• Tk 36Tk 60

    ইউ মাস্ট ডু বিজনেস

    চমৎকার এই বইটি মুসলিম অন্ট্রাপ্রানার নেটওয়ার্কের সঙ্গে ড. তাওফিক চৌধুরির একটি সাক্ষাৎকারের আলোকে রচিত। ড. তাওফিক চৌধুরি বিশ্ববিখ্যাত মার্সি মিশনের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান। এটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মুসলিম সামাজিক উদ্যোগগুলীর মধ্যে অন্যতম। একটি বহুজাতিক আইটি কোম্পানির প্রাক্তন সিইও থেকে বর্তমানে তিনি একাধারে একজন পেশাদার ব্যবসায়ী, প্র্যাকটিসিং মেডিকেল ডাক্তার, কর্পোরেট এবং ব্যাবসায়িক প্রশিক্ষক। ইসলামি আইন-বিধান, ফাইন্যান্স এবং মেডিকেল এথিক্সের ওপর বিশেষ ব্যুৎপত্তি তাকে একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

  • Tk 45Tk 60

    বুদ্ধিদীপ্ত জাগরণের প্রত্যাশায়

    সাম্রাজ্যবাদের প্রশাসনিক নাগপাশ থেকে ইসলামি বিশ্ব মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তাদের চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসন আগের চেয়ে আরাে জোরদার হয়েছে। তাদের রেখে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থার বিষবাষ্পে আক্রান্ত হয়ে আছে মুসলিম তরুণসমাজ, তাদের প্রণীত আইন কানুন ও সামাজিক আচার আচরণে আটক হয়ে আছে ইসলাম ও মুসলিম জনগণ। সাম্রাজ্যবাদী গােষ্ঠির কোলে লালিত সন্তানরা এ উম্মাহর সামনে এক জীবন মরণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। এদের চিন্তা ও মনন, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে সাম্রাজ্যবাদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে। আমাদের প্রতিটি জনপদ এ আত্মবিকৃত শ্রেণির পদচারণায় কলুষিত। এরা আজ মুসলমানদের নির্বাহী ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি।

  • Tk 75Tk 100

    আমার আব্বু

    মা’কে নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক গল্প, অনেক গ্রন্থ। কিন্তু বাবাকে নিয়ে লেখা হয়েছে সামান্যই। বাবার জন্য ভালোবাসার ধূপ জ্বেলে নিজের জীবনকে সুরভিত করার গল্প বলেছেন লোকমান হাকিম। লেখক নিজেই বলছেন তার অনুভূতির কথা— ‘আমার এক দু’টো লেখা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। আমি তা কাউকে বলিনি। তবুও ছোট ভাইয়েরা এসব ঘাঁটাঘাঁটি করে বের করে আব্বুকে দেখিয়েছে। আব্বু লেখাগুলোয় চোখ বুলিয়েছেন। একটু নেড়েচড়ে দেখেছেন। দেখে যেমন খুশি হয়েছেন তেমনি মন খারাপও করেছেন। আমি কি লেখাপড়া ফেলে রেখে এখন তবে এসবই করছি? আর এসব বলতে কী করছি—তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আমাকে নিয়ে এক ধরনের ভয়, শঙ্কা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তাঁর মাঝে কাজ করছে। ‘আর আমার লেখাপড়াও প্রায় শেষের দিকে।

  • Tk 75Tk 100

    গল্প বলি ফিলিস্তিনের

    আল-কুদস। জেরুজালেম। ফিলিস্তিন। আমাদের মুসলিম মানসে অনির্বাপিত ব্যথার দীপশিখা। যুগ যুগ ধরে আমরা এ ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। প্রতিদিন এ ব্যথা থেকে রক্তপাত হচ্ছে; আমরা কাঁদছি, হাহাকার করছি, আকাশ কাঁপিয়ে আরশের মালিকের কাছে প্রার্থনা করছি-আগামী রমজানে আমরা আবার বায়তুল মুকাদ্দাসের চত্বরে বসে ইফতার করতে চাই। হে আল্লাহ! তুমি আবার আমাদের সেই সাহায্য ও শক্তি দান করো। আল্লাহ নিশ্চয় একদিন আমাদের প্রার্থনা গ্রহণ করবেন। আমরা সেই দিনের প্রতীক্ষায় প্রতিদিন সইছি ব্যথার দহন। এ গ্রন্থ সেই ব্যথাদীর্ণ ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও বর্তমান তুলে এনেছে হৃদয়গ্রাহী বর্ণনায়।

  • Tk 75Tk 100

    হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল

    অধিকাংশ কথা নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আপন চিন্তার প্রতিফল। আবশ্যিকভাবে এ অভিজ্ঞতা ও চিন্তা উদয় হয়েছে আমাদের সময়ের তরুণদের নিয়ে। যাদের আমি, দেখেছি, যাদের ব্যাপারে শুনেছি অথবা যাদের দেখিনি বা যাদের কিছুই শুনিনি—এমন সব তরুণ-তরুণীরা। মনােজাগতিক অনেক কষ্ট নিজের করে বয়ান করেছি। এ বই এই পৃথিবীর সকল দুঃখী কিশাের-কিশােরীর, তরুণ-তরুণীর, যারা ব্যস্ত পৃথিবীকে একদিকে সরিয়ে রেখে নিজের সঙ্গে নিজেই একলা কাঁদে।

  • Tk 75Tk 100

    রাসূলের জন্য ভালোবাসা

    রাসুলের জন্য ভালোবাসা শিরোনামে মলাটবদ্ধ হয়েছে আলি তানতাভির এগারোটি প্রবন্ধ। রচনাগুলোর জন্মক্ষণ ১৯৩২ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত বিস্তৃত। ইতস্ত বিক্ষিপ্ত রচনাগুলো মলাটবদ্ধ করা ছিল একটি আয়াসসাধ্য কাজ৷ সেটিই আঞ্জাম দিয়েছেন লেখকের দৌহিত্র মুজাহিদ মামুন দিরানিয়্যা। লেখাগুলোর কোনো কোনোটি প্রকাশের আগে পঠিত হয়েছিল বেতারে, উপস্থাপিত হয়েছিল আলোচনাসভায় বক্তৃতা হিসেবে। আলি তানতাভি নবীজির জীবন নিয়ে রীতিমতো সাধনা করেছেন। আজীবন সিরাত নিয়ে লিখেছেন বিস্তর। বক্তৃতা-অধ্যাপনা করেছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে। তাঁর দীর্ঘ সিরাতযাপনের সরল অভিব্যক্তির কিছু পাওয়া যাবে প্রথম প্রবন্ধের ভূমিকা অংশে। অবশ্য গোটা বইজুড়েই ছড়িয়ে আছে সিরাত বিষয়ে তাঁর গভীর দৃষ্টি ও বিপুল অভিজ্ঞতার সারনির্যাস। যা আশা করি, বোদ্ধা পাঠকের চোখ এড়াবে না। বইটির লেখক বিংশ শতাব্দীর এক সমাজচিন্তক দার্শনিক ড. শায়খ আলি তানতাভি। ১৯০৯ সালে সিরিয়ার দামেশকে জন্ম। পৈত্রিক আবাস মিসরের তানতা শহর হওয়ায় তানতাভি নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। ছাত্রজীবনেই তুখোড় মেধার কারণে তিনি শিক্ষকগণের দৃষ্টি কাড়েন। সেকালে গবেষণা ও জ্ঞানসাধনায় তার পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল ঈর্ষণীয়। সতের বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও গল্প প্রকাশ হতে থাকে। ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ ও ফরাসি সাম্রাজ্যবাদীদের জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি ইরাক গমন করেন। সুদীর্ঘ পাঁচ বছর পর দামেশকে ফিরে এসে বিচারক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে সিঁড়ি বেয়ে তিনি প্রধান বিচারপতির আসন অলঙ্কৃত করেন। গবেষণামূলক লেখালেখির খ্যাতির মধ্য দিয়ে তিনি মক্কা মুকাররমা শরিয়া কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যুগ-জিজ্ঞাসার সমাধানমূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পাশাপাশি নিয়মিত পত্র-পত্রিকায় কলাম লেখা, বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ প্রণয়ন আর বিভিন্ন মাদরাসা-কলেজে দরসদানও চলতে থাকে সমান গতিতে। ১৯৯৯ সালে ৯০ বছর বয়সে শাইখ আলি তানতাভি মক্কা নগরীতে ইন্তেকাল করেন।

  • Tk 78Tk 130

    পারিবারিক সম্পর্কের বুনন

    পরিবার আমাদের প্রথম পাঠশালা। আমাদের নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ অর্জনের সবুজ কানন। মা-বাবা এবং পরিবারের বড় সদস্যরা হলেন আমাদের প্রথম শিক্ষক।

  • Tk 82Tk 136

    কাজের মাঝে রবের খোঁজে

    মেয়েদের জীবন নিয়ে আমাদের কিছু ছকেবাঁধা গতানুগতিক চিন্তা আছে। সেই চিন্তার বাইরে কিছু করতে গেলে বোনেরা বলে বসে, কী দরকার? ফরজ ইবাদত করলেই তো জান্নাত।আবার কারও কারও চিন্তা একদম ছকের বাইরে। ফরয ইবাদত থেকে লক্ষ্য সরিয়ে নিয়ে হলেও যেন নফল ইবাদত করা চাই-ই চাই।বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে শাইখ আব্দুল মালিক কাসিম নেক আমলের ঝুলি সমৃদ্ধ করতে এমন সব অভিনব পন্থা বাতলে দিয়েছেন যে, এটা প্রত্যেক পাঠকের কাছে পৌঁছানো উচিত। মেয়েদের কাছে অন্তত এই বার্তাটুকু যাক, ইসলামে কোনো নারীই ‘অনাহূত’ নন। এখানে সব নারীর জন্যই নেক আমলের দুয়ার খোলা।

  • Tk 82Tk 110

    সাহাবাজীবন

    এ বই মূলত কয়েকজন মহান সাহাবির আদর্শদীপ্ত জীবনের বিক্ষিপ্ত গল্প। লেখাগুলো তৈরি করেছিলাম করোনা মহামারির শুরুর দিকে ‘সাহাবাজীবন’ ওয়েবসাইটের জন্য। কিন্তু সবকয়টি লেখা জমা দিইনি, রেখে দিয়েছিলাম নিজের কাছে। সেগুলোকে আরেকটু ঘষামাজার পর বক্ষ্যমাণ বইয়ের রূপটি দাঁড়িয়েছে। সাহাবিদের ঈমানদীপ্ত জীবন পড়তে বসে এ বই থেকে পাঠক যদি সামান্যতম উপকারও লাভ করেন, নবীজির সাথিবর্গের জীবনাদর্শ পাঠে তাঁরা যদি আরও উজ্জীবিত ও আগ্রহী হয়ে ওঠেন, তাহলে নিজের শ্রমকে সফল ও সার্থক মনে করব।

  • Tk 87Tk 145

    সন্তান গড়ার কার্যকরী কৌশল

    মা-বাবা এবং পরিবারের বড় সদস্যরা হলেন আমাদের প্রথম শিক্ষক। যে শিক্ষা আমরা পরিবার থেকে পাই, জীবনভর তা-ই লালন করি এবং জীবনপাথেয় হিসেবে তা-ই ধারণ করি।

  • Tk 87Tk 145

    সন্তানকে বইমুখী করার কৌশল

    পরিবার আমাদের প্রথম পাঠশালা। আমাদের নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ অর্জনের সবুজ কানন। মা-বাবা এবং পরিবারের বড় সদস্যরা হলেন আমাদের প্রথম শিক্ষক।

  • Tk 90Tk 150

    হিফয করতে হলে

    কুরআনের পরশে প্রতিটি বস্তুই পরিণত হয় পরম সম্মান ও মর্যাদার পাত্রে। যে-মাসে এ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, সে-মাস অন্য মাসের চেয়ে অধিক সম্মানের। যে-রাতে এ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে-রাত অন্য রাতের তুলনায় অধিক মর্যাদার। যে-নবীর ওপর এ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, তিনিই সকল নবীর পথিকৃৎ। অতএব, কুরআনের সংস্পর্শে এসে কুরআন অধ্যয়ন ও মুখস্থ করে একজন সাধারণ মানুষও পরিণত হন মহান ব্যক্তিত্বে। আর এভাবেই রচিত হয়েছিল ইসলামের ইতিহাসে কুরআন মুখস্থকরণের সোনালি অধ্যায়। কীভাবে পবিত্র কুরআন ও হাদীস সহজে মুখস্থ করে তা স্থায়ীভাবে ধারণ করা যায় এবং এর সহায়ক উপায়সমূহ কী, এসব নিয়ে চমৎকার আলোচনার সমাবেশ ঘটেছে এই গ্রন্থখানিতে।

  • Tk 90Tk 120

    আসমানি আদালত

    এক ইরাকি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল-এর জীবনে প্রত্যক্ষ করা শিক্ষণীয় ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনার গল্প নিয়ে রচিত গ্রন্থ- আসমানি আদালত। লিখেছেন ব্রি. জেনারেল মাহমুদ উশ শওকত। অনুবাদ করেছেন লাবীব আবদুল্লাহ।

  • Tk 90Tk 120

    নবীপত্নী মহিয়সী খাদিজা

    তিনি নবীজির প্রথম স্ত্রী, প্রথম মুসলিম। ইসলামের সর্বযুগের চার শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। একটি বিরামহীন, ছন্দপতনহীন, অনিন্দ্যসুন্দর জীবনের প্রতিচ্ছবি। যিনি ইসলামের প্রাথমিক দিনগুলোতে সর্বমুখী বিপদের মোকাবেলা করে নবীজির সহযোগিতায় জীবনের সর্বস্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। ছায়ার মতো তাঁর সঙ্গে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিলেন। সকল শঙ্কা, ভয়, দুশ্চিন্তা থেকে তিনি তাঁকে মুক্ত করে আনতেন নিঃস¦ার্থ ভালোবাসার স্নিগ্ধতায়। নবীজি তাঁর এ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের কথা আজীবন স্মরণ রেখেছিলেন। তাঁর পবিত্র হৃদয়ে খাদিজার স্মৃতি ছিল চির জীবন্ত, জাগরুক। আবদুল হামিদ মাহমুদ তহমাজ সিরিয়ার খ্যাতনামা আলেমদের একজন। গত শতকের শেষভাগে হানাফি ফিকহ সম্ভারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়েছে, শাইখ তহমাজের আল ফিকহুল হানাফিছ্যু ফি সাওবিহিল জাদিদ তার অন্যতম। বাংলাদেশের ধর্মীয় মহলেও কিতাবটি ব্যাপকভাবে পাঠ্য। যারা তাঁকে চেনেন, তাঁর রচনা সম্পর্কে তাদের নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সাইয়িদা খাদিজা গ্রন্থটিও তাঁর একটি অনবদ্য সংকলন। এতে তিনি সুনিপুণ হাতে বয়ান করেছেন উম্মুল মুমিনিনের জীবনালেখ্য।

  • Tk 90Tk 120

    কীর্তিমানদের ছেলেবেলা

    যারা কালোত্তীর্ণ, যারা কীর্তিমান—যুগে যুগে সেই সব মানুষের বন্দনা গাওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে কীর্তিগাথা। কাল পেরিয়ে মহাকালের পটে লেখা হয়েছে তাদের নাম। অক্ষয় হয়েছে তাদের কীর্তি। তাদের জীবনের নানা কাহিনী বিবৃত হয়েছে মানুষের মুখে মুখে। তেমনই কিছু দীপ্তিমান ক্ষণজন্মা মনীষীর জীবনের নানা দিক নিয়ে লেখা হয়েছে এ বই। তাদের বেড়ে উঠার গল্প বলা হয়েছে। হালকা মেজাজে। পরিশীলিত ঢংয়ে। পাঠক গল্পের আবেশে হারিয়ে যাবে। মুগ্ধতা নিয়ে পাঠ শেষ করবে। তারই ফাঁকে জানা হয়ে যাবে কিছু অসামান্য মানুষের কিংবদন্তিতুল্য জীবনকাহিনি। সেই জীবনের নানা বাঁক, নানা দিক। যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ত্যাগের ইতিহাস। আত্মদানের লোমহর্ষক বর্ণনা। প্রচেষ্টা ও উদ্যমের গল্প। তাদের কেউ কেউ দেশমাতৃকার তরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আবার কেউ কেউ জ্ঞান সাধনার জন্য জীবন বাজি রেখেছেন। কেউবা লক্ষ্যপানে ছিলেন অবিচল। অন্তহীন ছুটে চলেছেন। তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিয়েছেন। কঠিন বিপদের মুখেও নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য তাড়া করেছে তাদের। এক সময় সফলতা এসে তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়েছে—এমনই নানা মানুষের নানা কথা ছড়িয়ে আছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। যা আপনাকে ভাবাবে, আকুল করবে। অজান্তেই নিজের মাঝে বড় হওয়ার স্বপ্নের বীজ বুনে যাবে। বিকশিত ও সফল জীবনের হাতছানি দিবে। এসো, এখানে এসো, এখানে জীবনের জন্মসংগীত গাওয়া হয়। পাঠক গল্পগুলো পাঠ করে যারপরনাই অবাক হবেন। কেননা আমরা এতদিন যেসব কীর্তিমানের নাম শুনে এসেছি, শ্রদ্ধার সঙ্গে যাদের স্মরণ করেছি, লেখক সাগরের বুকে মুক্তো তালাশের মতো তাদের জীবনের সুন্দর একটা মুহূর্ত তুলে এনেছেন। যে মুহূর্ত তাকে পরবর্তী জীবনে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ইবনে জাহেজ, ইবনে হাইসাম, আল বিরুনি, ইবনে হাইয়্যান, আল হামাভি—এমন মহান পুরুষদের শৈশবের গল্প যতটা চিত্তাকর্ষক, তার চেয়েও দরকারি হলো শৈশবে তাদের বেড়ে উঠার শিক্ষা সম্পর্কে অবগত হওয়া। লেখক তাঁর বইয়ে গল্প বলতে গিয়ে ঠিক সে কাজটিই করেছেন।

  • Tk 90Tk 120

    ঐশী বিচার

    ইরাকি লেখক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ শিত খাত্তাব আমাদের কাছে অপরিচিত নন। এর আগে নবপ্রকাশ থেকে ‘আসমানি আদালত’ নামে লেখকের আরেকটি বই অনূদিত হয়ে প্রকাশ হয়েছে। বইটি পাঠকমহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গল্পকার হিসেবে মাহমুদ খাত্তাবের বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে গল্পের মোড়ক পরিয়ে পাঠকের সামনে হাজির করেন। গ্রন্থের সবগুলো গল্পই তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ। তিনি যেসব ঘটনা শুনেছেন, যে বিষয় সম্পর্কে জেনেছেন কিংবা বাস্তব জীবনে প্রত্যক্ষ করেছেন—এমন সব ঘটনা ও বিষয়কে তিনি গল্পের আদলে নিয়ে এসে উপস্থাপন করেন বাঙময় ভাষায়। তাঁর গল্পের অন্য আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি শুধু বাস্তব জীবনের ঘটনা তুলেই ক্ষান্ত হন না, বরং প্রতিটি গল্পের ভেতর দিয়ে তিনি পাঠককে শিক্ষা দেন কোনো না কোনো আবশ্যিক শিক্ষণীয় পাঠ। সমাজের অনেক অনাচার, চারিত্রিক অনেক স্খলন, ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য অহিতকর বিষয়গুলো তিনি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেন পাঠকের চোখের সামনে। ফলে, তাঁর বলা গল্পগুলো আমাদের জন্য সবসময় পাঠ্য। তাঁর গল্পের আবেদন কখনো ফুরোবার নয়। নবপ্রকাশ এ ধরনের শিক্ষণীয় ও সমাজহিতৈষী গল্প ও গ্রন্থ প্রকাশে বদ্ধপরিকর। পশ্চিমাদের কুরুচিপূর্ণ ও যৌনতাসর্বস্ব গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে আমাদের তরুণ পাঠকদের মস্তিষ্কে যে বিকৃতি প্রবেশ করানো হচ্ছে, তার প্রভাব পড়ছে আমাদের পুরো তরুণসমাজের ওপর। এতে করে নষ্ট হচ্ছে পরিবার, সমাজ এবং দেশ-জাতি। অন্তর্গতভাবে আমরা পরিণত হচ্ছি একটি অন্তঃসারশূন্য মেধাহীন জাতিতে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমরা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হবো—এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এসব বিবেচনায় রেখে ইরাকি গল্পকার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ শিত খাত্তাব গত শতকে বেশ কিছু গল্পগ্রন্থ রচনা করেন। বইগুলো সে সময় পাঠকমহলে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয় এবং ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। বক্ষ্যমাণ বইটি লেখকের রচিত আরবি ‘তাদাবিরুল ক্বাদর’ গল্পগ্রন্থের বাংলা রূপায়ন।

CATEGORIES