-
Tk 290
উসূলুল ঈমান (১ম খন্ড)
বস্তুতপক্ষে ঈমান হলো দ্বীনের মূলভিত্তি। এর মাধ্যম একজন ঈমানদার ইসলাম নামক এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেন এবং এর ওপর অবলম্বন করে তাঁর আমলের বৃক্ষ অঙ্কুরিত হয়, শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হয়। কাজেই ঈমানের বিশুদ্ধতার ওপরই আমলের বিশুদ্ধতা নির্ভর করে এবং তা যতই দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে, আমলেও সেভাবে তার প্রতিফলন ঘটতে থাকে। যদি কারও এ ভিত্তি দুর্বল ও ত্রুটিযুক্ত হয়, তবে যেকোনো সময় ও অবস্থায় তা থেকে অঙ্কুরিত আমলের বৃক্ষ ও শাখা-প্রশাখা নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এ কারণে একজন মুমিনের ওপর সর্বপ্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলোÑতার ঈমানের ভিত্তিকে মজবুত করা, ত্রুটি মুক্ত করা। অত্যন্ত পরিতাপের ব্যাপার! আমরা ঈমানদারগণ অনেকেই জানি না যে, প্রকৃত ঈমান কী এবং এর ব্যাপ্তি বা পরিধি কতটুকু? ঈমানের দাবিগুলো কী কী? কীভাবে পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া যায়? কীভাবে ঈমান নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? প্রভৃতি। প্রশ্ন হলোÑযে ব্যক্তির এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরই জানা নেই, তার পক্ষে আদৌ কি পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া সম্ভব? তার পক্ষে কি এ নিয়ামত ও অনুগ্রহের হক আদায় করা সম্ভব? এ বই থেকে এসব বিষয় ও প্রশ্নের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 290
সুন্নাহর সংস্পর্শে
রাসূল (সা.)-এর জীবনপদ্ধতি lifestyle আমাদের জন্য সুন্নাহ। তাঁর প্রতিটি শিক্ষা-আদেশ ও পর্যবেক্ষণও এর অন্তর্ভুক্ত। তাঁর জীবন অনুসৃত সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগের সেই সুন্নাহ আজও মানবসমাজের জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর। কিন্তু দুঃখজনকভাবে উম্মাহ সুন্নাহর সেই পবিত্র নহরে অবগাহন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সাহাবায়ে কেরামের ন্যায় তারা সুন্নাহকে জীবনঘনিষ্ঠ করতে পারছে না। ফলে এর সুমিষ্টতা আস্বাদন থেকে তারা বঞ্চিত! আধুনিক সমাজে একদল মনে করেন, সুন্নাহ এখন ‘অচল বস্তু’, নিতান্তই সেকেলে; বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে এর আবেদন ও কার্যকারিতা শূন্যের কোঠায়। আরেক দল মনে করেন, সুন্নাহ এমন কিছু কঠিন ও রুক্ষ নিয়মকানুন, যা সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য নয়। এমনকি তা স্বাভাবিক জীবনপ্রণালির প্রতিবন্ধকও বটে। বাস্তবিকার্থে সুন্নাহ এই দুই চিন্তাধারার সীমাবদ্ধতা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। বরং সুন্নাহ সদা জীবন্ত, চির শাশ্বত ও অভিযোজ্য। প্রতিটি যুগ ও যুগান্তরে এটি সমানভাবে কার্যকর। সুন্নাহ সংস্পর্শে বইটি আপনাকে সেই উপলব্ধির দিকেই ধাবিত করবে। সুন্নাহ কী করে মানবসমাজকে আরও সুন্দর-সুস্থ ও সুবিন্যস্ত করতে পারে, শরিয়ার আইনে এর মর্যাদা-সীমা ও গুরুত্ব কী, ইত্যকার আলোচনা এতে স্থান পেয়েছে। সুন্নাহর সংস্পর্শে আমাদের জীবন হয়ে উঠুক জ্যোতির্ময়, সুন্নাহর ব্যাকরণে আমাদের জীবনশাস্ত্র হোক নির্ভুল, এই প্রত্যাশা…
-
Tk 295
ব্যাটল ফর পাওয়ার
ইতিহাস বদলে যায় যুদ্ধ-সংগ্রাম, বিদ্রোহ আর বিপ্লবে। উত্থান হয় ক্ষমতার নতুন ভরকেন্দ্র ও পরাশক্তির। যুগে যুগে এভাবেই ক্ষমতা ও সাম্রাজ্যবাদের রূপান্তর ঘটেছে। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দুনিয়া দেখল জ্বালানি তেলের অভূতপূর্ব দাপট! বিংশ শতাব্দী থেকে দুনিয়ার ক্ষমতা- কাঠামোই উলটপালট করে দিলো এই তেল অস্ত্র। তেলের পরশে বদলে গেল মরুর দেশ সৌদি আরব, উপসাগরীয় ক্ষুদ্র রাষ্ট্র কাতার, কুয়েত, আমিরাত, ওমান ও বাহরাইন। পশ্চিমা অয়েলম্যানদের কারসাজিতে প্রায় ধ্বংস হলো লিবিয়া, ইরাক আর ইয়েমেন। অন্যদিকে রাশি রাশি নিষেধাজ্ঞার বোঝা মাথায় নিয়েও শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তেল আশীর্বাদে দিব্যি টিকে আছে ইরান ও ভেনিজুয়েলা। ব্যাটল ফর পাওয়ার আপনাকে শোনাবে সেই সব রোমাঞ্চকর কাহিনি; নিয়ে যাবে বিশ্ব রাজনীতির দুর্গম গিরিপথে।
-
Tk 300
সমকালীন চ্যালেঞ্জ নেতা ও নেতৃত্ব
নেতৃত্ব একটি শিল্প। এই শিল্পে দক্ষ কুশলীর প্রচণ্ড অভাব। নেতৃত্বের সংকটে একটি জাতি ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। তাই জাতি আজ চাতক পাখির ন্যায় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের আবির্ভাবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। কিন্তু প্রকৃত নেতৃত্ব তখনই গড়ে উঠে, যখন কতগুলো নির্দিষ্ট বিষয় একযোগে কাজ করে এবং তাতে সফলতা অর্জিত হয়। অপরদিকে নেতা ভুল করে বসলে সবই পণ্ড হয়। ‘সমকালীন চ্যালেঞ্জ : নেতা ও নেতৃত্ব’ গ্রন্থে লেখক নেতৃত্ববিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ স্কেচ এঁকেছেন। আমরা আশাবাদী, এই স্কেচ আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য একটা পথরেখা নির্দেশ করবে; যে পথরেখা ধরে সফলতা ছুঁয়ে দেওয়া সম্ভব। চলুন, জীবনঘনিষ্ঠ ইস্যু নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বোঝাপড়া করি।
-
Tk 300
পাকিস্তান : আমার ইতিহাস
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র পাঁচ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন ইমরান খানের জন্ম। পাকিস্তানের ইতিহাসের সাথেই তাঁর জীবন আবর্তিত হয়েছে। অর্থ ও ক্ষমতার মোহে অন্ধ অভিজাত শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অবদমিত পাকিস্তান বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর মুসলিম দেশ। তবুও সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আর বর্তমান মিত্র আমেরিকার নিয়মিত বোমা হামলা থেকে নিজ জনগণকে রক্ষা করতে অক্ষম। ‘পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র’-এ ধারণা দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কীভাবে পাকিস্তান অবিচার ও অস্তিতিশীলতার শেষ প্রান্তে এমন এক বিপর্যয়কর পরিণতিতে পৌঁছাল? ইমরান খান তাঁর আপন স্মৃতি-প্রিজমে প্রতিসরিত আলোয় দেখা ইতিহাস বর্ণনা করেছেন অনুপম ভঙ্গিমায়। শুরু করেছেন পতনোন্মুখ ব্রিটিশ রাজের সময়কালে রচিত দেশের বুনিয়াদি ধারণা থেকে। মুসলিম বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি ঐতিহাসিক ঘটনাবলিকে পাশ্চাত্যের চোখ দিয়ে দেখার পাশাপাশি সাধারণ পাকিস্তানিদের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখেছেন। পাকিস্তান : আমার ইতিহাস বইয়ে পাশ্চাত্যের কাছে অপরিচিত ভিন্ন এক পাকিস্তানকে তুলে ধরেছেন ইমরান খান। ইতহিাসের এই বুনন থেকে আমরা ইমরানের ব্যক্তিগত জীবন, লাহোরের স্মৃতিময় শৈশব, অক্সফোর্ড-এর শিক্ষাজীবন ও অসাধারণ ক্রিকেট ক্যারিয়ার, জেমিমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বিয়ে, তাঁর জীবনে মায়ের প্রভাব আর ইসলামি বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারব। এই গ্রন্থে আমরা ইমরানের চোখে আল্লামা ইকবালকে দেখব। পরিশিষ্ট অংশে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সর্বশেষ আপডেট জানব।
-
Tk 300
MUSLIM CHARACTER
‘MUSLIM CHARACTER’ প্রখ্যাত স্কলার মুহাম্মাদ আল-গাজালির বিখ্যাত বই ‘খুলকুল মুসলিম’ গ্রন্থের অনুবাদ। গ্রন্থটি ইসলামি নৈতিকতার সেই ব্যাপকতর দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে; যা ব্যক্তিগত, ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সকল দিককে আচ্ছাদিত করে। ইসলামি নৈতিকতা শুধুমাত্র মুসলিম সমাজের জন্য সীমাবদ্ধ নয; বরং এটি মানব সমাজে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। ইসলাম সকল মানুষের উৎপত্তিকে একক পিতার (আদম আঃ) সাথে যুক্ত করে এবং সমতা, ন্যায়বিচার এবং ন্যায়নিষ্ঠার নীতিগুলি সমর্থন করে। ইসলাম সব ধরনের জীবনকে সম্মান করে এবং সমবেদনা ও দয়ার সাথে আচরণ করে; তা মানুষ বা প্রাণী যে-ই হোক না কেন। মধ্যমপন্থার দ্বীন হিসাবে ইসলাম চরমপন্থাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং সহনশীলতা, ক্ষমা ও সংযমে জোর দেয়। সমাজ সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেই শুরু হয়।মুসলিম চরিত্রের অপরিহার্য গুণাবলী হচ্ছে তাওহিদের চেতনা, সত্যতা, বিশ্বাস, আন্তরিকতা, সহনশীলতা, ক্ষমা, ধৈর্য, আচরণে নিরপেক্ষতা, ভ্রাতৃত্ব, প্রেম, রহমত ও উদারতা। এসব গুণাবলী অবশ্যই অর্জনযোগ্য এবং আল্লাহ্র রসূল দ্বারা প্রদর্শিত ও প্রমাণিত। প্রত্যেক মানুষের কাছে আল্লাহ্র রাসূল (সা.) উসওয়াতুন হাসানাহ। এই গ্রন্থ থেকে আমরা মুসলিম চরিত্রের নৈতিক দিকগুলোর উত্তম জ্ঞাণ আরোহণ করব, ইনশাআল্লাহ্।
-
Tk 300
সিক্রেটস অব জায়োনিজম
আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটরগাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মালিক হেনরি ফোর্ড। কোম্পানি পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি তো চক্ষু চড়কগাছ! এ কী! ইহুদিদের জায়োনিষ্ট জাল অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে পৃথিবীকে! . ফোর্ড ১৯২০ সালে শুরু করলেন নিজের পত্রিকা ‘দ্য ডিয়ারবর্ন ইনডিপেন্ডেন্ট’। সেখানে ৯১ পর্বের কলামে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলেন ইহুদি জাল ও নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী তুমুল হইচই শুরু হলো। জায়োনিষ্ট মুখোশ উন্মোচিত হলে আমেরিকান ব্যবসায়ীর কলমে। ইতোমধ্যে ফোর্ড-এর কলামগুলো নিয়ে চার খণ্ডের বই তৈরি হলো; নাম- ‘The International Jew’। প্রতিক্রিয়ায় ইহুদি লবি জবাব দিতে লাগল। আমেরিকা থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানেই সব বই লাপাত্তা হলো। পত্রিকার বিরুদ্ধে সম্প্রীতি নষ্টের উস্কানির অভিযোগ উঠল। ১৯২৭ সালে বন্ধ করে দেওয়া হলো তার পত্রিকা এবং আলোচিত এই বই। . কিন্তু চাইলেই কি সব বন্ধ করে দেওয়া যায়? আশির দশকে আবার প্রকাশিত হলো বইটি। দুনিয়াব্যাপী ২৩টি ভাষায় অনূদিত হলো। বিশ্বখ্যাত সেই বইটির বাংলা অনুবাদ ‘সিক্রেটস অব জায়োনিজম’। অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের মেধাবী মুখ ফুয়াদ আল আজাদ। শিহরণ জাগানিয়া বইটি সংগ্রহ করার সময় এখনই।
-
Tk 300
দাঈদের জ্ঞানচর্চা
মুসলিম মাত্রই একজন দাঈ। কল্যাণের দিকে মানুষকে আহ্বান করাই তার মূল কাজ; কিন্তু দাওয়াতের এই পরিচয় সঠিকভাবে বহন করতে আমরা যারপরনাই ব্যর্থ। এর মূল কারণ হলো—আমাদের জ্ঞানের স্বল্পতা ও চিন্তার দৈন্যদশা। আজকাল দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোকে আমরা একটি পেশা মনে করছি—যেখানে নির্দিষ্ট কিছু লোক এ কাজের আঞ্জাম দেবেন। তাঁরা ইসলাম বিষয়ে কিছু বয়ান দেবেন; শ্রোতারাও আবেগে আপ্লুত হবেন এবং সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলে ঘরে ফিরে যাবেন। দিনশেষে বয়ানদাতা বড়ো অঙ্কের হাদিয়া পকেটে পুরে দায়িত্বের ইতি টানবেন। একটি মুসলিম সমাজের জ্ঞান-চিন্তা ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয় কোন পর্যায়ে পৌঁছলে পরিস্থিতি এমন হওয়া সম্ভব! এই বিপর্যয় ও সংকট মোকাবিলার নিমিত্তেই দাঈদের জ্ঞানচর্চা গ্রন্থের আয়োজন। গ্রন্থটি একজন দাঈ ইলাল্লাহর সামনে আদর্শ দাঈর জানার পরিধি, চিন্তার বিস্তৃতি ও জ্ঞানের সম্ভার সম্পর্কে সঠিক রূপরেখা তুলে ধরবে—যাতে একজন দাঈ যথাযথ হকের সাথে দাঈ ইলাল্লাহর কাজ আঞ্জাম দিতে পারেন।
-
Tk 300
আলিয়া ইজেতবেগভিচ ও বসনিয়া
রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও জাতীয়তাবাদী আবহের বিবেচনায় বলকান অঞ্চল সম্ভবত বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় একটি জনপদ। জাতীয়তাবাদ যেন এ অঞ্চলের ললাটলিখন। মুসলিম শাসনপরবর্তী এই অঞ্চল কমিউনিস্ট শাসনের ভিতর দিয়ে এক দুর্যোগপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে । সুদীর্ঘ সময় ধরে এ অঞ্চল থেকে মুসলিমদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা চলমান । গেল শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে বসনিয়া তথা বলকানের মুসলিমদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, আত্মপরিচয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সুরক্ষায় যার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তিনি আলিয়া ইজেতবেগভিচ । বৈরী রাজনৈতিক আবহাওয়ার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ উত্তাল সমুদ্রে তিনি এক সাহসী নাবিক । জাতির ক্রান্তিকালে স্রোতের বিপরীতে দাঁড় টেনে সফল হয়েছিলেন এই মহান নেতা । বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনেও আলিয়া এক সব্যসাচী মনীষী । ইসলামের মূলধারার ওপর তিনি রেখে গেছেন অমূল্য রচনাবলি। তাঁর বিগ্ধ ও উচ্চমার্গীয় রচনাবলিই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। বসনিয়ার মুসলিম ও ইসলামি জাগরণের এই মহান রাহবারের সংগ্রামী জীবন চিত্রিত হয়েছে এই গ্রন্থে !
-
Tk 310
দ্য কিংডম অব আউটসাইডারস
ফোরাত-দজলা বিধৌত মেসোপটমিয়াতে ছিল আদি ইহুদিদের বসবাস। পরবর্তী সময়ে এদেরই একটা অংশ এসে ঠাঁই নেয় প্যালেস্টাইনে। প্যালেস্টাইন তখন জনশূন্য ভূমি ছিল না। ইহুদিরা সেই ভূখণ্ডের একমাত্র জাতিগোষ্ঠী নয়, আদি বাসিন্দাও নয়। রোমানদের তাড়া খেয়ে তারা ছড়িয়ে পড়ে ভূমধ্যসাগরের আশেপাশে। ইউরোপের খ্রিষ্টানদের হাতে কয়েক দফা গণহত্যার পরও নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইসরাইলের সন্তানরা। আধুনিক ইউরোপের অর্থনীতির ভিত্তি রচিত হয়েছে তাদের হাতেই। তারাই সুদি কারবারের জনক, গড়ে তুলেছে ব্যাংকিং সিস্টেম। তাদের হাতেই বিকশিত হয়েছে পুঁজিবাজারের ধারণা। উনিশ শতকের শেষভাগে রাশিয়াতে দমন-পীড়নের মুখে ইহুদিদের একটা অংশের আশ্রয় হয় প্যালেস্টাইনে। তবে এই ভূখণ্ড অভিমুখে রীতিমতো ইহুদি স্রোত নামে, গত শতকের ত্রিশের দশকের পর। জায়োনবাদী ইহুদিরা সাধারণ ইহুদিদের বুঝিয়েছে, এটা তাদের ‘প্রমিজ ল্যান্ড’! বিতাড়ন থেকে প্যালেস্টাইনে ফেরা অবধি মাঝখানে কেটে গেছে প্রায় দুই হাজার বছর। এত বছর পরে এসে ইহুদিরা দাবি করছে- প্যালেস্টাইন তাদেরই ভূখণ্ড! এই দাবি কতখানি সত্য? কতখানি যৌক্তিক? কতখানি ন্যাংসংগত? এসবের জবাব খুঁজতেই আমরা বিচরণ করতে যাচ্ছি ‘দ্য কিংডম অব আউটসাইডারস’- এ।
-
Tk 315
এরদোয়ান: দ্যা চেঞ্জ মেকার
লেখক : হাফিজুর রহমান (পিএইচডি)প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সবিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামী ব্যক্তিত্ব পৃষ্ঠা : ২৯৬
-
Tk 320
প্রশ্নোত্তরে সীরাতুন্নবি (সা)
‘প্রশ্ন’ হলো কৌতূহলের বহিঃপ্রকাশ। আর ‘উত্তর’ হলো উদ্ভূত কৌতূহলের নিবৃত্তি। প্রশ্ন ও তার উত্তর খুঁজে বের করার মাধ্যমে মূলত টেকসই জ্ঞান অর্জিত হয়। নবিজির পুরো জীবনকে এই গ্রন্থে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক, ‘উসওয়ায়ে হাসানাহ’, সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ﷺ-এর পবিত্র সিরাত নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রচুর কাজ হয়েছে। আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কিরাম ও শাইখবৃন্দ তাদের মেধা ও যোগ্যতার সর্বোচ্চাটুকু ঢেলে দিয়ে সিরাতুন্নবি ﷺ লিখেছেন। ‘প্রশ্নোত্তরে সিরাতুন্নবি ﷺ’ সেই ধারাবাহিকতায় এক নতুন সংযোজন। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে রাসূল ﷺ-এর জীবনী সম্পর্কে জানার এই নতুন ধারা বিদগ্ধ সিরাতপ্রেমী পাঠকদের জ্ঞানের পালে নতুন হাওয়া নিয়ে আসবে, ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 320
ইসলামের অগ্রাধিকার নীতি
ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান প্রবর্তনের পেছনে শরিয়াহ প্রণেতার মূল উদ্দেশ্য হলোÑমানুষের কল্যাণ সাধন এবং অকল্যাণকে দূরীকরণ। ইসলাম সব সময় দুটি কল্যাণের মাঝে সর্বোত্তম কল্যাণকে এবং দুটি ক্ষতির মাঝে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। অথচ আমাদের সমাজজীবনের পরতে পরতে নানান অসংগতির চর্চা দেখা যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি উপেক্ষিত রেখে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি চলে হরদম। জাতীয় সমস্যা সমাধানে ফিকহচর্চায় অনুগামী না হয়ে ছোটোখাটো শাখাগত মাসয়ালায় গলদ্ঘর্ম হয় আমাদের আলিমসমাজ। ফলে সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়টি চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের এই সংকট দূরীকরণে বর্তমান শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি স্কলার ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.) রচিত ইসলামের অগ্রাধিকার নীতি গ্রন্থটি একটি মাইলফলক হতে পারে।
-
Tk 320
উসূলুল ঈমান (৪র্থ খণ্ড)
“”বস্ততপক্ষে ঈমান হলো দ্বীনের মূলভিত্তি। এর মাধ্যমে একজন ঈমানদার ইসলাম নামক এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেন এবং এর ওপর অবলম্বন করে তাঁর আমলের বৃক্ষ অঙ্কুরিত হয়,শাখা- প্রশাখা বিস্তৃত হয়। কাজেই ঈমানের বিশুদ্ধতার ওপরই আমলের বিশুদ্ধতা নির্ভর করে এবং তা যতই দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে,আমলেও সেভাবে তার প্রতিফলন ঘটতে থাকে। যদি কারও এ ভিত্তি দুর্বল ও ত্রুতিযুক্ত হয়,তবে যেকোনো সময় ও অবস্থায় তা থেকে অঙ্কুরিত আমলের বৃক্ষ ও শাখা-প্রশাখা নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এ কারণে একজন মুমিনের ওপর সর্বপ্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলো– তার ঈমানের ভিত্তিকে মজবুত করা,ত্রুটি মুক্ত করা। অত্যন্ত পরিতাপের ব্যাপার!আমরা ঈমানদারগণ অনেকেই জানি না যে,প্রকৃত ঈমান কী এবং এর ব্যাপ্তি বা পরিধি কতটুকু? ঈমানের দাবিগুলো কী কী? কীভাবে পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া যায়? কীভাবে ঈমান নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? প্রভৃতি । প্রশ্ন হলো- যে ব্যক্তির এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা নেই,তার পক্ষে আদৌ কি পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া সম্ভব? তার পক্ষে কি এ নিয়ামত ও অনুগ্রহের হক আদায় করা সম্ভব? এই বই থেকে এসব বিষয় ও প্রশ্নের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ। “
-
Tk 330
প্রজন্ম ক্ষুধা
একুশ শতকের তারুণ্যকে বুঝতে হবে তাদের ভাষায়। সাধারণভাবে সব শ্রেণিপেশার মানুষই প্রবৃত্তির গোলামী করতে অভ্যস্ত। তরুণ-তরুণীরাই প্রবৃত্তির গোলামীতে মত্ত হয় বেশি। বলা যায়, তারুণ্যের সময়টুকু প্রবৃত্তির গোলামীর ভরা মৌসুম। এই সময়ে কেউ নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারে আবার গড্ডালিকাপ্রবাহে নিজের জীবনকে ভাসিয়েও দিতে পারে। তারুণ্য যেমন ধ্বংসলীলায় মাতোয়ারা, আবার সেই তারুণ্যেই সৃষ্টি সুখে বিভোর! কেউ ভাঙছে, কেউ আবার গড়ছে। তারুণ্য নিয়ে হতাশা আছে, তবে মুদ্রার অপর প্রান্তে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ঠ উপাত্ত আছে। আজকের তরুণরা কোন পথে এগোচ্ছে, কীভাবে ভাবছে, কীভাবে সঙ্কটের খাঁদে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে আর কীভাবেই-বা সঙ্কট মোকাবেলার পথ খুঁজছে-আমরা তা জানার চেষ্টা করব তরুণদের কলম থেকেই। ‘প্রজন্ম ক্ষুধা’ সমকালীন তারুণ্যের মনে কথামালা। আজকের দুনিয়াকে তরুণদের চোখে দেখার এই আয়োজনে আপনাকে স্বাগত। চলমান সময়কে তারুণ্যের আয়নায় দেখার সফরে আপনাকেও অংশ নেওয়ার বিনীত আমন্ত্রণ!