• Tk 295

    ব্যাটল ফর পাওয়ার

    ইতিহাস বদলে যায় যুদ্ধ-সংগ্রাম, বিদ্রোহ আর বিপ্লবে। উত্থান হয় ক্ষমতার নতুন ভরকেন্দ্র ও পরাশক্তির। যুগে যুগে এভাবেই ক্ষমতা ও সাম্রাজ্যবাদের রূপান্তর ঘটেছে। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দুনিয়া দেখল জ্বালানি তেলের অভূতপূর্ব দাপট! বিংশ শতাব্দী থেকে দুনিয়ার ক্ষমতা- কাঠামোই উলটপালট করে দিলো এই তেল অস্ত্র। তেলের পরশে বদলে গেল মরুর দেশ সৌদি আরব, উপসাগরীয় ক্ষুদ্র রাষ্ট্র কাতার, কুয়েত, আমিরাত, ওমান ও বাহরাইন। পশ্চিমা অয়েলম্যানদের কারসাজিতে প্রায় ধ্বংস হলো লিবিয়া, ইরাক আর ইয়েমেন। অন্যদিকে রাশি রাশি নিষেধাজ্ঞার বোঝা মাথায় নিয়েও শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তেল আশীর্বাদে দিব্যি টিকে আছে ইরান ও ভেনিজুয়েলা। ব্যাটল ফর পাওয়ার আপনাকে শোনাবে সেই সব রোমাঞ্চকর কাহিনি; নিয়ে যাবে বিশ্ব রাজনীতির দুর্গম গিরিপথে।

  • Tk 270

    আধুনিক জাহেলিয়াত

    মহান আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত ইবলিস চায়—বনি আদম আল্লাহর দেখানো সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ুক। তাই সে ডান-বাম, সম্মুখ ও পশ্চাৎ থেকে বিভিন্নভাবে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে তাদের সামনে সুশোভিত করে তোলে জাহেলিয়াতের নানা মত, পথ ও উপকরণসমূহ। কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ অনুসারীগণ ভালো করেই জানেন, জাহেলিয়াতমাত্রই অজ্ঞতার নিরালোক অন্ধকার। আদমের অন্তরকে জুলুমাত আর গোমরাহিতে বিষিয়ে দিতে শয়তান কখনো ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে জাহেলিয়াতের মিশ্রণ ঘটায়, কখনো-বা আগ্রাসন চালায় মানবজীবনের প্রতিটি পদে ও পরতে। শয়তানের প্রধান হাতিয়ার এই দুই ধরনের জাহেলিয়াতকে মূলোৎপাটন করে ওহির আলোয় আলোকিত মানুষ ও সমাজ বিনির্মাণের এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার নাম আধুনিক জাহেলিয়াত।

  • Tk 200

    প্রচলিত মানহাজ

    চিন্তাশক্তি মানুষের একটি মৌলিক গুণ; ব্যক্তিভেদে চিন্তা ও অন্তর্দৃষ্টি ভিন্ন হয়ে থাকে। ইসলামি শরিয়াহর বিধিবিধানের ক্ষেত্রেও চিন্তার স্বাতন্ত্র্য বা মতভেদ খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এই মতভেদকে অস্বীকার করার অর্থ হলো—মানবজাতির চিন্তার স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করা। যুগে যুগে বিভিন্ন ইস্যুতে এই মতভিন্নতার কল্যাণেই উম্মাহ পেয়েছে অসংখ্য জটিল মাসয়ালার সমাধান। কিন্তু শরিয়াহর ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে আমাদের মুসলিম সমাজ চরম দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন মুসলিম উম্মাহর মিলের জায়গা খোঁজা। একই সাথে মতভেদপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক খুঁজে বের করা। প্রচলিত মানহাজ সেই প্রচেষ্টারই একটি প্রতিফলন। গ্রন্থটিতে মতপার্থক্যপূর্ণ বিভিন্ন মাসয়ালা নিয়ে দালিলিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছে।

  • Tk 140

    বিশ্ব মাঝে শীর্ষ হব

    নিজেকে সফল করা কোনো ছোট্ট কাজ নয়। ওমর খৈয়ামের ভাষায়— ‘ধূসর মরুর ঊষর বুকে/বিশাল যদি শহর গড়ো, একটি জীবন সফল করা/তার চাইতে অনেক বড়ো।’ কী দুর্ভাগ্য! বস্তুগত উন্নতি নিয়ে মানুষের কতশত গবেষণা; গ্রহ- গ্রহান্তরে অভিযান। শুধু নিজের ব্যাপারেই সে উদাসীন! ১৯৪১ সালে ডেল কার্নেগি দুশ্চিন্তাহীন নতুন জীবন বইটি লিখতে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিউইয়র্কের পাবলিক লাইব্রেরির সাহায্য নেন। সেখানে তিনি মানুষের জীবন সম্পর্কিত মাত্র ২২টি বইয়ের সন্ধান পেলেও কৃমিসংক্রান্ত বই দেখতে পান ১৮৯টি। অর্থাৎ, ৯ গুণ বেশি। এ অবস্থার আজকেও কি কোনো বড়ো পরিবর্তন হয়েছে? যোগ্য মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে বইটিতে তরুণদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় পাথেয়। একই সাথে বইটির সাবলীল পাঠের মাধ্যমে তরুণরা খুঁজে পাবে জীবনের প্রকৃত অর্থ!

  • Tk 110

    নবিদের দাওয়াতি পদ্ধতি

    মানুষ সাধারণত বদলাতে চায় না। সে যেমন আছে, তেমনই থাকতে চায়। তাই কাউকে বদলানোর আহ্বান জানালে সে রাগ করে। আবার কেউ দূরে চলে যায়। এমনকী পরিবর্তনের আহ্বানের জন্য অন্তরঙ্গ বন্ধুর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে অহরহ। দাওয়াতের অর্থ—বদলে যাওয়ার আহ্বান জানানো। হয়তো বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তনের আহ্বান, নয়তো তার মানোন্নয়নের আহ্বান। এই হচ্ছে মূলকথা। দাওয়াতের এই সুমহান দায়িত্ব সবচেয়ে ভালোভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন নবি-রাসূলগণ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষগণ কীভাবে এই কঠিন কাজটি করেছেন, এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কীভাবে তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করেছেন—এ-ই নিয়ে বইটি। রাসূল ﷺ-এর মাধ্যমে নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হলেও দাওয়াতের ধারা অব্যাহত থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। বর্তমান যুগে কীভাবে আমরা তাঁদের দাওয়াতি পদ্ধতির আলোকে মানুষের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছাতে পারি, তা জানতে পারব এই বইয়ের মাধ্যমে।

  • Tk 275

    মাআল আইম্মাহ

    দ্বীনকে সহজতর উপায়ে মানুষের নিকট তুলে ধরতে ইলমুল ফিকহে যে চারজন ইমামের অবদান সর্বাধিক, তাঁরা হলেন—ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। এ চার ইমামের জীবন ও কর্মই সংক্ষিপ্তরূপে বর্ণিত হয়েছে মাআল আইম্মাহ-এর প্রতিটি পৃষ্ঠায়। এর সুরভিত পাঠ পাঠককে নিয়ে যাবে বহুকাল আগের সেই সোনালি যুগে—যেখানে তাঁরা বেড়ে উঠেছেন, ইলম অন্বেষণ করেছেন এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে গড়েছেন জগৎখ্যাত ফকিহ হিসেবে।

  • Tk 210

    বি জিনিয়াস উইথ মুহাম্মাদ ﷺ

    ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন করেছিলেন বিশ্বমানবতার নবি মুহাম্মাদ ﷺ। একাধারে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, তুখোড় রাজনীতিবিদ, বীর যোদ্ধা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একজন মানুষের পক্ষে সকল দিক থেকে যতটা জিনিয়াস হওয়া সম্ভব, তার সবটুকুই নিজ চরিত্রে প্রতিফলিত করেছিলেন রাসূল ﷺ। জীবনের প্রত্যেক পরতে কীভাবে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেলেন, তারই সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করা হয়েছে এই বইটিতে। পাশাপাশি মুমিনের জন্য পেশ করা হয়েছে ওহির বিধান এবং নবিজির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত জীবন গড়ে তোলার পথনির্দেশিকা।

  • Tk 240

    ভিন্নমতের নান্দনিকতা

    বর্তমানে মুসলিম বিশ্ব শত্রুদের সাথে যে পরিমাণ দ্বন্দ্ব- কলহে লিপ্ত, তার চেয়ে ঢের বেশি নিমজ্জিত অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে। এ অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলে নিজেদের শক্তি যেমন ক্ষয় হচ্ছে, তেমনি কমে যাচ্ছে শত্রুদের ওপর প্রভাব। পাশাপাশি মুসলিম সমাজে গড়ে উঠছে এমন অনেক বলয়—বাস্তবে যাদের না আছে কোনো কার্যকারিতা, আর না আছে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রভাব; বরং এগুলো মুসলমানদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধকে উসকে দিচ্ছে হররোজ। মুসলমানদের মধ্যকার এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ নিরসনই ভিন্নমতের নান্দনিকতা গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

  • Tk 230

    ধরণির পথে প্রান্তে

    মানুষের মনের চেয়ে বেশি রহস্যময় আর কিছু কি এই পৃথিবীতে আছে? কোথাও তাজমহলের শুভ্রতাকেও ম্লান করে মন, আবার কোথাও হিমালয়কেও হার মানায় মনের উচ্চতা। কোথাও বা আবার তা মিশরের মমির অজানা রহস্যকেও ছাড়িয়ে যায়। মানুষের মন আটলান্টিকের গভীলতাকেও লজ্জা দেয়। প্রতিটি মানুষেরই একটা করে মন আছে, আছে একটা করে বিচিত্র জগৎ। আমরা কয়টা মন চিনি, কজনকে জানি? যাদের জানি বলে মনে করি, আসলেই কি তাদের জানি? মানুষের মনের গভীরে নামতে পারা, তার গভীরতা মাপতে পারা, সেই গভীরতার চিত্র-বিচিত্র রূপ দেখতে পাওয়া কি এতটাই সহজ? না, সহজ নয়। কারণ, মানুষ বড়োই দুর্বোধ্য আর রহস্যময় এক সত্তা! মন যা দেখায়, তার পেছনেও দেখার অনেক কিছু থাকে। যা জানায়, তার পেছনেও অনেক কিছু থেকে যায়। মন তো কখনোই নিজেকে পুরোটা মেলে ধরে না। কারণ, নিজের পৃথিবীর এ সিংহাসনে মন নিজেই রাজা। এখানে আর কাউকেই সে ভাগ বসাতে দিতে রাজি নয়। এ জন্যই সে একা, বড়ো একা। কী বৈচিত্র্যময় বৈপিরীত্য দেখুন তো! এই বৈচিত্র্যময় বৈপিরীত্যই মানুষকে রহস্যময় করেছে। এখানেই তারা আলাদা স্বকীয়তা। এই স্বকীয়তাই সে আগলে রাখে পরম যতনে। আর আগলে রাখতে গিয়ে সে নীরবে হাসে, গোপনে কাঁদে। আপনার আশেপাশে যারা আছেন, চেয়ে দেখুন- ভিন্ন কিছু দেখতে পাচ্ছেন? হাসির পেছনে লুকোনো কান্না কিংবা কান্নার পেছনে লুকোনো হাসি? এ এক অপার রহস্যই বটে। এই রহস্যটা ধরতে পারাই হলো বিশ্বকে পড়তে পারা। আসুন, বিশ্বটাকে পড়ে দেখি…

  • Tk 450

    গল্পে গল্পে আল কুরআন সিরিজ (১১-১৫)

    আপনার শিশু নিশ্চয়ই গল্প শোনার বায়না ধরে, কখনো-বা কিছু পড়তে চায়। তখন আপনি কী করেন? কী গল্প শুনিয়ে দেন? আচ্ছা, তাদের হাতে কি রূপকথার কোনো গল্পের বই তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে নিশ্চিত থাকুন, মনের অজান্তেই শিশুর মনে শিরক ও কুফরের বীজ বপন করে দিচ্ছেন! অথচ, পবিত্র কুরআনে রয়েছে অসংখ্য চমৎকার কাহিনি, ভ্রমণবৃত্তান্ত, সেরা ব্যক্তিদের জীবনী, মন্দ লোকদের করুণ ইতিহাস, বহু শিক্ষামূলক ঘটনা, জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করার দিকনির্দেশনা, দুআ ও প্রার্থনা—এ সবই আমাদের আলোর পথ দেখিয়ে দিতে পারে। কুরআনুল কারিমের অনুপম কাহিনিগুলো পড়ে আমাদের শিশুরা তাদের জীবনের দিশা খুঁজে পাবে। শিশুমনে বিশ্বাসের পরশ বুলিয়ে দিতেই ‘গল্পে গল্পে আল কুরআন’ সিরিজ। এ সিরিজ শিশুদের জন্য দারুণ এক উপহার। এটি তাদের সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও সত্যবাদীরূপে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে—যাতে তারা নিজেদেরকে মা-বাবার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে, ইনশাআল্লাহ।

  • Tk 200

    সাইকোলজিক্যাল ক্রাইসিস

    নবিজির জীবনাদর্শ ও শিক্ষার প্রতিটি দিক প্রভূত কল্যাণময়। তাঁর জীবন-চরিতের সকল নির্দেশনাই ব্যবহারিক জীবনের যাবতীয় অসুস্থতা থেকে মুক্তির উৎকৃষ্ট অবলম্বন। মানুষের জীবনকে সর্ববিধ সুস্থতা ও স্বাচ্ছন্দ্যে রাখার জন্য নবিজির জীবনধারা শ্রেষ্ঠতম নমুনা। বলার অপেক্ষা রাখে না, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিষ্ঠিত পন্থা হলো—কার্যকর চিকিৎসা। শরীরের সুস্থতা, আত্মার পবিত্রতা, চিন্তার স্বচ্ছতা আর মনের স্নিগ্ধতার পাশাপাশি উন্নত বোধ, কল্যাণ-অভিসারী দৃষ্টিভঙ্গি এবং সর্বোপরি কর্মের মাহাত্ম্য ও নৈতিক উচ্চতা অর্জনের জন্য যাবতীয় প্রেরণার উৎস হলো রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর রেখে যাওয়া আদর্শ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনোবিজ্ঞানের যত ব্যবস্থাপত্রই দিয়েছেন বা দিয়ে যাচ্ছেন, সেসবের চাইতেও ব্যাপক ও ফলপ্রসূ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রিয়নবির সুন্নাহসমূহে। মনোবিজ্ঞানীগণ সিরাতে নববি অধ্যয়ন করলেই দেখতে পাবেন, তাদের জন্য সেখানে মূল্যবান রসদপত্র থরে থরে সাজানো! এই বইটিতে সেসব বিষয়ে আলোচনার প্রয়াস পাব আমরা।

  • Tk 200

    ইমানবৃক্ষ

    মানুষ তার আহার ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে জমিনকে সাজিয়ে তোলে বিবিধ বৃক্ষরাজি আর পত্র-পুষ্প-পল্লবে। অনুরূপ মুমিন বান্দাও স্রষ্টাকে ভালোবেসে হৃদয়ে রোপণ করে বিশ্বাসের বীজ। রবের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য ও ধারাবাহিক সৎকর্মের মধ্য দিয়ে মুমিনের ক্বলবে সুপ্ত সেই বীজটিই পরিণত হয় ছায়াঘন চিরহরিৎ বৃক্ষে। পৃথিবীর উদরে অঙ্কুরিত বৃক্ষ যেমন বান্দার পার্থিব চাহিদা পূরণ করে, বান্দার হৃদয়ে উপ্ত ঈমানরূপী বৃক্ষও তেমনি ক্বলবকে রাখে রবের স্মরণে সদা জাগরূক; সবুজ ও প্রাণবন্ত। যাবতীয় সংকটে মুমিনকে ছায়া দিয়ে চলে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো। শির উঁচু করে দেখিয়ে দেয় শাশ্বত সত্যের পথ। বান্দাকে শামিল করে সিরাতুল মুস্তাকিমের গৌরবময় সফরে। কিন্তু মুমিন কী উপায়ে সজীব ও সতেজ রাখবে ঈমানবৃক্ষ? এই বৃক্ষের শাখাগুলোই-বা কী কী? অনাদর আর অবহেলায় কি এ বৃক্ষেরও মৃত্যু ঘটে? ড. ইয়াসির ক্বাদি তাঁর এই বইটিতে সেই সকল বিষয়ে নাতিদীর্ঘ অথচ সর্বাঙ্গীণ সুন্দর আলোচনা পেশ করেছেন। বিশ্বাসী হৃদয়মাত্রই এখান থেকে খুঁজে পাবে ঈমান পরিচর্যার নির্দেশনা, এগিয়ে যাবে চিরস্থায়ী সুখের আবাস ফেরদাউসের দিকে।

  • Tk 290

    আহ্বান – আধুনিক মননে আলোর পরশ

    দয়াময় রব গোটা সৃষ্টিজগৎকে সাজিয়েছেন অপরূপ নৈপুণ্যে, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুপম কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি —সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়; একে অন্যের ভূষণরূপে। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন উত্তম রিজিকে, প্রখর মেধা আর তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল চঞ্চলতায়। ভরসার ছায়া আর অবারিত অনুগ্রহে আগলে রেখেছেন তামাম কুল-কায়েনাত। এসবরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় দাঈ শাইখ মিজানুর রহমান আজহারি। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের সামনে পেশ করেছেন সুস্থ-সুন্দর, সময়োপযোগী ও ঈমানদীপ্ত জীবনের নববি চালচিত্র। সময়ের সবুজ সওয়ারিদের আহ্বান করেছেন গৌরবময় সত্যের পথে।

  • Tk 105

    ওয়ার অ্যান্ড পিস ইন ইসলাম

    জিহাদ ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। অথচ প্রাচ্য ও প্রতীচ্যে মুসলিম-অমুসলিম উভয় মহলে জিহাদ সম্পর্কে এতটাই ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে, ভুল ও মিথ্যার সমুদ্র সেচে সঠিক ও সত্যের খাঁটি মুক্তো বের করা রীতিমতো দুঃসাধ্য কাজে পরিণত হয়েছে। সমকালীন দুনিয়ার অন্যতম সেরা স্কলার ড. তারিক রমাদান এই কঠিন কাজটি সম্পন্ন করেছেন দক্ষ হাতে। জিহাদ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অবধারিতভাবে আরও অন্তত তিনটি বিষয় প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে—সহিংসতা, যুদ্ধ ও শান্তি। এ গ্রন্থে ড. তারিক রমাদান যে গভীর অন্তর্দৃষ্টি থেকে উপরিউক্ত চারটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন—তা পাঠককে চমৎকৃত করবে, ইনশাআল্লাহ। জিহাদ, সহিংসতা, যুদ্ধ ও শান্তি সম্পর্কে মানুষের ভাবনার দুনিয়ায় শুদ্ধতার ঝড় তুলবে এই ছোট্ট গ্রন্থটি।

  • Tk 300

    দাঈদের জ্ঞানচর্চা

    মুসলিম মাত্রই একজন দাঈ। কল্যাণের দিকে মানুষকে আহ্বান করাই তার মূল কাজ; কিন্তু দাওয়াতের এই পরিচয় সঠিকভাবে বহন করতে আমরা যারপরনাই ব্যর্থ। এর মূল কারণ হলো—আমাদের জ্ঞানের স্বল্পতা ও চিন্তার দৈন্যদশা। আজকাল দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোকে আমরা একটি পেশা মনে করছি—যেখানে নির্দিষ্ট কিছু লোক এ কাজের আঞ্জাম দেবেন। তাঁরা ইসলাম বিষয়ে কিছু বয়ান দেবেন; শ্রোতারাও আবেগে আপ্লুত হবেন এবং সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলে ঘরে ফিরে যাবেন। দিনশেষে বয়ানদাতা বড়ো অঙ্কের হাদিয়া পকেটে পুরে দায়িত্বের ইতি টানবেন। একটি মুসলিম সমাজের জ্ঞান-চিন্তা ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয় কোন পর্যায়ে পৌঁছলে পরিস্থিতি এমন হওয়া সম্ভব! এই বিপর্যয় ও সংকট মোকাবিলার নিমিত্তেই দাঈদের জ্ঞানচর্চা গ্রন্থের আয়োজন। গ্রন্থটি একজন দাঈ ইলাল্লাহর সামনে আদর্শ দাঈর জানার পরিধি, চিন্তার বিস্তৃতি ও জ্ঞানের সম্ভার সম্পর্কে সঠিক রূপরেখা তুলে ধরবে—যাতে একজন দাঈ যথাযথ হকের সাথে দাঈ ইলাল্লাহর কাজ আঞ্জাম দিতে পারেন।

  • Tk 190

    খিলাফত ও রাজতন্ত্র

    রাষ্ট্রপরিচালনায় ইসলামের মৌলিক দর্শন কী হবে, এ নিয়ে প্রচুর বির্তক বিদ্যমান। কেউ রাজতন্ত্রকে হারাম বিবেচনায় নিয়ে একে কেন্দ্র করে সাহাবিদেরও গালমন্দ করে বসে। আবার কিছু লোক মনে করে, রাজতন্ত্রই হলো ইসলামি রাষ্ট্রের প্রথম পছন্দ। দুঃখজনকভাবে উভয়পক্ষের কেউ-ই প্রান্তিকতামুক্ত নয়। এক্ষেত্রে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের ভারসাম্যপূর্ণ আচরণই ইসলামের সঠিক প্রতিনিধিত্ব করে। আহলে সুন্নাহ মনে করে অপারগতা ও গ্রহণযোগ্য কারণ সাপেক্ষে রাজতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো শাসনপদ্ধতি ইসলামে বৈধ। তবে ইসলাম খিলাফতকে প্রাধান্য দেয়। ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থায় খিলাফত ও রাজতন্ত্রের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ঐতিহাসিক ও ফিকহি পর্যালোচনাই খিলাফত ও রাজতন্ত্র গ্রন্থের মূল ভাষ্য।

CATEGORIES