• Tk 140Tk 200

    কাতারে বহতা সময়

    মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী ও সম্ভাবনাময় দেশ কাতার। দীর্ঘদিন ধরে এই দেশে বাস করছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। পেশায় তিনি একজন প্রকৌশলী। পাশাপাশি তিনি একাধারে একজন গীতিকার, শিল্পী ও লেখক। কাতারের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে পরিচিতমুখ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রবাস ও প্রবাসীদের নানা বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করে আসছেন। তাঁর বেশকিছু লেখা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও ব্লগে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। কাতারে প্রবাসজীবনের নানা সুখ-দুঃখ দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল্লাহ আল মামুন আপন মনে লিখে চলেছেন। নিজের মতাে করে তিনি কাতারের জীবনাচার থেকে শুরু করে স্থানীয় নাগরিকদের সামাজিক জীবন এবং অভিবাসীদের থেকে বহুমুখী অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং সেসব কালি ও কলমে সুখপাঠ্য করে তুলে ধরেছেন। কাতার ও কাতারে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বৈচিত্রময় প্রবাসজীবনের নানা দিক সম্পর্কে বেশ কিছু লেখা নিয়ে এই বই। যে কোনাে পাঠক তাে বটেই, বিশেষ করে যে কোনও প্রবাসী বাংলাদেশির কাছে বইটি ভালাে লাগবে। আর কাতার ও মধ্যপ্রাচ্যবাসী প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই বইয়ে যেন নিজেদেরই খুঁজে পাবেন ভিন্ন আঙ্গিকে।

  • Tk 150Tk 200

    প্রিয় প্রেয়সী নারী

    কেমন হবে নারীর জীবন যৌবন, প্রেম, বেদনা, মুক্তি, স্বাধীনতা, সৌন্দর্য, পরিবার, ভালোবাসা? আধুনিকতার নামে যে ঝলমলে আলো আপনাকে ডাকে, তা কি আদৌ আলো না অন্ধকার? স্বাধীনতার নামে যে বুলি আওড়ায়, তা কি আদৌ স্বাধীনতা? নারী বিষয়ক সমকালীন সব ইস্যু এই বইতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সাহিত্য অঙ্গন থেকে শুরু করে প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রিনিক মিডিয়া, করপোরেট ওয়ার্ল্ড প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীকে স্বাধীনতা, অধিকার আর ক্ষমতা দেওয়ার নামে ক্যাপিটালিজম আসলে যে কী করছে সেটাই লেখক দেখিয়েছেন। নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন—ইত্যাদি চটকদার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যারা সবচে বেশি কথা বলে, তারা এসবের আড়ালে আসলে যে কী সেটা তথ্য, রেফারেন্স, উদাহরণসহ বলা আছে। ইসলাম নারীদের কী সম্মান দিয়েছে এই চেনাপথে না হেঁটে, নারীদের আধুনিক ঠিকাদারেরা নারীদের আসলেই কী দিয়েছে, সেটাই দেখিয়েছেন লেখক। বইয়ের বলার ভঙ্গিটাও একদম নতুন। প্রায় প্রতিটা প্যারা এক একজন নারীকে সম্বোধন করে শুরু হয়েছে। বইটা যে প্রত্যেক নারীর জন্য সেটা বোঝানোর জন্য। যৌনতা, বিয়ে, স্ক্যান্ডাল, ডিভোর্স, এফএম রেডিও, মডেল, অভিনেত্রী, র্যাম্প, ফটোগ্রাফী—নারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ফিল্ড বাদ যায়নি।

  • Tk 90Tk 120

    হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফঃ অন্য আলোয় দেখা

    হাজ্জাজকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কেউ তাঁকে বলে কাফের, কেউ বলে ফাসেক। কেউ একচেটিয়াভাবে উল্লেখ করে তাঁর সৎকর্মগুলো। আবার কেউ কেউ উল্লেখ করে শুধু তাঁর অসৎ কর্মগুলো। এভাবে নানাজন নানা কথা বলে তাঁর ব্যাপারে। আমরা সেদিকে আর যাব না এখন। আমাদের কথা হলো সাফ। হাজ্জাজ একজন স্বৈরাচার ও জালেম ছিলেন, এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি বহু সাহাবি ও তাবেয়ি খুন করেছেন। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই কোনো মানুষের। কিন্তু তিনি তো আবার ইসলামেরও বহু খেদমত করেছেন। করেছেন কোরআনের সেবাও। আঞ্জাম দিয়েছেন আরও বহুবিধ সৎকর্ম। তাঁর এসব কর্ম কি উপেক্ষিত থাকবে হামেশা? মেঘের আড়ালে চাপা পড়ে থাকবে সর্বদা? তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় ঘটনাগুলো কি আড়ালেই থেকে যাবে সব সময়? না, এটা তো ইসলামের শিক্ষা নয়। একজন মানুষ অপরাধ করতেই পারে। তাই বলে কি সে অস্পর্শ হয়ে গেছে। তার ভালো কাজগুলোও হয়ে গেছে অগ্রহণযোগ্য? কখনোই নয়। বরং ইসলামের শিক্ষা হলো, ‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো।’ ‘জ্ঞান মুমিনের হারানো সম্পদ। সুতরাং যেখানে তা পাওয়া যাবে, সেখান থেকে তা আহরণ করার অধিকার রয়েছে তার।’ এসব বিষয় মাথায় রেখে ইতিহাস গবেষক, ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত আলেম ড. আমির মুহাম্মদ মাদারি রচনা করেছেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি। এখানে তিনি হাজ্জাজের যাপিত জীবনের গলি-ঘুপচিতে চষে বেড়িয়েছেন সমানতালে। এরপর সেখান থেকে তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো সামনে তুলে ধরেছেন। হাজ্জাজের জীবনসমুদ্রে ডুব দিয়ে তিনি কুড়িয়ে এনেছেন মুক্তা-মানিক এবং সেগুলো বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়ে মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।

  • Tk 195Tk 260

    উমর ইবনে আবদুল আজিজ

    উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ.। ইতিহাস তাঁকে ‘দ্বিতীয় উমর’ নামে চেনে। ৬৩ হিজরিতে জন্ম নেয়া এই মহান খলীফার খিলাফতকাল প্রথম চার খলীফা থেকে অনেক দূরে হলেও তাঁকে পঞ্চম খলীফা হিসেবেই গণ্য করা হয়। একজন পরিপূর্ণ আদর্শবান ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায়, এর সবটুকু ছিল তাঁর মাঝে। জ্ঞানার্জন, তাকওয়া, দুনিয়া বিমুখতা, নেতৃত্ব, দ্বীনের সকল ময়দানে সেই যুগে ছিলেন অদ্বিতীয়। যারাই তাঁকে দেখেছে, তাদের বিস্ময় যেন মনকে কাবু করে ফেলেছে। যুগে যুগে অনেকেই তাঁর ইবাদত, যুহুদ নিয়ে বই রচনা করেছেন। তথাপি তার গোটা জীবনী আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই লেখক আব্দুল্লাহ আল মাসূম পুরো বইটি সাজিয়েছেন এই মহান খলিফার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কাহিনী। তুলে ধরেছেন পরতে পরতে থাকা শিক্ষাগুলো অত্যন্ত নিপুণভাবে।

  • Tk 90Tk 120

    ঐশী বিচার

    ইরাকি লেখক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ শিত খাত্তাব আমাদের কাছে অপরিচিত নন। এর আগে নবপ্রকাশ থেকে ‘আসমানি আদালত’ নামে লেখকের আরেকটি বই অনূদিত হয়ে প্রকাশ হয়েছে। বইটি পাঠকমহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গল্পকার হিসেবে মাহমুদ খাত্তাবের বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে গল্পের মোড়ক পরিয়ে পাঠকের সামনে হাজির করেন। গ্রন্থের সবগুলো গল্পই তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ। তিনি যেসব ঘটনা শুনেছেন, যে বিষয় সম্পর্কে জেনেছেন কিংবা বাস্তব জীবনে প্রত্যক্ষ করেছেন—এমন সব ঘটনা ও বিষয়কে তিনি গল্পের আদলে নিয়ে এসে উপস্থাপন করেন বাঙময় ভাষায়। তাঁর গল্পের অন্য আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি শুধু বাস্তব জীবনের ঘটনা তুলেই ক্ষান্ত হন না, বরং প্রতিটি গল্পের ভেতর দিয়ে তিনি পাঠককে শিক্ষা দেন কোনো না কোনো আবশ্যিক শিক্ষণীয় পাঠ। সমাজের অনেক অনাচার, চারিত্রিক অনেক স্খলন, ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য অহিতকর বিষয়গুলো তিনি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেন পাঠকের চোখের সামনে। ফলে, তাঁর বলা গল্পগুলো আমাদের জন্য সবসময় পাঠ্য। তাঁর গল্পের আবেদন কখনো ফুরোবার নয়। নবপ্রকাশ এ ধরনের শিক্ষণীয় ও সমাজহিতৈষী গল্প ও গ্রন্থ প্রকাশে বদ্ধপরিকর। পশ্চিমাদের কুরুচিপূর্ণ ও যৌনতাসর্বস্ব গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে আমাদের তরুণ পাঠকদের মস্তিষ্কে যে বিকৃতি প্রবেশ করানো হচ্ছে, তার প্রভাব পড়ছে আমাদের পুরো তরুণসমাজের ওপর। এতে করে নষ্ট হচ্ছে পরিবার, সমাজ এবং দেশ-জাতি। অন্তর্গতভাবে আমরা পরিণত হচ্ছি একটি অন্তঃসারশূন্য মেধাহীন জাতিতে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমরা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হবো—এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এসব বিবেচনায় রেখে ইরাকি গল্পকার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ শিত খাত্তাব গত শতকে বেশ কিছু গল্পগ্রন্থ রচনা করেন। বইগুলো সে সময় পাঠকমহলে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয় এবং ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। বক্ষ্যমাণ বইটি লেখকের রচিত আরবি ‘তাদাবিরুল ক্বাদর’ গল্পগ্রন্থের বাংলা রূপায়ন।

  • Tk 105Tk 140

    নবীজির ছেলেবেলা

    নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী মানেই মুসলিমদের আদর্শ। একটি জীবন্ত ও চিরকালীন অনুকরণীয় মডেল হিসেবে এর প্রতিটি দিক এমনভাবে রচিত হওয়া প্রয়োজন, যাতে সকল স্তরের মানুষ নিজ নিজ জায়গা হতে খোরাক সংগ্রহ করতে পারে। বর্তমান বাজারে অসংখ্য সিরাতগ্রন্থ পাওয়া যাবে। এসব গ্রন্থ নবীজির পূর্ণাঙ্গ জীবনী। লেখক ভিন্ন হওয়ার কারণে তাতে ভাষা ও বিন্যাসগত বৈচিত্র্য থাকলেও গবেষণাধর্মী বই লেখা হচ্ছে না বললেই চলে। যেমন এই গন্থটি শৈশবকালীন ঘটনা দ্বারা সমৃদ্ধ করা হয়েছে। নবীজির ছোটকাল থেকে আমাদের ছোটরা খোরাক নিতে পারবে.

  • Tk 165Tk 220

    নবীজননী মা আমেনা

    নবীজীবনী পড়ার সময় বারবার অনুধাবন করেছি—নবীজি ছিলেন একজন সর্বাঙ্গীন মানবিক মানুষ। মানুষের জন্য তাঁর ভালোবাসা ছিল বাঁধভাঙ্গা, প্লাবনের ঢলের মতো ভালোবাসতেন তিনি মানুষকে। এই যে মানবিক একজন মানুষ, মুসলিমদের ভালোবাসায় কাটত যাঁর দিন রাতের প্রতিটি মুহূর্ত, সেই মানুষটির কি তাঁর মায়ের কথা মনে পড়ত না? হঠাৎ কোনো রাতে ঘুম ভেঙে মায়ের জন্য কি তাঁর মন কেঁদে উঠত না? পৃথিবীতে আগমনের আগে হারিয়েছিলেন বাবাকে, মা যখন মারা যান তখন তাঁর বয়স মাত্র ছয় বছর; মায়ের কোনো স্মৃতি কি তাঁর মনে পড়ত? ছোট্টবেলায় হাত বুলিয়ে দেয়া মায়ের আদরগুলো কি অনুভব করতে পারতেন? মায়ের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির স্বাভাবিক প্রবণত। আর আমাদের নবীজি তো ছিলেন ভালোবাসার আধার, তাঁর অন্তরে মায়ের স্মৃতি কেমন করে বেজে উঠত—আমরা কেবল সেটা অনুধাবনই করতে পারি। আচ্ছা, কেমন ছিলেন নবীজির মা? কখনও কি জানতে ইচ্ছে হয়? ‘নবীজননী মা আমেনা’ বইটি লিখেছেন মিশরের প্রবাদপ্রতীম নারীলেখক ড. আয়েশা বিতনে আব্দুর রহমান। নবীজননীকে যে ভালোবাসায় তিনি এঁকেছেন কাগজরের অক্ষরে, এর আগে কেউ এভাবে অঙ্কিত করতে পারেনি তাঁর অবয়ব। হাদিস ও সিরাতের সূত্রে এক পরিপূর্ণ আমিনাকে তিনি তুলে এনেছেন পাঠকের দৃষ্টির আঙিনায়।

  • Tk 135Tk 180

    রঙিন মখমল দিন

    অনন্য গদ্যশৈলীর জাদুকর শরীফ মুহাম্মদ লিখেছেন তাঁর মখমল রঙিন শৈশবের আত্মজীবন। স্মৃতি হাতড়ে তুলে এনেছেন ফেলে আসা জীবনের হাসি-কান্না, প্রেম-বিরহ, স্বপ্ন-উৎকণ্ঠা। দরদে তড়পানো এক ঘোরলাগা গদ্যে বয়ান করেছেন সব, দুরন্ত শৈশবের সকল কিছু। ব্যক্তিত্বের আড়ালে ঘুমিয়ে থাকা এক শিশু খলবলিয়ে কথা বলেছে স্মৃতির বারান্দায় দাঁড়িয়ে। অতীতের রেহালে স্মৃতি সাজিয়ে একে একে বলে গেছেন তাঁর মায়ার শহর ময়মনসিংহের রোদেলা সকাল, ঘুরন্ত শহরের অলি-গলি, প্রথম পাঠ, পড়ালেখার জন্য ঢাকায়, মায়ের বিরহে আত্মরোদন, টুকরো প্রেম, কিংবদন্তির সাক্ষাৎ এবং আলো হাতে ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর এক সদ্যকিশোরের জীবনযাপন। এ যেন কিছুটা আত্মজীবন, অনেকটা শৈশব…! শরীফ মুহাম্মদ-এর মখমলরঙা শৈশবে আপনাকে স্বাগতম!

  • Tk 120Tk 160

    মানুষের শত্রু শয়তান

    নিজেকে সংশোধন করা কঠিন কিছু নয়। ইসলামের আদর্শপথে নিজেকে উৎসর্গ করা একদম সহজ। এই সহজ কাজটি আমাদের জন্য কঠিন করে দেয় শয়তান। স্বাভাবিকভাবে সকল পাপ কাজে মানুষকে তার বিবেক বাধা দেয়। নিজেই অনুভব করতে পারে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। এ অনুভবের গোড়াতে কঠোর হতে পারলে নফস পরাজিত হয়। শয়তান মার খেয়ে যায়। জীবনকে সফল করা মানুষের কাজ। আল্লাহর ভয় মনের ভেতর সবসময় জাগিয়ে রাখাই সফলতা। আল্লাহর রংয়ে জীবনকে রাঙানোর নাম সফলতা। ইসলামের নির্দেশগুলো ব্যক্তি জীবনে প্রস্ফুটিত করা হলো সফলতা। এটাই আল্লাহর রং। ‘আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং-এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই ইবাদত করি।’ (সুরা বাকারাহ, আয়াত ১৩৮) ব্যক্তিগত জীবনকে সাজাবার জন্য অনেক বড় আলেম হওয়ার প্রয়োজন নেই। যে কাজ করব সেটা ইসলামের নির্দেশিত পন্থায় করব। সেই পন্থা জেনে নেয়ার নাম ইলম। এই ইলম অর্জন করা ফরজ। এ সহজ একটি কাজও আমাদের করা হয় না। নানামুখী সমস্যায় জড়িয়ে যায়। সেই সমস্যা আরও দীর্ঘ হতে থাকে। তারপর সমাধানের নানা পথে আমরা ঘুরতে থাকি। এই জীবন সমস্যার পরতে পরতে শয়তান তার স্বার্থসিদ্ধি করে। মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তার কাজ আদায় করে নিতে চায়। শয়তানের চাওয়া পাওয়া কি তা জানা দরকার। তাকে চিনে রাখা দরকার। কীভাবে সে আসে, কী তার রূপÑএ ধারণা একজন মানুষের থাকলে তার চলার পথ সহজ হয়। মহান সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত পুরুষগণের মাধ্যমে আমাদেরকে তা অবগত করিয়েছেন। তাঁর ঐশীগ্রন্থের বিশদ বর্ণনা আমাদের জীবন পথের দিশা। তাঁর রাসুলের (সা.) নির্দেশনা আমাদের পাথেয়। শয়তান থেকে বাঁচার কর্মকৌশল গ্রহণ করতে হবে সেখান থেকে।

  • Tk 120Tk 160

    মক্কা শহরে ছদ্মবেশী এক খ্রিস্টানের দিনলিপি

    ১৮৯২ সালে এক ফরাসি খ্রিষ্টান ফটোগ্রাফার নিজের পরিচয় গোপন রেখে জাহাজে করে চলে আসেন মক্কায়। গোপনে সঙ্গে নিয়ে আসেন সদ্য আবিষ্কৃত একটি ক্যামেরা। কিন্তু আরবভূমিতে তখন ক্যামেরা বহন এবং পবিত্র স্থানের ছবি তোলা ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবু অদম্য ইচ্ছা নিয়ে এই ফরাসি খ্রিষ্টান ঢোকার চেষ্টা করেন মসজিদে হারামে। তারপর…? সেই সাহসী ফটোগ্রাফারের আরবভ্রমণের উত্তেজনাকর কাহিনি নিয়েই রচিত হয়েছে এ বই। তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন তার আত্মবয়ান। বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাঠক পাবেন ইতিহাসের অজানা অধ্যায় জানার দুরন্ত স্বাদ।

  • Tk 240Tk 320

    লাভ ইন হিজাব

    ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক মুসলিম তরুণী। তার বিয়ে হবে। বিয়ের আগে আর দশজন মুসলিম তরুণীর মতো তার মনেও আচমকা ডানা মেলতে শুরু করে হাজারও স্বপ্ন। স্বপ্ন বুনে নিজের আরাধ্য হবু স্বামীকে নিয়ে- কেমন সে স্বপ্নের পুরুষটি? ছোট একটি ঘর আর এক টুকরো সংসারের স্বপ্ন দেখে মেয়েটি। পাশ্চাত্যের ঝলমলে ইউরোপীয় শহর লন্ডনে বেড়ে ওঠা মেয়েটি সেখানে আবিষ্কার করে আরেক পৃথিবী। নানা জাতি আর বর্ণের মানুষের সংস্পর্শে এসে আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি হয় তার অন্দরমননে। ভালোবাসার মানুষ খুঁজতে খুঁজতে শুরু হয় তার মুসলিম আত্মপরিচয় উদ্ধারের এক অব্যক্ত সংগ্রাম। হিজাবের মোলায়েম অন্তরাল থেকে সে সংগ্রাম তাকে তুলে আনে অনন্য উচ্চতায়। পাশ্চাত্য সমাজে হৈ চৈ ফেলে দেয়া ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলার বই লাভ ইন আ হেডস্কার্ফ-এর লেখক শেলিনা জাহরা জান মোহাম্মদ। তিনি নিজেই তাঁর জীবনের সংগ্রাম-মধুর আত্মবয়ান বর্ণনা করেছেন বইয়ের কালো অক্ষরে। পাশ্চাত্যকে তিনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন উপমহাদেশীয় মুসলিম সমাজের কালোত্তীর্ণ সংস্কৃতির সঙ্গে।

  • Tk 90Tk 120

    কীর্তিমানদের ছেলেবেলা

    যারা কালোত্তীর্ণ, যারা কীর্তিমান—যুগে যুগে সেই সব মানুষের বন্দনা গাওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে কীর্তিগাথা। কাল পেরিয়ে মহাকালের পটে লেখা হয়েছে তাদের নাম। অক্ষয় হয়েছে তাদের কীর্তি। তাদের জীবনের নানা কাহিনী বিবৃত হয়েছে মানুষের মুখে মুখে। তেমনই কিছু দীপ্তিমান ক্ষণজন্মা মনীষীর জীবনের নানা দিক নিয়ে লেখা হয়েছে এ বই। তাদের বেড়ে উঠার গল্প বলা হয়েছে। হালকা মেজাজে। পরিশীলিত ঢংয়ে। পাঠক গল্পের আবেশে হারিয়ে যাবে। মুগ্ধতা নিয়ে পাঠ শেষ করবে। তারই ফাঁকে জানা হয়ে যাবে কিছু অসামান্য মানুষের কিংবদন্তিতুল্য জীবনকাহিনি। সেই জীবনের নানা বাঁক, নানা দিক। যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ত্যাগের ইতিহাস। আত্মদানের লোমহর্ষক বর্ণনা। প্রচেষ্টা ও উদ্যমের গল্প। তাদের কেউ কেউ দেশমাতৃকার তরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আবার কেউ কেউ জ্ঞান সাধনার জন্য জীবন বাজি রেখেছেন। কেউবা লক্ষ্যপানে ছিলেন অবিচল। অন্তহীন ছুটে চলেছেন। তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিয়েছেন। কঠিন বিপদের মুখেও নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য তাড়া করেছে তাদের। এক সময় সফলতা এসে তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়েছে—এমনই নানা মানুষের নানা কথা ছড়িয়ে আছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। যা আপনাকে ভাবাবে, আকুল করবে। অজান্তেই নিজের মাঝে বড় হওয়ার স্বপ্নের বীজ বুনে যাবে। বিকশিত ও সফল জীবনের হাতছানি দিবে। এসো, এখানে এসো, এখানে জীবনের জন্মসংগীত গাওয়া হয়। পাঠক গল্পগুলো পাঠ করে যারপরনাই অবাক হবেন। কেননা আমরা এতদিন যেসব কীর্তিমানের নাম শুনে এসেছি, শ্রদ্ধার সঙ্গে যাদের স্মরণ করেছি, লেখক সাগরের বুকে মুক্তো তালাশের মতো তাদের জীবনের সুন্দর একটা মুহূর্ত তুলে এনেছেন। যে মুহূর্ত তাকে পরবর্তী জীবনে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ইবনে জাহেজ, ইবনে হাইসাম, আল বিরুনি, ইবনে হাইয়্যান, আল হামাভি—এমন মহান পুরুষদের শৈশবের গল্প যতটা চিত্তাকর্ষক, তার চেয়েও দরকারি হলো শৈশবে তাদের বেড়ে উঠার শিক্ষা সম্পর্কে অবগত হওয়া। লেখক তাঁর বইয়ে গল্প বলতে গিয়ে ঠিক সে কাজটিই করেছেন।

  • Tk 105Tk 140

    খলিফা হত্যাকাণ্ড

    একের পর এক ঘটতে লাগলো হত্যাকাণ্ড। ইসলামি খেলাফতের প্রতিটি যুগ রক্তাক্ত হতে লাগলো প্রবল জিঘাংসায়। খোলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া, আব্বাসি, ফাতেমি, উসমানি… প্রতিটি খেলাফতের সিংহাসন ডুবে যেতে লাগলো রক্তের সহিংস ধারায়। ষড়যন্ত্র আর ক্ষমতার লড়াইয়ে খঞ্জরের ডগায় লেখা হতে থাকলো খলিফাদের রক্তাক্ত নাম ও শান-শওকত। খলিফাদের হত্যাকাণ্ডে লাল হয়ে গেলো ইতিহাসের সাদা পাতা…! কিন্তু কেন? কেন একের পর এক খুন করা হয়েছিলো খলিফাদের? কেন মুসলিম খেলাফত বারবার রক্তাক্ত হয়েছিলো আততায়ীর ছুরির আঘাতে? কেন মুসলিমবিশ্বের ওপর নেমে এলো ক্রমাগত অধঃপতনের নিকষ অভিশাপ? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই রচিত হয়েছে ইতিহাস অনুসন্ধানী গ্রন্থ- ‘খলিফা হত্যাকাণ্ড’।

  • Tk 90Tk 120

    নবীপত্নী মহিয়সী খাদিজা

    তিনি নবীজির প্রথম স্ত্রী, প্রথম মুসলিম। ইসলামের সর্বযুগের চার শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। একটি বিরামহীন, ছন্দপতনহীন, অনিন্দ্যসুন্দর জীবনের প্রতিচ্ছবি। যিনি ইসলামের প্রাথমিক দিনগুলোতে সর্বমুখী বিপদের মোকাবেলা করে নবীজির সহযোগিতায় জীবনের সর্বস্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। ছায়ার মতো তাঁর সঙ্গে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিলেন। সকল শঙ্কা, ভয়, দুশ্চিন্তা থেকে তিনি তাঁকে মুক্ত করে আনতেন নিঃস¦ার্থ ভালোবাসার স্নিগ্ধতায়। নবীজি তাঁর এ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের কথা আজীবন স্মরণ রেখেছিলেন। তাঁর পবিত্র হৃদয়ে খাদিজার স্মৃতি ছিল চির জীবন্ত, জাগরুক। আবদুল হামিদ মাহমুদ তহমাজ সিরিয়ার খ্যাতনামা আলেমদের একজন। গত শতকের শেষভাগে হানাফি ফিকহ সম্ভারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়েছে, শাইখ তহমাজের আল ফিকহুল হানাফিছ্যু ফি সাওবিহিল জাদিদ তার অন্যতম। বাংলাদেশের ধর্মীয় মহলেও কিতাবটি ব্যাপকভাবে পাঠ্য। যারা তাঁকে চেনেন, তাঁর রচনা সম্পর্কে তাদের নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সাইয়িদা খাদিজা গ্রন্থটিও তাঁর একটি অনবদ্য সংকলন। এতে তিনি সুনিপুণ হাতে বয়ান করেছেন উম্মুল মুমিনিনের জীবনালেখ্য।

  • Tk 225Tk 300

    জীবন ও সংগ্রাম

    মুফতী আমিনী রহ.-কে নিয়ে প্রকাশিত একমাত্র পরিপূর্ণ গ্রন্থ। লিখেছেন হজরতের ছেলে, জামাতা, সহ-সংগ্রামী, সহকর্মী, ছাত্র, একান্ত প্রিয়জন, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ প্রায় পঞ্চাশজন দেশবিখ্যাত ব্যক্তি।

CATEGORIES