• Tk 558Tk 858

    ফিকহুর রিবা

    বইটিতে যে বিষয়গুলো নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে—

    ▪ কুরআন, হাদিস ও ফিকহুস সালাফের আলোকে রিবার পরিচিতি ও বিশ্লেষণ।

    ▪ প্রচলিত অর্থনীতি ও ইসলামী অর্থনীতির আলোকে সুদের প্রকৃতি ও বিস্তারিত পর্যালোচনা।

    ▪ কুরআন, হাদিস ও আছারের আলোকে সুদের ভয়াবহতা।

    ▪ বিভিন্ন ধর্মে সুদের নিষিদ্ধতার বর্ণনা: প্রামাণিক উপস্থাপন।

    ▪ সুদ-বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের দলিলভিত্তিক জবাব।

    ▪ রিবার প্রকারভেদ: পরিচিতি ও বিশ্লেষণ।

    ▪ বাস্তবতার আলোকে প্রতিটি বিষয়ের পর্যাপ্ত উদাহরণ।

    ▪ প্রচলিত বীমা, ব্যাংকিং ও সুদসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ।

    ▪ আধুনিক লেনদেনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রিবার প্রচলিত ও প্রায়োগিক রূপগুলোর সাবলীল উপস্থাপন।

    ▪ আধুনিক প্র্যাকটিসের আলোকে সুদ ও হিলা-বাহানার দালিলিক উপস্থাপন।

    ▪ সুদের অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব তুলনামূলক আলোচনা।

    ▪ সমাজে রিবার অশুভ ছায়া।

    ▪ বাস্তবতার নিরিখে রিবাবিহীন সমাজের সম্ভাব্যতা-অসম্ভাব্যতা পর্যালোচনা।

  • Tk 534Tk 890

    হালাল হারামের বিধান

    মুসলিম হিসেবে হালাল-হারামের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা আবশ্যক। অবশ্য কিছু বিষয়ের হালাল-হারাম হওয়া নিয়ে কখনো কখনো বেশ দ্বন্দ্বে পড়ে যাই আমরা। এটা হালাল হলে ওটা হারাম কেন, এভাবে হারাম হলে ওভাবে হালাল কেন এ জাতীয় নানা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। দিশেহারা হয়ে পড়ি আমরা। অথচ কোনো কিছুর হালাল কিংবা হারাম সাব্যস্ত হওয়ার যে সামান্য কিছু মূলনীতি রয়েছে, সেগুলো জানা থাকলে এ অবস্থা থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব। একজন মুসলিমের জন্য কোন কাজটি হালাল আর কোনটি হারাম, কোন কাজ এক জায়গায় জায়িয হলেও অন্য জায়গায় বা অন্য সময়ে নাজায়িয, কোনো কাজ জায়িয এবং নাজায়িয হওয়ার কারণগুলোই বা কী? ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক-জীবনঘনিষ্ঠ এমন অসংখ্য বিষয়ের বাস্তবধর্মী আলোচনা নিয়ে ড. ইউসুফ আল-কারযাবি রাহিমাহুল্লাহর বিশ্বজুড়ে সাড়াজাগানো গ্রন্থটি প্রকাশিত হলো ‘হালাল-হারামের বিধান’ নামে।

  • Tk 529Tk 715

    আল-কুরআনের শব্দসমূহ

    কুরআন বুঝার জন্য আমরা অনেক কোর্স করি বা অনেক বই পড়ি। কিন্তু দেখা যায়, অনেক সময়ই আমাদের মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ কুরআন পড়ার সময় বুঝতে পারার যোগ্যতা অর্জন হয় না। এর একটি অন্যতম বড় কারণ হলো কুরআনের শব্দার্থ ভালোভাবে মুখস্থ না থাকা। সেক্ষেত্রে সমাধান যে কুরআনের শব্দার্থ মুখস্থ করা তা আর বলার বাকি থাকে না। তবে এখানে কিছু ব্যাপার থাকে; যেমন হাজার হাজার শব্দ মুখস্থ করা যত কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন শব্দগুলো মনে রাখা। এই মুখস্থ করা ও মনে রাখা কেন্দ্রিক না সমস্যা ও জটিলতাগুলোর কথা মাথায় রেখেই রচনা করা হয়েছে ‘كَلِمَاتُ القُرآنِ’ বা ‘আল-কুরআনের শব্দসমূহ’ বইটি। এতে কুরআনে ব্যবহৃত শব্দগুলো আয়াতাংশের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে আর একই সাথে লিস্ট করা হয়েছে সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ। শেষের দিকে কাছাকাছি উচ্চারিত শব্দসমূহ একসাথে দেখানো হয়েছে। আশা করা যায়, ভালো কোনো ব্যাকরণের বই থেকে বাক্যগঠনের নিয়ম শিখে এই বই অধ্যয়ন করলে একজন পাঠক অতি দ্রুত আরবিতে কুরআন বুঝতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।

  • Tk 444Tk 600

    আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ

    একজন মুমিনের সর্বপ্রথম কাজ হলো, সে তাঁর মহান রবকে চিনবে, রবের পরিচিতি লাভ করবে, রবের কাছে প্রিয় হবে। একজন মুমিনের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু হলো, রবের প্রতি ঈমান আনা, রবের সকল বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনা এবং ঈমান মজবুত করা। আর তার রব এ ঈমানকে শক্তিশালী করার কিছু মাধ্যমও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেসব মাধ্যমে ঈমান শক্তিশালী হয় তার অন্যতম হলো, কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের পরিচয় লাভ করা এবং এসব নামের অর্থ বুঝতে আগ্রহী হওয়া এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা। কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা বুঝা যায় যে ওই নামসমূহ মুখস্থ করবে, নামসমূহের অর্থ ও মর্ম বুঝবে, এসব নাম দিয়ে আল্লাহর প্রসংশা করবে, এগুলোর মাধ্যেমে আল্লাহর কাছে চাইবে এবং এগুলোর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে-সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নামসমূহ জানা হলো ঈমানের মূল। কারণ, এসব নাম জানা তিন প্রকারের তাওহিদকে অন্তর্ভুক্ত করে। তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ, তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ ও তাওহিদুল আসমা ওয়াস-সিফাত। আর এ প্রকারগুলো হলো, ইমানের রূহ, মূল ও শেষ গন্তব্য। যখনই আল্লাহর নাম ও সিফাত বিষয়ে বান্দার জ্ঞান বাড়বে, তখন তার ইমানও বাড়বে এবং তার বিশ্বাস আরো শক্তিশালী হবে। সুতরাং মুমিনের উচিত সে তার সর্ব শক্তি ব্যয় করবে আল্লাহর নাম, সিফাত ও কর্মসহ তাঁকে চিনার জন্য, জানার জন্য । এবং তার জানার উৎস হবে, কুরআন, সুন্নাহ এবং সাহাবা কিরাম ও সঠিকভাবে সাহাবা কিরামের অনুসারীদের বর্ণনা। এটাই হলো, উপকারী জানা, যার মাধ্যমে মুমিনের ইমান বাড়তে থাকবে, বিশ্বাস শক্তিশালী হবে, সর্বাবস্থায় সে প্রশান্তি পাবে এবং তার রবের ভালোবাসা অর্জন হবে। যে আল্লাহকে তাঁর নাম, সিফাত ও কর্মসহ চিনতে পারবে, তাকে আল্লাহ অবশ্যই ভালোবাসবেন। এ বইটিতে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম একত্রিত করা হয়েছে। অতপর নির্ভরযোগ্য উৎসের আলোকে নামগুলোর ব্যাখ্যা ও তাৎপর্য চমৎকারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বইটির বিশাল এক অংশ জুড়ে দেয়া হয়েছে এসব নামের মূলনীতি দিয়ে, যা আমাদের জানা অতি জরুরী। এ ছাড়া আল্লাহর নাম ও সিফাত-বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাতওয়াও সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।….

  • Tk 439Tk 586

    দ্বীন – কী, কেন, কীভাবে?

    দ্বীন নিয়ে সাধারণ মানুষেরা, যারা মাদরাসা বা কোনো প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদীন ধরে জ্ঞানলাভের সুযোগ পায়নি, তারা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক চিন্তা ও কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে না। বিশেষ করে যখন বিভিন্ন বিষয়ে তার সামনে অনেক মত ও পথ এসে হাজির হয়, তখন সে অনেকটা অসহায় বোধ করতে থাকে। যে-সকল বিশ্বাস ও কর্ম দ্বীনের মৌলিক ভিত্তি, যে-সকল চিন্তা ও কর্মের ব্যত্যয় ঘটলে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি অসম্ভব হয়ে যেতে পারে, সে-সকল বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকা একজন মুসলিমের জন্য আবশ্যক। দ্বীনের বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষ কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার জন্য যে পরিমাণ পড়াশোনা করা উচিৎ, তা কি সকলের পক্ষে করা সম্ভব? সত্যি বলতে সম্ভব নয়। তাহলে, তারা কি একদম না জানা না বোঝাদের মধ্যে শামিল থেকে যাবে? সেটাও কি সমাধান? দ্বীন বইটি মূলত ওইসকল মানুষের জন্য রচিত, যারা অনেক অনেক বই ঘেঁটে অনেক অনেক প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করার সক্ষমতা রাখে না। তাদের জন্য সহজ করে প্রয়োজনীয় জ্ঞানকে একমলাটে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে—যাতে পড়তে, বুঝতে ও মনে রাখতে সহজ হয়।

  • Tk 420Tk 700

    আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আমল

    অল্প আমলে অধিক সাওয়াব পেতে কে না চায়! আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে কার না ইচ্ছে করে! অথচ অধিকাংশ মুসলিমই জানে না, কীভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে আমল করতে হয়; কোন সময় কোন আমলগুলো করলে সারারাত ঘুমিয়েও পাওয়া যায় তাহাজ্জুদের সাওয়াব, হজে না গিয়েও মিলে পূর্ণ হজের নেকি, শহিদ না হয়েও লাভ করা যায়শাহাদাতের মর্যাদা। আল্লাহ তাআলা ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনসব সুযোগের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, যাতে আমরাসীমিত সময়ে এবং কম পরিশ্রমে নিজেদের আমলনামায় যুক্ত করতে পারি পাহাড়সমান সাওয়াব; পাপের সাগরে যা হবে আমাদের নাজাতের তরি। হাশরের ময়দানে সাওয়াবে ভরপুর আমলনামা দেখে নিজেরাই হয়ে যাববিস্মিত।

  • Tk 317Tk 528

    জান্নাতিদের আমল

    আমাদের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। ছোট্ট এই জীবনে চাইলেও আমরা খুব বেশি আমল করতে পারি না। আর তাই আল্লাহ তাআলা আপন অনুগ্রহে আমাদের জন্য বিপুল সাওয়াব অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে, একটু ভেবেচিন্তে, বিশেষ কিছু আমল নিয়মিত করতে পারি, তাহলে অল্প সময়ের ব্যবধানে আমাদের নেকির পাল্লা অনেক বেশি ভারী হয়ে উঠবে। হাশরের ময়দানে যখন কেউ কাউকে চিনবে না, তখন এই আমলগুলোই হবে আমাদের একমাত্র সম্বল,জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম অসিলা। ‘জান্নাতিদের আমল’ বইটির পাতায় পাতায় বর্ণিত হয়েছে হাজারো আমলের কথা।যেসব আমলের মাধ্যমে মিলবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য, রাতে ঘুমিয়ে থেকেও অর্জন করা যাবে তাহাজ্জুদের সাওয়াব, শহিদ না হয়েওলাভ করা যাবেশহিদি মর্যাদা, কবরের আজাব থেকে মিলবে চিরমুক্তি, হাশরের ময়দানে আরশের ছায়া, প্রিয় নবিজির সুপারিশ এবং আরও কত কি!

  • Tk 296Tk 400

    দুই তিন চার : অভিশাপ নাকি রহমাত?

    ‘একাধিক বিয়ে’ শরীয়াতের বিধান—কথাটি বললেই অনেকে মনে করেন এটাকে ফরজ-ওয়াজিব টাইপের কোনো বিধান বলা হচ্ছে। এটা তাদের বোঝার ভুল। মূলত যে-কোনো বিষয়ে শরীয়াতের সুনির্দিষ্ট মতামতই ‘বিধান’ শব্দের আওতায়। সেটা হতে পারে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাহ, মুস্তাহাব, মুস্তাহসান, হালাল, জায়েজ, মুবাহ বা যে-কোনো পর্যায়ের। একাধিক বিয়ের বিধান হলো, এটি ইসলামে বৈধ। আর বৈধ কোনো বিধানের ওপর আমল করা সাধারণভাবে জরুরি নয়, তবে কেউ আমল করলে তাকে ঘৃণা বা অপছন্দ করা মারাত্মক অন্যায়। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এটা নিয়ে অহেতুক ফ্যান্টাসিতে ভোগা যেমন অনুচিত, এর থেকে বেশি অনুচিত—বরং বলা ভালো ঈমানের জন্য হুমকিস্বরূপ হলো, একটি হালাল বিধানের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ পোষণ করা। বিভিন্ন সামাজিক বাস্তবতা ও তিক্ত উদাহরণের কারণে আমাদের দেশে একাধিক বিয়ে ট্যাবু ও ঘৃণিত কাজ হিসেবে উপস্থাপিত হলেও, ইসলামে এর বৈধতা প্রশ্নাতীত। এসব সামাজিক বাস্তবতা ও তিক্ত উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও ক্ষেত্র-বিশেষে কারও কারও জন্য বা সামগ্রিকভাবে সমাজকল্যাণে এটি হতে পারে প্রয়োজনীয়, উপকারী ও শেষ সমাধান। এ-বিষয়টিকে সামনে রেখেই মিশরীয় স্কলার ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, উস্তাযা ‘রনিয়া হাশিম’ রচনা করেছেন স্বতন্ত্র এ-বইটি।

  • Tk 296Tk 400

    ফিকহু রমাদান

    আমাদের প্রিয় রব্বে কারিম রমাদানে সিয়াম-পালন আমাদের ওপর ফরজ করেছেন এবং তিনিই আমাদের জন্য এর প্রতিদান দেবেন; কিন্তু রমাদানের সিয়াম পালনের পূর্বে আমাদের জন্য জরুরি হলো, সিয়াম-বিষয়ক প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়িল ভালোভাবে জানা, বোঝা এবং সে অনুযায়ী আমল করা। এটি সকল মুমিনেরই কর্তব্য। কেননা, বিশুদ্ধ নিয়াত ও পদ্ধতিতে সিয়াম-পালন করলেই কেবল আল্লাহ তাআলার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। বক্ষ্যমাণ এ গ্রন্থটিতে শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল হাফিজাহুল্লাহ অনেক সুন্দরভাবে রমাদানের বিভিন্ন মাসআলা আলোচনা করেছেন। তিনি হাম্বলী মাযহাবের কিতাবকে সামনে রেখে আলোচনা করলেও মাসআলাগুলো আলোচনা করার ক্ষেত্রে একটি মাযহাবের ওপর সীমাবদ্ধ থাকেননি; বরং তুলনামূলক ফিকহি মাসআলাগুলোও আলোচনা করেছেন। ইমামদের মতামতগুলো তুলে ধরেছেন। এ ক্ষেত্রে হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী মাযহাবের ইমামদের মতামতগুলো বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন। এরপর কেন ও কীভাবে এই মতগুলো এলো, কোনটি সঠিক হতে পারে ইত্যাদি দেখিয়েছেন। উসুলুল ফিকহ ও তুলনামূলক ফিকহের আলোকে মাসাআলাগুলো তিনি আলোচনা করেছেন। আর এগুলো আলোচনা করতে গিয়ে কখনো জুমহুর উলামায়ে কিরামের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছেন, কখনো হাম্বলী মাযহাবের মুতামাদ মতকে তার নিজ ইজতিহাদি যোগ্যতার আলোকে ভুল বা দুর্বল বলেছেন, আবার কখনো ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহর মতকে দুর্বল বলেছেন, আবার কখনো প্রাধান্য দিয়েছেন। শাইখের এমন বিশ্লেষণধর্মী আলোচনার কারণে, বইটির বিশেষত্ব হলো—এর মাধ্যমে পাঠক এখান থেকে মাসআলা শেখার পাশাপাশি জানতে পারবেন মাসআলাটা কীভাবে এবং কী পদ্ধতিতে এলো। সেই সাথে জানতে পারবেন মুজতাহিদ ইমাম বা উলামায়ের কিরামের ভিন্নমতের দালিলিক ও যৌক্তিক কারণ—যা একজন পাঠককে ভিন্নমতের প্রতি উদার ও সাহনশীল হতে সহায়তা করবে।

  • Tk 258Tk 430

    শিকড়ের সন্ধানে

    নিজেকে জানতে পারার মধ্যেই সক্রেটিস মানবজীবনের সার্থকতা খুঁজেছেন। সক্রেটিসের এই দর্শন আদতে কানায় কানায় সত্য। মানবজীবন ঠিক তখনই পরিপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করে যখন মানুষ নিজেকে জানতে শুরু করে ও আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে প্রলুব্ধ হয়। নিজেকে উদঘাটন করতে পারলেই ঠিক করে ফেলা যায় জীবনের দর্শন। জীবনের গন্তব্য, উদ্দেশ্য এবং রদবদল, সবকিছু সহজ হয়ে যায় যদি নিজেকে জানা যায়। যদি একেবারে শেকড়ে ফিরে চেনা যায় নিজের প্রকৃতি। ‘মুসলমান’ হিসেবে এই ব্যাপারটা আরও বিশদভাবে সত্য। আমরা যদি নিজেদের আত্মপরিচয়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা প্রদত্ত গৌরবময় মর্যাদা ‘মুসলমানিত্বের’ সঠিক মর্মার্থই বুঝতে না পারি, তাহলে কীভাবে নির্ধারণ করব নিজেদের গন্তব্য এবং উদ্দেশ্য? কেন-ই বা আমরা মুসলিম, অন্যরা কেন নয়, কীভাবে আমরা মুসলিম হলাম, আমাদের ঠিক আগে, আল্লাহর একাত্মবাদে যারা আসীন ছিলেন, তারা কোন পরিচয়ে ধন্য হয়েছেন, তাদের সাথে আমাদের যোগসাজশ কোথায়? সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্য কী কী, এসব জানতে পারাই হলো আমাদের আত্মপরিচয় সন্ধানের প্রথম সবক। ‘শেকড়ের সন্ধানে’ বইতে লেখিকা হামিদা মুবাশ্বরা ঠিক আমাদের জন্য এই কাজটিই করেছেন। তিনি আমাদের নিয়ে গেছেন অতীতে একেবারে গোড়ায়, যেখান থেকে আমাদের আত্মপরিচিতির শুরু। কত হাওয়া বদল করে, কত বাঁক পেরিয়ে, কত সময় পার করে, কত ঘাত-প্রতিঘাতে আমরা আমাদের শেষ পরিচয়, ‘মুসলমান’ এ এসে ঠেকেছি, সেই মহাযাত্রার রহস্যপানে লেখিকা আমাদের ভ্রমণ করিয়েছেন। লেখিকা কেবল আমাদের সোর্স থেকে আমাদের ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিবারণ করাননি। তিনি আমাদের কখনো তাওরাতে, কখনো ইঞ্জিলে, আবার কখনো কুরআনে ডুব দিইয়েছেন। প্রসঙ্গক্রমে ঢুকে পড়েছেন বিশাল বিস্তৃত হাদিসশাস্ত্রের ভেতরেও। লেখিকার অণ্বেষণ প্রক্রিয়া, জানার তীব্র আকাঙ্খা, সত্যকে আজলা ভরে তুলে আনার ঢঙ বেশ আশাজাগানিয়া। এ রকম একাডেমিক একটা বিষয়কে তিনি কীভাবে সাধারণ মানুষদের জন্যও উপযোগী করে ফেললেন তা-ও বিস্ময় জাগানিয়া!

  • Tk 245Tk 350

    প্রত্যাবর্তন

    মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়েও আমি হয়ে পড়ি একজন নামকাওয়াস্তে, টাইটেলধারী, নাম সর্বস্ব মুসলমান। সেই ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে আমি পথ চলতে থাকি। আমার চারপাশ ঘন কালো অন্ধকারে ঢাকা। তবুও, আমার মনে হয় আমিই ঠিক পথে আছি। বাকিসব ভুল, মিথ্যা… এরকম অন্ধকারের মধ্যে পথ চলতে চলতে একদিন আমার ঘুম ভাঙে। আমি বুঝতে পারি আমি ঠিক পথে নেই। আমার গন্তব্য যেটা হওয়া উচিত ছিলো, আমি সেই পথ থেকে বিচ্যুত।

  • Tk 244Tk 330

    স্বামী-স্ত্রীর জিজ্ঞাসা

    দাম্পত্যজীবন জান্নাতি সুখ অনুভব করার একটি জীবন। আদম ও হাওয়া আলাইহিমুস সালামের মাধ্যমে জান্নাতে এ-জীবনের সূচনা। তবে দুনিয়াতে এসে এ-জীবনে সুখী হওয়াটা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। ঝিরঝিরে হাওয়া কিংবা ঝড়-ঝাপটা যেমন গাছকে আন্দোলিত করে, তেমনই ছোটো-বড়ো নানান সমস্যা দাম্পত্য জীবনে হানা দেয়। আন্দোলিত করে এ-জীবনকে। কৌশলী না হলে ভেঙে যেতে পারে একটি সুখের সংসার। দাম্পত্যজীবনের বহুমুখী সমস্যা ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে সুখী হওয়ায় পদ্ধতি ও এ-সংক্রান্ত নানান জিজ্ঞাসার জবাব নিয়েই আমাদের এ-আয়োজন—’দাম্পত্যজীবন সংক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর জিজ্ঞাসা’। স্বামী-স্ত্রীর অনেকগুলো প্রশ্নের সমাধান ও পরামর্শমূলক উত্তর দেওয়া হয়েছে এখানে। আমরা আশাবাদী, পাঠকদের দাম্পত্যজীবনকে কলহমুক্ত করে সুখী জীবনযাপনে দারুণভাবে সহায়ক হবে বইটি ইন-শা-আল্লাহ।

  • Tk 244Tk 330

    বিয়ে সংক্রান্ত তরুণ-তরুণীর জিজ্ঞাসা

    দো-জাহানে কল্যাণলাভের একটি উত্তম মাধ্যম হলো বিয়ে। নতুন জীবনে পদার্পণে মনে যেমন আশা সঞ্চারিত হয়, অজানা আশঙ্কাও দানা বাঁধে। তাছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক বাধাও কম থাকে না। অনাগত আশঙ্কা ও নানান বাধাকে অতিক্রম করে সুখী জীবন গড়তে প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি। প্রস্তুতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে দক্ষ নাবিকের মতো ঢেউয়ের মাঝেও দুরু দুরু বুকে, মনে আশা সঞ্চারিত করে তরুণ-তরুণীকে এগিয়ে যেতে হবে গন্তব্যে। থেমে যাবার যে সুযোগ নেই। বিয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন জিজ্ঞাসা কিংবা বিবাহপূর্ব নানান সমস্যা মোকাবিলায় করণীয় দিকনির্দেশনামূলক বিষয়াদি নিয়েই আমাদের এ-আয়োজন ‘বিয়ে সংক্রান্ত তরুণ-তরুণীর জিজ্ঞাসা’। আমরা আশাবাদী, তরুণ-তরুণীদের অনাগত জীবনের আশঙ্কাকে দূর করে কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণে দারুণভাবে সহায়ক হবে বইটি, ইন-শা-আল্লাহ

  • Tk 240Tk 325

    গুলমোহর

    গুলমোহর-একটি হার্দিক গল্প। মানুষের জীবনের নাটকীয়তা, বাস্তবতা, ঘটনা, দুর্ঘটনা এসবের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই । গল্পে অনেকগুলো নাটকীয়তার সমাবেশ ঘটে বলে একে অতিকথন নাটকীয় মনে হয়। কিন্তু আলাদাভাবে এর প্রত্যেকটিই সত্য। তাই উপন্যাসকে কেবল কল্পনা বলে হেলায় উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। গুলমোহর তিন তরুণ তরুণীর গল্প যারা তিন জগতের মানুষ। মানুষের হৃদয়ের মতো রহস্যময়, জটিল, বর্ণিল আর কিছু নেই পৃথিবীতে। সেই রহস্যময়, জটিল ও বর্ণিল জীবনকে শব্দ- বাক্য-পরিচ্ছেদের ছকে ফেলে এক নিদারুণ উপস্থাপনার কারিশমা দেখিয়েছেন লেখিকা এ উপন্যাসে।

  • Tk 240Tk 325

    ইয়াসমীন – Yasmin

    গল্প-উপন্যাস কিংবা যেকোনো ধরনের বই পড়ুয়ারাই এক জীবনে অজস্র বই পড়ে থাকেন। যার সবগুলোর ভেতরের বিষয়বস্তু তো দূরের কথা, অনেক বইয়ের নামটাও হয়তো আমাদের মনে থাকে না। কিন্তু কিছু বই থাকে, যা আমাদের মনে জায়গা করে নেয় পরম আপন কোনো বন্ধুর মতো। সেসব বইয়ের কিছু চরিত্র যেন হয়ে যায় আমাদের সত্তার এক অংশ। শৈশবের অমলিন স্মৃতির মতো। চোখ বন্ধ করলেই যার দৃশ্য ভেসে ওঠে স্মৃতির ফ্রেমে। সাতটি গল্পের সংকলনে ‘ইয়াসমীন’ এমনই একটি বই। যেমনটা আমরা বলেছি, “পড়ে শেষ করার পরও পাঠকের কানে বাজতে থাকবে বিস্তীর্ণ মাঠের শেষপ্রান্তে থাকা পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসা শব্দের মতো। শৈশব-কৈশোরের সোনাঝরা দিনগুলির মতো যা স্মৃতির ফ্রেমে থেকে যাবে দিনের পর দিন।” ঠিক এমনই এক অসহ্য সুন্দর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন পাঠকবৃন্দ।

  • Tk 240Tk 400

    অবাধ্যতার ইতিহাস

    যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে পূর্বের অনেক সভ্যতা, যেভাবে মানুষকে বরণ করতে হয়েছিলো আল্লাহর অনিবার্য আযাব—তার আদ্যোপান্ত জানতেই ‘অবাধ্যতার ইতিহাস’ বইটি। মোটকথা, কীভাবে আমরা ইউরোপীয় চিন্তাগুলোকে গ্রহণ করে আমাদের দ্বীন ছেড়ে দিয়েছি। তার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।

CATEGORIES