• Tk 75Tk 100

    গল্প বলি ফিলিস্তিনের

    আল-কুদস। জেরুজালেম। ফিলিস্তিন। আমাদের মুসলিম মানসে অনির্বাপিত ব্যথার দীপশিখা। যুগ যুগ ধরে আমরা এ ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। প্রতিদিন এ ব্যথা থেকে রক্তপাত হচ্ছে; আমরা কাঁদছি, হাহাকার করছি, আকাশ কাঁপিয়ে আরশের মালিকের কাছে প্রার্থনা করছি-আগামী রমজানে আমরা আবার বায়তুল মুকাদ্দাসের চত্বরে বসে ইফতার করতে চাই। হে আল্লাহ! তুমি আবার আমাদের সেই সাহায্য ও শক্তি দান করো। আল্লাহ নিশ্চয় একদিন আমাদের প্রার্থনা গ্রহণ করবেন। আমরা সেই দিনের প্রতীক্ষায় প্রতিদিন সইছি ব্যথার দহন। এ গ্রন্থ সেই ব্যথাদীর্ণ ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও বর্তমান তুলে এনেছে হৃদয়গ্রাহী বর্ণনায়।

  • Tk 285Tk 380

    গাদ্দাফির সঙ্গে আমার জীবন

    শুরুটা হয়েছিল সুরাইয়াকে দিয়ে। একটি মেয়ে—কাজলকালো যার চোখ, রোদেপোড়া চকচকে মুখ কিন্তু আকর্ণবিস্তৃত চওড়া হাসি। সুরাইয়া—বিদ্যুৎচমকের মতো মুহূর্তেই যার মনভোলানো হাসি সশব্দ কান্নায় পরিণত হয়; বিপুল উদ্দীপনা বদলে যায় চরম নৈরাশ্যে; অনুপম অনুরাগ পরিণত হয় ভয়াবহ প্রতিশোধস্পৃহায়। সুরাইয়া—যার আছে একটি অজ্ঞাত অতীত, এক সাগর দুঃখ আর হার না মানা বিক্ষুব্ধ মনন। সুরাইয়া—যার গল্পটা শুরু হয়েছিল মনোরম এক প্রাণবন্ত পরিবেশ থেকে। আর শেষ হয় নরপিশাচ দানবের পাঞ্জায় আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। সুরাইয়ার সেই দানবের নাম মুয়াম্মার গাদ্দাফি। আফ্রিকার লৌহমানব নামে যিনি পরিচিত ছিলেন সারাবিশ্বে। যিনি বরিত হতেন লিবিয়ার নারীমুক্তির প্রবাদপুরুষ হিসেবে। অথচ তারই গোপন হেরেমে রক্ষিতা হিসেবে বন্দী ছিল শত শত নিষ্পাপ মেয়ে। প্রথমবার এ কথা শুনে হয়তো পাঠকমাত্রই অবিশ্বাসে আঁতকে উঠবেন। কিন্তু হেরেমবন্দী সুরাইয়ার হাত ধরে যখন আপনি প্রবেশ করবেন গাদ্দাফির হেরেমখানায়, এক কোমলপ্রাণ কিশোরীর ধর্ষিত হবার বর্ণনা শুনে আপনার চোখ জলে ভেসে যাবে।

  • Tk 195Tk 260

    ইজ্জুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম

    ইজ্জুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম। ছিলেন ইতিহাসের এক অকুতোভয় ফকিহ। তাঁর অতুল্য জ্ঞানসাধনা আর আপোসহীন বিচারিক জীবন ও কর্ম তুলে এনেছেন আলীজাহ মুহাম্মাদ সামানীন। তিনি ইতিহাসের বিক্ষুব্ধ সময়গুলো পার করেছেন। সমরনীতির তখন জয়জয়কার অবস্থা। যুদ্ধের হুংকারে পৃথিবী থরথর করে কেঁপেছে সে সময়ে। মানচিত্রের প্রভাবশালী জমিদার হিসেবে মুসলিমরা তখন সবার লোভাতুর নজরে। একদিকে মঙ্গোল ঝড়, অন্যদিকে খ্রিষ্টানদের সঙ্গে ধর্মযুদ্ধ। পাশাপাশি মুসলিমদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বের সার্বিক কল্যাণ মুখ থুবড়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। এত ঝড়ঝাপটার মধ্যেও ইসলাম পৃথিবীকে উপহার দিয়েছে জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ইতিহাসবিদ, ইসলামি আইনবিশারদ, হাদিসশাস্ত্রের বরেণ্য নক্ষত্র, কোরআনের ব্যাখ্যাকার, ভ‚গোলবিদ, তুলনামূলক ধর্মতত্তে¡ পারদর্শী ব্যক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলিমদের বিচরণ ছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী। সময়ের এত সব মনীষীর মধ্যে ইমাম ইজ্জুদ্দিন ছিলেন প্রথম সারির জ্ঞানসাধক। ছিলেন একাধিক বিষয়ের শাস্ত্রজ্ঞ ও পণ্ডিত। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর একজন কিংবদন্তি তিনি। তাঁর জীবনীকারগণ তাঁকে নিয়ে নিরন্তর উচ্ছ্বা প্রকাশ করেছেন। শায়খের ইলমি জীবন এবং রচনাবলির ব্যাপারে যৎসামান্য আলোচনা এসেছে। তাও জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনার ফাঁকে। তিনি যেসব শাস্ত্রের শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন এবং যেসব বিষয়ের ওপর তাঁর রচনা বিদ্যমান, তার প্রতিটির ওপর মুসলিম বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ের গবেষণাপত্র বিদ্যমান রয়েছে।

  • Tk 140Tk 200

    ইতিহাসের জানালা

    অতীত সবসময়ই শিক্ষাদাত্র্রী। যদিও অনেকেই বলে থাকেন ইতিহাস এটাই শিক্ষা দয়ে যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আমরা সর্বদা আশাবাদী ইনসান। হতাশাবাদীদের শ্লেষা নিয়ে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারি না। যদিও আমরা শিক্ষাহীন দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ি প্রায়ই। তবু আমাদের কাছে অতীত যেমন, তেমনি বর্তমানও সামনে এসে শিক্ষয়ত্রী হিসেবে বাহুডোর প্রসারিত করে দাঁড়ায়। ইতিহাস থেকেই তো তুলে নিতে হয় বর্তমান পৃথিবীর সফলতার পদছাপ। ইতিহাসের আবেদন তাই আমাদের ধর্মীয় এবং জাতীয় জীবনে অবশ্যম্ভাবী। এ গ্রন্থ ছোট ছোট করে অনেক ইতিহাসের স্মরণ দিয়েছে। নিকট অতীত, সুদূর অতীত, প্রাগৈতিহাসিককাল- ইতিহাসের নানাস্তরে ব্যাক্তি, ঘটনা, স্থান, যুদ্ধ, বিজয়, বেদনা জায়গা করে নিয়েছে গ্রন্থের সাদা পাতায়। কেবল জ্ঞান নয়, এই গ্রন্থ ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে মানুষের মাঝে মানুষের ইনসানিয়্যাত। ইতিহাসপাঠে বাঙালিসমাজে অনীহা যেমন আছে, তেমনি ইতিহাসসন্ধানী অনুসন্ধিৎসু পাঠকেরও কমতি নেই। বইয়ের বাজারে নজর দিলে এর সত্যতা নজরে আসে খুব স্বাভাবিকভাবেই। আমরা তাই আশাবাদের কথা বলতে চাই, শোনাতে চাই, জানাতে চাই সবাইকে। এ গ্রন্থ আশাবাদেরই এক নির্ঘুম দলিল। গ্রন্থে যুত্থবদ্ধ এসব ইতিহাসের অধিকাংশ এর আগে সাপ্তাহিক লিখনীতে ধারাবাহিকভাবে ‘অতীতের জানালা’ নামে প্রকাশ হয়েছে। পাঠকের পাঠ সুবিধার্থে সেসব ইতিহাসে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে যৌক্তিক কারণেই। কেননা পত্রিকার পাতার ফিচার আর বইয়ের পাতার পঠন এক জিনিস নয়। কিছুটা ইতিহাস নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে বইটিকে সামগ্রিকতার বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য করতে। ইতিহাস তালাশের এই সফরে দুজন সুহৃদ আমাকে অকারণে সাহায্য করেছে। সাদ রহমান এবং তানজিল আমির- আমার প্রিয় দুই প্রতিভালক্ষী তরুণ। তাদের রচিত কিছু ইতিহাস এখানে সংযোজতও হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হোক, সে আশাবাদ আজীবনের

  • Tk 135Tk 180

    এ জীবন পূণ্য করো

    এর আগে হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল নামে এই তরিকার একটি পুস্তক লিখেছি। কিশোর-তরুণদের জন্য লেখা। বক্ষ্যমান পুস্তকটিও একই তবকার। নিজের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, দুর্ভাবনা, দুশ্চিন্তা, অব্যক্ত কথাÑ যেগুলো জনসম্মুখে বলি না, সেসব অকপটে বলা হয়েছে। অতি আশাবাদের কথা হলো, অদূর ভবিষ্যতে এই তবকার আরও পুস্তকাদি প্রকাশ হবে এবং সেগুলোতে স্পর্ধিত কথাবার্তার শোরগোল থাকবে আরও অধিক। লেখালেখি আমার কাছে অত বেশি সিরিয়াস বিষয় না। মানুষের জীবন অনেক বেশি বিস্তৃত, বিশাল তার ব্যাপ্তি। সেই বিশালতার কাছে শিল্প-সাহিত্য, সুকুমারবৃত্তি, আর্ট-কালচার অনেক সময় জগদ্দল হয়ে পড়ে থাকে। তার কোনো মূল্যমান থাকে না। তবু জীবন বিউটিফুল। সেই জীবনকে পুণ্য করে তোলো। লেখা বা লেখক নিয়ে ভাবাভাবির কিছু নেই। এ পুস্তক কাউকে কোনো পথ দেখাবে না, বিপথগামীও করবে না। এ পুস্তক সাধারণ কিছু পার্থিব অক্ষরের মধ্য দিয়ে অপার্থিব-অলৌকিক এক জীবনের কথা বলেছে। এজন্য এ পুস্তককে মসিহা মনে করার কোনো কারণ নেই। এ পুস্তক সাধারণ্যের মাঝে থেকেও এক অনন্ত পুণ্যময় জীবনের কথা বলেছে মাত্র। এ ভিন্ন আর কি-ই বা করার ছিল! পুস্তকের জন্য শুভাশীষ!

  • Tk 600Tk 800

    ছোটদের দরবেশ সিরিজ (৫টি বই)

    দীর্ঘ লকডাউন শেষে আপনার সন্তান কি বই নিয়ে বসছে? মনোযোগ থাকছে ক্লাসের বইয়ের পাতায়? পড়াগুলো ঠিকমতো বুঝতে পারছে কি? দীর্ঘ বিরতির পর শিশুদের স্কুলের পড়ায় মনোযোগ ফেরানো বেশ কঠিন। বইয়ের পাতায় মনোযোগ আটকানোই যায় না। সারাক্ষণ মনটা উড়ু উড়ু করে। কীভাবে তাদের আকর্ষণ করা যায় পড়ার টেবিলে? তাই ভাবলাম, শিশুদের জন্য তাহলে কিছু বই লিখি। এমন বই―যেগুলো তাকে গল্প শোনাবে। তাকে কল্পনায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তাকে পরিচিত করাবে আমাদের দরবেশদের সঙ্গে। যে দরবেশদের গল্প আমরা শুনে এসেছি ছোটবেলায়, সেই দরবেশদের গল্প নিয়েই লিখতে শুরু করলাম বইগুলো। তারপর? একে একে লিখে ফেললাম পাঁচটি বই। এ পাঁচটি বইয়ে বলা হয়েছে পাঁচজন দরবেশের গল্প। তাদের অবিশ্বাস্য জীবনের গল্প। শিশুরা পড়বে আর শিহরিত হবে। জানতে পারবে আমাদের সত্যিকারের সুপারহিরোদের গল্প। যাদের জীবন ছিল দাওয়াত, কারামাত, যুদ্ধ, ত্যাগ আর প্রেমে উজ্জ্বল। একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে উপায় নেই। আর এভাবে দরবেশদের গল্প পড়তে পড়তে বইয়ের সঙ্গে শিশুদের সম্পর্ক আবার জোড়া লেগে যাবে। গল্পগুলো তাদের উদ্দীপ্ত করবে আরও পড়তে। তেমনি এ গল্পগুলো তাদের উজ্জীবিত করবে দরবেশদের মতো আল্লাহর ওলি হতে। যেমনটা আমরা আমাদের সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি সবসময়।

  • Tk 127Tk 170

    বদরের বীর

    সেইসব বীরদের উপাখ্যান— যারা তরবারির ডগা দিয়ে একদিন লিখেছিলেন পৃথিবীর এক নতুন ইতিহাস… সেইসব বীরদের বীরত্বগাথা— যাদের হুংকারে একদিন কেঁপে উঠেছিলো কায়সার ও কিসরার তখত-সিংহাসন… সেইসব বীরদের গল্পভাষ্য— যারা বুকের তপ্ত খুন ঢেলে এই পৃথিবীকে এনে দিয়েছিলেন আলো ঝলমলে এক নতুন ঊষা… সেইসব বীরদের দুঃসাহসী গল্প নিয়ে রচিত সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর-এর নতুন বই— বদরের বীর!

  • Tk 90Tk 120

    আসমানি আদালত

    এক ইরাকি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল-এর জীবনে প্রত্যক্ষ করা শিক্ষণীয় ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনার গল্প নিয়ে রচিত গ্রন্থ- আসমানি আদালত। লিখেছেন ব্রি. জেনারেল মাহমুদ উশ শওকত। অনুবাদ করেছেন লাবীব আবদুল্লাহ।

  • Tk 75Tk 100

    আমার আব্বু

    মা’কে নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক গল্প, অনেক গ্রন্থ। কিন্তু বাবাকে নিয়ে লেখা হয়েছে সামান্যই। বাবার জন্য ভালোবাসার ধূপ জ্বেলে নিজের জীবনকে সুরভিত করার গল্প বলেছেন লোকমান হাকিম। লেখক নিজেই বলছেন তার অনুভূতির কথা— ‘আমার এক দু’টো লেখা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। আমি তা কাউকে বলিনি। তবুও ছোট ভাইয়েরা এসব ঘাঁটাঘাঁটি করে বের করে আব্বুকে দেখিয়েছে। আব্বু লেখাগুলোয় চোখ বুলিয়েছেন। একটু নেড়েচড়ে দেখেছেন। দেখে যেমন খুশি হয়েছেন তেমনি মন খারাপও করেছেন। আমি কি লেখাপড়া ফেলে রেখে এখন তবে এসবই করছি? আর এসব বলতে কী করছি—তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। আমাকে নিয়ে এক ধরনের ভয়, শঙ্কা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তাঁর মাঝে কাজ করছে। ‘আর আমার লেখাপড়াও প্রায় শেষের দিকে।

  • Tk 270Tk 360

    ইতিহাসের আলোছায়া

    আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদ থেকে হেফাজত-আমির শাহ আহমদ শফী—সময়কাল বিবেচনা করলে বইটির আয়তন বেশ দীর্ঘ। তবে দূর অতীতের চেয়ে নিকট সময়ে বিগত মনীষীদের জীবন ও সাম্প্রতিক ইতিহাস এতে বেশি আলোচিত হয়েছে। কোনো কোনো আলোচনা আপনাকে ইতিহাসের অনালোচিত দিক কিংবা বিস্মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে, কোনো আলোচনার সঙ্গে খানিকটা চিনপেহচান আছে, আবার কোনো ঘটনা হয়তো আপনার সময়কালে এমনকি চোখের সামনেই সংঘটিত হয়েছে, কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বেমালুম ভুলে আছেন। সচেতন বাঙালি মুসলিম হিসেবে ইতিহাস ও মনীষী-জীবনের এ পাঠগুলো আপনার আয়ত্তে থাকা জরুরি।

CATEGORIES