• Tk 241Tk 330

    হায়াতের দিন ফুরোলে

    ‘জীবনের জাগরণ’ সিরিজ অত্যন্ত সমাদৃত, পাঠকপ্রিয় একটা সিরিজ। আমাদের নৈমিত্তিক ভুল আর ভ্রান্তিগুলোর তালিকা তৈরি করে, গল্প, আড্ডা আর স্মৃতিচারণ করতে করতে এই সিরিজের মাধ্যমে খুঁজে আনা হয় সেই ভুল আর ভ্রান্তির সমাধান। যাপিত জীবনে জড়িয়ে থাকা সাধারণ ঘটনা, আপাতদৃষ্টিতে যেগুলোকে সামান্য আর ক্ষুদ্র বলে মনে হয়, সেগুলো থেকেও বের করে আনা হয় চিন্তার রসদ। ‘বেলা ফুরাবার আগে’, ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বই দুটো ছিলো এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি। এই সিরিজের তৃতীয় কিস্তি হিশেবে, পাঠকদের কাছে দ্রুতই হাজির হচ্ছি ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটিকে নিয়ে, ইন শা আল্লাহ। হায়াতের দিন ফুরিয়ে গেলে নিভে যাবে জীবনের প্রদীপ। সেই অবধারিত, অনিবার্য ক্ষণটা চলে আসার আগে, আমরা আরেকবার জীবনের পেছনে তাকাতে পারি। নতুনভাবে করতে পারি অনেক হিশেব-নিকেষ। সেই হিশেব-নিকেষের ঘটনায়, ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটা আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে, ইন শা আল্লাহ।

  • Tk 285Tk 380

    সায়েন্স ফিকশনস

    বিজ্ঞানের নামে আমাদের যা শোনানো হচ্ছে, তা সবই কি সত্য? নাকি ভারী ভারী গবেষণা আর চটকদার ফলাফলের আড়ালে কোনও ফাঁক-ফোকর লুকিয়ে থাকে? নামকরা সব জার্নালে প্রকাশিত হওয়া সব গবেষণা-পত্রই কি ‘সহীহ’? আসলে এভাবে বিজ্ঞান-কেন্দ্রিক গবেষণাগুলোকে প্রশ্ন করার চিন্তাও আমাদের মাথায় আসে না। কারণ, ‘গবেষণা’ শব্দটার প্রতিই আমাদের কেমন যেন এক মুগ্ধতা কাজ করে। ‘গবেষণায় পাওয়া গেছে’ বা ‘গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে’ এরকম বাক্য দিয়ে শুরু হওয়া কোনও আর্টিকেল বা প্রবন্ধ-নিবন্ধের ব্যাপারে আমাদের মনে যেন একটা অটোসাজেশন কাজ করে। ভাবখানা এমন যে, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন? তার মানে এটা বিলকুল সহীহ! অথচ বিজ্ঞানের নামে বিশ্বব্যাপী কত কত ভাঁওতাবাজি ছড়িয়ে আছে তা কি জানেন? গবেষকদের কথামতো ধ্রুবসত্য মেনে বসে আছেন, এমন বহু থিওরির পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই! মানে জোরালো তথ্য-প্রমাণ নেই। পক্ষপাত-দুষ্ট, মনগড়া, জোচ্চুরি-করা ওসব গবেষণার ক্ষতিকর প্রভাবটা দিনশেষে পড়ছে মেডিসিন, চিকিৎসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, সরকারি নীতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ সব সেক্টরে। বিজ্ঞানের অন্ধকার এই দিকটি নিয়ে তেমন কোনও লেখাজোখা চোখে পড়ে না। তবে এ-ব্যাপারে কলম ধরে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছেন স্টুয়ার্ট রিচি। নিজে একজন গবেষক হওয়ায় গবেষণা-খাতের হাঁড়ির খবর তার কলমে উঠে এসেছে কোনও রাখঢাক ছাড়াই। বাংলায় তার বইটিকে পাঠকদের জন্যে সহজবোধ্য করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি আমরা। চোয়াল-ঝুলে-পড়া সব বিস্ফোরক তথ্যের অপেক্ষা শুধু পাতা উলটালেই!

  • Tk 187Tk 250

    সন্তানের ভবিষ্যৎ

    সন্তান, সে তো আসমান থেকে পাওয়া। সন্তান, সে তো স্বর্গ থেকে আসা। সন্তান, সে তো স্বপ্ন দিয়ে বোনা সোনা-রঙা সোনালি ফসল। সন্তান পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের সম্পদ। সন্তান চোখের শীতলতা, অন্তরের কোমল উষ্ণতা, হৃদয়ের গহীনে সযত্নে চাষ-করা এক টুকরো মুক্তো। সন্তান মানে বেঁচে থাকার শক্ত অবলম্বন। সন্তান মানে সারাদিন ঘামঝরা ভীষণ খাঁটুনির পর এক অনাবিল প্রশান্তি। সন্তান মানে শত ঘুটঘুটে অন্ধকারেও আলোর ঝলকানি। সন্তান মানে অর্থবহ সার্থক বেঁচে থাকা। সন্তান মানে সহস্র হতাশার ভিড়েও আশার ফোয়ারা। সন্তানই তো উত্তপ্ত মরুভূমিতে ছায়া দেয়। হাড়-কাঁপানো-শীতে উষ্ণতা জোগায়। হাসি, খুশি আর আনন্দে জীবন রাঙায়। জীবনের শেষ বেলায় চশমা হয়ে পথ দেখায়, লাঠি হয়ে ভার নেয়, বাহন হয়ে সবখানে নিয়ে বেড়ায়, মুখে তুলে খাইয়ে দেয় আবার যত্ন করে ঘুম পাড়ায়। কিন্তু এতসব প্রাপ্তির তৃপ্তি পেতে সন্তানকে আগে ‘মানুষ’ বানাতে হয়, তিলে তিলে গড়ে তুলতে হয়, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর ফেলতে হয়। ওহির আলোয় আলোকিত করে আপনি আপনার সন্তানকে কীভাবে জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল করে গড়ে তুলবেন, সন্তানকে কীভাবে পৌঁছে দেবেন আলোর ঠিকানায় সেজন্যই আমাদের এই সবুজ আয়োজন——সন্তানের ভবিষ্যৎ।

  • Tk 106Tk 118

    যে গল্প রাসূল (সা.) শুনিয়েছেন

    মরুভূমির দেশ যখন মিথ্যায় ছেয়ে আছে। চারিদিকে কুসংস্কারের ঘনঘটা। তখন কুরআনের আলো নিয়ে ‎এলেন আমাদের প্রিয় নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। মিথ্যার মায়াজাল ছিঁড়ে ফেলে শোনালেন ‎সত্যের গল্প। সেই গল্পে ভেঙে-যাওয়া-মন খুঁজে পায় স্বস্তি। আশা-হারিয়ে-ফেলা মানুষটি ফিরে পায় ‎অনুপ্রেরণা। ‎ নবিজি এই গল্পগুলো কাদের শুনিয়েছেন, জানেন তো? তাঁর প্রিয় সাহাবিদের; সোনালি যুগের ফুলের মতন ‎সেই মানুষদের। এসব গল্প তাদেরকে চিনিয়েছে নতুন পথ। দেখিয়েছে নতুন স্বপ্ন। ফলে তারা পরিণত ‎হয়েছেন সর্বোত্তম মানুষে। চমকে-দেওয়ার-মতো মুঠোফোন সাইজের এই বইটিতে রয়েছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-‎এর শোনানো চমৎকার কিছু গল্প; যার পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে শেখার উপকরণ। গল্পগুলো আমাদের ‎সততা, বিনয়, বুদ্ধিমত্তা ও দানশীলতা শেখাবে। অনুপ্রেরণা জোগাবে অবিচল ঈমান সঙ্গে নিয়ে জীবনের ‎পথ পাড়ি দিতে। তরুণ, কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সব-বয়সি-পাঠকদের নবিজির জবানে গল্প ‎শোনার তৃষ্ণাও কিছুটা মেটাবে, ইন শা আল্লাহ।

  • Tk 56Tk 75

    মুসলমানের ঘর

    মানুষ অধিকাংশ সময় ঘরেই থাকে। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যায়, তারপর দিন শেষে আবার ঘরেই ফিরে আসে। তাই যার ঘর হয় যেমন, তার জীবনও কাটে তেমন। কেউ যদি আনন্দময় জীবন চায় তার উচিত ঘরের প্রতি মনোযোগী হওয়া, ঘরের যত্ন নেওয়া। কিন্তু কীভাবে মনোযোগী হবে? যে যেভাবে পারে নিজের ঘর সাজিয়ে নেবে, ঘরে যা ইচ্ছা তা-ই নিয়ে আসবে, নাকি এক্ষেত্রে কোনো নিয়ম আছে? ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থা। জীবনের ছোটোবড়ো কোনো অনুষঙ্গই এর বহির্ভূত নয়। সব ক্ষেত্রেই আছে এর বলিষ্ঠ নির্দেশনা। একজন মুসলিমের ঘর কেমন হবে, ঘরে তার আচার-আচরণ কেমন হবে, কী দিয়ে সে ঘর সাজাবে, ঘরে কী রাখতে পারবে, কী পারবে না ইত্যাদি-সহ ঘরসংক্রান্ত ইসলামের যাবতীয় নির্দেশনাগুলো নিয়েই সাজানো হয়েছে—মুসলমানের ঘর। যা মেনে চললে জীবন হবে সুখময়, পৃথিবীতেই নেমে আসবে প্রশান্তির ছোঁয়া। শুধু দুনিয়ার জীবনই নয়, সুন্দর হবে আখিরাতের চিরস্থায়ী জীবনও।

  • Tk 236Tk 315

    মুচকি হাসা সুন্নাহ

    হাসি সৌন্দর্যের প্রতীক। কখনো হাসি ভুলিয়ে দেয় রাশি রাশি দুঃখ ও বিষাদের কথাও।
    হাস্যোজ্জ্বল মানুষকে সবাই ভালোবাসে। হাসি-কান্না মানুষের স্বভাবগত বিষয়। হাসির বিভিন্ন স্তর আছে, যেমন—মুচকি হাসি। এতে মানুষের মুখমণ্ডলে আনন্দের ছাপ ভেসে উঠলেও দাঁত দেখা যায় না। আরবিতে এই হাসিকে বলা হয় ‘তাবাসসুম’।
    এটিকে হাসির প্রথম স্তরও বলা হয়। দ্বিতীয় স্তর হলো এমন হাসি, যাতে মানুষের মুখমণ্ডলে আনন্দের ছাপ প্রকাশের পাশাপাশি দাঁতও দেখা যেতে পারে। তবে কোনো আওয়াজ হয় না। আরবিতে এই হাসিকে বলা হয় ‘দিহক’।
    তৃতীয় স্তর হলো, উচ্চ স্বরে আওয়াজ করে হাসা। আরবিতে এই হাসিকে বলা হয় ‘কহকহা’। ইসলাম ধর্মে এভাবে হাসা নিষিদ্ধ।
    নবী-রাসুলরা বেশির ভাগ সময় মুচকি হাসতেন।
    পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তার কথা শুনে সোলায়মান মুচকি হাসল এবং বলল, হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন, যাতে আমি আপনার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা আপনি আমাকে ও আমার মা-বাবাকে দান করেছেন এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। (সুরা : নামল, আয়াত : ১৯)
    জারির (রা.) বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করেছি, তখন থেকে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে তার কাছে প্রবেশ করতে বাধা দেননি এবং যখনই তিনি আমার চেহারার দিকে তাকাতেন তখন তিনি মুচকি হাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৩০৩৫)
    এতে বোঝা যায়, মুচকি হাসা রাসুল (সা.)- এর সুন্নত। কখনো এই হাসিতে (আওয়াজ ছাড়া) দাঁত প্রকাশ পেলেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অট্টহাসি কোনো মুসলমানের মুখে শোভা পায় না।
    কোনো ব্যক্তি নামাজ অবস্থায় অট্টহাসি দিলে তার অজুও নষ্ট হয়ে যায়।
    মুচকি হাসিকে ইসলামে ভালো কাজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আবু জার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে বলেন, ‘কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার কাজ হয়। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৮৪)
    আর ইসলামের দৃষ্টিতে যেহেতু সব ভালো কাজ সদকাস্বরূপ, তাই মুচকি হাসিকে সদকা বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। মানুষ যখন কারো সাক্ষাতে মুচকি হাসি দেবে, তখন তার আমলনামায় সদকার সওয়াব লেখা হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ভাইয়ের (সাক্ষাতে) মুচকি হাসাও একটি সদকা। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫৬)
    সুবহানাল্লাহ! রাসুল (সা.)- এর সুন্নতগুলোই প্রমাণ করে যে ইসলাম কতটা শান্তির ধর্ম। এখানে হাসির মাধ্যমে ভালোবাসা বিলিয়েও সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়।

  • Tk 150Tk 177

    মনে মনে প্রধানমন্ত্রী

    বটতলার পাগলদের তো আমরা কমবেশ সবাই চিনি। যখন যা মনে আসে বলে বেড়ায়,উদোম গায়ে ঘুরে,রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। কেউ তাকে পোশাক পরতে বললে সে তেড়ে আসে। ইদানীং কিছু পাগলের আমদানি হয়েছে যারা নিজেদের শিক্ষিত বলে দাবি করে,তাদেরকেও ওরকম প্রলাপ বকতে দেখা যায়। এই পাগলরা বলে,তুমি আস্ত একজন পুরুষ,একজন টগবগে যুবক,তাতে কী হয়েছে? কাল সকালে ঘুম থেকে ওঠে ‘মনে মনে’ নিজেকে তুমি নারী ভাবলে। ব্যস,তুমি নারী হয়ে গেলে। একটু মেক-আপ করো,শাড়ি প্যাঁচাও,রংঢং করে হাঁটো—কেল্লাফতে! আবার একজন নারী,যার বয়স ত্রিশ ছুঁই ছুঁই,বিয়ের পাঠ চুকিয়ে এখন দু বাচ্চার মা,তাকে বলবে—‘তোমার কি নিজেকে পুরুষ পুরুষ মনে হয়? অত ভাবা-ভাবির কিছু নেই। তুমি পুরুষই। তোমার শারীরিক গড়ন যেমনই হোক না কেন,তুমি দু বাচ্চার মা হয়েছ তাতে কী,তুমি পুরুষ। একটু জিন্স-টি শার্ট পরো,বেটা বেটা কণ্ঠে কথা বলো—তোমাকে পুরুষ বলতে বাধ্য হবে সবাই।’ অবশ্য এরকম পাগলদের আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। এরা ঘাপটি মেরে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে,মিডিয়ার সাব-এডিটরের ডেস্কে,বুদ্ধিজীবীর মুখোশে টিভির টক-শোতে। মানববিধ্বংসী এ লোকগুলো একের পর এক চিকন চালাকি করে যাচ্ছে। সেই চালাকির নাড়ি-নক্ষত্র ঘেঁটে দেখাবে আমাদের এই মনে মনে প্রধানমন্ত্রী বইটি। এ স্মার্ট বুক আপনাকে বর্তমান বিশ্বের চালাকিগুলো ধরতে একটু হলেও সহায়তা করবে। বাঁচতে হলে,আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে আপনাকেই পড়ে দেখতে হবে মনে মনে প্রধানমন্ত্রী।

  • Tk 70Tk 94

    বিজয়ের দিনে

    মহান রব কুরআন নাযিলের সমাপ্তি টেনেছেন সূরা নাসর দিয়ে। এ সূরায় আল্লাহ শুনিয়েছেন বিজয়ের আগমনি বার্তা। যা মুমিনের হৃদয়কে করে উজ্জীবিত। আজ থেকে ৬৫০ বছর আগে এ সূরাটিকে নানান আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করেছেন ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি রহিমাহুল্লাহ। তাতে তিনি আলোচনা করেছেন বিজয়ের আগমন নিয়ে। বিজয় আসার পরে আমাদের করণীয় কী কথা বলেছেন সেসব নিয়েও। কুরআন-সুন্নাহর পাশাপাশি এতে উঠে এসেছে সালফে সালিহীনের কর্মপদ্ধতি নিয়ে কিছু কথা। বিজয়ের দিনে বইটি হোক আমাদের আগামী বিজয়ের অনুপ্রেরণার স্মারক।

  • Tk 75Tk 100

    পারিবারিক সংকটে নবিজির উপদেশ

    স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র, মজবুত ও টেকসই বন্ধন। দুনিয়ার কোনো সীমারেখায় একে সীমাবদ্ধ করা যায় না। ক্ষণস্থায়ী এই জগৎ পেরিয়ে অনন্তকালের চিরস্থায়ী জান্নাত পর্যন্ত তা বিস্তৃত। দুজনের সুসম্পর্কের কারণেই গড়ে ওঠে প্রশান্তিময় পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর প্রধান ও মূল উপাদান—মানুষ স্বামী-স্ত্রীর সেই স্বর্গীয় বন্ধনেরই সুফল। কিন্তু কিছু অনিয়ম ও অবহেলার কারণে পবিত্র এই সম্পর্কের মাঝেও আসে ভাঙন। সুখ-শান্তির এই ঘরেও হানা দেয় অশান্তির আগুন; যা তিলে তিলে শেষ করে দেয় দুটি পরিবার, দুটি জীবন। আমরা ভাবি পারিবারিক সব সমস্যার মূলে রয়েছে যুগ থেকে পিছিয়ে থাকা, আধুনিক না হওয়া। কিন্তু না, বর্তমান যুগের উচ্চ শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত পরিবারের আধুনিক ছেলে শাদি। বিয়েও করেছে উঁচু ফ্যামেলির উচ্চ শিক্ষিতা সুন্দরী মেয়ে নাদাকে। শুরুর দিকে তাদের দাম্পত্যজীবন চমৎকারভাবে প্রবাহিত হলেও কিছু দিন পর থেকে শুরু হয় ভীষণ টানাপোড়েন আর দ্বিমুখী দ্বন্দ্ব। ফলে কেউ কারও ছায়া পর্যন্ত আর দেখতে চায় না, বিচ্ছিন্ন থাকতে চায় সারাজীবন। তা হলে মূল সমস্যা কোথায়? কী কারণে শিক্ষিত আধুনিক পরিবারগুলোও ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে? আর এর সমাধানই-বা কী? এই বইয়ে নাদা এসব জানতেই শরণাপন্ন হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ও সুখময় দম্পতি আয়িশা ও মুহাম্মাদ ﷺ-এর কাছে। নাদা সিরাতের পাতায় আয়িশা রা.-এর কাছে এক এক করে তাদের সব সমস্যার কথা তুলে ধরে এর সমাধান ও প্রকৃত রহস্য জানতে চেয়েছে। আর তিনিও সবিস্তারে নববি দম্পতির খুঁটিনাটি সবকিছু বর্ণনা করে দিয়েছেন, আর উন্মুক্ত করেছেন সুখ, সফলতার সবকটি দুয়ার। আশা করি এর মাধ্যমে তারাসহ পৃথিবীর সব দম্পতি খুঁজে পাবে সঠিক পথ, যার শেষপ্রান্তে রয়েছে নৈসর্গিক সুখের নিরাপদ নীড় ও নগর।

CATEGORIES