• Tk 185Tk 250

    নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া

    আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফিরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোক মশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারের দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভিড়াবে? আজ বড় প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দ্যেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’ বই ।

  • প্রশ্নোত্তরে সীরাতুন্নবি (সা) dini.com.bd
    Tk 320

    প্রশ্নোত্তরে সীরাতুন্নবি (সা)

    ‘প্রশ্ন’ হলো কৌতূহলের বহিঃপ্রকাশ। আর ‘উত্তর’ হলো উদ্ভূত কৌতূহলের নিবৃত্তি। প্রশ্ন ও তার উত্তর খুঁজে বের করার মাধ্যমে মূলত টেকসই জ্ঞান অর্জিত হয়। নবিজির পুরো জীবনকে এই গ্রন্থে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক, ‘উসওয়ায়ে হাসানাহ’, সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ﷺ-এর পবিত্র সিরাত নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রচুর কাজ হয়েছে। আমাদের সম্মানিত ওলামায়ে কিরাম ও শাইখবৃন্দ তাদের মেধা ও যোগ্যতার সর্বোচ্চাটুকু ঢেলে দিয়ে সিরাতুন্নবি ﷺ লিখেছেন। ‘প্রশ্নোত্তরে সিরাতুন্নবি ﷺ’ সেই ধারাবাহিকতায় এক নতুন সংযোজন। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে রাসূল ﷺ-এর জীবনী সম্পর্কে জানার এই নতুন ধারা বিদগ্ধ সিরাতপ্রেমী পাঠকদের জ্ঞানের পালে নতুন হাওয়া নিয়ে আসবে, ইনশাআল্লাহ।

  • হালাল বিনোদন dini.com.bd
    Tk 120

    হালাল বিনোদন

    এটা হারাম। ওটা হারাম। এটা করা যাবে না। ওটা করা যাবে না। তাহলে কি ইসলামে বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ। আছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। কিছু ভালো। কিছু খারাপ। খারাপটা থেকে যদি ভালোটা আলাদা করতে না-পারি তাহলে নিছক আনন্দও হয়ে উঠবে শোচণীয় পরিণতির কারণ। কাজেই, সাবধান হওয়া জরুরি। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না-হয়, ফোটানো না-হয়, তাহলেই সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতি। এই বইতে আমরা আপনাকে একটা ফিল্টার দেব। এই ফিল্টারে করে আপনি সব ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন নিজেই। আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে।

  • কয়েকটি গল্প dini.com.bd
    Tk 100

    কয়েকটি গল্প

    মানুষ স্বপ্ন দেখে প্রতিনিয়ত। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে পুরো জীবন অতিবাহিত করে। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে কেউ জীবনের প্রতিটি স্তর সৌখিনতায় সাজিয়ে তোলে। আবার কেউ-বা শুধুই দুবেলা পেট ভরে খাবার খেতে পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দুটোই, কিন্তু পার্থক্য বিশাল। প্রত্যেকটা স্বপ্নই যার যার কাছে অনেক বড়ো।সেই স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে আসে কেউ অসংখ্য বাধা অতিক্রম করে। আবার কেউ-বা বাধাহীনভাবে স্বপ্ন পূরণ করে অবলীলায়। পৃথিবীর হাজারো পথ-পরিক্রমার মধ্যে দিয়ে কিছু ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘কয়েকটি গল্প’।

  • Tk 203Tk 225

    প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ

    বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টাশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে। ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফের খুনসুটি, কোথাও বা মজার কোন স্মৃতির রোমন্থন, কোথাও বা আছে সিরিয়াস কোন ব্যাপারে সিরিয়াস কোন হুশিয়ারি। গল্পে মজা আছে, আনন্দ আছে। মোটামুটি, সার্থক গল্পে যা যা উপাদান থাকা দরকার, যা যা থাকলে পাঠকের গল্প পাঠে বিরক্তি আসেনা, রুচি হারায় না- তার সবকিছুর এক সম্মিলিত সন্নিবেশ যেন লেখক আরিফ আজাদের এই সিরিজের একেকটি এপিসোড। গল্পে গল্পে যুক্তি খন্ডন, পাল্টা যুক্তি ছুঁড়ে দেওয়া, পরম মমতায় অবিশ্বাসের অন্ধকার দূরীকরণে এ যেন এক বিশ্বস্ত শিল্পী।

  • Tk 36Tk 60

    ইউ মাস্ট ডু বিজনেস

    চমৎকার এই বইটি মুসলিম অন্ট্রাপ্রানার নেটওয়ার্কের সঙ্গে ড. তাওফিক চৌধুরির একটি সাক্ষাৎকারের আলোকে রচিত। ড. তাওফিক চৌধুরি বিশ্ববিখ্যাত মার্সি মিশনের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান। এটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মুসলিম সামাজিক উদ্যোগগুলীর মধ্যে অন্যতম। একটি বহুজাতিক আইটি কোম্পানির প্রাক্তন সিইও থেকে বর্তমানে তিনি একাধারে একজন পেশাদার ব্যবসায়ী, প্র্যাকটিসিং মেডিকেল ডাক্তার, কর্পোরেট এবং ব্যাবসায়িক প্রশিক্ষক। ইসলামি আইন-বিধান, ফাইন্যান্স এবং মেডিকেল এথিক্সের ওপর বিশেষ ব্যুৎপত্তি তাকে একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

  • Tk 91Tk 152

    ভ্রূণের আর্তনাদ

    একটি ভ্রূণের হৃদয়-বিদারক অনুভূতি এবং বেঁচে থাকার তীব্র আকুলতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ বইটির পাতায় পাতায়। ভ্রূণহত্যার মতো গর্হিত কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে এবং সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তুলতে এমন বইয়ের জুড়ি মেলা ভার।

  • Tk 174Tk 290

    তিনিই আমার রব

    বইটির রচয়িতা শায়খ আলী জাবের আল ফিফী (হাফিজাহুল্লাহ)। এই বইটি হচ্ছে মহান আল্লাহ সুবাহান ওয়া’ তা’য়ালার দশটি মহান নামের ব্যাখ্যা। আল্লাহ রাব্বুল আলা’মীনের দশটি নামকে জীবনের প্রতিটা দৃষ্টিকোণ, প্রতিটা ক্ষেত্র থেকে ব্যাখ্যা করতে লেখক পাঠকদের নিয়ে প্রবেশ করেছেন ভিন্ন এক জগতে। সেই জগতে কোন দুঃখ নেই, কোন কষ্ট নেই। সেই জগতে নেই কোন হতাশা, না পাওয়ার যাতনা। সেই জগত কেবল রব আর তাঁর বান্দার। সে জগতে রাজা হলেন আরশের অধিপতি, আর দাস তথা প্রজা হলো বান্দারা। সেখানে পৃথিবীর কোন মন্ত্রী নেই, প্রধানমন্ত্রী নেই। নেই কোন সেলেব্রেটি। সবাই সেখানে কেবলই বান্দা। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন তাঁকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামগুলো ধরে ডাকতে। কিন্তু কেনো তিনি এমনটা বলেছেন? কখনও কি চিন্তা করেছি? আল্লাহর নামগুলোর পেছনে কি নিগূঢ় এক রহস্য, কি যে এক মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে, তা কি আমরা জানি? জানিনা। লেখক এই বইটিতে সেই রহস্যের দ্বার উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন খুব সুনিপুণভাবে।

  • Tk 112Tk 186

    তিনিই আমার প্রাণের নবি (সা.)

    শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী রচিত এই বইয়ের পরতে পরতে পাঠক নবীজিকে নতুন ভাবে চিনবেন। দেখবেন, তিনি এসেছেন মহানুভুবতা, ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে। জানবেন, তার শুভামন ঘটেছে মহান রবের পক্ষ থেকে এক আলো-ঝলমলে বার্তা নিয়ে, যে আলোয় ভেসে যায় সমস্ত অনাচার, মুছে যায় সব মিথ্যে উপাস্যের ঠুনকো অস্তিত্ব। তিনি জানেন ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে। তিনি জানেন সকলের মাঝে ভালোবাসার বীজ বুনে দিতে। বইয়ের প্রতিটি পরিচ্ছেদ পড়ার সময় পাঠকমনে একটি কথাই বার বার প্রতিধ্বনিত হবে: তিনিই আমার নবী, তিনিই আমার প্রাণের নবী, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

  • Tk 96Tk 160

    সুখের নাটাই

    সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে মানুষ সুখের সন্ধান করে ফিরছে। নিজেদের জীবনকে সুখের আবরণে আচ্ছাদিত করতে মানুষের আজন্ম অভিপ্রায়। সভ্যতা এগোলো, মানুষ সংঘবদ্ধ হলো, গড়ে উঠলো সমাজ, রাষ্ট্র আর পরিবার। মানুষ থিঁতু হলো একটা জায়গায়। কিন্তু, সুখ সন্ধানে তার যে পৌরাণিক পৌনঃপুনিকতা, তা থেকে সে কি নিবৃত হতে পেরেছে কখনো? আজ আমরা জানি, ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবন কিংবা রাষ্ট্রজীবন, সবখানেই মুখ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবার। একটা পরিবার কাঠামোর মধ্যেই নিহিত থাকে আমাদের সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন আর ব্যক্তিজীবনের সুখের বীজ। আমাদের পরিবার যতোখানি গোছানো হবে, যতোখানি পরিপাটি হবে আমাদের সংসার, আমরা ততোখানিই সুখের কাছাকাছি যেতে পারবো। তবে, এসবকিছুকে ছাপিয়ে, সুখী জীবনের সবচেয়ে বড় এবং সারকথা নিহিত আছে যে বিষয়ে, তা হলো মহান রবের সন্তুষ্টি। আমরা একটা বৃত্তবন্দী জীবন পার করি। আমাদের কেন্দ্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানই প্রধান এবং মুখ্য। ফলে, আমরা যতোখানি কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকতে পারবো, কিংবা একীভূত হতে পারবো তার মাঝে, ততোই আমাদের জীবন সুখী হবে। সুখের সুন্দর সৌন্দর্য তখন আমাদের জীবনে প্রস্ফুটিত হবে। বৃত্তবন্দী সেই জীবনের পরত থেকে, সুখের অনুসন্ধানে লেখিকা আফরোজা হাসান রচনা করেছেন ‘সুখের নাটাই’ শিরোনামে একটি অনন্য শৈলীর উপাখ্যান। আমাদের বৃত্তবন্দী জীবনের অলিগলি থেকে, জীবনের পরত থেকে তুলে আনা সুখ সন্ধানের গল্পগুলো লেখিকার কলমে দারুণ শৈল্পীকতার রূপ লাভ করেছে। ‘সুখের নাটাই’-এ ভর করে, আমরাও ডুব দেবো অনন্ত অসীম আকাশে, যেখানে দেখা মিলবে সত্যিকার সুখের ঘুড়ির।

  • Tk 168Tk 280

    সিরাজুম মুনির

    সিরাত পড়তে গিয়ে কিছু কিছু ঘটনা আমরা খুব একটা মনোযোগের সাথে পড়ি না। শুধু চোখ বুলিয়েই চলে যাই। আবার কিছু ঘটনা আছে, যেগুলো খুব একটা জনপ্রিয় না; ধারাবাহিক সিরাতের গ্রন্থগুলোতেও পাওয়া যায় না। এমন ঘটনাগুলোকে ‘সিরাজাম মুনির’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণত দেখা যায়, কেউ একটি সিরাতগ্রন্থ পড়েই হাত গুটিয়ে বসে পড়েন। আমাদের বিশ্বাস, ‘সিরাজাম মুনির’ বইটি পাঠকের এই ধারণা ভেঙে দিতে সক্ষম হবে ইনশা আল্লাহ। বইটি পড়ে সিরাত অধ্যয়নের তৃষ্ণা নিবারণ তো হবেই না, উল্টো আরো বেড়ে যাবে এই আমাদের প্রত্যাশা।

  • Tk 106Tk 176

    শিশুর মননে ঈমান

    কোন দিকে অগ্রসর হবে আমাদের আগামী প্রজন্ম? কোন দিকে যাত্রা করবে নতুন দিনের অভিযাত্রীরা? তারা কি ডুবে যাবে কালের আঁধারে? বিলীন হবে অশুদ্ধতার অশুভ গহ্বরে? নাকি, তারা হৃদয়-মাঝারে বয়ে বেড়াবে আলোর ফুলকি? আলোকিত করে যাবে জনপদ থেকে জনপদ? তারা কি রাঙিয়ে তুলবে ভুবন? নতুন করে ছিনিয়ে আনবে হারিয়ে যাওয়া সোনালি প্রভাত? তারা কি বেড়ে উঠবে ফুলের কুঁড়ির মতো? প্রস্ফুটিত হবে দিগন্ত আলো করা শোভা নিয়ে? তারা কি আখিরাতেও আমাদের জন্য আলো হবে? প্রদীপের মতো হবে পথযাত্রী? আগামীর সেই অভিযাত্রীদের মনে দীপ্ত এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই রচিত হয়েছে ‘শিশুর মননে ঈমান’।

  • Tk 258Tk 430

    শিকড়ের সন্ধানে

    নিজেকে জানতে পারার মধ্যেই সক্রেটিস মানবজীবনের সার্থকতা খুঁজেছেন। সক্রেটিসের এই দর্শন আদতে কানায় কানায় সত্য। মানবজীবন ঠিক তখনই পরিপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করে যখন মানুষ নিজেকে জানতে শুরু করে ও আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে প্রলুব্ধ হয়। নিজেকে উদঘাটন করতে পারলেই ঠিক করে ফেলা যায় জীবনের দর্শন। জীবনের গন্তব্য, উদ্দেশ্য এবং রদবদল, সবকিছু সহজ হয়ে যায় যদি নিজেকে জানা যায়। যদি একেবারে শেকড়ে ফিরে চেনা যায় নিজের প্রকৃতি। ‘মুসলমান’ হিসেবে এই ব্যাপারটা আরও বিশদভাবে সত্য। আমরা যদি নিজেদের আত্মপরিচয়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা প্রদত্ত গৌরবময় মর্যাদা ‘মুসলমানিত্বের’ সঠিক মর্মার্থই বুঝতে না পারি, তাহলে কীভাবে নির্ধারণ করব নিজেদের গন্তব্য এবং উদ্দেশ্য? কেন-ই বা আমরা মুসলিম, অন্যরা কেন নয়, কীভাবে আমরা মুসলিম হলাম, আমাদের ঠিক আগে, আল্লাহর একাত্মবাদে যারা আসীন ছিলেন, তারা কোন পরিচয়ে ধন্য হয়েছেন, তাদের সাথে আমাদের যোগসাজশ কোথায়? সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্য কী কী, এসব জানতে পারাই হলো আমাদের আত্মপরিচয় সন্ধানের প্রথম সবক। ‘শেকড়ের সন্ধানে’ বইতে লেখিকা হামিদা মুবাশ্বরা ঠিক আমাদের জন্য এই কাজটিই করেছেন। তিনি আমাদের নিয়ে গেছেন অতীতে একেবারে গোড়ায়, যেখান থেকে আমাদের আত্মপরিচিতির শুরু। কত হাওয়া বদল করে, কত বাঁক পেরিয়ে, কত সময় পার করে, কত ঘাত-প্রতিঘাতে আমরা আমাদের শেষ পরিচয়, ‘মুসলমান’ এ এসে ঠেকেছি, সেই মহাযাত্রার রহস্যপানে লেখিকা আমাদের ভ্রমণ করিয়েছেন। লেখিকা কেবল আমাদের সোর্স থেকে আমাদের ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিবারণ করাননি। তিনি আমাদের কখনো তাওরাতে, কখনো ইঞ্জিলে, আবার কখনো কুরআনে ডুব দিইয়েছেন। প্রসঙ্গক্রমে ঢুকে পড়েছেন বিশাল বিস্তৃত হাদিসশাস্ত্রের ভেতরেও। লেখিকার অণ্বেষণ প্রক্রিয়া, জানার তীব্র আকাঙ্খা, সত্যকে আজলা ভরে তুলে আনার ঢঙ বেশ আশাজাগানিয়া। এ রকম একাডেমিক একটা বিষয়কে তিনি কীভাবে সাধারণ মানুষদের জন্যও উপযোগী করে ফেললেন তা-ও বিস্ময় জাগানিয়া!

  • Tk 192Tk 320

    সালাফদের জীবনকথা

    ঐশী আলোয় উদ্ভাসিত যে-জীবন, কতই না উত্তম সেই জীবনের গল্প। নববী আদর্শে উজ্জ্বল যাদের পদরেখা, কতই না মহিমান্বিত সেই জীবনধারা। সেই জীবন এমন এক অঙ্কিত ছবির মতো, যেখানে রঙতুলিতে আঁকা হয় মহান রবের সান্নিধ্য লাভের পথ। সেই পথ মুখরিত হয়ে আছে কুরআনের সুর-তাল-লহরিতে। আলোকিত হয়ে আছে এমন এক অপার্থিব আলোয়, যে-আলো প্রথম ঝলমল করে উঠেছিল নির্জন, নিস্তব্ধ হেরার অন্ধকারে। এরপর, সেই আলোর বিচ্ছুরণে যাদের জীবন রাঙিয়ে উঠেছিল, তারাই আমাদের মহান পূর্বসূরি। আমাদের উত্তম পূর্বপুরুষ। আমাদের সালাফ। তাদের যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবির নাম ‘সালাফদের জীবনকথা’।

  • Tk 159Tk 265

    সবর

    আমাদের জীবনটা বড্ড সমস্যা সংকুল। হঠাৎ করে যদি বাবা মারা যায় অথবা মা, অথবা যদি অনাকাঙ্খিতভাবে হারাতে হয় চাকরি, জীবন যদি বিপদের ঢালি নিয়ে হাজির হয় আমাদের সামনে, আমরা ভেঙে পড়ি। দূর্বল হয়ে পড়ি। ভিতরে ভিতরে গুড়িয়ে যাই। জীবন এমনই। বহতা নদীর স্রোতের মতো জীবনের গতিপথ সরল এবং সোজা নয়। জীবনের পথ কখনো সমান্তরাল হয়না। অনিবার্য বাস্তবতা হলো এই, জীবনের গতিপথ সবসময় দূর্গম এবং বন্ধুর। পথে পথে কাঁটা বিছানো। আমরা যদি নবী-রাসূলদের জীবনের দিকে তাকাই, তাহলে দেখবো যে তাদের জীবনের অধিকাংশ সময়ই অতিবাহিত হয়েছে এই দূর্গম এবং বন্ধুর পথ মাড়ি দেওয়ার মাধ্যমেই। তারা যে পরিবেশ, পরিস্থিতিতে তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে ধরায় এসেছেন, সেই পরিবেশ-পরিস্থিতি কখনোই তাদের পক্ষে ছিলোনা। তাদেরকে জীবনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অথচ, তাঁরা ছিলেন নিষ্পাপ। তাহলে কেনো তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে এই কঠিন বাস্তবতার? হ্যাঁ, পরীক্ষা সবসময় বান্দার পাপের ফল নয়। কখনো কখনো বান্দার পরীক্ষাগুলো তার জন্যে আল্লাহর বিশেষ রহমত। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই আল্লাহ্ তাঁকে করে নেন আরো প্রিয়, আরো আপন, আরো উত্তম; কিন্তু, সব পরীক্ষাই যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত, তাও নয়। এর কিছু আছে বান্দার পাপের ফল। বান্দার নিজ হাতে কামাই করা গুনাহর ফসল। বান্দা যখন পাপ করতে করতে নিজের আত্মাকে কলুষিত করে তোলে, তখন তার জন্যে নেমে আসে আযাব। সেই আযাবের নামই পরীক্ষা। একজন মুসলিম কখনোই ধৈর্য হারায় না। ভেঙে পড়েনা। মনোবল হারায় না। আল্লাহর উপর, আল্লাহর ফয়সালার উপর তার পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস থাকে।

  • Tk 150Tk 250

    রিক্লেইম ইয়োর হার্ট

    মানুষের সত্যিকার সংশোধন কীসে? প্রশ্নটার উত্তর অনেক রকমের হতে পারে। নিরেট বস্তুবাদী কেউ হয়তো তার বস্তুবাদী দর্শনের সঠিক বুঝটাকেই সত্যিকার সংশোধন বলতে চাইবে। কিন্তু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের এভাবে বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের ভেতরে একটা মাংসপিণ্ড আছে। ওই মাংসপিণ্ড যদি সুস্থ থাকে, তাহলে আমরাও সুস্থ থাকি। আবার ওই মাংসপিণ্ড যদি অসুস্থ হয়, অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরাও। নবিজির এই বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, শরীরের ভেতরের মাংসপিণ্ড বলতে তিনি আসলে অন্তর তথা হৃদয়কেই বুঝিয়েছেন। এই সুর আমরা কুরআনের একটা আয়াত থেকে পাই। আল্লাহ বলেছেন, ‘চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত অন্তর।’ মানুষের চোখ কখনো বিভ্রান্ত হয় না, অন্ধ হয় না। আল্লাহ বলছেন, অন্ধ হয় হৃদয়। কুরআন ও নবিজির হাদিস থেকে প্রমাণিত যে, আমাদের সত্যিকার সংশোধন মূলত অন্তর তথা হৃদয়ের পরিশুদ্ধিতে যদি আমরা আমাদের হৃদয়কে শুদ্ধ করতে পারি, জাগাতে পারি অবাধ্যতা আর অসচেতনতার গভীর ঘুম থেকে, তাহলেই হয়তো মানব-মনের সত্যিকার সংশোধন সম্ভব।

CATEGORIES