-
Tk 290
উসূলুল ঈমান (১ম খন্ড)
বস্তুতপক্ষে ঈমান হলো দ্বীনের মূলভিত্তি। এর মাধ্যম একজন ঈমানদার ইসলাম নামক এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেন এবং এর ওপর অবলম্বন করে তাঁর আমলের বৃক্ষ অঙ্কুরিত হয়, শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হয়। কাজেই ঈমানের বিশুদ্ধতার ওপরই আমলের বিশুদ্ধতা নির্ভর করে এবং তা যতই দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে, আমলেও সেভাবে তার প্রতিফলন ঘটতে থাকে। যদি কারও এ ভিত্তি দুর্বল ও ত্রুটিযুক্ত হয়, তবে যেকোনো সময় ও অবস্থায় তা থেকে অঙ্কুরিত আমলের বৃক্ষ ও শাখা-প্রশাখা নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এ কারণে একজন মুমিনের ওপর সর্বপ্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলোÑতার ঈমানের ভিত্তিকে মজবুত করা, ত্রুটি মুক্ত করা। অত্যন্ত পরিতাপের ব্যাপার! আমরা ঈমানদারগণ অনেকেই জানি না যে, প্রকৃত ঈমান কী এবং এর ব্যাপ্তি বা পরিধি কতটুকু? ঈমানের দাবিগুলো কী কী? কীভাবে পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া যায়? কীভাবে ঈমান নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? প্রভৃতি। প্রশ্ন হলোÑযে ব্যক্তির এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরই জানা নেই, তার পক্ষে আদৌ কি পূর্ণ ও খাঁটি মুমিন হওয়া সম্ভব? তার পক্ষে কি এ নিয়ামত ও অনুগ্রহের হক আদায় করা সম্ভব? এ বই থেকে এসব বিষয় ও প্রশ্নের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 290
মুমিনের রাতদিন
একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু, দুনিয়ার আলো দেখা থেকে অন্তিম নিশ্বাস পর্যন্ত—প্রতিটি মুহূর্তের জন্য ইসলাম প্রদান করেছে চমৎকার সব দিকনির্দেশনা। কখনো জানার আলস্যে, কখনো-বা সঠিক তথ্যের অভাবে এর সবকিছু আমাদের পালন করা হয়ে ওঠে না। সেই শূন্যতাটাই ঘোচাতে চেয়েছে মুমিনের রাতদিন। একজন মুমিনের জীবন চলার ক্ষেত্রে যাবতীয় শিষ্টাচার ও দৈনন্দিন আমল এই বইয়ে চমৎকারভাবে বিধৃত হয়েছে। চর্যা ও চর্চার ইসলামে আপনাকে স্বাগত।
-
Tk 290
আহ্বান – আধুনিক মননে আলোর পরশ
দয়াময় রব গোটা সৃষ্টিজগৎকে সাজিয়েছেন অপরূপ নৈপুণ্যে, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুপম কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি —সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়; একে অন্যের ভূষণরূপে। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন উত্তম রিজিকে, প্রখর মেধা আর তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল চঞ্চলতায়। ভরসার ছায়া আর অবারিত অনুগ্রহে আগলে রেখেছেন তামাম কুল-কায়েনাত। এসবরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় দাঈ শাইখ মিজানুর রহমান আজহারি। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের সামনে পেশ করেছেন সুস্থ-সুন্দর, সময়োপযোগী ও ঈমানদীপ্ত জীবনের নববি চালচিত্র। সময়ের সবুজ সওয়ারিদের আহ্বান করেছেন গৌরবময় সত্যের পথে।
-
Tk 290
Tk 390তাকফীরের মূলনীতি
কুফরী কাজ করা আর কাফের হয়ে যাওয়া এক জিনিস নয়। অনেক সময় এমন হতে পারে যে,কেউ কুফরী কাজ করেছে,কিন্তু সে এর দরুন কাফের হয়ে যায়নি। কারণ,শরীয়তে এমন কয়েকটি বিষয় আছে,যা বিদ্যমান থাকাবস্থায় কেউ কুফরী কাজ করা সত্ত্বেও কাফের হয় না। এ বিষয়ে শরীয়তের বিশেষ কিছু মূলনীতি রয়েছে। সুতরাং কাউকে কাফের বলতে হলে প্রথমত কোন কোন কাজ কুফরী সেটা জানা থাকতে হবে পাশাপাশি কোন কোন কারণে কুফরী করা সত্ত্বেও ব্যক্তি কাফের হয় না সেটাও জানা থাকতে হবে। এছাড়াও এতে আরো অনেক বিষয় আছে,যা একমাত্র বিজ্ঞ আলেমরাই জানেন। তাকফীরের ব্যাপারে আমাদের বাংলা ভাষায় প্রামাণ্য ও বিস্তারিতাকারে কোনো বই বা রচনা না থাকায় অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কিছু জানতে পারে না। এমনকি অনেক সাধারণ আলেমদের জন্যও আরবী বই থেকে পূর্ণ ধারণা নেয়া কষ্টকর হওয়ায় তাদেরও এ বিষয়ে তেমন কোনো পড়াশোনা বা অধ্যয়ন নেই। এ সকল বিষয়কে সামনে রেখে আমরা কুরআন-হাদীস ও শরীয়াহর মূলনীতির আলোকে এ বইটি রচনা করতে উদ্যেগী হয়েছি। এতে তেরোটি মূলনীতি উল্লেখ করে প্রত্যেকটি মূলনীতির আলোচনায় আরো অনেক বিষয় সংযোজন করে দিয়েছি। প্রতিটি বিষয়কে কুরআন ও হাদীসের আলোকে প্রামাণ্য করে উপস্থাপন করেছি। এটা অধ্যয়ন করলে আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে তাকফীরের যে প্রচলন আছে তা কিছুটা হলেও কমে আসবে আশা করা যায়। আর তাকফীরের অভ্যাস থেকে মুক্ত হতে পারলে আমাদের পরস্পরে মতভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমরা মুসলিমরা কাছাকাছি হতে পারবো। আমাদের একতা বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি মুসলিম জাহানের উপকার হবে।
-
Tk 281
Tk 380জান্নাত চির সুখের ঠিকানা
আপনারা কি এমন কোনো মুসাফিরকে দেখেছেন, যিনি আগামীকাল বা পরের দিন নিজ দেশে ফিরবেন, অথচ তিনি নিজের সফরের বাসস্থান বা সেই (অস্থায়ী অবস্থানের) জায়গাটিকে খুব কারুকার্যের মাধ্যমে সজ্জিত করছেন? মানুষ কি বলবে না, তার মাথায় সমস্যা আছে। তাকে কি লোকে নির্বোধ আখ্যা দেবে না? এটি কি সর্বোত্তম নয় যে, সে নিজের সমুদয় সম্পদ জমা করে রাখবে এবং নিজ দেশে গিয়ে তা উপভোগ করবে? সুতরাং যে এ কথা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, সে জান্নাতের পথের মুসাফির এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান ক্ষণস্থায়ী, তার সামনে জান্নাতলাভের সাধনার বিকল্প কোনো পথ নেই। সে তার দৃষ্টি আসল বাড়ির দিকেই নিবদ্ধ রাখবে। সে অচিরেই সে গৃহের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করবে এবং ভিনদেশকে বিদায় জানাবে। সে যথাসম্ভব দুনিয়া থেকে নফল ইবাদত ও আনুগত্যের পুঁজি সঞ্চয় করবে; যেন প্রতিদান দিবসে জান্নাতে প্রশান্তি লাভ করতে পারে।
-
Tk 281
Tk 380এখনো কি ফিরে আসার সময় হয়নি
তোমাদের বলছি, যারা সারাক্ষণ টিভির সামনে, বিভিন্ন চ্যানেলে, ইন্টারনেটে সময় অতিবাহিত করছ, ডুবে আছ পাপের সাগরে, পরকালে কী হবে তোমাদের? একটি পাপের লেজ ধরে আরেকটি পাপের দিকে পা বাড়াচ্ছ, নামাজের প্রতি অবহেলা করছ? এখনো কি সময় হয়নি তোমাদের তাওবা করার? পাপগুলো মুছে ফেলার? পাপের সাগর থেকে উত্তোলন হবার? এখনো কি সময় হয়নি নিজের সাথে হিসাব করার? এখনো কি সময় হয়নি নিজেকে এ কথা বলার? হে নফস, যেদিন তাওবার সুযোগ থাকবে না, সেদিন আসার আগেই আল্লাহর কাছে তাওবা করো, ক্ষমা প্রার্থনা করো তোমার পাপের জন্য ক্ষমাশীল দয়াময় রবের দরবারে। কারণ, মৃত্যু তোমার দিকে বাতাসের গতিতে ধেয়ে আসছে। তাওবা না করলে আল্লাহর আজাব থেকে কোনোভাবেই রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং অবাধ্যতা করে তাঁর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করো না।
-
Tk 280
মানুষ পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণী
এক আকাশের নিচে বসবাস,একই সূর্যের আলো-কিরণ নিয়ে,একই জলবায়ুর পানি-বাতাস চুষে,একই মাটির উৎপাদিত শস্য খেয়ে জীবনধারণ করা সকল প্রাণীর জীবনবৈচিত্র্য এক ধরনের; কিন্তু মানুষের স্বভাব,চরিত্র,নিদ্রা,আহার,যৌনতা,অভ্যাস ও শারীরিক গঠন ভিন্ন প্রকৃতির! বিজ্ঞানীদের দাবি-সকল প্রাণীর তুলনায় মানুষ বড়ো খাপছাড়া সৃষ্টি। পৃথিবীর পরিবেশের সাথে মানুষের জীবন মোটেও মানানসই ও উপযোগী নয়। এত বৈপরীত্যের মানুষকে কোথায় সৃষ্টি করা হয়েছে,বিজ্ঞানীরা সেটা বলতে না পারলেও তারা দাবি করেছেন,মানুষকে এমন এক জায়গায় সৃষ্টি করে দুনিয়াতে আনা হয়েছে,যেখানকার পরিবেশ দুনিয়ার মতো নয়। এমন সব কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এই গ্রন্থে।
-
Tk 280
মুক্তচিন্তা ও ইসলাম
মুক্তির আকাঙ্ক্ষা সবখানে, সর্বত্র। সামগ্রিক মুক্তির প্রথম ধাপ মনের মুক্তি। তাই চিন্তার সাথে যুক্ত হয়েছে একটা টার্ম “মুক্তচিন্তা”। মুক্তচিন্তা কি শুধু সত্তের পথ দেখায়? নাকি মরিচিকার পেছনে হাকিয়ে নিয়ে যায়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুজে পাবেন এই বইতে।
-
Tk 280
প্রোডাক্টিভ মুসলিম
‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর। এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল। লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে Dr John Ratey, Graham Allcott সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ্য ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বইটিতে। ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের মিশেলে রচিত এই বইটিতে যে প্রোডাক্টিভ লাইফ-স্টাইলের মডেল তুলে ধরা হয়েছে, তা একজন মানুষকে পার্থিব জীবনের সাফল্যের শেকড় ছুঁয়ে দিয়ে নিজেকে পরকালীন জীবনের শিখরে পৌঁছে দিতে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে।
-
Tk 275
ইসলামের চোখে নারী
নারীকে ঘিরে ইসলামের যাবতীয় অধিকার কি শুধু ঘরকেন্দ্রিক? চার দেওয়ালের মধ্যেই কি সীমাবদ্ধ নারীর যাবতীয় অধিকার? ঘর-সংসারের বাইরে কি তাদের অবদান রাখার কোনো সুযোগ নেই? ব্যাবসা-বাণিজ্য-চাকরিসহ সমাজ ও রাষ্ট্রে তারা কি একেবারেই কর্তব্যহীন? অধিকার ও দায়হীন নারীর এমনই একটি চিত্র অঙ্কন করে ইসলামের ওপর অপবাদ চাপাতে ব্যস্ত পুঁজিবাদী সমাজ। মুসলিমরাও যেন সেই অপবাদ স্বীকার করেছে অনুগতচিত্তে। অথচ প্রকৃত অবস্থা এর থেকে ঢের দূরে। ইসলাম নারীকে মূল্যায়ন করেছে সবচেয়ে বেশি। মানুষ হিসেবে তাকে দিয়েছে যথোপযুক্ত মর্যাদা। একজন কন্যা ও মা হিসেবে তার প্রতিরক্ষার সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। স্ত্রী হিসেবে দিয়েছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সম্মানজনক অধিকার। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সুনিশ্চিত করেছে তার সামাজিক মর্যাদাও। অথচ এই বিষয়গুলো অনেকেরই অজানা। তাই বৃহত্তর সমাজে মুসলিম নারীরা আজ হীনম্মন্যতায় নিমজ্জিত। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ইসলামে নারীর সার্বিক অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা প্রত্যেক সচেতন মানুষের কর্তব্য। ইসলামের চোখে নারী গ্রন্থটি আপনার এই যাত্রায় সহায়ক হবে এবং এই বিষয়ে ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার ধারণা দেবে, ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 275
মাআল আইম্মাহ
দ্বীনকে সহজতর উপায়ে মানুষের নিকট তুলে ধরতে ইলমুল ফিকহে যে চারজন ইমামের অবদান সর্বাধিক, তাঁরা হলেন—ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। এ চার ইমামের জীবন ও কর্মই সংক্ষিপ্তরূপে বর্ণিত হয়েছে মাআল আইম্মাহ-এর প্রতিটি পৃষ্ঠায়। এর সুরভিত পাঠ পাঠককে নিয়ে যাবে বহুকাল আগের সেই সোনালি যুগে—যেখানে তাঁরা বেড়ে উঠেছেন, ইলম অন্বেষণ করেছেন এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে গড়েছেন জগৎখ্যাত ফকিহ হিসেবে।
-
Tk 275
সিক্রেটস অব ডিভাইন লাভ
আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিজগতের সকলকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন। এ ভালোবাসা আকাশের চেয়েও বিশাল, সমুদ্রের চেয়েও গভীর। যখন জগতের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, তখনও মহান আল্লাহ আপনার পাশে জেগে থাকেন। আপনার হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে যে কান্না, আল্লাহ তাও দেখেন। আপনার যে কষ্টের কথা জগতের কেউ জানে না, আল্লাহ তাও জানেন। আপনার পাপের চাইতে আল্লাহর ভালোবাসা অনেক বড়ো। আপনার কাঁটাযুক্ত যে অংশের ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত যে কেউ তা গ্রহণ করবে না, আল্লাহর স্নেহপূর্ণ ভালোবাসা তাও গ্রহণ করতে প্রস্তুত। এ গ্রন্থ আপনাকে আল্লাহর সেই চিরন্তন ভালোবাসার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে-যা আপনি নিজের ভেতর বহন করে চলেছেন, কিন্তু যার গভীরতা আপনি আজও অনুভব করতে পারেননি।
-
Tk 275
ইসলামি রাজনৈতিক তত্ত্বে রাষ্ট্রধারণা
‘রাষ্ট্র’ নাগরিক জীবনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। রাষ্ট্রকে ঘিরেই আবর্তিত হয় নাগরিক জীবনের কর্মকাণ্ড। রাষ্ট্রই সামাজিক জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করে। এটাই স্রষ্টা প্রদত্ত দুনিয়ার নিয়ম। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, এর কাঠামো, সংহতি, সুশাসন-সুবিচার, নিরাপত্তা-অধিকার, শিক্ষা-মর্যাদা, আত্মশুদ্ধি-আনুগত্য ইত্যাদির ওপর ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্র ও সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্টত কিছু না বলে কতক মূলনীতি বেঁধে দিয়েছে। ফলে অনিবার্যভাবেই রাষ্ট্র ও সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে স্বতন্ত্র চিন্তার উন্মেষ ঘটেছে ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে; তবে এই স্বাতন্ত্র্যতা মূল ও উদ্দেশ্যের জায়গায় অভিন্ন। ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক ও উত্তর-আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিভিন্ন যুগের বিশেষজ্ঞগণ যুগের পরিস্থিতির সাথে ইসলামি মূলনীতির সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ রাষ্ট্রতত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। পরিস্থিতির স্রোত ভিন্ন দিকে বাঁক নিলে আবারও নতুন তত্ত্ব বা পুরোনো তত্ত্বের বিশ্লেষণ অনিবার্য হয়ে পড়ে। এভাবেই উদ্ভব ঘটেছে অনেকগুলো রাষ্ট্রতত্ত্বের। ‘ইসলামি রাজনৈতিক তত্ত্বে রাষ্ট্রধারণা’ এই সমস্ত তত্ত্বেরই ধারাবাহিক বিবরণ ও বিশ্লেষণ। ইসলামি রাষ্ট্রের বিভিন্ন দিক ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এক মলাটে পেতে এই বইটি হতে পারে সেরা পছন্দ।
-
Tk 273
Tk 364অন্তরের রোগ (২য় খণ্ড)
অন্তরকে অসুস্থ-রোগাক্রান্ত করে তোলে এমনই কিছু কঠিন রোগের আলোচনা নিয়ে অসংখ্য প্রবন্ধ লিখেছেন শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ। সেসকল প্রবন্ধেরর সংকলন নিয়ে ‘অন্তরের রোগ’ নামে প্রকাশীত হয়েছে।
দ্বিতীয় খণ্ডে থাকছেঃ
০১. প্রেমাসক্তি,
০২. গাফিলতি,
০৩. ঝগড়া-বিবাদ,
০৪. অহংকার,
০৫. নেতৃত্বের লোভ
প্রতিটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ, এর ক্ষতি-অপকারিতা এবং রোগ থেকে বাঁচার চিকিৎসা ও উপায় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে এই সিরিজে।
-
Tk 270
আধুনিক জাহেলিয়াত
মহান আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত ইবলিস চায়—বনি আদম আল্লাহর দেখানো সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ুক। তাই সে ডান-বাম, সম্মুখ ও পশ্চাৎ থেকে বিভিন্নভাবে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে তাদের সামনে সুশোভিত করে তোলে জাহেলিয়াতের নানা মত, পথ ও উপকরণসমূহ। কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ অনুসারীগণ ভালো করেই জানেন, জাহেলিয়াতমাত্রই অজ্ঞতার নিরালোক অন্ধকার। আদমের অন্তরকে জুলুমাত আর গোমরাহিতে বিষিয়ে দিতে শয়তান কখনো ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে জাহেলিয়াতের মিশ্রণ ঘটায়, কখনো-বা আগ্রাসন চালায় মানবজীবনের প্রতিটি পদে ও পরতে। শয়তানের প্রধান হাতিয়ার এই দুই ধরনের জাহেলিয়াতকে মূলোৎপাটন করে ওহির আলোয় আলোকিত মানুষ ও সমাজ বিনির্মাণের এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার নাম আধুনিক জাহেলিয়াত।
-
Tk 270
ফুটস্টেপস অব প্রোফেট
মানবেতিহাসের মহানায়ক মুহাম্মাদ ﷺ-এর জীবন ছিল এমন এক মহাসমুদ্র, যেখান থেকে মণি-মুক্তা সন্ধানের কাজ চলতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। সমকালীন দুনিয়ার প্রখ্যাত স্কলার ড. তারিক রমাদান তাঁর ফুটস্টেপস অব প্রফেট গ্রন্থে খুব সংক্ষেপে এ মহামানবের জীবনকে একটু ব্যতিক্রমী ঢঙে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জীবনের খুঁটিনাটি ঘটনাপ্রবাহ নয়; তিনি ফোকাস করেছেন তাঁর রেখে যাওয় সেই সব শিক্ষার ওপর, যা সচরাচর আলোচিত হয় না এবং যা সময়ের সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে যুগ-যুগান্তরের মানুষের কাছে মহামূল্যবান পাথেয় হিসেবে উপস্থিত হয়। ফুটস্টেপস অব প্রফেট রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর একটি ব্যতিক্রমী জীবনীগ্রন্থ। নবিজীবনের ফুটস্টেপগুলো থেকে নিংড়ে বের করা কালোত্তীর্ণ শিক্ষার নির্যাস গ্রন্থটিকে সমৃদ্ধ করেছে।