• Tk 500

    ইসলামি চেতনা

    চেতনা একজন মানুষকে আপন কক্ষপথে অবিচল ও সুদৃঢ় রাখে। এজন্য একজন সফল ও সার্থক মুসলিম হতে হলে ইসলামি চেতনাকে হৃদয়ে লালন করা অত্যন্ত জরুরি। বয়ঃসন্ধি থেকে প্রৌঢ়ত্ব; জীবনের প্রতিটি স্তরেই এই চেতনার উজ্জীবন ঘটাতে পারলেই কাক্সিক্ষত ব্যক্তিত্ব গঠনের পাশাপাশি প্রত্যাশিত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনও সম্ভবপর হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইসলামি চেতনা বলতে কী বোঝায়? আমরা জানি, ইসলামের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই বৈশিষ্ট্যের মূলকথা হলো সহজাত ও সহমর্মিতা। তাইতো ইসলামের সর্বাঙ্গে মিশে আছে দয়া, করুণা ও সহমর্মিতার ছাপ। বলা হয়ে থাকে, ইসলাম সহজতা ও উদারতার ধর্ম। এখানে নেই কোনো কৃত্রিমতা, বাড়াবাড়ি ও কঠোরতার স্থান। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের সাথে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোই ইসলামি চেতনার সারকথা। আর এগুলোই পরিপূর্ণ ইসলামি ব্যক্তিত্ব গড়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের মূল উপকরণ। ইসলামের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য ও অবয়ব কেমন এবং কীভাবে তা ব্যক্তি ও সমাজের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তা যদি ইসলামের মুখেই শুনতে চান, তবে ইসলামি চেতনা বইটি হতে পারে আপনার জন্য উত্তম পাথেয়।

  • Tk 265

    মাকাসিদুশ শরিয়াহ

    পৃথিবীর প্রতিটি উদ্যোগ ও কর্মের পেছনেই কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। আরবিতে একে বলে মাকাসিদ। এই মাকাসিদ বা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই সংশ্লিষ্ট উদ্যোগটির যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। একইভাবে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জীবন পরিচালনার জন্য যে বিধিবিধান দিয়েছেন, তার পেছনেও রয়েছে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও হিকমত। সালাত-সাওম-হজ-জাকাত-পর্দা কোনোটিই নিছক কোনো রীতির নাম নয়। এর প্রতিটির পেছনেই রয়েছে মানবজাতির কল্যাণ ও হিকমত। মানবজাতির কল্যাণের নিমিত্তে মহান সৃষ্টিকর্তার এই সকল উদ্দেশ্য ও হিকমতের নামই মাকাসিদুশ শরিয়াহ। অর্থাৎ মাকাসিদুশ শরিয়াহ বলতে বুঝি—কুরআন-সুন্নাহর ভাষ্যের মর্মার্থ, রহস্য ও হিকমত অনুসন্ধানে এর গভীরে প্রবেশ করা। আর আমরা যখনই মর্মার্থের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হব, তখনই আমাদের জীবনের সাথে শরিয়ার মেলবন্ধন ঘটবে যথার্থরূপে। জীবন হবে শরিয়ার রঙে রঙিন। তাই মাকাসিদুশ শরিয়াহ পাঠ মুমিনজীবনের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাকাসিদুশ শরিয়াহ জানার এই যাত্রা আপনাকে এক নতুন বোধের জগতে পৌঁছে দেবে, ইনশাআল্লাহ!

  • Tk 330

    ইসলাম ও রাজনীতি

    কুরআন ও সুলতান পরস্পর সহযোগী দুটি শক্তি। একটি অপরটির প্রয়োগকে সার্থক ও শক্তিশালী করে। রাষ্ট্র ইসলামি দাওয়াহর জুতসই ক্ষেত্র তৈরি এবং ইলাহি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কুরআনকে জীবন্ত করে তোলে। অপরদিকে কুরআন রাষ্ট্রে সুবিচার-অধিকার-শান্তি-সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করে। এভাবেই একটি রাষ্ট্র হয়ে ওঠে দ্বীন ও দুনিয়ার অপূর্ব মোহনা। ইসলামি জীবনব্যবস্থার প্রকৃত ফল পেতে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্র্য। ইসলামি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দাওয়াহ যেখানে নিষ্ফল, রাষ্ট্র সেখানে কার্যকর উপাদান। তাই ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সক্রিয় রাজনীতির বিকল্প নেই; যদিও প্রতিষ্ঠিত ও বিরুদ্ধবাদী শক্তি এর প্রবল বিরোধিতা করে। আর তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো, বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে মুসলিম যুবসমাজকে রাজনীতিবিমুখ করে পৃথিবীর নেতৃত্ব থেকে মুসলমানদের সরিয়ে রাখা। উসতাজ কারজাভি (রহ.) জীবনভর মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণে কাজ করেছেন। সেক্যুলার ও ইসলামবিরোধী শক্তির বিপরীতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পারস্পরিক মতভেদ ভুলে। ইসলাম ও রাজনীতি গ্রন্থটি মূলত সে প্রচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ। বর্তমান সন্দিহান মুসলিম যুবসমাজের জন্য এ গ্রন্থটি হতে পারে সুদৃঢ় পথনির্দেশিকা। পাশাপাশি সেক্যুলারদের সাথে চলমান বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধে ইসলামপন্থিদের চিন্তা গঠনে হতে পারে এক বলিষ্ঠ দলিল।

  • Tk 120

    মুসলিম দেশে অমুসলিম অধিকার

    ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত গোষ্ঠী প্রচার করে ইসলাম এক ভয়ংকর ধর্ম! যেখানে অমুসলিমদের ন্যূনতম অধিকারটুকুও নেই। তাদের জীবন ও সম্পদের মূল্য ইসলামি সমাজে একেবারেই ঠুনকো। অথচ ইসলাম অমুসলিম নাগরিকদের যে অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তা অন্য যেকোনো সমাজে বিরল। আধুনিক জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রসমূহের শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে মুসলিমদের সাথে অমুসলিমদের সামাজিক সম্পর্ক, তাদের অধিকার, রাষ্ট্র ও প্রশাসনে তাদের অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। জনমানসে প্রশ্ন জাগছেÑ মুসলিম সমাজে অমুসলিমদের অধিকারসমূহ কেমন ও কী কী? এই সকল অধিকারের বিনিময়ে অমুসলিমদের দায়দায়িত্ব ও কর্তব্যই-বা কী? অমুসলিমরা ইসলামের প্রাথমিক যুগ তথা নববি ও সাহাবিদের শাসনামলে কীভাবে অধিকার ভোগ করত? গত দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে মুসলিম মিল্লাতের তত্ত্বাবধান ও নিরাপত্তায় তারা কীভাবে জীবনযাপন করেছিল? এই সমস্ত প্রশ্নেরই যথার্থ উত্তর খুঁজে পাব মুসলিম দেশে অমুসলিম অধিকার বইটিতে।

  • Tk 360

    শরিয়ার দৃষ্টিতে রাষ্ট্র

    ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্রÑএকটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যক্তি ছাড়া যেমন সমাজ হয় না, তেমনই সমাজ ছাড়া রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। আবার একজন ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো প্রাণী নয়। বরং একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি নিজেকে নিয়ে যেভাবে ভাবেন, তেমনই ভাবেন সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়েও। ইসলাম পূর্ণাঙ্গ ও সামগ্রিক জীবনব্যবস্থা হিসেবে মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায় নিয়ে বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এক্ষেত্রে বাদ পড়েনি রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় জীবনও। একটি রাষ্ট্রের নীতি কী হওয়া উচিত? রাষ্ট্রপ্রধান কেমন হওয়া উচিত? রাষ্ট্রপ্রধান কী কী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? কীভাবে নিতে পারেন? কোন কোন ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে? শুরার ব্যাপারে রাষ্ট্রপ্রধানের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত? রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আচরণ কেমন হওয়া উচিত? রাষ্ট্রপ্রধানের কোন কোন কার্যাবলি শরিয়ার সাথে সাংঘর্ষিক কিংবা বিরোধমুক্ত? এসব নানা বিষয়ে ইসলামের পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা রয়েছে, যা আমরা শরিয়ার দৃষ্টিতে রাষ্ট্র গ্রন্থখানি অধ্যয়নের মাধ্যমে জানতে পারব, ইনশাআল্লাহ।

  • Tk 275

    ইসলামের চোখে নারী

    নারীকে ঘিরে ইসলামের যাবতীয় অধিকার কি শুধু ঘরকেন্দ্রিক? চার দেওয়ালের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ নারীর যাবতীয় অধিকার? ঘর-সংসারের বাইরে কি তাদের অবদান রাখার কোনো সুযোগ নেই? ব্যাবসা-বাণিজ্য-চাকরিসহ সমাজ ও রাষ্ট্রে তারা কি একেবারেই কর্তব্যহীন? অধিকার ও দায়হীন নারীর এমনই একটি চিত্র অঙ্কন করে ইসলামের ওপর অপবাদ চাপাতে ব্যস্ত পুঁজিবাদী সমাজ। মুসলিমরাও যেন সেই অপবাদ স্বীকার করেছে অনুগতচিত্তে। অথচ প্রকৃত অবস্থা এর থেকে ঢের দূরে। ইসলাম নারীকে মূল্যায়ন করেছে সবচেয়ে বেশি। মানুষ হিসেবে তাকে দিয়েছে যথোপযুক্ত মর্যাদা। একজন কন্যা ও মা হিসেবে তার প্রতিরক্ষার সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। স্ত্রী হিসেবে দিয়েছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সম্মানজনক অধিকার। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সুনিশ্চিত করেছে তার সামাজিক মর্যাদাও। অথচ এই বিষয়গুলো অনেকেরই অজানা। তাই বৃহত্তর সমাজে মুসলিম নারীরা আজ হীনম্মন্যতায় নিমজ্জিত। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ইসলামে নারীর সার্বিক অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা প্রত্যেক সচেতন মানুষের কর্তব্য। ইসলামের চোখে নারী গ্রন্থটি আপনার এই যাত্রায় সহায়ক হবে এবং এই বিষয়ে ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার ধারণা দেবে, ইনশাআল্লাহ।

  • Tk 260

    ইসলামি জাগরণ : অবহেলা ও বাড়াবাড়ি

    রাসূল (সা.)-এর জীবনপদ্ধতি lifestyle আমাদের জন্য সুন্নাহ। তাঁর প্রতিটি শিক্ষা-আদেশ ও পর্যবেক্ষণও এর অন্তর্ভুক্ত। তাঁর জীবন অনুসৃত সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগের সেই সুন্নাহ আজও মানবসমাজের জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর। কিন্তু দুঃখজনকভাবে উম্মাহ সুন্নাহর সেই পবিত্র নহরে অবগাহন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সাহাবায়ে কেরামের ন্যায় তারা সুন্নাহকে জীবনঘনিষ্ঠ করতে পারছে না। ফলে এর সুমিষ্টতা আস্বাদন থেকে তারা বঞ্চিত! আধুনিক সমাজে একদল মনে করেন, সুন্নাহ এখন ‘অচল বস্তু’, নিতান্তই সেকেলে; বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে এর আবেদন ও কার্যকারিতা শূন্যের কোঠায়। আরেক দল মনে করেন, সুন্নাহ এমন কিছু কঠিন ও রুক্ষ নিয়মকানুন, যা সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য নয়। এমনকি তা স্বাভাবিক জীবনপ্রণালির প্রতিবন্ধকও বটে। বাস্তবিকার্থে সুন্নাহ এই দুই চিন্তাধারার সীমাবদ্ধতা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। বরং সুন্নাহ সদা জীবন্ত, চির শাশ্বত ও অভিযোজ্য। প্রতিটি যুগ ও যুগান্তরে এটি সমানভাবে কার্যকর। সুন্নাহ সংস্পর্শে বইটি আপনাকে সেই উপলব্ধির দিকেই ধাবিত করবে। সুন্নাহ কী করে মানবসমাজকে আরও সুন্দর-সুস্থ ও সুবিন্যস্ত করতে পারে, শরিয়ার আইনে এর মর্যাদা-সীমা ও গুরুত্ব কী, ইত্যকার আলোচনা এতে স্থান পেয়েছে। সুন্নাহর সংস্পর্শে আমাদের জীবন হয়ে উঠুক জ্যোতির্ময়, সুন্নাহর ব্যাকরণে আমাদের জীবনশাস্ত্র হোক নির্ভুল, এই প্রত্যাশা…

  • Tk 290

    সুন্নাহর সংস্পর্শে

    রাসূল (সা.)-এর জীবনপদ্ধতি lifestyle আমাদের জন্য সুন্নাহ। তাঁর প্রতিটি শিক্ষা-আদেশ ও পর্যবেক্ষণও এর অন্তর্ভুক্ত। তাঁর জীবন অনুসৃত সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগের সেই সুন্নাহ আজও মানবসমাজের জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর। কিন্তু দুঃখজনকভাবে উম্মাহ সুন্নাহর সেই পবিত্র নহরে অবগাহন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সাহাবায়ে কেরামের ন্যায় তারা সুন্নাহকে জীবনঘনিষ্ঠ করতে পারছে না। ফলে এর সুমিষ্টতা আস্বাদন থেকে তারা বঞ্চিত! আধুনিক সমাজে একদল মনে করেন, সুন্নাহ এখন ‘অচল বস্তু’, নিতান্তই সেকেলে; বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে এর আবেদন ও কার্যকারিতা শূন্যের কোঠায়। আরেক দল মনে করেন, সুন্নাহ এমন কিছু কঠিন ও রুক্ষ নিয়মকানুন, যা সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য নয়। এমনকি তা স্বাভাবিক জীবনপ্রণালির প্রতিবন্ধকও বটে। বাস্তবিকার্থে সুন্নাহ এই দুই চিন্তাধারার সীমাবদ্ধতা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। বরং সুন্নাহ সদা জীবন্ত, চির শাশ্বত ও অভিযোজ্য। প্রতিটি যুগ ও যুগান্তরে এটি সমানভাবে কার্যকর। সুন্নাহ সংস্পর্শে বইটি আপনাকে সেই উপলব্ধির দিকেই ধাবিত করবে। সুন্নাহ কী করে মানবসমাজকে আরও সুন্দর-সুস্থ ও সুবিন্যস্ত করতে পারে, শরিয়ার আইনে এর মর্যাদা-সীমা ও গুরুত্ব কী, ইত্যকার আলোচনা এতে স্থান পেয়েছে। সুন্নাহর সংস্পর্শে আমাদের জীবন হয়ে উঠুক জ্যোতির্ময়, সুন্নাহর ব্যাকরণে আমাদের জীবনশাস্ত্র হোক নির্ভুল, এই প্রত্যাশা…

  • Tk 150

    হক ও বাতিল

    ‘হক’ আমাদের জীবনের পরম আরাধ্য। আমরা ইবাদত করি ‘আল হক’ আল্লাহর। মেনে চলি তাঁর হক রাসূলকে। আমরা চাই আমাদের জীবন হয়ে উঠুক হকের প্রতিবিম্ব। মৃত্যুও যেন হয় হকের ওপর। কিন্তু হক আসলে কী? মানুষ কেন এর থেকে বিচ্যুত হয়? কেন তালাশ করেও এর দিশা পায় না? কেন হকের সাথে বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ্ব। আবার হক চেনার পরও কেন মানুষ বাতিলের অনুগামী হয়? এইসব প্রশ্নের জবাবই আলোচিত হয়েছে হক ও বাতিল গ্রন্থটিতে; তবে ভিন্ন আঙ্গিকে। পারস্পরিক আলাপচারিতার ভঙ্গিতে, মজলিসি ঢঙে। হক তালাশি জ্ঞানপিপাসু ছাত্রের নানান প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেছেন বিজ্ঞ উসতাজ। যুক্তিগ্রাহ্য জবাবের ছোঁয়ায় একে একে খুলে দিয়েছেন ছাত্রের মনের সকল জট। পরিষ্কার করেছেন হক ও বাতিলের তফাত! উদ্বুদ্ধ করেছেন হকের পথে বাঁচতে, লড়তে ও মরতে।

  • Tk 160

    ইসলাম আপনাকে যেভাবে দেখতে চায়

    দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, রমাদানে ত্রিশটি সিয়াম এবং জীবনে একবার হজ, ব্যস আমার মুসলমানিত্বের ষোলোকলা পূর্ণ-এমন বিশ্বাস লালনকারী মানুষে সয়লাব গোটা মুসলিম সমাজ। কিন্তু আসলেই কি তা-ই? তবে আল্লাহর রাসূল (সা.) কেন বলেছেনÑ‘আল্লাহর কসম! সে ব্যক্তি মুমিন নয়। আল্লাহর কসম! সে ব্যক্তি মুমিন নয়। আল্লাহর কসম! সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ নয়।’ কেন নবিজি শেখালেন— ‘তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।’ ওপরের দুটি হাদিসের কোথাও নবিজি সালাত, সাওম কিংবা হজের কথা বলেননি। অথচ কী কঠিন হুঁশিয়ারি! সুতরাং এটা স্পষ্ট, নির্দিষ্ট কিছু আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি পালনের মধ্যেই ইসলাম সীমাবদ্ধ নয়। ইসলামের চাওয়া এর থেকে অনেক বেশি। এর পরিধি অনেক বিস্তৃত, বিধৃত। তাহলে ইসলাম আমাদের থেকে ঠিক কী চায়? কীভাবে দেখতে চায় একজন বনি আদমকে? কোন কোন বৈশিষ্ট্যসমূহ ধারণ করলে তাকে মুমিন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই বিষয়সমূহেরই পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ইসলাম আপনাকে যেভাবে দেখতে চায় বইটি।

  • Tk 330

    যুগোপযোগী দাওয়াহ

    গোটা বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বিশ্ব যেন এখন ছোট্ট একটি গ্রাম। তথ্য ও সাংস্কৃতিক প্রবাহ এখন বাতাসের চেয়েও বেগবান। ফলে মানুষের মনস্তত্ত্ব ও আচরণে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইসলামি দাওয়াতের অন্যতম উদ্দেশ্য হলোÑমানুষের মনস্তত্ত্ব ও আচরণে প্রভাব বিস্তার করে শুদ্ধতার সূচনা করা। তাই দাওয়াতি মিশনকে ফলপ্রসূ ও কার্যকর করতে বর্তমান প্রজন্মের সাইকোলজি ও সাংস্কৃতিক গতিধারাকে আমলে নিয়ে দাওয়াতি পন্থায় নতুনত্ব আনা ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘকাল যাবৎ দ্বীনি দাওয়াত এবং এর কৌশলে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে ইসলাম প্রসারে কাক্সিক্ষত ফলাফল থেকে আমরা শত ক্রোশ পথ দূরে। বিশ্বায়ন দাঈদের জন্য অবারিত সুযোগ তৈরি করেছে। একই সাথে বাড়িয়ে দিয়েছে দায়িত্বের ভারও। তাই নিত্যনতুন সৃষ্ট অবস্থা ও পরিস্থিতিতে দাওয়াতি কৌশল নিয়ে ভাবা জরুরি। কারণ, আলিম ও দাঈদের দায়িত্ব ইসলামের দাওয়াতকে যুগোপযোগী পন্থায় মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়া। যুগোপযোগী দাওয়াহ গ্রন্থটি তারই সারপত্র। এটি আধুনিক যুগে দাওয়াতের কার্যকর পন্থা নির্ধারণে সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।

  • Tk 240

    কারবালা ও ইয়াজিদ

    গল্প ও সাহিত্যকথায় জীবনের অর্থ খুঁজে ফেরা (জোছনাফুল)ইসলামের ইতিহাসে কারবালা এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা, যার নৃশংসতা ভারাক্রান্ত করে প্রত্যেক মুমিনের অন্তর। একই সাথে এই ঘটনার অতিরঞ্জিত বর্ণনা ও জাল হাদিসের মাধ্যমে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে শতাব্দীর শতাব্দী ধরে। কারবালার ঘটনার সাথে এ দেশের জনসাধারণের পরিচয় ঘটেছে মূলত বিষাদসিন্ধু’র মতো কল্পিত উপন্যাস, মুখনিঃসৃত বানোয়াট গল্প এবং মুহাররমে শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের মধ্য দিয়ে। আদতে এসব সূত্র থেকে আমাদের সামনে চিত্রিত হয় বিকৃত ইতিহাসের একটি ভ্রান্ত রূপ। এর ফলে যেমন খারেজি-রাফেজিদের নিপুণ মিথ্যাচার দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই আশঙ্কা থাকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারী হিসেবে নিজেদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় নিয়ে সংশয়ে পড়ার। একজন মুসলমান হিসেবে পূর্বসূরিদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা আমাদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা ও বিশুদ্ধ বিশ্বাসের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে ঘটেছিল আলি (রা.)-এর পর খিলাফতে রাশেদার রূপান্তর? কীভাবে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছিল ইয়াজিদ? তার হাত ধরে কীভাবে চিত্রিত হলো রক্তাক্ত কারবালা? এই বই এসবের নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের সন্ধান দেবে, ইনশাআল্লাহ।

  • Tk 250

    লাল রাজনীতি

    বিশ্বব্যাপী ‘লাল রাজনীতি’ মূলত বাম রাজনীতি হিসেবেই বেশি পরিচিত। আর এটি যে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ প্রতিষ্ঠারই আরেক নাম-তা মোটামুটি সকলেরই জানা। একদা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ‘স্বদেশি’ নামে যে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল, সেই কর্মকাণ্ডই হাত বদলে হয়ে উঠেছিল বাংলা অঞ্চলে সমাজতান্ত্রিক মতবাদ প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক কৌশল। সমাজতন্ত্র তথা বামপন্থা তার যৌবনের সময়গুলোতে বিপুলসংখ্যক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সত্য, কিন্তু এর প্রতিষ্ঠার ভয়ংকর কৌশলগুলো অচিরেই সাধারণ মানুষকে ভড়কে দেয়। এর ফলে বাম রাজনীতির কী পরিণতি দাঁড়ায়, কোন পথে পথে বেঁকে যায় তার ধারা-উপধারা, তারই সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই গ্রন্থ। লাল রাজনীতি শিরোনামের এই বইটি পাঠকের দৃষ্টি নিয়ে যাবে বাংলায় বাম রাজনীতির সেই বিতর্কিত উত্তাল সময়ে।

  • Tk 300

    আলিয়া ইজেতবেগভিচ ও বসনিয়া

    রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও জাতীয়তাবাদী আবহের বিবেচনায় বলকান অঞ্চল সম্ভবত বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় একটি জনপদ। জাতীয়তাবাদ যেন এ অঞ্চলের ললাটলিখন। মুসলিম শাসনপরবর্তী এই অঞ্চল কমিউনিস্ট শাসনের ভিতর দিয়ে এক দুর্যোগপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে । সুদীর্ঘ সময় ধরে এ অঞ্চল থেকে মুসলিমদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা চলমান । গেল শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে বসনিয়া তথা বলকানের মুসলিমদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, আত্মপরিচয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সুরক্ষায় যার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তিনি আলিয়া ইজেতবেগভিচ । বৈরী রাজনৈতিক আবহাওয়ার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ উত্তাল সমুদ্রে তিনি এক সাহসী নাবিক । জাতির ক্রান্তিকালে স্রোতের বিপরীতে দাঁড় টেনে সফল হয়েছিলেন এই মহান নেতা । বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনেও আলিয়া এক সব্যসাচী মনীষী । ইসলামের মূলধারার ওপর তিনি রেখে গেছেন অমূল্য রচনাবলি। তাঁর বিগ্ধ ও উচ্চমার্গীয় রচনাবলিই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। বসনিয়ার মুসলিম ও ইসলামি জাগরণের এই মহান রাহবারের সংগ্রামী জীবন চিত্রিত হয়েছে এই গ্রন্থে !

  • Tk 330

    উসূলুল ঈমান (২য় খন্ড)

    বস্তুতপক্ষে ঈমান হলো দ্বীনের মূলভিত্তি। এর মাধ্যমে একজন ঈমানদার ইসলাম নামক এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেন এবং এর ওপর অবলম্বন করে তাঁর আমলের বৃক্ষ অঙ্কুরিত হয়, শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হয়। কাজেই ঈমানের বিশুদ্ধতার ওপরই আমলের বিশুদ্ধতা নির্ভর করে এবং তা যতই দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে, আমলেও সেভাবে তার প্রতিফলন ঘটতে থাকে। যদি কারও এ ভিত্তি দুর্বল ও ত্রুটিযুক্ত হয়, তবে যেকোনো সময় ও অবস্থায় তা থেকে অঙ্কুরিত আমলের বৃক্ষ ও শাখা-প্রশাখা নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এ কারণে একজন মুমিনের ওপর সর্বপ্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলোÑতার ঈমানের ভিত্তিকে মজবুত করা, ত্রুটি মুক্ত করা। অত্যন্ত পরিতাপের ব্যাপার! আমরা ঈমানদারগণ অনেকেই জানি না যে, প্রকৃত ঈমান কী এবং এর ব্যাপ্তি বা পরিধি কতটুকু? ঈমানের দাবিগুলো কী কী? কীভাবে পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া যায়? কীভাবে ঈমান নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? প্রভৃতি। প্রশ্ন হলোÑযে ব্যক্তির এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরই জানা নেই, তার পক্ষে আদৌ কি পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া সম্ভব? তার পক্ষে কি এ নিয়ামত ও অনুগ্রহের হক আদায় করা সম্ভব? এ বই থেকে এসব বিষয় ও প্রশ্নের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।

  • Tk 290

    উসূলুল ঈমান (১ম খন্ড)

    বস্তুতপক্ষে ঈমান হলো দ্বীনের মূলভিত্তি। এর মাধ্যম একজন ঈমানদার ইসলাম নামক এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেন এবং এর ওপর অবলম্বন করে তাঁর আমলের বৃক্ষ অঙ্কুরিত হয়, শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হয়। কাজেই ঈমানের বিশুদ্ধতার ওপরই আমলের বিশুদ্ধতা নির্ভর করে এবং তা যতই দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে, আমলেও সেভাবে তার প্রতিফলন ঘটতে থাকে। যদি কারও এ ভিত্তি দুর্বল ও ত্রুটিযুক্ত হয়, তবে যেকোনো সময় ও অবস্থায় তা থেকে অঙ্কুরিত আমলের বৃক্ষ ও শাখা-প্রশাখা নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এ কারণে একজন মুমিনের ওপর সর্বপ্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলোÑতার ঈমানের ভিত্তিকে মজবুত করা, ত্রুটি মুক্ত করা। অত্যন্ত পরিতাপের ব্যাপার! আমরা ঈমানদারগণ অনেকেই জানি না যে, প্রকৃত ঈমান কী এবং এর ব্যাপ্তি বা পরিধি কতটুকু? ঈমানের দাবিগুলো কী কী? কীভাবে পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া যায়? কীভাবে ঈমান নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? প্রভৃতি। প্রশ্ন হলোÑযে ব্যক্তির এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরই জানা নেই, তার পক্ষে আদৌ কি পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া সম্ভব? তার পক্ষে কি এ নিয়ামত ও অনুগ্রহের হক আদায় করা সম্ভব? এ বই থেকে এসব বিষয় ও প্রশ্নের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।

CATEGORIES