Best Seller Items
-
Tk 70
এশিয়ায় কালো থাবা
পূর্ব এশিয়ার সাগরঘেরা প্রান্তর রোসা। ঘন পাহাড়ের মতোই জটিল এখানকার সমস্যাগুলো। সাধারণ মানুষের ওপর চলছে সাইলেন্ট কিলিং ও ক্লিনিং মিশন। আর্তনাদই এখন এখানকার মানুষের নিত্য সঙ্গী। স্বপ্নভঙ্গই এখানে বাস্তবতা। হতাশার অন্ধকার এখানকার নৈমিত্তিক অনুসঙ্গ। সেই অন্ধকারের শিকড় খুঁজতে রোসায় পা রেখেছে বিশ্ব চ্যারিটি সংস্থা আবাবিল-এর সুপার ট্যালেন্টেড অফিসার হাসান সাদিক। তার সামনে নেই কোনো ক্লু; আছে তীক্ষ্ম দৃষ্টি, স্থির লক্ষ্য ও অনড় মনোবল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছে রহস্যমানবী জুলিয়া জুলি। থেমে নেই বিপরীত পক্ষও। এক হয়েছে বিভিন্ন বৈশ্বিক মাফিয়া চক্র। ধেয়ে আসছে প্রবল ষড়যন্ত্রের ঘুর্ণিপাক। লক্ষ্য- হাসান সাদিকের যবনিকাপাত! হাসান সাদিক পারবে কি এই গূঢ় রহস্যের মূলোৎপাটন করতে? রোসার অসহায় মানুষের বোবাকান্না থামাতে? পারবে কি রাতের প্রশান্তির ঘুম ফিরিয়ে দিতে? বিপদ যে তার সামনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে…
-
Tk 230
ধরণির পথে পথে
মানুষের মনের চেয়ে বেশি রহস্যময় আর কিছু কি এই পৃথিবীতে আছে? কোথাও তাজমহলের শুভ্রতাকেও ম্লান করে মন, আবার কোথাও হিমালয়কেও হার মানায় মনের উচ্চতা। কোথাও বা আবার তা মিশরের মমির অজানা রহস্যকেও ছাড়িয়ে যায়। মানুষের মন আটলান্টিকের গভীলতাকেও লজ্জা দেয়। প্রতিটি মানুষেরই একটা করে মন আছে, আছে একটা করে বিচিত্র জগৎ। আমরা কয়টা মন চিনি, কজনকে জানি? যাদের জানি বলে মনে করি, আসলেই কি তাদের জানি? মানুষের মনের গভীরে নামতে পারা, তার গভীরতা মাপতে পারা, সেই গভীরতার চিত্র-বিচিত্র রূপ দেখতে পাওয়া কি এতটাই সহজ? না, সহজ নয়। কারণ, মানুষ বড়োই দুর্বোধ্য আর রহস্যময় এক সত্তা! মন যা দেখায়, তার পেছনেও দেখার অনেক কিছু থাকে। যা জানায়, তার পেছনেও অনেক কিছু থেকে যায়। মন তো কখনোই নিজেকে পুরোটা মেলে ধরে না। কারণ, নিজের পৃথিবীর এ সিংহাসনে মন নিজেই রাজা। এখানে আর কাউকেই সে ভাগ বসাতে দিতে রাজি নয়। এ জন্যই সে একা, বড়ো একা। কী বৈচিত্র্যময় বৈপিরীত্য দেখুন তো! এই বৈচিত্র্যময় বৈপিরীত্যই মানুষকে রহস্যময় করেছে। এখানেই তারা আলাদা স্বকীয়তা। এই স্বকীয়তাই সে আগলে রাখে পরম যতনে। আর আগলে রাখতে গিয়ে সে নীরবে হাসে, গোপনে কাঁদে।
-
Tk 120
মুমিন জীবনে পরিবার
বিশ্বায়ন ও আধুনিকায়নের নাম দিয়ে আমাদের পরিবারগুলোকে ভেঙে ফেলার আয়োজন করেছে জাহেলিয়াত। অথচ, ইসলামি জীবনব্যস্থার মূল ভিত্তি পরিবার। যেখানে সুদৃঢ় পারিবারিক কাঠামো অনুপস্থিত, সেখানে সুস্থ জীবন গঠন এবং নৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অলীক কল্পনা বিলাস! পরিবারের মধ্য দিয়ে সভ্যতার বির্নিমাণ ঘটে। মূলত একটি সভ্যতার ভিত্তিমূল পরিমাপ হয়, সেই সমাজে পরিবার প্রথার অবস্থান কতটা শক্ত- তার উপর ভিত্তি করে। পরিবার প্রথা ভেঙ্গে পড়লে একটি সমাজ কীভাবে ধ্বংসের মুখে পতিত হতে পারে, এই গ্রন্থে সেই রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। শিশুদের মানসিক বিকাশে এবং নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পরিবারের ভূমিকা কতটা অনস্বীকার্য, তা ইসলামের দৃষ্টিতে নতুন করে উপলবিদ্ধর দ্বার উন্মোচন করবে এই গ্রন্থটি। ইসলাম সর্বাত্মকভাবে একটা সুখী ও প্রশান্তচিত্ত ‘পরিবার’ নির্মাণে তৎপর। এই গ্রন্থে ইসলামের সেই আকাঙ্ক্ষা ও করণীয় বিবৃত হয়েছে। চলুন, দেখে নিই।
-
Tk 222
Tk 300সাহসের মন্ত্র
জ্ঞান, বিবেক আর ইচ্ছার স্বাধীনতাই মানবতার মৌল উপাদান। এসবের সঠিক মাত্রায় বিকাশ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান নির্ণয়ে ব্যর্থতাই মানুষকে পশুত্বের দিকে ঠেলে দেয়। মানুষ ভালো-মন্দের এক চিরন্তন দ্বন্দ্বের ভেতর বেঁচে থাকে। সমাজ-সভ্যতার এই দ্বান্দ্বিক দোলাচলে টিকে থাকার জন্য চাই সঠিক মাত্রার সাহস, হিম্মত, বুদ্ধি, কৌশল আর ঐকান্তিকতা। বিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত; যা কিনা সেক্যুলারিজম হিসেবে সমধিক পরিচিত। এর প্রবল গ্রাসে মানুষ ক্রমশ অর্থনৈতিক দাসত্ব, রাজনৈতিক পীড়ন আর সাংস্কৃতিক গোলামির নিগড়ে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। সারা বিশ্বে আজ সেই শেকল ছেঁড়ার আহবান, মানবমুক্তির চূড়ান্ত লড়াই অনিবার্য। এ লড়াই যত না শরীরিক, তার চেয়ে বহুগুণ মেধা, মনন, চিন্তা ও চেতনার। এ লড়াই ক্রমাগত মনুষ্যত্বকে পরাজিত, পর্যদুস্ত ও হলাহলে আসক্ত করে ফেলেছে। মানুষ যেন পশুত্বের কাছে হেরে দীর্ঘ দিনে গড়ে তোলা তারই সভ্যতা, সমাজ ও সংস্কৃতির কবর রচনায় ব্যস্ত। মুক্তির তীব্র তাগিদে সাড়া দিয়ে যারা লড়াই করতে চায়, তাদের দরকার কিছু সাহসের মন্ত্র। লেখক, গীতিকার, সমাজচিন্তক ও সংগঠক আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ এসব মন্ত্র দিতে তুলে এনেছেন অতি প্রয়োজনীয় যুক্তি, তর্ক ও বোধের কথামালা। সাহসের মন্ত্র হোক মুক্তির নতুন সোপান।
-
Tk 140
মুমিন জীবনে সময়
যা এইমাত্র অতীত হলো, সেটাই সময়। এখন যে মুহূর্ত অতিক্রম করছি, সেটাই সময়। কিছুক্ষণ পরে যেখানে প্রবেশ করব, সেটাই সময়। সময় নামের অক্টোপাস থেকে কে, কখন, কবে মুক্তি পেয়েছে বলুন? সফল তিনি, যিনি এই সময়কে ঠিকঠাক উপলব্ধি করতে পারেন। বিশেষত মুমিন জীবনে সময় মানেই নিজের মুক্তি ও পুরস্কার নিশ্চিত করে নেওয়ার মওকা! সময় নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির বোঝাপড়া তাই অতীব জরুরি আলাপ। প্রত্যেক মানুষ দুনিয়াতে আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। আর সফল তারাই যারা এই সময়কে মূল্য দিয়েছে। মুমিনের জীবনের সময়ের গুরুত্ব আরও ব্যাপক ও অর্থবহ। কারণ, দুনিয়ার জীবনের নির্দিষ্ট ও স্বল্প সময়ের উপরই নির্ভর করছে, পরবর্তি অনন্তকালের জীবনের পরিণতি। অনন্তকালের জীবনে চির সুখের জান্নাত পেতে হলে একজন মুমিনের জীবনে সময় কতটা গুরুত্ব বহণ করে, সেই আলাপ খুঁজে নেবো এই গ্রন্থে।
-
Tk 270
বেত্তমিজ
পৃথক মতবাদ হিসেবে যাত্রার শুরু থেকেই কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সাথে মুসলমানদের বিতর্ক ও বিভেদ সর্বজন বিদিত। খতমে নবুয়াত ইসলামি আকিদায় একটি মৌল বিষয়। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে নবি দাবি করে মুসলমানদের এই আকিদার ভিত্তিমূলকে নাড়িয়ে দিতে চেয়েছে। স্বভাবতই মুসলিম উম্মাহ তার জবাব দিয়েছে। ইস্যুটি ব্যক্তিস্বার্থের নয়; ঈমানিয়াতের। কাদিয়ানী সমস্যা নিয়ে সঠিক বোঝাপড়া সময়ের অনিবার্য দাবি। বিশেষ করে তরুণদের এই ফিতনা সম্পর্কে সম্যক অবহিত করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। তরুণ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল লেখক রশীদ জামীল এ গুরুদায়িত্ব পালনে কলম চালিয়েছিলেন। চলুন, নজর রাখি কাদিয়ানি মতবাদের আদ্যোপান্তে।
-
Tk 65
Tk 88আযকার
প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি কাজেই আমরা আল্লাহ তাআলা’র দয়া ও অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী। তাঁর সাহায্য ছাড়া পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার কোনো উপায় এবং নেক কাজ করার কোনো শক্তি আমাদের নেই। সুতরাং তাঁরই কাছে সাহায্য চাইতে হবে, দুআর মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজনগুলো পূর্ণ করে নিতে হবে। বস্তুত, আল্লাহর স্মরণে মাশগুল থাকার মধ্যেই আমাদের যাবতীয় কল্যাণ ও সফলতা। পক্ষান্তরে, তাঁর স্মরণ থেকে গাফেল থাকার মানেই হচ্ছে চরম ক্ষতিতে নিমজ্জিত হওয়া। আমরা যেন আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মসহ অবসর সময়গুলো আল্লাহর স্মরণে মাশগুল থাকতে পারি, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ‘আযকার’ বইটির রচনা।
-
Tk 89
Tk 120আত্মার পরিচর্যা
মানুষ যখন গুনাহ করে, তখন মানুষের আত্মায় ময়লা লাগে । সেই ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত। সুগন্ধ থেকে মুক্ত।দুর্গন্ধময় ক্বলবে জং ধরে । হৃদয়ের শুভ্রতায় কালো দাগ পড়ে। সে গুনাহ যতো করে দাগ ততো বাড়ে, বাড়তেই থাকে, এমনকি একসময় পুরো হৃদয় কলঙ্কের কালো কালিমায় ছেয়ে যায়। তখন মানুষের কাছে সে হয় ঘৃণিত । ফিরিশতাদের কাছে হয় নিন্দিত ।আল্লাহর নেয়ামত থেকে হয় বঞ্চিত । আল্লাহর নবী কতো সুন্দর বলেছেন, “বান্দা যখন পাপ করে, তখন তার অন্তরে কালো একটা দাগ পড়ে। যদি সে তাওবা করে, ক্ষমা পার্থনা করে, তাহলে তার অন্তর শুভ্র হয়ে যায়।আবার যখন পাপ করে — করতেই থাকে, তখন একপর্যায়ে তার হৃদয় কালো দাগে ছেয়ে যায় । তো ঐ জং দূর করার পদ্ধতি কী ? ঐ আত্মার রোগ কীভাবে চিহ্নিত করবে ? কীভাবে এর চিকিত্সা নিবে ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া হয়েছে আত্মার পরিচর্যা নামক কিতাবটিতে।
-
Tk 198
Tk 267আলোকিত জীবনের প্রত্যাশায়
আজকাল দিন বদলের অনেক বুলি আমরা শুনতে পাই। ওদের চোখে-দিন বদল মানে অদ্ভুত রঙেঢঙে অবাধ্যতার মাঝে ডুবে থাকা। উন্মাদ হয়ে বিশ্বাস থেকে অবিশ্বাসে, আলো থেকে অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া। লক্ষ্য-উদ্দেশ্যহীন খাম-খেয়ালি জীবন চলা। মনে যা আসে, তা-ই করা। কিন্তু যারা বিশ্বাসী, তারা উন্মাআদদের মন-চাহি স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয় না। ওদের নিষ্ফল জাঁকজমকতা দেখে মোহাবিষ্ট হয় না। তারা পার্থিব এ জীবনকে আলোকিত করে তোলার পাঠ গ্রহন করে। এ জীবনকে কাগে লাগিয়ে আখিরাতের কামিয়াবি হাসিল করে।
-
Tk 65
Tk 88মুহাম্মাদ ﷺ একজন আদর্শ স্বামী
একজন আদর্শ স্বামী পারে নিজের স্ত্রীকে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে। একজন আদর্শ স্বামী পারে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবার গড়তে। একজন আদর্শ স্বামী পারে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে সুন্দর একটি পরিবার গড়তে। তাই একজন মুমিন কীভাবে একজন আদর্শ স্বামীর চরিত্রে চারিত্রবান হতে পারেন—সে বিষয়ে ‘রুহামা পাবলিকেশন’-এর এবারের পরিবেশনা পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম ও সর্বোত্তম আদর্শ স্বামী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাংসারিক জীবনচিত্র নিয়ে লিখিত একটি অনন্য সাধারণ গ্রন্থ ❝মুহাম্মাদ ﷺ একজন আদর্শ স্বামী❞
-
Tk 129
Tk 175আদর্শ পরিবার গঠনে ৪০টি উপদেশ
বইটি পড়ে আপনি ঘরে ঈমানি পরিবেশ তৈরী করার পদ্ধতি, ঘর ও পরিবার সংশ্লিষ্ট সুন্নাত ও মাসনূন দুআ পড়া এবং তা যথাযথ আদায় করার পদ্ধতি, বাড়িতে ইসলামি বইয়ের লাইব্রেরী তৈরী করা, ঘরে শিশুদের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি, ঘরে কোমলতার চরিত্র কীভাবে তৈরী করবেন, বাড়ি নির্বাচনের আগে প্রতিবেশী নির্বাচনের গুরুত্ব, ঘরের কিছু নিকৃষ্ট ও পরিত্যাজ্য বিষয়াবলী সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
-
Tk 36
Tk 60ইউ মাস্ট ডু বিজনেস
চমৎকার এই বইটি মুসলিম অন্ট্রাপ্রানার নেটওয়ার্কের সঙ্গে ড. তাওফিক চৌধুরির একটি সাক্ষাৎকারের আলোকে রচিত। ড. তাওফিক চৌধুরি বিশ্ববিখ্যাত মার্সি মিশনের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান। এটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মুসলিম সামাজিক উদ্যোগগুলীর মধ্যে অন্যতম। একটি বহুজাতিক আইটি কোম্পানির প্রাক্তন সিইও থেকে বর্তমানে তিনি একাধারে একজন পেশাদার ব্যবসায়ী, প্র্যাকটিসিং মেডিকেল ডাক্তার, কর্পোরেট এবং ব্যাবসায়িক প্রশিক্ষক। ইসলামি আইন-বিধান, ফাইন্যান্স এবং মেডিকেল এথিক্সের ওপর বিশেষ ব্যুৎপত্তি তাকে একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
-
Tk 91
Tk 152ভ্রূণের আর্তনাদ
একটি ভ্রূণের হৃদয়-বিদারক অনুভূতি এবং বেঁচে থাকার তীব্র আকুলতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ বইটির পাতায় পাতায়। ভ্রূণহত্যার মতো গর্হিত কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে এবং সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তুলতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার।
-
Tk 174
Tk 290তিনিই আমার রব
বইটির রচয়িতা শায়খ আলী জাবের আল ফিফী (হাফিজাহুল্লাহ)। এই বইটি হচ্ছে মহান আল্লাহ সুবাহান ওয়া’ তা’য়ালার দশটি মহান নামের ব্যাখ্যা। আল্লাহ রাব্বুল আলা’মীনের দশটি নামকে জীবনের প্রতিটা দৃষ্টিকোণ, প্রতিটা ক্ষেত্র থেকে ব্যাখ্যা করতে লেখক পাঠকদের নিয়ে প্রবেশ করেছেন ভিন্ন এক জগতে। সেই জগতে কোন দুঃখ নেই, কোন কষ্ট নেই। সেই জগতে নেই কোন হতাশা, না পাওয়ার যাতনা। সেই জগত কেবল রব আর তাঁর বান্দার। সে জগতে রাজা হলেন আরশের অধিপতি, আর দাস তথা প্রজা হলো বান্দারা। সেখানে পৃথিবীর কোন মন্ত্রী নেই, প্রধানমন্ত্রী নেই। নেই কোন সেলেব্রেটি। সবাই সেখানে কেবলই বান্দা। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন তাঁকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামগুলো ধরে ডাকতে। কিন্তু কেনো তিনি এমনটা বলেছেন? কখনও কি চিন্তা করেছি? আল্লাহর নামগুলোর পেছনে কি নিগূঢ় এক রহস্য, কি যে এক মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে, তা কি আমরা জানি? জানিনা। লেখক এই বইটিতে সেই রহস্যের দ্বার উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন খুব সুনিপুণভাবে।
-
Tk 112
Tk 186তিনিই আমার প্রাণের নবি (সা.)
শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী রচিত এই বইয়ের পরতে পরতে পাঠক নবীজিকে নতুন ভাবে চিনবেন। দেখবেন, তিনি এসেছেন মহানুভুবতা, ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে। জানবেন, তার শুভামন ঘটেছে মহান রবের পক্ষ থেকে এক আলো-ঝলমলে বার্তা নিয়ে, যে আলোয় ভেসে যায় সমস্ত অনাচার, মুছে যায় সব মিথ্যে উপাস্যের ঠুনকো অস্তিত্ব। তিনি জানেন ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে। তিনি জানেন সকলের মাঝে ভালোবাসার বীজ বুনে দিতে। বইয়ের প্রতিটি পরিচ্ছেদ পড়ার সময় পাঠকমনে একটি কথাই বার বার প্রতিধ্বনিত হবে: তিনিই আমার নবী, তিনিই আমার প্রাণের নবী, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
-
Tk 96
Tk 160সুখের নাটাই
সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে মানুষ সুখের সন্ধান করে ফিরছে। নিজেদের জীবনকে সুখের আবরণে আচ্ছাদিত করতে মানুষের আজন্ম অভিপ্রায়। সভ্যতা এগোলো, মানুষ সংঘবদ্ধ হলো, গড়ে উঠলো সমাজ, রাষ্ট্র আর পরিবার। মানুষ থিঁতু হলো একটা জায়গায়। কিন্তু, সুখ সন্ধানে তার যে পৌরাণিক পৌনঃপুনিকতা, তা থেকে সে কি নিবৃত হতে পেরেছে কখনো? আজ আমরা জানি, ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবন কিংবা রাষ্ট্রজীবন, সবখানেই মুখ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবার। একটা পরিবার কাঠামোর মধ্যেই নিহিত থাকে আমাদের সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন আর ব্যক্তিজীবনের সুখের বীজ। আমাদের পরিবার যতোখানি গোছানো হবে, যতোখানি পরিপাটি হবে আমাদের সংসার, আমরা ততোখানিই সুখের কাছাকাছি যেতে পারবো। তবে, এসবকিছুকে ছাপিয়ে, সুখী জীবনের সবচেয়ে বড় এবং সারকথা নিহিত আছে যে বিষয়ে, তা হলো মহান রবের সন্তুষ্টি। আমরা একটা বৃত্তবন্দী জীবন পার করি। আমাদের কেন্দ্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানই প্রধান এবং মুখ্য। ফলে, আমরা যতোখানি কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকতে পারবো, কিংবা একীভূত হতে পারবো তার মাঝে, ততোই আমাদের জীবন সুখী হবে। সুখের সুন্দর সৌন্দর্য তখন আমাদের জীবনে প্রস্ফুটিত হবে। বৃত্তবন্দী সেই জীবনের পরত থেকে, সুখের অনুসন্ধানে লেখিকা আফরোজা হাসান রচনা করেছেন ‘সুখের নাটাই’ শিরোনামে একটি অনন্য শৈলীর উপাখ্যান। আমাদের বৃত্তবন্দী জীবনের অলিগলি থেকে, জীবনের পরত থেকে তুলে আনা সুখ সন্ধানের গল্পগুলো লেখিকার কলমে দারুণ শৈল্পীকতার রূপ লাভ করেছে। ‘সুখের নাটাই’-এ ভর করে, আমরাও ডুব দেবো অনন্ত অসীম আকাশে, যেখানে দেখা মিলবে সত্যিকার সুখের ঘুড়ির।
-
Tk 168
Tk 280সিরাজুম মুনির
সিরাত পড়তে গিয়ে কিছু কিছু ঘটনা আমরা খুব একটা মনোযোগের সাথে পড়ি না। শুধু চোখ বুলিয়েই চলে যাই। আবার কিছু ঘটনা আছে, যেগুলো খুব একটা জনপ্রিয় না; ধারাবাহিক সিরাতের গ্রন্থগুলোতেও পাওয়া যায় না। এমন ঘটনাগুলোকে ‘সিরাজাম মুনির’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণত দেখা যায়, কেউ একটি সিরাতগ্রন্থ পড়েই হাত গুটিয়ে বসে পড়েন। আমাদের বিশ্বাস, ‘সিরাজাম মুনির’ বইটি পাঠকের এই ধারণা ভেঙে দিতে সক্ষম হবে ইনশা আল্লাহ। বইটি পড়ে সিরাত অধ্যয়নের তৃষ্ণা নিবারণ তো হবেই না, উল্টো আরো বেড়ে যাবে এই আমাদের প্রত্যাশা।
-
Tk 106
Tk 176শিশুর মননে ঈমান
কোন দিকে অগ্রসর হবে আমাদের আগামী প্রজন্ম? কোন দিকে যাত্রা করবে নতুন দিনের অভিযাত্রীরা? তারা কি ডুবে যাবে কালের আঁধারে? বিলীন হবে অশুদ্ধতার অশুভ গহ্বরে? নাকি, তারা হৃদয়-মাঝারে বয়ে বেড়াবে আলোর ফুলকি? আলোকিত করে যাবে জনপদ থেকে জনপদ? তারা কি রাঙিয়ে তুলবে ভুবন? নতুন করে ছিনিয়ে আনবে হারিয়ে যাওয়া সোনালি প্রভাত? তারা কি বেড়ে উঠবে ফুলের কুঁড়ির মতো? প্রস্ফুটিত হবে দিগন্ত আলো করা শোভা নিয়ে? তারা কি আখিরাতেও আমাদের জন্য আলো হবে? প্রদীপের মতো হবে পথযাত্রী? আগামীর সেই অভিযাত্রীদের মনে দীপ্ত এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই রচিত হয়েছে ‘শিশুর মননে ঈমান’।
-
Tk 258
Tk 430শিকড়ের সন্ধানে
নিজেকে জানতে পারার মধ্যেই সক্রেটিস মানবজীবনের সার্থকতা খুঁজেছেন। সক্রেটিসের এই দর্শন আদতে কানায় কানায় সত্য। মানবজীবন ঠিক তখনই পরিপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করে যখন মানুষ নিজেকে জানতে শুরু করে ও আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে প্রলুব্ধ হয়। নিজেকে উদঘাটন করতে পারলেই ঠিক করে ফেলা যায় জীবনের দর্শন। জীবনের গন্তব্য, উদ্দেশ্য এবং রদবদল, সবকিছু সহজ হয়ে যায় যদি নিজেকে জানা যায়। যদি একেবারে শেকড়ে ফিরে চেনা যায় নিজের প্রকৃতি। ‘মুসলমান’ হিসেবে এই ব্যাপারটা আরও বিশদভাবে সত্য। আমরা যদি নিজেদের আত্মপরিচয়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা প্রদত্ত গৌরবময় মর্যাদা ‘মুসলমানিত্বের’ সঠিক মর্মার্থই বুঝতে না পারি, তাহলে কীভাবে নির্ধারণ করব নিজেদের গন্তব্য এবং উদ্দেশ্য? কেন-ই বা আমরা মুসলিম, অন্যরা কেন নয়, কীভাবে আমরা মুসলিম হলাম, আমাদের ঠিক আগে, আল্লাহর একাত্মবাদে যারা আসীন ছিলেন, তারা কোন পরিচয়ে ধন্য হয়েছেন, তাদের সাথে আমাদের যোগসাজশ কোথায়? সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্য কী কী, এসব জানতে পারাই হলো আমাদের আত্মপরিচয় সন্ধানের প্রথম সবক। ‘শেকড়ের সন্ধানে’ বইতে লেখিকা হামিদা মুবাশ্বরা ঠিক আমাদের জন্য এই কাজটিই করেছেন। তিনি আমাদের নিয়ে গেছেন অতীতে একেবারে গোড়ায়, যেখান থেকে আমাদের আত্মপরিচিতির শুরু। কত হাওয়া বদল করে, কত বাঁক পেরিয়ে, কত সময় পার করে, কত ঘাত-প্রতিঘাতে আমরা আমাদের শেষ পরিচয়, ‘মুসলমান’ এ এসে ঠেকেছি, সেই মহাযাত্রার রহস্যপানে লেখিকা আমাদের ভ্রমণ করিয়েছেন। লেখিকা কেবল আমাদের সোর্স থেকে আমাদের ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিবারণ করাননি। তিনি আমাদের কখনো তাওরাতে, কখনো ইঞ্জিলে, আবার কখনো কুরআনে ডুব দিইয়েছেন। প্রসঙ্গক্রমে ঢুকে পড়েছেন বিশাল বিস্তৃত হাদিসশাস্ত্রের ভেতরেও। লেখিকার অণ্বেষণ প্রক্রিয়া, জানার তীব্র আকাঙ্খা, সত্যকে আজলা ভরে তুলে আনার ঢঙ বেশ আশাজাগানিয়া। এ রকম একাডেমিক একটা বিষয়কে তিনি কীভাবে সাধারণ মানুষদের জন্যও উপযোগী করে ফেললেন তা-ও বিস্ময় জাগানিয়া!
-
Tk 192
Tk 320সালাফদের জীবনকথা
ঐশী আলোয় উদ্ভাসিত যে-জীবন, কতই না উত্তম সেই জীবনের গল্প। নববী আদর্শে উজ্জ্বল যাদের পদরেখা, কতই না মহিমান্বিত সেই জীবনধারা। সেই জীবন এমন এক অঙ্কিত ছবির মতো, যেখানে রঙতুলিতে আঁকা হয় মহান রবের সান্নিধ্য লাভের পথ। সেই পথ মুখরিত হয়ে আছে কুরআনের সুর-তাল-লহরিতে। আলোকিত হয়ে আছে এমন এক অপার্থিব আলোয়, যে-আলো প্রথম ঝলমল করে উঠেছিল নির্জন, নিস্তব্ধ হেরার অন্ধকারে। এরপর, সেই আলোর বিচ্ছুরণে যাদের জীবন রাঙিয়ে উঠেছিল, তারাই আমাদের মহান পূর্বসূরি। আমাদের উত্তম পূর্বপুরুষ। আমাদের সালাফ। তাদের যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবির নাম ‘সালাফদের জীবনকথা’।
-
Tk 159
Tk 265সবর
আমাদের জীবনটা বড্ড সমস্যা সংকুল। হঠাৎ করে যদি বাবা মারা যায় অথবা মা, অথবা যদি অনাকাঙ্খিতভাবে হারাতে হয় চাকরি, জীবন যদি বিপদের ঢালি নিয়ে হাজির হয় আমাদের সামনে, আমরা ভেঙে পড়ি। দূর্বল হয়ে পড়ি। ভিতরে ভিতরে গুড়িয়ে যাই। জীবন এমনই। বহতা নদীর স্রোতের মতো জীবনের গতিপথ সরল এবং সোজা নয়। জীবনের পথ কখনো সমান্তরাল হয়না। অনিবার্য বাস্তবতা হলো এই, জীবনের গতিপথ সবসময় দূর্গম এবং বন্ধুর। পথে পথে কাঁটা বিছানো। আমরা যদি নবী-রাসূলদের জীবনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখবো যে তাদের জীবনের অধিকাংশ সময়ই অতিবাহিত হয়েছে এই দূর্গম এবং বন্ধুর পথ মাড়ি দেওয়ার মাধ্যমেই। তারা যে পরিবেশ, পরিস্থিতিতে তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে ধরায় এসেছেন, সেই পরিবেশ-পরিস্থিতি কখনোই তাদের পক্ষে ছিলোনা। তাদেরকে জীবনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অথচ, তাঁরা ছিলেন নিষ্পাপ। তাহলে কেনো তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে এই কঠিন বাস্তবতার? হ্যাঁ, পরীক্ষা সবসময় বান্দার পাপের ফল নয়। কখনো কখনো বান্দার পরীক্ষাগুলো তার জন্যে আল্লাহর বিশেষ রহমত। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই আল্লাহ্ তাঁকে করে নেন আরো প্রিয়, আরো আপন, আরো উত্তম; কিন্তু, সব পরীক্ষাই যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত, তাও নয়। এর কিছু আছে বান্দার পাপের ফল। বান্দার নিজ হাতে কামাই করা গুনাহর ফসল। বান্দা যখন পাপ করতে করতে নিজের আত্মাকে কলুষিত করে তোলে, তখন তার জন্যে নেমে আসে আযাব। সেই আযাবের নামই পরীক্ষা। একজন মুসলিম কখনোই ধৈর্য হারায় না। ভেঙে পড়েনা। মনোবল হারায় না। আল্লাহর উপর, আল্লাহর ফয়সালার উপর তার পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস থাকে।
-
Tk 150
Tk 250রিক্লেইম ইয়োর হার্ট
মানুষের সত্যিকার সংশোধন কীসে? প্রশ্নটার উত্তর অনেক রকমের হতে পারে। নিরেট বস্তুবাদী কেউ হয়তো তার বস্তুবাদী দর্শনের সঠিক বুঝটাকেই সত্যিকার সংশোধন বলতে চাইবে। কিন্তু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের এভাবে বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের ভেতরে একটা মাংসপিণ্ড আছে। ওই মাংসপিণ্ড যদি সুস্থ থাকে, তাহলে আমরাও সুস্থ থাকি। আবার ওই মাংসপিণ্ড যদি অসুস্থ হয়, অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরাও। নবিজির এই বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, শরীরের ভেতরের মাংসপিণ্ড বলতে তিনি আসলে অন্তর তথা হৃদয়কেই বুঝিয়েছেন। এই সুর আমরা কুরআনের একটা আয়াত থেকে পাই। আল্লাহ বলেছেন, ‘চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত অন্তর।’ মানুষের চোখ কখনো বিভ্রান্ত হয় না, অন্ধ হয় না। আল্লাহ বলছেন, অন্ধ হয় হৃদয়। কুরআন ও নবিজির হাদিস থেকে প্রমাণিত যে, আমাদের সত্যিকার সংশোধন মূলত অন্তর তথা হৃদয়ের পরিশুদ্ধিতে যদি আমরা আমাদের হৃদয়কে শুদ্ধ করতে পারি, জাগাতে পারি অবাধ্যতা আর অসচেতনতার গভীর ঘুম থেকে, তাহলেই হয়তো মানব-মনের সত্যিকার সংশোধন সম্ভব।