• Tk 150

    জান্নাতের শাহজাদি

    ছোট্ট বন্ধুরা,তোমরা কি জানো জান্নাতের শাহজাদি কে ছিলেন? তিনি ছিলেন আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছোটো মেয়ে। জানো,নবিজি তাঁকে এতটাই ভালোবাসতেন যে,তাঁকে নিজের অংশ বলেছিলেন। আসো,আমরা দাদুর মুখে গল্পে গল্পে জান্নাতের শাহজাদির চমৎকার সব গল্প শুনি। শুনি ছোট্ট হাসান-হুসাইনের গল্প। আমরা তাঁদের গল্প শুনে নিজের ভেতর তাঁদের আদর্শ ধারণ করার চেষ্টা করি।

  • Tk 280

    মানুষ পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণী

    এক আকাশের নিচে বসবাস,একই সূর্যের আলো-কিরণ নিয়ে,একই জলবায়ুর পানি-বাতাস চুষে,একই মাটির উৎপাদিত শস্য খেয়ে জীবনধারণ করা সকল প্রাণীর জীবনবৈচিত্র্য এক ধরনের; কিন্তু মানুষের স্বভাব,চরিত্র,নিদ্রা,আহার,যৌনতা,অভ্যাস ও শারীরিক গঠন ভিন্ন প্রকৃতির! বিজ্ঞানীদের দাবি-সকল প্রাণীর তুলনায় মানুষ বড়ো খাপছাড়া সৃষ্টি। পৃথিবীর পরিবেশের সাথে মানুষের জীবন মোটেও মানানসই ও উপযোগী নয়। এত বৈপরীত্যের মানুষকে কোথায় সৃষ্টি করা হয়েছে,বিজ্ঞানীরা সেটা বলতে না পারলেও তারা দাবি করেছেন,মানুষকে এমন এক জায়গায় সৃষ্টি করে দুনিয়াতে আনা হয়েছে,যেখানকার পরিবেশ দুনিয়ার মতো নয়। এমন সব কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এই গ্রন্থে।

  • Tk 600

    ইসলামের মৌলিক আকিদা

    ‘ইসলামি আকিদা’ মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করে; রক্ষা করে বিচ্ছিন্নতা থেকে। ইসলামি আকিদার মূলকথা হলো,সুনির্মল তাওহিদ ও শুদ্ধ সুন্নাহর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং পৃথিবী আবাদ ও পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু বিস্ময়কর হলো,এই আকিদার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণেই মুসলিম উম্মাহর বিভক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আকিদার শাখাগত,ক্ষুদ্র ও গৌণ কিছু বিষয়কে ইসলামের মূল রুহ বানিয়ে আজ মুসলিমদের মাঝে অভ্যন্তরীণ সংঘাত প্রকট আকার ধারণ করেছে,যা মোটেই কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশিত পথ নয়। তবে তাওহিদ বনাম শিরক; সুন্নত বনাম বিদআতের যে সংঘাত শুরু থেকেই ছিল,তা নিয়ে মতপার্থক্য দোষণীয় নয়। ইসলামি আকিদার দুটো দিক রয়েছে। এক. মৌলিক ও প্রায়োগিক আকিদা। এটি সরল-সাধারণ; ঠিক ইসলামের কালিমার মতোই। এই আকিদা জানা ও পালন করা প্রত্যেক মুসলিমের আবশ্যক। দুই. অমৌলিক ও শাখাগত আকিদা। এটা অত্যন্ত জটিল ও অন্তহীন মতপার্থক্যপূর্ণ। এটা জানা সকল মুসলিমের জন্য আবশ্যক নয়; বরং উলামায়ে কেরাম ও বিশেষজ্ঞদের জন্য সীমাবদ্ধ। ইসলামের মৌলিক আকিদা গ্রন্থে তাত্ত্বিক বিতর্ক এড়িয়ে আকিদার কেবল মৌলিক ও জরুরি বিষয়গুলোই আনা হয়েছে। যাতে মুসলিম উম্মাহ ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় মতপার্থক্য থেকে মুক্ত থাকতে পারে।

  • Tk 145

    ভয়াল রাতের হাতছানি

    একটা ঝিঁঝিঁ পোকা একটানা ডেকে চলেছে তার বিরক্তিকর সুরে। রাতটাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুললো রাতজাগা একটা পেঁচার কর্কশ ডাক। গাছের পাতা নড়ছে না একবিন্দু। গুমোট বাঁধা একটা থমথমে পরিবেশ। কোনো কিছুর জন্য বুঝি প্রস্তুতি চলছে। ‘আ……য়…! ‘আ……য়…!!’ চমকে উঠলো ও। কে ডাকে অমন করে? নাকি মনের ভুল? কান পেতে রইলো। ‘আ……য়…! ‘আ……য়…!!’ আবার শোনা গেল গম্ভীর সেই আহ্বান। উঠে দাঁড়াল। কী এক আকর্ষণ আছে যেন ওই আহ্বানে! ভয়াল রাত যেন ওকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এগিয়ে চললো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শব্দের উৎস লক্ষ্য করে…

  • Tk 155

    নীল থাবা

    ‘না,তুমি এমন করতে পারো না বিপু!’ অনুনয় ঝরে পড়ল যেন ঠান্ডার কণ্ঠে। ‘আমি কী করতে পারি আর কী করতে পারিনে সে সম্পর্কে তোমার কোনো ধারণাই নেই মিস্টার ঠান্ডা মিয়া। ও হ্যাঁ,তুমি আমার কাছে “নীল” সম্পর্কে কতটুকু কী জানি তা জানতে চেয়েছিলে না? হ্যাঁ,“নীল” সম্পর্কে আমি সব জানি এখন,স-অ-ব। ওই নীলের নীল থাবায় তোমরা অগণিত মানুষের যে সর্বনাশ করে চলেছো,তার প্রায়শ্চিত্ত করার সময় চলে এসেছে। এখানে বসে সেই প্রস্তুতিই সম্পন্ন করে নাও।’ ‘তাহলে তুমিও শুনে নাও পিচ্ছি টিকটিকি,আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে তোমার কোনো ধারণাই নেই। এমন কোনো কাজ নেই যা আমরা করতে পারিনে।’ ঠান্ডার মুখটাও কেমন কঠিন হয়ে উঠল।…

  • Tk 175

    যখন তুমি তরুণ

    আজ থেকে কয়েক বছর আগেও তোমরা ছিলে শিশু। তখন তোমাদের কোনো গুনাহ ছিল না। ছিলে নিষ্পাপ। তবে এখন কিন্তু তোমরা আর সেই ছোট্টটি নেই; শৈশব পেড়িয়ে কৈশোর-তারুণ্যে পদার্পণ করেছ। কিরামান-কাতিবিন তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখনই সময় ইসলামের দিক-নির্দেশনা মেনে জীবন পরিচালনা করার,যাতে জীবনটা সুন্দর হয়। তা নাহলে আগামীর দিনগুলোতে নিজেকে ইসলামের ছাঁচে গড়া তোমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। শিশু-কিশোরদের জন্য নবিজির ভালোবাসা ছিল একটু বেশিই স্পেশাল। তাই তিনি তোমাদের জন্য কিছু জরুরি উপদেশ দিয়ে গেছেন। সেই জরুরি নিয়ে সাজানো ‘যখন তুমি তরুণ’ বইটি।

  • Tk 120

    কমলিওয়ালার দেশে

    ফাহমিদ-উর-রহমানের হজ কাহিনি একটি ছবির অ্যালবামের মতো। এটা একই সাথে তার রুহানি ও তামুদ্দুনিক জার্নি। বিচিত্র সব মানুষ, দৃশ্য ও রুহানি ড্রামার এক বিশাল ক্যালাইডোসকোপ। লেখক হজের অলৌকিক রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ ও দৃশ্যকে অক্ষরের শৃঙ্খলে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। যারা হজে গেছেন কিংবা যাননি, উভয়েই হতে পারেন লেখকের এই যাত্রার সঙ্গী। এভাবে লেখকের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠতে পারে অনেকের অভিজ্ঞতা।

  • Tk 200

    ইহাদের ভিড়ে

    জহির শূন্যদৃষ্টিতে সোমার দিকে তাকিয়ে আছে। নীল শাড়ি পরিহিত মায়াবী তরুণী সোমা তার হাত ধরে বসে আছে। জহিরের মনে হলোÑতার শরীরে যদি শক্তি থাকত,তাহলে সে চিৎকার করে সোমাকে বলতÑতার একটি সুন্দর ছেলে হবে। যে ছেলে দুনিয়ার সেরা মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার একজন বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করবে। পদার্থবিদ্যায় সে নোবেল প্রাইজ পাবে। তার চাইতেও বড়ো কথাÑদুনিয়ায় সে-ই প্রথম টাইম ট্রাভেলের সূত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হবে। কিন্তু জহিরের গলায় একফোঁটা শক্তি নেই। সে কিছুই বলতে পারল না। শূন্য চোখে কেবল চেয়ে থাকল।

  • Tk 250

    ছোটোদের আদব শেখার ১০০ হাদিস

    দুটি কথা নবিজি শিশুদের বিশেষভাবে ভালোবাসতেন। তিনি তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন, তাদের শেখাতেন, বাতলে দিতেন সঠিক পথের দিশা। একটি শিশু ছোটোবেলা থেকেই কীভাবে উত্তম চরিত্র লালন করতে পারে, তা হাতেকলমে দেখিয়ে দিতেন তিনি। উমর ইবনে আবু সালামা (রা.) বর্ণনা করেন—‘ছোটোবেলায় আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর তত্ত্বাবধানে থাকতাম। খাওয়ার সময় আমার হাত খাবারের পাত্রের বিভিন্ন জায়গায় হাতড়ে ফিরত। নবিজি আমাকে বললেন, “হে বালক! আল্লাহর নামে খাও, ডান হাত দিয়ে খাও এবং পাত্রে তোমার সামনে যা আছে, তা থেকে খাবার গ্রহণ করো।” তখন থেকে খেতে বসলেই আমি নবিজির এই নির্দেশনাসমূহ মেনে চলি।’ সহিহ বুখারি ৫৭৩৬ ছোটোদের প্রতি নবিজির এসব সুন্দর সুন্দর শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে আমরা এই বইটিতে তাঁর ১০০টি শিশুতোষ হাদিস তুলে ধরেছি।

  • Tk 125

    পরকাল ও ভাগ্য কী

    মৃত্যু ও ভাগ্য- জীবনের চরম দুই সত্য। কিন্তু যখনই আমরা এই বিষয় দুটো নিয়ে চিন্তা করি, কোনো কূল খুঁজে পাই না। কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। মনে ভিড় করে কতশত প্রশ্ন- মৃত্যুর পর আমাদের কী হবে? হাশরের দিন কেমন? আমরা কীভাবে আবার জীবন লাভ করব? আমাদের ভাগ্য কি আগেই লিখিত? সবই যদি ভাগ্যের লিখন হয়, তাহলে দুনিয়াতে আমরা কেন এসেছি? কেনই -বা কাজ করি তাহলে? ফলাফল তো আগে থেকেই নির্ধারিত! আল্লাহ কেন কাউকে গরিব, কাউকে ধনী বানিয়েছেন? আলহামদুলিল্লাহ! মানুষের সমস্ত প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর আল্লাহ তায়ালা দিয়ে রেখেছেন। আমাদের কর্তব্য হলো- সেই উত্তরগুলোকে খুঁজে বের করা। যদি সত্যিই জানতে চাও এসব প্রশ্নের উত্তর, তবে চলো ঢুঁ মেরে আসি বইয়ের পাতায়!

  • Tk 110

    কুরআন কী বলে

    আসো, তোমাকে একটি মজার গল্প শোনাই। আমার কুরআন শেখার গল্প। আলিফ, বা, তা, সা…এই ছিল কুরআন শেখায় আমার প্রথম পাঠ। শীত-গ্রীষ্মের রঙিন ছুটিতে ভোরবেলায় একটা কায়দা বা আমপারা বুকে জড়িয়ে ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে মক্তবের পথ ধরতাম। শিশির ভেজা পথ ধরে হেঁটে চলতাম মনের ভেতর একরাশ বিরক্তি নিয়ে। পাড়ার শিশু-কিশোররা দলবেঁধে একত্রিত হতাম মক্তবের বারান্দায়। ওস্তাদের অনুকরণে সুর করে উচ্চৈঃস্বরে চলত আমাদের আরবি পাঠ। এভাবে প্রতিদিন সকালে একঝাঁক শিশুর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠত মক্তবের আঙিনা

  • Tk 130

    প্রিয়নবির পরিচয় এবং ফেরেশতা কারা

    ফেরেশতাদের নাম শুনছ নিশ্চয়? জিবরাইল আলাইহিস সালাম আমাদের প্রিয় নবিজির কাছে ওহি নিয়ে আসতেন। মৃত্যুর ফেরেশতা আমাদের জান কবজ করেন, এসব তো জানোই তাই না? কিন্তু কখনো কি ভেবেছ, ফেরেশতা আসলে কারা? কী তাঁদের কাজ? কোথায় থাকেন তাঁরা? আমরা তাঁদের দেখতে পাই না কেন? তাঁরা কি খাওয়া- দাওয়া করে? এসবই জানব এই বইয়ে। এই বইয়ে আরও জানব- আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ ( সা.) কেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ! কোন গুণাবলির কারণে পৃথিবীর শত কোটি মানুষ আজও নবিজিকে ভালোবাসে নিজের জীবনের থেকেও বেশি? কেন তাঁর জন্য মানুষ প্রাণ বিলিয়ে দেয় হাসিমুখে! চলো তাহলে, জেনে নেওয়া যাক অবাক করা সেই সব তথ্য!

  • Tk 125

    এসো আল্লাহকে জানি

    পৃথিবীতে কত লক্ষ কোটি বই লিখিত হয়েছে, তার কোন হিসাব নেই। এসবের কতশত যে সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে, মুছে গেছে শেষ চিহৃও তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এত সব বইয়ের মাঝে কিছু বই দুনিয়ায় এসেছে সাত আসমানের ওপর থেকে । এর মধ্যে সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত গ্রন্থ হলো আল কুরআন। এই মহাগ্রন্থ রচনা করেছেন এই বিশ্বজগতের স্রষ্টা, অকল্পনীয় জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। কিন্তু কী আছে এই গ্রন্থে? কীভাবে এলো এই গ্রন্থ? কার কাছে এলো ? এই গ্রান্থের ভাষা আরবি কেন? অন্য ভাষায় হলে কী হতো? স্রষ্টা এই গ্রন্থ সেই ১৫০০ বছর আগে পাঠিয়েছেন, কিন্তু কীভাবে প্রমাণ হলো যে এটি স্রষ্টাই পাঠিয়েছেন? এই গ্রন্থ পড়লে কী হয়? জানতে ইচ্ছে করে কি তোমরা? চলো তাহলে, যাত্রা শুরু করি জ্ঞানের রাজ্যে…

  • Tk 135

    ছোটোদের ৩০ হাদিস

    পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা মানুষ কে, বলতে পারো? আচ্ছা আমি বলে দিই। পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা মানুষ হলেন আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ (সা.)। তাঁর প্রত্যেকটি কথা যেন রূপকথার সেই পরশপাথর। যার ছোঁয়ায় সোনার মতো হয় মানুষের জীবন। প্রিয় নবিজির প্রত্যেকটি উপদেশ দুনিয়ায় ও আখিরাতে সফল হওয়ার মন্ত্র। অর্থাৎ, তাঁর কথা মেনে চললে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সফল মানুষ হতে পারব। চলো তাহলে জেনে নিই প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চমৎকার কিছু কথা ও উপদেশ!

  • Tk 350

    মা’আল্লাহ

    আল্লাহ শব্দের সাথে আমরা সকলেই পরিচিতি; কিন্তু আল্লাহর সত্তার সাথে কতটুকু পরিচিত? তাঁর শক্তি, ক্ষমতা, মহত্ত্ব, বড়োত্ব ইত্যিাদি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কতটুকু জানি আমরা? সত্যি বলতে বান্দা হিসেবে আল্লাহর মহত্ত্ব ও গুনাবলি সম্পর্কে যেভাবে জানা দরকার, তার কিছুই জানি না আমরা। ফলে আল্লাহর সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা নিতান্তই পিছিয়ে। মা‘ আল্লাহ গ্রন্থটি আল্লাহর সাথে আমাদের এই পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কাজটিই করবে। এ বইটির মাধ্যমে পাঠক যাযথভাবে জানতে পারবেন আল্লাহর পরিচয়, গুনাবলি ও ইসমে আজম সম্পর্কে। সর্বোপরি আল্লাহর প্রত্যেকটি গুণবাচক নামের পেছনে কী হিকমত লুকিয়ে রয়েছে, তা হৃদয়াঙ্গম করে আল্লাহর সাথে ভালোবাসার বন্ধন গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন, ইনশাআল্লাহ! শুরু হোক আল্লাহকে জানার যাত্রা…

  • Tk 240

    দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম

    ইসলাম কি দারিদ্র্যকে উৎসাহ দেয়? কিংবা দারিদ্র্যই কি ইসলামের মূল স্পিরিট? সত্যিকারার্থে ইসলাম চায় মানবসভ্যতা থেকে দারিদ্র্যকে দূরীভূত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করতে। কোনো ব্যক্তি দৈনন্দিন মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হলে সে পেটের তাগিদে সহজেই অন্যের ফাঁদে পড়ে যেতে পারে। এহেন অবস্থায় তাকে ইসলামের শান্তির বাণী শুনিয়েও তেমন ফায়দা হয় না। সুতরাং দরিদ্রতা কোনোভাবেই ইসলামের সহায়ক নয়; বরং ইসলাম প্রসারের ক্ষেত্রে একটি বড়ো প্রতিবন্ধক। বিপরীতে ‘দারিদ্র্য’ বিমোচনের উদ্দেশ্যে আধুনিক যুগে নিয়তই চলছে নানান কর্মসূচি ও পদক্ষেপ; কিন্তু দরিদ্রতা আরও ছড়িয়ে পড়ছে দ্বিগুণ হারে। পশ্চিমা সভ্যতার অর্থনৈতিক তত্ত্ব অনুযায়ী সম্পদ নির্দিষ্ট কিছু পক্ষের হাতে কুক্ষিগত হচ্ছে; বিপরীতে নিঃস্ব হচ্ছে বৃহত্তর একটি মানবগোষ্ঠী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বর্তমান সভ্যতা যেখানে দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যর্থ, সেখানে চৌদ্দশত বছর আগেই ইসলাম সফল হয়েছিল দারিদ্র্যকে সীমানা ছাড়া করতে। জাকাত নেওয়ার জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি ইসলামি খিলাফতে! কিন্তু কীভাবে সম্ভব হয়েছিল তা? আসলে দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনে ইসলামের রয়েছে নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা ও কর্মসূচি। দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম গ্রন্থে আমরা এসব পরিকল্পনা ও কর্মসূচির বিস্তর আলোচনা দেখতে পাব।

CATEGORIES