবে শোকর আদায় করতে হয়, কীভাবে এই দুটোর আমলের দ্বারা বান্দা তার দ্বীনদারির চূড়ায় পৌঁছে যায়, সেই দিশা মিলবে এই গ্রন্থে।

CATEGORIES