• Tk 200

    প্রজ্ঞায় যার উজালা জগৎ

    ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হবেন যে মানুষটি, যার হাতে রচিত হবে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়, যাঁর জ্যোতির্ময় চিন্তার ছটায় ঝলকিত হবে পৃথিবী, তিনি যে চূড়ান্ত পর্যায়ের মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান মানুষ হবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বলা হচ্ছে জগতের জ্যোতি, মমতার মিনার, প্রজ্ঞার পুষ্প মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কথা। নতুন শতাব্দীর তরুণ প্রজন্মের মাঝে নবিজির বর্ণাঢ্য জীবনকে আত্মস্থ করার যে উদ্দীপনা শুরু হয়েছে, তা যুগপৎ বিস্ময়কর ও আশাজাগানিয়া। পাঠকের বিপুল চাহিদার ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত তাই প্রকাশিত হচ্ছে নবিজীবনের ওপর রচিত নানা আঙ্গিকের সাহিত্য। তবে, মাত্র ২৩ বছরের রিসালাতি জীবনে যে মেধা, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা দিয়ে তিনি ইতিহাসের খোলনলচে বদলে দিলেন, সেই প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার গল্পগুলো অচর্চিত রয়ে গেছে আমাদের সমাজে। প্রজ্ঞায় যাঁর উজালা জগৎ বইতে লেখকের মনোহর বর্ণনায় নবিজির প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গল্পের পাঠ আনন্দময় হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

  • Tk 330

    আল মুহাদ্দিসাত

    এই বইটি নারী হাদিসবিশারদগণ সম্পর্কে ড. মুহাম্মাদ আকরাম নদভির আরবি ভাষায় রচিত ৪০ খণ্ডের জীবনী অভিধানের (ইংরেজিতে সংকলিত) ভূমিকা। বইটিতে স্থান পেয়েছে সেই নারীগণের বৃত্তান্ত, যারা তাঁদের নিজ সময়ে সমাজের কেন্দ্রীয় অবস্থান থেকে হাদিস শিখেছেন এবং অন্যদের শিখিয়েছেন। ইসলামের প্রাথমিক যুগে অর্জিত জ্ঞানের বলে নারী হাদিসবিশারদগণ যে সামাজিক মর্যাদা ও কর্তৃত্ব অর্জন করেছিলেন, বইটি তারই প্রামাণ্য দলিল। ইসলামের আবির্ভাবের পর কয়েক শতাব্দী ধরে এই নারীগণ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় জ্ঞানের অন্বেষণে ধারাবাহিকভাবে ভ্রমণ করেছেন বিখ্যাত সব মসজিদ ও মাদরাসায়। ইসলামি সমাজে নারীর ভূমিকা কেমন হওয়া উচিতÑতারই বিশেষ চিত্র পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে। এতে যেমন রয়েছে নারী হাদিসবিশারদগণের নিকট থেকে পুরুষদের হাদিস শিক্ষার প্রমাণ, তেমনি রয়েছে নারীদের নিকট পুরুষদের ইজাজা গ্রহণের প্রমাণও। এ ছাড়াও আছে নারীদের ক্লাসে হাদিসের তালিম নিতে পুরুষ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের নমুনা। আছে নারী শিক্ষকগণ কর্তৃক পুরুষদের প্রদত্ত সুস্পষ্ট সাক্ষ্য বা সনদ প্রদানের দলিল। আরবি ভাষায় রচিত ড. নদভির অভিধানটি নিঃসন্দেহে হাদিসশাস্ত্রের গভীর অধ্যয়ন, বিস্তর গবেষণা এবং বিশ্লেষণের এক প্রামাণ্য দলিল। তারই ভূমিকা হিসেবে আল মুহাদ্দিসাত হয়ে উঠবে নারী হাদিসচর্চাকারীদের অতীত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার একটি অনন্য রূপকল্প।

  • Tk 330

    ইতিহাসের অপবাদ : অপবাদের ইতিহাস

    ইতিহাস জাতির স্মৃতিশক্তি। শত্রুরা আমাদের ইতিহাস মুছে ফেলতে সদা তৎপর, যেন আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি আমাদের অতীত গৌরব ও ঐতিহ্য থেকে। আর তারাও প্রমাণ করতে পারেÑআমরা এমন জাতি, যাদের কোনো গৌরবময় ইতিহাস নেই, নেই স্ব

    র্ণালি ঐতিহ্যও। তারা তত্ত্ব হাজির করে—ইসলামের বাস্তব অনুশীলন হয়েছিল কেবল খিলাফতে রাশেদার যুগে। বিশেষত উমরের আমলে। এরপর আর ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে কোথাও কার্যকর ছিল না। পরবর্তী রাষ্ট্রনায়করা খিলাফতের মসনদে আসীন হয়েছিলেন অন্যায়ভাবে। ইসলামি শরিয়াহর সাথে তাঁদের রাষ্ট্রপরিচালনার ছিল না কোনো সম্পর্ক। এ কারণেই তারা উমাইয়া, আব্বাসি ও তৎপরবর্তী শাসনামলকে ‘আরব শাসন’ বলে আখ্যায়িত করে! একে ইসলামি শাসনামল বলতে তারা যারপরনাই নারাজ। আমাদের ইতিহাস ও সভ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ ও অপবাদের সমুচিত জবাব ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.)-এর ইতিহাসের অপবাদ; অপবাদের ইতিহাস।
  • Tk 320

    ইসলামের অগ্রাধিকার নীতি

    ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান প্রবর্তনের পেছনে শরিয়াহ প্রণেতার মূল উদ্দেশ্য হলোÑমানুষের কল্যাণ সাধন এবং অকল্যাণকে দূরীকরণ। ইসলাম সব সময় দুটি কল্যাণের মাঝে সর্বোত্তম কল্যাণকে এবং দুটি ক্ষতির মাঝে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। অথচ আমাদের সমাজজীবনের পরতে পরতে নানান অসংগতির চর্চা দেখা যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি উপেক্ষিত রেখে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি চলে হরদম। জাতীয় সমস্যা সমাধানে ফিকহচর্চায় অনুগামী না হয়ে ছোটোখাটো শাখাগত মাসয়ালায় গলদ্ঘর্ম হয় আমাদের আলিমসমাজ। ফলে সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়টি চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের এই সংকট দূরীকরণে বর্তমান শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি স্কলার ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.) রচিত ইসলামের অগ্রাধিকার নীতি গ্রন্থটি একটি মাইলফলক হতে পারে।

  • Tk 75

    জ্ঞান ও পবিত্রতায় ভাস্বর এক মহীয়সী আয়িশা (রা.)

    আয়িশা (রা.) মুমিনদের মা; প্রিয়নবির প্রিয়তমা স্ত্রী। জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পূর্ণ এই মহীয়সীর পবিত্রতা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক সত্যায়িত। সুন্নাহ ও ফিকহের জ্ঞানে তিনি ছিলেন জলিলুল কদর সাহাবিগণেরও শিক্ষক! উমর (রা.)-এর মতো মহান খলিফার ভুলও তিনি শুধরে দিতেন প্রজ্ঞার সাথে! তাঁর বুদ্ধিমত্তা ছিল আরবের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে পণ্ডিতদের নিকটও সমাদৃত। এই মহীয়সীর জীবনের সাথে মিশে আছে সুখী দম্পতি হওয়ার অব্যর্থ নুসখা। আছে নারীকুলের জন্য নিত্য পাথেয়। এই বইয়ের প্রতি পাতায় অঙ্কিত হয়েছে আয়িশা (রা.)-এর কৈশোরের চাঞ্চল্যতা থেকে শুরু করে জ্ঞান-প্রজ্ঞায় পূর্ণ মহীয়সী হওয়ার পুরো সফর! আছে তাঁকে ঘিরে নানান প্রশ্নের তাত্ত্বিক জবাব!

  • Tk 140

    উমর (রা.)-এর ঢাকা সফর

    চারদিকে অন্ধকার অমানিশা। বিপন্ন মানবতার অন্তিম রোদনে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে আসছে। নৈরাজ্য, লুটতরাজ, ক্ষুধা, মৃত্যু আর বৈষম্যের অকূলপাথারে ডুবে রয়েছে সমগ্র জনপদ। কূলে ফেরার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় বিপদগ্রস্ত শত শত বনি আদম। কেমন হতো, যদি এহেন ঘনঘোর সংকটে অকস্মাৎ হাজির হতেন ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক আমিরুল মুমিনিন উমর বিন খাত্তাব (রা.)?

  • Tk 295

    ব্যাটল ফর পাওয়ার

    ইতিহাস বদলে যায় যুদ্ধ-সংগ্রাম, বিদ্রোহ আর বিপ্লবে। উত্থান হয় ক্ষমতার নতুন ভরকেন্দ্র ও পরাশক্তির। যুগে যুগে এভাবেই ক্ষমতা ও সাম্রাজ্যবাদের রূপান্তর ঘটেছে। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দুনিয়া দেখল জ্বালানি তেলের অভূতপূর্ব দাপট! বিংশ শতাব্দী থেকে দুনিয়ার ক্ষমতা- কাঠামোই উলটপালট করে দিলো এই তেল অস্ত্র। তেলের পরশে বদলে গেল মরুর দেশ সৌদি আরব, উপসাগরীয় ক্ষুদ্র রাষ্ট্র কাতার, কুয়েত, আমিরাত, ওমান ও বাহরাইন। পশ্চিমা অয়েলম্যানদের কারসাজিতে প্রায় ধ্বংস হলো লিবিয়া, ইরাক আর ইয়েমেন। অন্যদিকে রাশি রাশি নিষেধাজ্ঞার বোঝা মাথায় নিয়েও শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তেল আশীর্বাদে দিব্যি টিকে আছে ইরান ও ভেনিজুয়েলা। ব্যাটল ফর পাওয়ার আপনাকে শোনাবে সেই সব রোমাঞ্চকর কাহিনি; নিয়ে যাবে বিশ্ব রাজনীতির দুর্গম গিরিপথে।

  • Tk 270

    আধুনিক জাহেলিয়াত

    মহান আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত ইবলিস চায়—বনি আদম আল্লাহর দেখানো সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ুক। তাই সে ডান-বাম, সম্মুখ ও পশ্চাৎ থেকে বিভিন্নভাবে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে তাদের সামনে সুশোভিত করে তোলে জাহেলিয়াতের নানা মত, পথ ও উপকরণসমূহ। কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ অনুসারীগণ ভালো করেই জানেন, জাহেলিয়াতমাত্রই অজ্ঞতার নিরালোক অন্ধকার। আদমের অন্তরকে জুলুমাত আর গোমরাহিতে বিষিয়ে দিতে শয়তান কখনো ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে জাহেলিয়াতের মিশ্রণ ঘটায়, কখনো-বা আগ্রাসন চালায় মানবজীবনের প্রতিটি পদে ও পরতে। শয়তানের প্রধান হাতিয়ার এই দুই ধরনের জাহেলিয়াতকে মূলোৎপাটন করে ওহির আলোয় আলোকিত মানুষ ও সমাজ বিনির্মাণের এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার নাম আধুনিক জাহেলিয়াত।

  • Tk 200

    প্রচলিত মানহাজ

    চিন্তাশক্তি মানুষের একটি মৌলিক গুণ; ব্যক্তিভেদে চিন্তা ও অন্তর্দৃষ্টি ভিন্ন হয়ে থাকে। ইসলামি শরিয়াহর বিধিবিধানের ক্ষেত্রেও চিন্তার স্বাতন্ত্র্য বা মতভেদ খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এই মতভেদকে অস্বীকার করার অর্থ হলো—মানবজাতির চিন্তার স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করা। যুগে যুগে বিভিন্ন ইস্যুতে এই মতভিন্নতার কল্যাণেই উম্মাহ পেয়েছে অসংখ্য জটিল মাসয়ালার সমাধান। কিন্তু শরিয়াহর ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে আমাদের মুসলিম সমাজ চরম দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন মুসলিম উম্মাহর মিলের জায়গা খোঁজা। একই সাথে মতভেদপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক খুঁজে বের করা। প্রচলিত মানহাজ সেই প্রচেষ্টারই একটি প্রতিফলন। গ্রন্থটিতে মতপার্থক্যপূর্ণ বিভিন্ন মাসয়ালা নিয়ে দালিলিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছে।

  • Tk 140

    বিশ্ব মাঝে শীর্ষ হব

    নিজেকে সফল করা কোনো ছোট্ট কাজ নয়। ওমর খৈয়ামের ভাষায়— ‘ধূসর মরুর ঊষর বুকে/বিশাল যদি শহর গড়ো, একটি জীবন সফল করা/তার চাইতে অনেক বড়ো।’ কী দুর্ভাগ্য! বস্তুগত উন্নতি নিয়ে মানুষের কতশত গবেষণা; গ্রহ- গ্রহান্তরে অভিযান। শুধু নিজের ব্যাপারেই সে উদাসীন! ১৯৪১ সালে ডেল কার্নেগি দুশ্চিন্তাহীন নতুন জীবন বইটি লিখতে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিউইয়র্কের পাবলিক লাইব্রেরির সাহায্য নেন। সেখানে তিনি মানুষের জীবন সম্পর্কিত মাত্র ২২টি বইয়ের সন্ধান পেলেও কৃমিসংক্রান্ত বই দেখতে পান ১৮৯টি। অর্থাৎ, ৯ গুণ বেশি। এ অবস্থার আজকেও কি কোনো বড়ো পরিবর্তন হয়েছে? যোগ্য মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে বইটিতে তরুণদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় পাথেয়। একই সাথে বইটির সাবলীল পাঠের মাধ্যমে তরুণরা খুঁজে পাবে জীবনের প্রকৃত অর্থ!

  • Tk 110

    নবিদের দাওয়াতি পদ্ধতি

    মানুষ সাধারণত বদলাতে চায় না। সে যেমন আছে, তেমনই থাকতে চায়। তাই কাউকে বদলানোর আহ্বান জানালে সে রাগ করে। আবার কেউ দূরে চলে যায়। এমনকী পরিবর্তনের আহ্বানের জন্য অন্তরঙ্গ বন্ধুর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে অহরহ। দাওয়াতের অর্থ—বদলে যাওয়ার আহ্বান জানানো। হয়তো বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তনের আহ্বান, নয়তো তার মানোন্নয়নের আহ্বান। এই হচ্ছে মূলকথা। দাওয়াতের এই সুমহান দায়িত্ব সবচেয়ে ভালোভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন নবি-রাসূলগণ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষগণ কীভাবে এই কঠিন কাজটি করেছেন, এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কীভাবে তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করেছেন—এ-ই নিয়ে বইটি। রাসূল ﷺ-এর মাধ্যমে নবুয়তের ধারা সমাপ্ত হলেও দাওয়াতের ধারা অব্যাহত থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। বর্তমান যুগে কীভাবে আমরা তাঁদের দাওয়াতি পদ্ধতির আলোকে মানুষের নিকট আল্লাহর বাণী পৌঁছাতে পারি, তা জানতে পারব এই বইয়ের মাধ্যমে।

  • Tk 275

    মাআল আইম্মাহ

    দ্বীনকে সহজতর উপায়ে মানুষের নিকট তুলে ধরতে ইলমুল ফিকহে যে চারজন ইমামের অবদান সর্বাধিক, তাঁরা হলেন—ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। এ চার ইমামের জীবন ও কর্মই সংক্ষিপ্তরূপে বর্ণিত হয়েছে মাআল আইম্মাহ-এর প্রতিটি পৃষ্ঠায়। এর সুরভিত পাঠ পাঠককে নিয়ে যাবে বহুকাল আগের সেই সোনালি যুগে—যেখানে তাঁরা বেড়ে উঠেছেন, ইলম অন্বেষণ করেছেন এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে গড়েছেন জগৎখ্যাত ফকিহ হিসেবে।

  • Tk 210

    বি জিনিয়াস উইথ মুহাম্মাদ ﷺ

    ঊষর মরুর বুকে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তির পক্ষে কি গোটা বিশ্ব খোলনলচে বদলে দেওয়া সম্ভব? তাও আবার মাত্র তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত মিশনে? হ্যাঁ, অসামান্য যোগ্যতা আর ধীশক্তির গুণে এই অসাধ্যকেই সাধন করেছিলেন বিশ্বমানবতার নবি মুহাম্মাদ ﷺ। একাধারে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, তুখোড় রাজনীতিবিদ, বীর যোদ্ধা, অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একজন মানুষের পক্ষে সকল দিক থেকে যতটা জিনিয়াস হওয়া সম্ভব, তার সবটুকুই নিজ চরিত্রে প্রতিফলিত করেছিলেন রাসূল ﷺ। জীবনের প্রত্যেক পরতে কীভাবে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেলেন, তারই সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করা হয়েছে এই বইটিতে। পাশাপাশি মুমিনের জন্য পেশ করা হয়েছে ওহির বিধান এবং নবিজির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত জীবন গড়ে তোলার পথনির্দেশিকা।

  • Tk 240

    ভিন্নমতের নান্দনিকতা

    বর্তমানে মুসলিম বিশ্ব শত্রুদের সাথে যে পরিমাণ দ্বন্দ্ব- কলহে লিপ্ত, তার চেয়ে ঢের বেশি নিমজ্জিত অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে। এ অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলে নিজেদের শক্তি যেমন ক্ষয় হচ্ছে, তেমনি কমে যাচ্ছে শত্রুদের ওপর প্রভাব। পাশাপাশি মুসলিম সমাজে গড়ে উঠছে এমন অনেক বলয়—বাস্তবে যাদের না আছে কোনো কার্যকারিতা, আর না আছে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রভাব; বরং এগুলো মুসলমানদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধকে উসকে দিচ্ছে হররোজ। মুসলমানদের মধ্যকার এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ নিরসনই ভিন্নমতের নান্দনিকতা গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

  • Tk 230

    ধরণির পথে প্রান্তে

    মানুষের মনের চেয়ে বেশি রহস্যময় আর কিছু কি এই পৃথিবীতে আছে? কোথাও তাজমহলের শুভ্রতাকেও ম্লান করে মন, আবার কোথাও হিমালয়কেও হার মানায় মনের উচ্চতা। কোথাও বা আবার তা মিশরের মমির অজানা রহস্যকেও ছাড়িয়ে যায়। মানুষের মন আটলান্টিকের গভীলতাকেও লজ্জা দেয়। প্রতিটি মানুষেরই একটা করে মন আছে, আছে একটা করে বিচিত্র জগৎ। আমরা কয়টা মন চিনি, কজনকে জানি? যাদের জানি বলে মনে করি, আসলেই কি তাদের জানি? মানুষের মনের গভীরে নামতে পারা, তার গভীরতা মাপতে পারা, সেই গভীরতার চিত্র-বিচিত্র রূপ দেখতে পাওয়া কি এতটাই সহজ? না, সহজ নয়। কারণ, মানুষ বড়োই দুর্বোধ্য আর রহস্যময় এক সত্তা! মন যা দেখায়, তার পেছনেও দেখার অনেক কিছু থাকে। যা জানায়, তার পেছনেও অনেক কিছু থেকে যায়। মন তো কখনোই নিজেকে পুরোটা মেলে ধরে না। কারণ, নিজের পৃথিবীর এ সিংহাসনে মন নিজেই রাজা। এখানে আর কাউকেই সে ভাগ বসাতে দিতে রাজি নয়। এ জন্যই সে একা, বড়ো একা। কী বৈচিত্র্যময় বৈপিরীত্য দেখুন তো! এই বৈচিত্র্যময় বৈপিরীত্যই মানুষকে রহস্যময় করেছে। এখানেই তারা আলাদা স্বকীয়তা। এই স্বকীয়তাই সে আগলে রাখে পরম যতনে। আর আগলে রাখতে গিয়ে সে নীরবে হাসে, গোপনে কাঁদে। আপনার আশেপাশে যারা আছেন, চেয়ে দেখুন- ভিন্ন কিছু দেখতে পাচ্ছেন? হাসির পেছনে লুকোনো কান্না কিংবা কান্নার পেছনে লুকোনো হাসি? এ এক অপার রহস্যই বটে। এই রহস্যটা ধরতে পারাই হলো বিশ্বকে পড়তে পারা। আসুন, বিশ্বটাকে পড়ে দেখি…

  • Tk 450

    গল্পে গল্পে আল কুরআন সিরিজ (১১-১৫)

    আপনার শিশু নিশ্চয়ই গল্প শোনার বায়না ধরে, কখনো-বা কিছু পড়তে চায়। তখন আপনি কী করেন? কী গল্প শুনিয়ে দেন? আচ্ছা, তাদের হাতে কি রূপকথার কোনো গল্পের বই তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে নিশ্চিত থাকুন, মনের অজান্তেই শিশুর মনে শিরক ও কুফরের বীজ বপন করে দিচ্ছেন! অথচ, পবিত্র কুরআনে রয়েছে অসংখ্য চমৎকার কাহিনি, ভ্রমণবৃত্তান্ত, সেরা ব্যক্তিদের জীবনী, মন্দ লোকদের করুণ ইতিহাস, বহু শিক্ষামূলক ঘটনা, জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করার দিকনির্দেশনা, দুআ ও প্রার্থনা—এ সবই আমাদের আলোর পথ দেখিয়ে দিতে পারে। কুরআনুল কারিমের অনুপম কাহিনিগুলো পড়ে আমাদের শিশুরা তাদের জীবনের দিশা খুঁজে পাবে। শিশুমনে বিশ্বাসের পরশ বুলিয়ে দিতেই ‘গল্পে গল্পে আল কুরআন’ সিরিজ। এ সিরিজ শিশুদের জন্য দারুণ এক উপহার। এটি তাদের সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও সত্যবাদীরূপে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে—যাতে তারা নিজেদেরকে মা-বাবার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে, ইনশাআল্লাহ।

CATEGORIES