-
Tk 615
Tk 820সবর ও শোকর : পথ ও পাথেয়
দ্বীন ও দুনিয়ার সর্বাঙ্গীন সাফল্যে, মুমিনের ব্যক্তিক ও সামষ্টিক জীবনের সার্বিক কল্যাণে সবর ও শোকর পালন করে এক অনবদ্য ভূমিকা। সবর ও শোকর মূলত ইমানেরই দুটি অংশ। ইসলামি শরিয়ার প্রতিটি আহকামের সঙ্গে রয়েছে এই দুটির নিবিড় সম্পর্ক। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে সবর ও শোকরকে আমরা আটকে ফেলি আমলের ছোট্ট একটি গণ্ডিতে—চিন্তায় ও কর্মে সবর ও শোকরের যথাযথ মূল্যায়নে বরাবরই আমরা ব্যর্থ হই। তাই, সবর ও শোকরের পরিচয়, প্রকার, প্রকৃতি ও পরিণতি সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে আত্মশুদ্ধি জগতের বিখ্যাত আলিম ইবনুল কাইয়্যিমের অনদব্য সৃষ্টি ‘উদ্দাতুছ ছবিরীন ওয়া যাকিরাতুশ্চ ছাকিরীন’ এর অনুবাদ ‘সবর ও শোকর: পথ ও পাথেয়’
-
Tk 600
Tk 800ইসলামি জীবনব্যবস্থা
ইসলামি জীবনব্যবস্থা স্বয়ংসম্পূর্ণ, পূর্ণাঙ্গ ও কল্যাণময় জীবনব্যবস্থা। অনৈসলামি জীবনব্যবস্থা ঠিক তার বিপরীত। ইসলাম ছাড়া যত জীবনব্যবস্থা আছে, সবই অনৈসলামি জীবনব্যবস্থা। ইসলামই একমাত্র জীবনব্যবস্থা, যা শান্তি ও নিরাপত্তা, ইনসাফ ও আদল প্রতিষ্ঠা করে। আর মানবরচিত যত পথ-মত ও মতবাদ আছে, সবই মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে। মনুষ্যত্বকে পিষে ফেলে। মানবরচিত জীবনব্যবস্থার অসারতা, ইসলামি জীবনব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা জানার জন্য ও উপলব্ধি করার জন্য এই কিতাবটি অনেক সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ। প্রথম অধ্যায়ে লেখক ইসলামি আকাইদ নিয়ে সুদীর্ঘ আলোচনা করেন। এখানে তিনি এমন সব আলোচনাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন, যা বর্তমানে সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন: আহলুস সুন্নাহর সংক্ষিপ্ত আকিহাদ, তাওহীদের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, নাওয়াকিযুদ তাওহীদ, আলওয়ালা ওয়াল বারাআ ইত্যাদি। ভালো লাগার বিষয় হলো, প্রতিটি বিষয়ে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যা মনোযোগ দিয়ে পড়লে একজন পাঠক খুব সহজেই পুরো বিষয়ের একটা সুন্দর কাইফিয়ত ধারণ করতে পারবে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ইসলামি শরিয়াব্যবস্থা নিয়ে আলোকপাত করেন। কিছু অজ্ঞ বা ভ্রান্ত লোকেরা বলে বা ধারণা করে যে, ইসলামে ইবাদত-বন্দেগি ব্যতীত সামগ্রিক জীবনে চলার মত তেমন কোন বিধিবিধান নেই। তাদের এই ভ্রান্তির জবাব রয়েছে এই অধ্যায়ের আলোচনায়, তাছাড়া শরীয়াব্যবস্থার একটা রূপরেখা পাঠকের জানা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তৃতীয় অধ্যায়ে ইসলামি শাসনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। এই অংশটি বইয়ের বিশেষ সৌন্দর্য। হক কথাগুলোর সুস্পষ্ট উচ্চারণ ও জ্ঞানপাপীদের সৃষ্ট ভ্রান্তিগুলোর সমাধান পেয়ে যাবেন আলোচনার মাঝে। চতুর্থ অধ্যায়ে ইসলামি সমাজব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইসলাম একটি আদর্শ সমাজের জন্য কী রূপরেখা নির্ধারণ করে দিয়েছে, এই সম্পর্কে জানা যাবে উক্ত অধ্যায়ে। তাছাড়া কিছু ফিকহী আলোচনাও স্থান পেয়েছে এই অধ্যায়ে। পঞ্চম অধ্যায়ে আলোচনা হয়েছে অর্থায়ন ব্যবস্থা নিয়ে। জীবনব্যবস্থার একটা ইম্পরট্যান্ট দিক হলো, অর্থব্যবস্থা। ইসলামি অর্থব্যবস্থা ও অনৈসলামি অর্থব্যবস্থা কী! কেন! ইত্যাদি বিষয়ে জানা যাবে এই অধ্যায়ে। এই অধ্যায়ে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে– একজন মুসলিম কীভাবে, কোন পদ্ধতির অনুসরণ করে সফলতা ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে! ইসলামের অর্থায়ন ব্যবস্থার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এই অধ্যায়ে। ষষ্ঠ অধ্যায়ে বিভিন্ন মতবাদ ও তার আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসলামের সাথে কুফফার গোষ্ঠীর বিশ্বাসগত, বিধানগত, নীতিগত দিক থেকে লড়াই সবসময় চলবে। ইসলামের বিধিবিধান মানবতার কল্যাণের জন্য। কিন্তু ইসলামের সাথে বিদ্বেষ সবসময় এই সংঘাতকে চাঙ্গা রাখছে। এটি এমন এক লড়াই, যা কখনো থেকে যাবার নয়!
-
Tk 494
Tk 668উচ্চ মনোবল পৌঁছে দেয় সাফল্যের শিখরে
উচ্চ মনোবল কাজের সূচনা। মহৎকর্মের প্রবেশিকা। শুরু থেকে যার মনোবল উচ্চ থাকে, তার সফর হয় সহজ-অনায়াসে। বস্তুত, উচ্চ মনোবলের অধিকারী জীবন চলার পথে আপতিত সকল দুঃখকষ্টকে সয়ে যায় হাসিমুখে, সব ধরনের বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে সে সামনে এগিয়ে চলে; ফলে তার পথচলা হয়ে ওঠে আনন্দময়। অধ্যবসায় ও অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে একসময় সে পেীঁছে যায় সাফল্যের শিখরে ৫টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত এই বইটিতে উচ্চ মনোবল পরিচিতি, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, কুরআন ও সুন্নাহতে উচ্চ মনোবলের প্রতি উৎসাহ, উচ্চ মনোবলের ক্ষেত্রসমূহ বিশেষ করে- ইলম অর্জন ও এর প্রচার-প্রসারে সালাফের আগ্রহ, ইলমের পথে তাঁদের নানান কষ্টক্লেশ সহ্য করা; ইবাদত ও অবিচলতায় সালাফের উচ্চ মনোবল, সত্যের সন্ধানে উচ্চ মনোবলের পরিচয়, আল্লাহর পথে দাওয়াত ও দ্বীনের ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখতে উচ্চ মনোবলের দৃষ্টান্ত; মনোবলশূন্য উম্মাহর অবস্থা, মনোবল বাড়ানোর পথ ও পদ্ধতি, উম্মাহ ও ব্যক্তি সংশোধনে উচ্চ মনোবলের প্রভাব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
-
Tk 459
Tk 620আদর্শ মুসলিম
ইসলাম মানুষের আদর্শ ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে। এরপরও দেখা যায়, ইসলাম মুসলমানদের থেকে যা চায় আর মুসলমানরা নিজেদের জন্য যা চায়, এ দুইয়ের মাঝে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। অবশ্য অল্পসংখ্যক লোক, যাদের আকিদা বিশুদ্ধ, ইসলাম সুন্দর, অন্তর পরিশুদ্ধ ও মানসিকতা উন্নত; তারা ইসলামের দাবি ও চাওয়া অনুযায়ীই জীবনযাপন করে থাকেন।
-
Tk 414
Tk 560মহাপ্রলয় থেকে অনন্তজীবন
সময়ের পথপরিক্রমায় একদিন বেজে উঠবে মহাপ্রলয়ের শিঙ্গাধ্বনি। থেমে যাবে জীবনের এই অবিশ্রান্ত কোলাহল। চোখের পলকেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে মায়াভরা এই জগৎ। কবর ফেটে মানুষগুলো সব জীবন্ত বেরিয়ে আসবে। সবাই আশ্চর্য হয়ে বলবে: আরে! আমাদেরকে শয্যা থেকে কে উঠিয়েছে? দয়াময় আল্লাহ তো আমাদের এই দিনের কথাই বলেছিলেন! আর রাসুলগণও তাহলে সত্য বলেছিলেন! তারপর? তারপর ফেরেশতাদের আহ্বানে সবাই সমবেত হবে হাশরের ময়দানে। পায়ে পায়ে এগিয়ে আসবে জীবনপরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সেই লোমহর্ষক মুহূর্ত! এক দুঃসহ উৎকণ্ঠায় মানুষের মুখে কেবল শোনা যাবে: ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি!… প্রিয় পাঠক! এভাবে কিয়ামত থেকে শুরু করে হাশর, মিজান হয়ে পুলসিরাতের ওপর দিয়ে একেবারে জান্নাত বা জাহান্নামে প্রবেশ পর্যন্ত আখিরাতের দৃশ্যগুলো কুরআন-হাদিসের বিশুদ্ধ দলিলের আলোকে নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই গ্রন্থে।
-
Tk 405
Tk 540অন্তরের আমল (১ম খণ্ড)
❝অন্তরের আমল দ্বীনের মৌলভিত্তি। অন্তরের আমলের উদাহরণ হলো, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসা, আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইখলাস অবলম্বন করা, তাঁর শোকর আদায় করা, তাঁর হুকুমের ওপর সবর করা, তাঁকে ভয় করা, তাঁর রহমতের আশা করা ইত্যাদি। এ সকল আমল সকল সৃষ্টির ওপর সকল আইম্মায়ে দ্বীনের ঐকমত্যে ফরজ।❞ ❝অন্তরে বিদ্যমান ইমান ও ইখলাসের ওপরই নির্ভর করে আমলের শ্রেষ্ঠত্ব। তাই দুজন ব্যক্তি নামাজের একই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলেও তাদের নামাজে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়ে থাকে।❞
– শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
শাইখ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ হাফিজাহুল্লাহ-এর অমূল্য গ্রন্থ ‘আ’মালুল কুলুব’ সিরিজটির সরল বাংলা অনুবাদ ‘অন্তরের আমলট।’
প্রথম খণ্ডে থাকছেঃ
১. ইখলাস
২. তাওয়াক্কুল
৩. ভালোবাসা
৪. ভয়
৫. আশা
৬. তাকওয়া
উল্লেখিত প্রতিটি বিষয়ের অধীনে রয়েছে যথার্থ বর্ণনা। রয়েছে অন্তরের এই আমলসমূহের প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা ও অর্জনের উপায় বর্ণনা। রয়েছে এ সকল আমল না করার করুণ পরিণতির কথা।
-
Tk 395
Tk 534জীবনের ওপারে
জীবনের স্রোতে ভাসতে ভাসতে আমরা ভুলে যাই মরণের কথা । কবর পথের যাত্রী হয়েও আমাদের যাবতীয় চিন্তা ও কর্ম আবর্তিত হয় এই তুচ্ছ দুনিয়াকে ঘিরে । সর্বাঙ্গে গাফিলতির চাদর জড়িয়ে আমরা জীবনের প্রকৃত বাস্তবতার ব্যাপারে কেমন যেন নির্বিকার হয়ে থাকি । আল্লাহ না করুন, এই অপ্রস্তুত অবস্থায়ই যদি চলে আসে মৃত্যুর ডাক, কী করুণ পরিণতিই না হবে আমাদের ! প্রখ্যাত ফকিহ ও মুহাদ্দিস ইমাম ইশবিলি রহ. রচিত বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য এক অমূল্য উপহার । শাইখ এখানে পরম মমতায় পাঠককে মৃত্যু ও মৃত্যুপরবর্তী জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন । তাঁর অনুপম ভাষাভঙ্গী ও সাবলিল উপস্থাপনা যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে । বইটি পড়তে পড়তে মনের অজান্তেই পাঠকের হৃদয়ে জেগে উঠবে মৃত্যুর হিমশীতল অন্ধকারের কথা, কবরের অসীম নির্জনতার কথা, কিয়ামত ও হাশরের ভয়াবহ দৃশ্যগুলোর কথা, মিজান ও পুলসিরাতের অকল্পনীয় আশঙ্কার কথা, যা তাকে আখিরাতের প্রতি মনোযোগী করে তুলবে আর মৃত্যুর প্রতি তার গতানুগতিক বিশ্বাসকে করে তুলবে সত্যিকারের কর্মোদ্দীপক উপলব্ধি।
-
Tk 390
Tk 527আলো হাতে আঁধার পথে
আমরা সবাই মুসাফির। জীবনের স্বল্পদৈর্ঘ্য সাঁকো বেয়ে নিজেদের অজান্তেই আমরা হেঁটে যাচ্ছি অন্ধকার কবরের দিকে। কবর আখিরাতের প্রথম মনজিল। আর মৃত্যু কবরের প্রবেশদ্বার। প্রতি মুহূর্তেই আমরা পা পা করে এগিয়ে চলছি এই রহস্যময় ফটকের দিকে। কেউ জানে না কার জীবন-সাকোঁ কতটুকু দীর্ঘ। বড় অদ্ভুত এই জীবন! বড় নিষ্ঠুর মায়াভরা এই জগৎ! কখন কার ডাক এসে যায় কে জানে? কিন্তু মৃত্যুর ফটক পেরিয়ে গেলেই তো আঁধার… সে এক অনিঃশেষ আঁধার। এরপর পথ তো আরও দীর্ঘ, আরও কঠিন আরও দুর্গম। সেই কবরের সুওয়াল-জওয়াব, ভয়ানক আজাব, হাশরের বিভীষিকা, পুলসিরাতের ভয়াল সেতু…! ভাই আমার! এই আঁধার পথের আলো আছে তো আপনার হাতে? এই দীর্ঘ দুর্গম পথের পাথেয় সংগ্রহ করা হচ্ছে তো? দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ে অন্তহীন এই আঁধার, নিঃসীম এই বিভীষিকার কথা ভুলে যাননি তো? জীবনের এই পরম সাফল্য ও ব্যর্থতার হিসেব আপনার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে না তো? আপনাকে এই প্রশ্নগুলো বারবার স্মরণ করিয়ে দিতে, অনাগত জীবনের আঁধারে আপনার হাতে আলো তুলে দিতে, আখিরাতের সফরের পাথেয় যোগাতে আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি অসাধারণ একটি রিমাইন্ডার, আমাদের সবার প্রিয় শাইখ খালিদ আর রাশিদের হৃদয়নিঃসৃত বক্তৃতামালার একটি অনুপম সংকলন ‘আলো হাতে আঁধার পথে’। লক্ষ লক্ষ আরব-যুবকের হৃদয়ে ঝড়-তোলা এই অনবদ্য আহ্বান আশা করি আপনার মনেও দোলা দিয়ে যাবে।
-
Tk 345
Tk 460অন্তরের আমল (২য় খণ্ড)
❝অন্তরের আমল দ্বীনের মৌলভিত্তি। অন্তরের আমলের উদাহরণ হলো, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসা, আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইখলাস অবলম্বন করা, তাঁর শোকর আদায় করা, তাঁর হুকুমের ওপর সবর করা, তাঁকে ভয় করা, তাঁর রহমতের আশা করা ইত্যাদি। এ সকল আমল সকল সৃষ্টির ওপর সকল আইম্মায়ে দ্বীনের ঐকমত্যে ফরজ।❞ ❝অন্তরে বিদ্যমান ইমান ও ইখলাসের ওপরই নির্ভর করে আমলের শ্রেষ্ঠত্ব। তাই দুজন ব্যক্তি নামাজের একই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলেও তাদের নামাজে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়ে থাকে।❞
– শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
শাইখ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ হাফিজাহুল্লাহ-এর অমূল্য গ্রন্থ ‘আ’মালুল কুলুব’ সিরিজটির সরল বাংলা অনুবাদ ‘অন্তরের আমলট।’
দ্বিতীয় খণ্ডে থাকছে :
১. সন্তুষ্টি
২. শোকর
৩. সবর
৪. ধার্মিকতা
৫. চিন্তা-ভাবনা
৬. আত্মসমালোচনা-সম্পর্কিত আলোচনা
উল্লেখিত প্রতিটি বিষয়ের অধীনে রয়েছে যথার্থ বর্ণনা। রয়েছে অন্তরের এই আমলসমূহের প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা ও অর্জনের উপায় বর্ণনা। রয়েছে এ সকল আমল না করার করুণ পরিণতির কথা।
-
Tk 337
Tk 455কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো
মৌনতাকে আপন করে নাও, হাজারো মানুষের ভালোবাসা তুমি পাবে আর নিরাপদ থাকবে পরনিন্দা থেকে। নীরবতা তোমাকে এনে দেবে অনুপম ব্যক্তিত্ব আর সুদৃঢ় গাম্ভীর্য। কোথাও কাউকে কৈফিয়ত দেয়ার প্রয়োজন কোন কালেই তোমার হবে না। এক ব্যক্তি সালমান ফারসি র.-কে বলে: আমাকে নসিহত করুন। তিনি বলেন: তুমি কথা বলো না। লোকটি আশ্চর্য হয়ে জানতে চায়: মানুষের সমাজে কথা না বলে থাকা কীভাবে সম্ভব? তিনি উত্তর দেন: ‘যদি বলো তো হক কথা বলো, অন্যথায় চুপ থাকো।’ কালজয়ী এই নসিহত সবসময়ের সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য—বিশেষত আমাদের এই যুগের জন্য। এই অমূল্য নসিহতটি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের মজলিস যেন এই নসিহতের আলোকে উদ্ভাসিত হয়। বিশেষ করে আমাদের ফোনালাপে এর যথার্থ প্রয়োগ খুব জরুরি। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ র. বলেন: ‘সে সত্তার কসম যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, পৃথিবীর বুকে জবানের চেয়ে বন্দি থাকার অধিক উপযোগী বস্তু আর নেই।’