-
Tk 160
তাওয়াক্কুল
পৃথিবীতে মুসলমানরাই কেবল এমন এক জাতি, যারা শ্রম ও প্রচেষ্টার সাথে একটা আধ্যাত্মিক স্পিরিট নিয়ে পথ চলে। তারা সকল শক্তির ওপর শক্তিমান এক আল্লাহর ওপর ভরসা করে। একজন মুসলমান কল্যাণকর সবকিছু অর্জনের নিমিত্তে সাধ্যমতাে সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবে, আর ফলাফলের জন্য আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করবে, তাঁর প্রতি আস্থা রাখবে। বিশ্বাস রাখবে-আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন, ফলাফল তা-ই হবে। আর তাতেই রয়েছে চূড়ান্ত কল্যাণ। বাহ্যিক দৃষ্টিতে তা দৃশ্যমান কল্যাণ না-ও হতে পারে। তাওয়াক্কুল অবলম্বনকারী কখনাে হতাশ হয় না, স্বপ্নভঙ্গে মুষড়ে পড়ে না। বিপদ-মুসিবতে, যুদ্ধ-সংকটে ঘাবড়ে যায় না। যেকোনাে দুর্বিপাক-দুর্যোগে আল্লাহ তায়ালার ওপর দৃঢ় আস্থা রাখে। ঘাের অন্ধকারে প্রত্যাশা করে উজ্জ্বল সুবহে সাদিকের। জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নে সে আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করে না। তাওয়াক্কুল এমন এক প্রতিষেধক, যা মুমিন-জীবনকে হীনম্মন্যতা থেকে মুক্ত রাখে।
-
Tk 200
সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ
বিশ্রুত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল। মহানবি ﷺ-এর যুগে দুনিয়ার অন্যতম পরাশক্তি পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য বা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী। ‘একজন মহান সেনাপতির নেতৃত্বে এক উৎকৃষ্ট সেনাদলের হাতে সুবিখ্যাত নগরী কনস্ট্যান্টিনোপল মুসলিমদের করায়ত্ত হবে’-এমন সুসংবাদ দিয়েছিলেন মহানবি ﷺ। তাঁর সুসংবাদ বাস্তবায়নের গৌরব অর্জনে বহু সেনাপতি, খলিফা ও সুলতান কনস্ট্যান্টিনোপল জয়ের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। অবশেষে ১৪৫৩ সালে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদ কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করে রাসূলুল্লাহর সুসংবাদ বাস্তবায়নকারী ‘আমির’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এই বইয়ে ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ওই ঘটনার অনুপুঙ্খ বিবরণ উঠে এসেছে। তবে আলোচনার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আনাতোলিয়ায় উসমানি তুর্কিদের সালতানাত প্রতিষ্ঠার ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষয়িষ্ণু বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন এবং উদীয়মান অটোমান সালতানাতের উত্থানের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাবলি পর্যালোচনা করা হয়েছে নির্মোহ দৃষ্টিতে। নিছক মৃত মানুষের কাহিনি সংকলন নয়; বরং ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সূত্রগুলোকে এক সুতোয় গাঁথার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে।
-
Tk 210
কুরআনিক দুআ
মহাপ্রতিপালক মনিব তাঁর সৃষ্ট বান্দাদের অনন্ত জীবনে জান্নাতে নিতে চান। তিনি জানেন- বান্দা ভুল করে, অপরাধ করে; আর তিনি অপেক্ষা করেন ক্ষমা আর দয়া নিয়ে। তিনি চান- বান্দারা তাঁর কাছে মুক্তির আর্জি পেশ করুক, ক্ষমা প্রার্থনা করুক। রবের কাছে যেভাবে বান্দারা কিছু চায়, তা অপর্যাপ্ত ও অপূর্নাঙ্গ হতে পারে, তাই তিনি নিজেই আবেদন প্রক্রিয়া শিখিয়ে দিয়েছেন কুরআনুল কারিমে। কোন ভাষায়, কোন শব্দে, কোন কথামালায় চাইতে হবে, তা আমাদের শিখিয়েছেন নিজেই। এই গ্রন্থে আমরা এমন সব কুরআনিক দুআ নিয়ে জানব, যা বান্দা হিসেবে রাব্বুল আলামিনের সাথে আমাদের সম্পর্ক এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 130
মাআল মুস্থফা
নবিজির জীবনী আমাদের কাছে উন্মুক্ত বই। সেখান থেকে পৃষ্ঠা উলটিয়ে যা ইচ্ছে আমরা পড়তে পারি, শিখতে পারি। প্রতিটি অধ্যায় মণি-মুক্তোয় ভরপুর। পৃথিবীর সকল সেলিব্রেটি অন্তত কিছু না কিছু ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলে গোপন করে। কিন্তু দেখুন না আমাদের নবিজিকে; সবকিছুই তিনি উন্মুক্ত করেছেন উম্মতের জন্য। নবিজির বহির্জীবন নিয়ে বলেছেন সাহাবিগণ, ঘরের জীবন নিয়ে বলেছেন উম্মুল মুমিনিন। তাঁরা নবিজির জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করেছেন এবং সেগুলো দুনিয়াবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের বাবা-মা কিংবা শিক্ষকের চেয়েও নবিজিকে বেশি জানি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের চেয়েও নবিজিকে বেশি উপলব্ধি করতে পারি এবং ভালোবাসি। আমাদের ধ্যান-জ্ঞান এবং আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ‘উসওয়াতুন হাসানা’ প্রিয় নবিজি। ‘মাআল মুস্তফা’ গ্রন্থে আমরা নবিজিকে আরেকবার জীবনের সাথে মিলিয়ে নেবো, তাঁর জীবন থেকে পাথেয় কুড়িয়ে নেবো ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 150
দ্যা এশিয়ান রেনেসাঁস
এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী ও আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনোয়ার ইবরাহিমের আদর্শিক চিন্তাভাবনা আদতে কেমন? এশিয়ার ভূ-রাজনীতি নিয়ে গত কয়েক দশকে তিনি কীভাবে তার চিন্তা-কাঠামোকে উপস্থাপন করেছেন? তার চোখে দেখা এশিয়া কেমন? ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত ‘The Asian Renaissance’ গ্রন্থে তত্কালীন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বৃহদার্থে সহিষ্ণুতা, উদারতা ও বহুবৈচিত্রের এশিয়ার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। আলোকোজ্জ্বল, নিখুঁত চিত্রের এবং চিন্তা জাগানিয়া এসব প্রবন্ধ সংকলন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাজনীতিকে বুঝতে সহযোগিতা করবে এবং পাঠক মনে পরিবর্তনের স্পৃহা জাগিয়ে তুলবে।
-
Tk 240
মাতৃত্ব: স্বপ্ন বুননের পথে
মাতৃত্ব! প্রতিটা মেয়ের জীবনে পরম আরাধ্য এক স্বপ্নের নাম, নারীজীবনে পূর্ণতা পাওয়ার অবিকল্প অনুষঙ্গ। কিন্তু মাতৃত্বের পথে এই সফর মোটেই সহজ ব্যাপার নয়; মা হওয়ার প্রতিটা ধাপে রয়েছে পাহাড়সম ত্যাগ, অপরিসীম মমতা আর সীমাহীন কষ্টের উপাখ্যান! আজন্মলালিত এই স্বপ্নকে ছুঁতে প্রতিটি নারী মুখোমুখি হয় নানাবিধ প্রশ্নের। তার ভেতর দানা বাঁধে হাজারো দ্বিধা, দুশ্চিন্তা ও আশঙ্কা। আর প্রথমবার মা হতে গেলে তো প্রশ্নের জট খুলতেই চায় না। এমনই সব প্রশ্নের উত্তর, ব্যাখ্যা ও তথ্যনির্ভর পর্যালোচনা নিয়েই লেখা হয়েছে মাতৃত্ব : স্বপ্ন বুননের পথে বইটি।
-
Tk 182
Tk 260মা মা মা এবং বাবা
পিতা-মাতা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটাই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর এবং সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কোথাও কোনো খাঁদ নেই। নেই স্বার্থ কিংবা স্বার্পরতার ছোঁয়া। মায়া, মমতা, আদর, যত্ন এবং নিখাঁদ ভালোবাসার এক অদ্ভুত চক্রে আবর্তিত এই সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্ত। আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, শৈশব এবং কৈশোরের গল্পে, আমাদের যুবক হয়ে ওঠার চিত্রপটে তারাই থাকেন মূল ভূমিকায়। অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাসে আমাদের জীবনের সেই মহানায়ক আর মহানায়িকা, যারা নিজেদের সবটুকু ঢেলে দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন, আমাদের মানুষ করেন, তাদেরকে আমরা আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলি। পরিত্যক্ত জঞ্জালের ন্যায় ভাগাড়ে নিক্ষেপ করি। এমনসব কঠিণপ্রাণ সন্তান, যারা দুনিয়ার লোভ আর মোহে পড়ে বাবা-মা’কে ভুলে যায়, ভুলে যায় তাদের অবদান, ত্যাগ আর তিতিক্ষার গল্প, কেমন হয় তাদের পরিণতি? অথবা, এমনসব সৌভাগ্যবান সন্তান, যারা সবকিছুর বিনিময়ে বাবা-মা’কে আগলে রাখে, ভালোবাসে, যেভাবে শৈশবে তাদের আগলে রেখেছিল তাদের পিতা-মাতা, কেমন হয় সেসকল সন্তানদের যাপিত জীবনের গল্প? সেরকম একঝুঁড়ি গল্পের সমাহার নিয়ে রচিত মা, মা, মা এবং বাবা।
-
Tk 120
মধ্যমপন্থা
বড্ড কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছে মুসলিম উম্মাহ। প্রান্তিকতার এই অস্থির সময়ে তাই মধ্যমপন্থার আলোকমশাল জ্বালিয়ে দিতে হবে প্রতিটি অন্তরে। চরম কিংবা নরম-দুটোই বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রান্তিকতার দেয়াল ভেঙে মুক্তির নতুন সূর্য আনতে ‘মধ্যমপন্থা’ হতে পারে সফল মাধ্যম। মধ্যমপন্থার ব্যাখ্যা, ক্ষেত্র, পরিসীমা ও প্রয়োগবিধি নিয়ে শাইখ ইউসুফ আল কারজাভির চমৎকার উপস্থাপনা ‘মধ্যমপন্থা’ (ওয়াসাতিয়্যাহ) পড়ে নতুন করে ভাবার খোরাক পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
-
Tk 135
বিষগোলাপের বন: ধর্ম ও কর্ম বিষয়ক দার্শনিক অনুভাবনা
বিষগোলাপের বন পথ দেখানোর দায়িত্ব নেয় না; কেবল চোখ খুলে দেওয়ার কাজটি করে। যেন আপনি নিজেই দেখে নিতে পারেন আপন পথ। বইটি কোনো চিন্তাপুঞ্জের বয়ান নয়; বরং এর মধ্যকার প্রতিটি কথা এমন এক চিন্তাপুঞ্জের দরজা খুলে দিতে চায়, যাতে জীবন ও জগতের রহস্য সন্ধানে আপনি নিজেই জ্ঞানগতভাবে প্রস্তুক ও সক্ষম হতে থাকেন। ধর্ম ও কর্মের বিচিত্রমুখী দার্শনিক বয়ানে কবি মুসা আল হাফিজ অবলম্বন করেছেন টুকরো কথনের ভঙ্গি। প্রতিটি টুকরোর ভেতরে আছে বিশ্লেষণের একেক জগৎ, অনুভবের একেক দরিয়া।
-
Tk 570
ইতিহাসের ছিন্নপত্র (১ম খন্ড)
‘ইতিহাস’ শব্দটা হামেশাই উচ্চারিত হয় মুখে মুখে। ইতিহাস আদতে কী? অতীত ঘটনা ও কার্যাবলির অধ্যয়ন— তাই তো? সেই সংজ্ঞামতে ইতিহাসের পাঠগুলোও এক-একটা ইতিহাস। অতীতে একটা ঘটনা বারবার ঘটেছে— ইতিহাসের চোখে একটা কাঠের চশমা পরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা। আমরা তো জানি, ইতিহাসবেত্তাগণ ইতিহাসের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গন্ডগোলটা বেধেছে ঠিক এখানেই। স্ব-স্ব চিন্তা-কাঠামোর ইতিহাসবিদরা নিজেদের রঙে রাঙিয়েছেন ইতিহাসকে। যার যত দক্ষতা, ক্ষমতা ও মাধ্যম ছিল, সে তত বেশি ইতিহাসকে দখল করেছে। প্রচলিত একটা নিষ্ঠুর বয়ান আছে, ইতিহাস নাকি বিজয়ীর চোখ দিয়ে দুনিয়াকে দেখায়। দুনিয়ার সবাই স্রোতের দিকে ছুটতে স্বস্তি পায়। কিছু মানুষ থাকে, স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে হিম্মত দেখায়। ইতিহাসের ধারাবাহিক স্রোতে অনেক সময় সত্যকে লুকিয়ে ফেলার একটা আয়োজন করা হয়, কিন্তু কিছু মানুষ মাটি ফুঁড়ে সে ইতিহাস দুনিয়াবাসীর সামনে হাজির করার কোশেশ করে। কায় কাউস ঠিক তেমনই এক ইতিহাসবেত্তা। ইতিহাসের ছিন্নপত্র গ্রন্থটি অতীত ইতিহাসেরই পুর্নপাঠ; নতুন ইতিহাসের সৃষ্টিকর্ম নয়।