-
Tk 45
Tk 60বুদ্ধিদীপ্ত জাগরণের প্রত্যাশায়
সাম্রাজ্যবাদের প্রশাসনিক নাগপাশ থেকে ইসলামি বিশ্ব মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তাদের চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসন আগের চেয়ে আরাে জোরদার হয়েছে। তাদের রেখে যাওয়া শিক্ষাব্যবস্থার বিষবাষ্পে আক্রান্ত হয়ে আছে মুসলিম তরুণসমাজ, তাদের প্রণীত আইন কানুন ও সামাজিক আচার আচরণে আটক হয়ে আছে ইসলাম ও মুসলিম জনগণ। সাম্রাজ্যবাদী গােষ্ঠির কোলে লালিত সন্তানরা এ উম্মাহর সামনে এক জীবন মরণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে। এদের চিন্তা ও মনন, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে সাম্রাজ্যবাদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে। আমাদের প্রতিটি জনপদ এ আত্মবিকৃত শ্রেণির পদচারণায় কলুষিত। এরা আজ মুসলমানদের নির্বাহী ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিপতি।
-
Tk 75
Tk 100আমার আব্বু
মা’কে নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক গল্প, অনেক গ্রন্থ। কিন্তু বাবাকে নিয়ে লেখা হয়েছে সামান্যই। বাবার জন্য ভালোবাসার ধূপ জ্বেলে নিজের জীবনকে সুরভিত করার গল্প বলেছেন লোকমান হাকিম। লেখক নিজেই বলছেন তার অনুভূতির কথা— ‘আমার এক দু’টো লেখা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। আমি তা কাউকে বলিনি। তবুও ছোট ভাইয়েরা এসব ঘাঁটাঘাঁটি করে বের করে আব্বুকে দেখিয়েছে। আব্বু লেখাগুলোয় চোখ বুলিয়েছেন। একটু নেড়েচড়ে দেখেছেন। দেখে যেমন খুশি হয়েছেন তেমনি মন খারাপও করেছেন। আমি কি লেখাপড়া ফেলে রেখে এখন তবে এসবই করছি? আর এসব বলতে কী করছি—তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আমাকে নিয়ে এক ধরনের ভয়, শঙ্কা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তাঁর মাঝে কাজ করছে। ‘আর আমার লেখাপড়াও প্রায় শেষের দিকে।
-
Tk 75
Tk 100গল্প বলি ফিলিস্তিনের
আল-কুদস। জেরুজালেম। ফিলিস্তিন। আমাদের মুসলিম মানসে অনির্বাপিত ব্যথার দীপশিখা। যুগ যুগ ধরে আমরা এ ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। প্রতিদিন এ ব্যথা থেকে রক্তপাত হচ্ছে; আমরা কাঁদছি, হাহাকার করছি, আকাশ কাঁপিয়ে আরশের মালিকের কাছে প্রার্থনা করছি-আগামী রমজানে আমরা আবার বায়তুল মুকাদ্দাসের চত্বরে বসে ইফতার করতে চাই। হে আল্লাহ! তুমি আবার আমাদের সেই সাহায্য ও শক্তি দান করো। আল্লাহ নিশ্চয় একদিন আমাদের প্রার্থনা গ্রহণ করবেন। আমরা সেই দিনের প্রতীক্ষায় প্রতিদিন সইছি ব্যথার দহন। এ গ্রন্থ সেই ব্যথাদীর্ণ ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও বর্তমান তুলে এনেছে হৃদয়গ্রাহী বর্ণনায়।
-
Tk 75
Tk 100হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল
অধিকাংশ কথা নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আপন চিন্তার প্রতিফল। আবশ্যিকভাবে এ অভিজ্ঞতা ও চিন্তা উদয় হয়েছে আমাদের সময়ের তরুণদের নিয়ে। যাদের আমি, দেখেছি, যাদের ব্যাপারে শুনেছি অথবা যাদের দেখিনি বা যাদের কিছুই শুনিনি—এমন সব তরুণ-তরুণীরা। মনােজাগতিক অনেক কষ্ট নিজের করে বয়ান করেছি। এ বই এই পৃথিবীর সকল দুঃখী কিশাের-কিশােরীর, তরুণ-তরুণীর, যারা ব্যস্ত পৃথিবীকে একদিকে সরিয়ে রেখে নিজের সঙ্গে নিজেই একলা কাঁদে।
-
Tk 75
Tk 100রাসূলের জন্য ভালোবাসা
রাসুলের জন্য ভালোবাসা শিরোনামে মলাটবদ্ধ হয়েছে আলি তানতাভির এগারোটি প্রবন্ধ। রচনাগুলোর জন্মক্ষণ ১৯৩২ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত বিস্তৃত। ইতস্ত বিক্ষিপ্ত রচনাগুলো মলাটবদ্ধ করা ছিল একটি আয়াসসাধ্য কাজ৷ সেটিই আঞ্জাম দিয়েছেন লেখকের দৌহিত্র মুজাহিদ মামুন দিরানিয়্যা। লেখাগুলোর কোনো কোনোটি প্রকাশের আগে পঠিত হয়েছিল বেতারে, উপস্থাপিত হয়েছিল আলোচনাসভায় বক্তৃতা হিসেবে। আলি তানতাভি নবীজির জীবন নিয়ে রীতিমতো সাধনা করেছেন। আজীবন সিরাত নিয়ে লিখেছেন বিস্তর। বক্তৃতা-অধ্যাপনা করেছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে। তাঁর দীর্ঘ সিরাতযাপনের সরল অভিব্যক্তির কিছু পাওয়া যাবে প্রথম প্রবন্ধের ভূমিকা অংশে। অবশ্য গোটা বইজুড়েই ছড়িয়ে আছে সিরাত বিষয়ে তাঁর গভীর দৃষ্টি ও বিপুল অভিজ্ঞতার সারনির্যাস। যা আশা করি, বোদ্ধা পাঠকের চোখ এড়াবে না। বইটির লেখক বিংশ শতাব্দীর এক সমাজচিন্তক দার্শনিক ড. শায়খ আলি তানতাভি। ১৯০৯ সালে সিরিয়ার দামেশকে জন্ম। পৈত্রিক আবাস মিসরের তানতা শহর হওয়ায় তানতাভি নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। ছাত্রজীবনেই তুখোড় মেধার কারণে তিনি শিক্ষকগণের দৃষ্টি কাড়েন। সেকালে গবেষণা ও জ্ঞানসাধনায় তার পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল ঈর্ষণীয়। সতের বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও গল্প প্রকাশ হতে থাকে। ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ ও ফরাসি সাম্রাজ্যবাদীদের জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি ইরাক গমন করেন। সুদীর্ঘ পাঁচ বছর পর দামেশকে ফিরে এসে বিচারক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে সিঁড়ি বেয়ে তিনি প্রধান বিচারপতির আসন অলঙ্কৃত করেন। গবেষণামূলক লেখালেখির খ্যাতির মধ্য দিয়ে তিনি মক্কা মুকাররমা শরিয়া কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যুগ-জিজ্ঞাসার সমাধানমূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পাশাপাশি নিয়মিত পত্র-পত্রিকায় কলাম লেখা, বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ প্রণয়ন আর বিভিন্ন মাদরাসা-কলেজে দরসদানও চলতে থাকে সমান গতিতে। ১৯৯৯ সালে ৯০ বছর বয়সে শাইখ আলি তানতাভি মক্কা নগরীতে ইন্তেকাল করেন।
-
Tk 82
Tk 110সাহাবাজীবন
এ বই মূলত কয়েকজন মহান সাহাবির আদর্শদীপ্ত জীবনের বিক্ষিপ্ত গল্প। লেখাগুলো তৈরি করেছিলাম করোনা মহামারির শুরুর দিকে ‘সাহাবাজীবন’ ওয়েবসাইটের জন্য। কিন্তু সবকয়টি লেখা জমা দিইনি, রেখে দিয়েছিলাম নিজের কাছে। সেগুলোকে আরেকটু ঘষামাজার পর বক্ষ্যমাণ বইয়ের রূপটি দাঁড়িয়েছে। সাহাবিদের ঈমানদীপ্ত জীবন পড়তে বসে এ বই থেকে পাঠক যদি সামান্যতম উপকারও লাভ করেন, নবীজির সাথিবর্গের জীবনাদর্শ পাঠে তাঁরা যদি আরও উজ্জীবিত ও আগ্রহী হয়ে ওঠেন, তাহলে নিজের শ্রমকে সফল ও সার্থক মনে করব।
-
Tk 90
Tk 120আসমানি আদালত
এক ইরাকি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল-এর জীবনে প্রত্যক্ষ করা শিক্ষণীয় ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনার গল্প নিয়ে রচিত গ্রন্থ- আসমানি আদালত। লিখেছেন ব্রি. জেনারেল মাহমুদ উশ শওকত। অনুবাদ করেছেন লাবীব আবদুল্লাহ।
-
Tk 90
Tk 120নবীপত্নী মহিয়সী খাদিজা
তিনি নবীজির প্রথম স্ত্রী, প্রথম মুসলিম। ইসলামের সর্বযুগের চার শ্রেষ্ঠ নারীর একজন। একটি বিরামহীন, ছন্দপতনহীন, অনিন্দ্যসুন্দর জীবনের প্রতিচ্ছবি। যিনি ইসলামের প্রাথমিক দিনগুলোতে সর্বমুখী বিপদের মোকাবেলা করে নবীজির সহযোগিতায় জীবনের সর্বস্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। ছায়ার মতো তাঁর সঙ্গে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিলেন। সকল শঙ্কা, ভয়, দুশ্চিন্তা থেকে তিনি তাঁকে মুক্ত করে আনতেন নিঃস¦ার্থ ভালোবাসার স্নিগ্ধতায়। নবীজি তাঁর এ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অবদানের কথা আজীবন স্মরণ রেখেছিলেন। তাঁর পবিত্র হৃদয়ে খাদিজার স্মৃতি ছিল চির জীবন্ত, জাগরুক। আবদুল হামিদ মাহমুদ তহমাজ সিরিয়ার খ্যাতনামা আলেমদের একজন। গত শতকের শেষভাগে হানাফি ফিকহ সম্ভারে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়েছে, শাইখ তহমাজের আল ফিকহুল হানাফিছ্যু ফি সাওবিহিল জাদিদ তার অন্যতম। বাংলাদেশের ধর্মীয় মহলেও কিতাবটি ব্যাপকভাবে পাঠ্য। যারা তাঁকে চেনেন, তাঁর রচনা সম্পর্কে তাদের নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সাইয়িদা খাদিজা গ্রন্থটিও তাঁর একটি অনবদ্য সংকলন। এতে তিনি সুনিপুণ হাতে বয়ান করেছেন উম্মুল মুমিনিনের জীবনালেখ্য।
-
Tk 90
Tk 120কীর্তিমানদের ছেলেবেলা
যারা কালোত্তীর্ণ, যারা কীর্তিমান—যুগে যুগে সেই সব মানুষের বন্দনা গাওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে কীর্তিগাথা। কাল পেরিয়ে মহাকালের পটে লেখা হয়েছে তাদের নাম। অক্ষয় হয়েছে তাদের কীর্তি। তাদের জীবনের নানা কাহিনী বিবৃত হয়েছে মানুষের মুখে মুখে। তেমনই কিছু দীপ্তিমান ক্ষণজন্মা মনীষীর জীবনের নানা দিক নিয়ে লেখা হয়েছে এ বই। তাদের বেড়ে উঠার গল্প বলা হয়েছে। হালকা মেজাজে। পরিশীলিত ঢংয়ে। পাঠক গল্পের আবেশে হারিয়ে যাবে। মুগ্ধতা নিয়ে পাঠ শেষ করবে। তারই ফাঁকে জানা হয়ে যাবে কিছু অসামান্য মানুষের কিংবদন্তিতুল্য জীবনকাহিনি। সেই জীবনের নানা বাঁক, নানা দিক। যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ত্যাগের ইতিহাস। আত্মদানের লোমহর্ষক বর্ণনা। প্রচেষ্টা ও উদ্যমের গল্প। তাদের কেউ কেউ দেশমাতৃকার তরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আবার কেউ কেউ জ্ঞান সাধনার জন্য জীবন বাজি রেখেছেন। কেউবা লক্ষ্যপানে ছিলেন অবিচল। অন্তহীন ছুটে চলেছেন। তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিয়েছেন। কঠিন বিপদের মুখেও নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য তাড়া করেছে তাদের। এক সময় সফলতা এসে তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়েছে—এমনই নানা মানুষের নানা কথা ছড়িয়ে আছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। যা আপনাকে ভাবাবে, আকুল করবে। অজান্তেই নিজের মাঝে বড় হওয়ার স্বপ্নের বীজ বুনে যাবে। বিকশিত ও সফল জীবনের হাতছানি দিবে। এসো, এখানে এসো, এখানে জীবনের জন্মসংগীত গাওয়া হয়। পাঠক গল্পগুলো পাঠ করে যারপরনাই অবাক হবেন। কেননা আমরা এতদিন যেসব কীর্তিমানের নাম শুনে এসেছি, শ্রদ্ধার সঙ্গে যাদের স্মরণ করেছি, লেখক সাগরের বুকে মুক্তো তালাশের মতো তাদের জীবনের সুন্দর একটা মুহূর্ত তুলে এনেছেন। যে মুহূর্ত তাকে পরবর্তী জীবনে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ইবনে জাহেজ, ইবনে হাইসাম, আল বিরুনি, ইবনে হাইয়্যান, আল হামাভি—এমন মহান পুরুষদের শৈশবের গল্প যতটা চিত্তাকর্ষক, তার চেয়েও দরকারি হলো শৈশবে তাদের বেড়ে উঠার শিক্ষা সম্পর্কে অবগত হওয়া। লেখক তাঁর বইয়ে গল্প বলতে গিয়ে ঠিক সে কাজটিই করেছেন।
-
Tk 90
Tk 120ঐশী বিচার
ইরাকি লেখক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ শিত খাত্তাব আমাদের কাছে অপরিচিত নন। এর আগে নবপ্রকাশ থেকে ‘আসমানি আদালত’ নামে লেখকের আরেকটি বই অনূদিত হয়ে প্রকাশ হয়েছে। বইটি পাঠকমহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গল্পকার হিসেবে মাহমুদ খাত্তাবের বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে গল্পের মোড়ক পরিয়ে পাঠকের সামনে হাজির করেন। গ্রন্থের সবগুলো গল্পই তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ। তিনি যেসব ঘটনা শুনেছেন, যে বিষয় সম্পর্কে জেনেছেন কিংবা বাস্তব জীবনে প্রত্যক্ষ করেছেন—এমন সব ঘটনা ও বিষয়কে তিনি গল্পের আদলে নিয়ে এসে উপস্থাপন করেন বাঙময় ভাষায়। তাঁর গল্পের অন্য আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি শুধু বাস্তব জীবনের ঘটনা তুলেই ক্ষান্ত হন না, বরং প্রতিটি গল্পের ভেতর দিয়ে তিনি পাঠককে শিক্ষা দেন কোনো না কোনো আবশ্যিক শিক্ষণীয় পাঠ। সমাজের অনেক অনাচার, চারিত্রিক অনেক স্খলন, ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য অহিতকর বিষয়গুলো তিনি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেন পাঠকের চোখের সামনে। ফলে, তাঁর বলা গল্পগুলো আমাদের জন্য সবসময় পাঠ্য। তাঁর গল্পের আবেদন কখনো ফুরোবার নয়। নবপ্রকাশ এ ধরনের শিক্ষণীয় ও সমাজহিতৈষী গল্প ও গ্রন্থ প্রকাশে বদ্ধপরিকর। পশ্চিমাদের কুরুচিপূর্ণ ও যৌনতাসর্বস্ব গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে আমাদের তরুণ পাঠকদের মস্তিষ্কে যে বিকৃতি প্রবেশ করানো হচ্ছে, তার প্রভাব পড়ছে আমাদের পুরো তরুণসমাজের ওপর। এতে করে নষ্ট হচ্ছে পরিবার, সমাজ এবং দেশ-জাতি। অন্তর্গতভাবে আমরা পরিণত হচ্ছি একটি অন্তঃসারশূন্য মেধাহীন জাতিতে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমরা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত জাতিতে পরিণত হবো—এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এসব বিবেচনায় রেখে ইরাকি গল্পকার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ শিত খাত্তাব গত শতকে বেশ কিছু গল্পগ্রন্থ রচনা করেন। বইগুলো সে সময় পাঠকমহলে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয় এবং ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। বক্ষ্যমাণ বইটি লেখকের রচিত আরবি ‘তাদাবিরুল ক্বাদর’ গল্পগ্রন্থের বাংলা রূপায়ন।
-
Tk 90
Tk 120হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফঃ অন্য আলোয় দেখা
হাজ্জাজকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কেউ তাঁকে বলে কাফের, কেউ বলে ফাসেক। কেউ একচেটিয়াভাবে উল্লেখ করে তাঁর সৎকর্মগুলো। আবার কেউ কেউ উল্লেখ করে শুধু তাঁর অসৎ কর্মগুলো। এভাবে নানাজন নানা কথা বলে তাঁর ব্যাপারে। আমরা সেদিকে আর যাব না এখন। আমাদের কথা হলো সাফ। হাজ্জাজ একজন স্বৈরাচার ও জালেম ছিলেন, এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি বহু সাহাবি ও তাবেয়ি খুন করেছেন। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই কোনো মানুষের। কিন্তু তিনি তো আবার ইসলামেরও বহু খেদমত করেছেন। করেছেন কোরআনের সেবাও। আঞ্জাম দিয়েছেন আরও বহুবিধ সৎকর্ম। তাঁর এসব কর্ম কি উপেক্ষিত থাকবে হামেশা? মেঘের আড়ালে চাপা পড়ে থাকবে সর্বদা? তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় ঘটনাগুলো কি আড়ালেই থেকে যাবে সব সময়? না, এটা তো ইসলামের শিক্ষা নয়। একজন মানুষ অপরাধ করতেই পারে। তাই বলে কি সে অস্পর্শ হয়ে গেছে। তার ভালো কাজগুলোও হয়ে গেছে অগ্রহণযোগ্য? কখনোই নয়। বরং ইসলামের শিক্ষা হলো, ‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো।’ ‘জ্ঞান মুমিনের হারানো সম্পদ। সুতরাং যেখানে তা পাওয়া যাবে, সেখান থেকে তা আহরণ করার অধিকার রয়েছে তার।’ এসব বিষয় মাথায় রেখে ইতিহাস গবেষক, ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত আলেম ড. আমির মুহাম্মদ মাদারি রচনা করেছেন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি। এখানে তিনি হাজ্জাজের যাপিত জীবনের গলি-ঘুপচিতে চষে বেড়িয়েছেন সমানতালে। এরপর সেখান থেকে তাঁর জীবনের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো সামনে তুলে ধরেছেন। হাজ্জাজের জীবনসমুদ্রে ডুব দিয়ে তিনি কুড়িয়ে এনেছেন মুক্তা-মানিক এবং সেগুলো বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়ে মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।
-
Tk 90
Tk 120সোনালি দিনের গল্প
উমাইয়া ও আব্বাসি খেলাফতের সময়কে সাধারণত ইসলাম ও মুসলমানদের স্বর্ণযুগ হিসেবে মূল্যায়ণ করা হয়। সে সময়কার কিছু বিস্ময়জাগানিয়া ও চমৎকার কাহিনির সন্নিবেশিত রূপ ‘সোনালি দিনের গল্প’। গল্পগুলোর মাধ্যমে সমকালীন মুসলিম জাহানের সাধারণ জনগণের চরিত্র, শাসকদের হিতাকাঙ্ক্ষা এবং মুসলিম সৈন্যদলের শৌর্য সম্পর্কে পাঠক একটা ধারণা এঁকে নিতে পারবেন হৃদয়পটে। উর্দু আরবি মিলিয়ে বিভিন্ন বইয়ের সহায়তা নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। তবে প্রতিটি গল্প বর্ণনা করা হয়েছে গল্পভাষ্যে। তাই পাঠক পড়ার সময় ভিন্ন এক অনুভূতি পাবেন। সেই সাথে তথ্যসূত্রও উল্লেখ করা হয়েছে।
-
Tk 90
Tk 120ইলমে হাদিসের বরেণ্য নক্ষত্র সুফিয়ান সাওরি রহ.
ইলমে হদিসের বরেণ্য নক্ষত্র সুফিয়ান সাওরি রহ.-এর জীবন ও তাঁর জীবনযাপনের ওপর রচিত এক অসামান্য বই। ইলমে হাদিসের জন্য তাঁর ত্যাগ ও বিসর্জনের দাস্তান যে কোনো মুসলিমকে উদ্বেলিত করবে বার বার।
-
Tk 90
Tk 120প্রাচীন বাংলার দরবেশ
১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়েরও বহু আগে, সেই সপ্তম শতাব্দীতে এ ভূখণ্ডের সঙ্গে ইসলামের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই সময়ে সময়ে আরব-আজমের বহু পীর-দরবেশ ও ওলি-আউলিয়া এ দেশে এসেছেন। এ দেশের মাটি ও মানুষকে আপন করে নিয়ে ছড়িয়েছেন সত্য ও সুন্দরের আলোকধারা। জুলুম ও বঞ্চনার কবল থেকে আমজনতাকে মুক্ত করতে মুকাবিলা করেছেন স্থানীয় শাসকবর্গের নানাবিধ বাধা। কখনো জড়িয়েছেন যুদ্ধে, ঝরিয়েছেন খুন। শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে কখনো বিসর্জন দিয়েছেন নিজের জীবন। খলজিপূর্ব বাঙ্গালা মুলুকের এমনই তিন মহান দরবেশের সংগ্রামমুখর জীবন ও সময়কে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে এ বই। ইতিহাস ও কিংবদন্তির মিশেলে বিবৃত হয়েছে প্রাচীন বাংলার সমাজবাস্তবতা ও ইসলামপ্রচারের হৃদয়স্পর্শী উপাখ্যান।
-
Tk 105
Tk 140খলিফা হত্যাকাণ্ড
একের পর এক ঘটতে লাগলো হত্যাকাণ্ড। ইসলামি খেলাফতের প্রতিটি যুগ রক্তাক্ত হতে লাগলো প্রবল জিঘাংসায়। খোলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া, আব্বাসি, ফাতেমি, উসমানি… প্রতিটি খেলাফতের সিংহাসন ডুবে যেতে লাগলো রক্তের সহিংস ধারায়। ষড়যন্ত্র আর ক্ষমতার লড়াইয়ে খঞ্জরের ডগায় লেখা হতে থাকলো খলিফাদের রক্তাক্ত নাম ও শান-শওকত। খলিফাদের হত্যাকাণ্ডে লাল হয়ে গেলো ইতিহাসের সাদা পাতা…! কিন্তু কেন? কেন একের পর এক খুন করা হয়েছিলো খলিফাদের? কেন মুসলিম খেলাফত বারবার রক্তাক্ত হয়েছিলো আততায়ীর ছুরির আঘাতে? কেন মুসলিমবিশ্বের ওপর নেমে এলো ক্রমাগত অধঃপতনের নিকষ অভিশাপ? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই রচিত হয়েছে ইতিহাস অনুসন্ধানী গ্রন্থ- ‘খলিফা হত্যাকাণ্ড’।
-
Tk 105
Tk 140নবীজির ছেলেবেলা
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী মানেই মুসলিমদের আদর্শ। একটি জীবন্ত ও চিরকালীন অনুকরণীয় মডেল হিসেবে এর প্রতিটি দিক এমনভাবে রচিত হওয়া প্রয়োজন, যাতে সকল স্তরের মানুষ নিজ নিজ জায়গা হতে খোরাক সংগ্রহ করতে পারে। বর্তমান বাজারে অসংখ্য সিরাতগ্রন্থ পাওয়া যাবে। এসব গ্রন্থ নবীজির পূর্ণাঙ্গ জীবনী। লেখক ভিন্ন হওয়ার কারণে তাতে ভাষা ও বিন্যাসগত বৈচিত্র্য থাকলেও গবেষণাধর্মী বই লেখা হচ্ছে না বললেই চলে। যেমন এই গন্থটি শৈশবকালীন ঘটনা দ্বারা সমৃদ্ধ করা হয়েছে। নবীজির ছোটকাল থেকে আমাদের ছোটরা খোরাক নিতে পারবে.